চেহারা নিয়ে খুব বিপদে আছি। আগেও ছিলাম।
তখন আমি ১৭ বছর বয়সে ১৮+ ব্লগিং করতাম। আমার ব্লগে শোভা পেতো দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে কঠিন সব চিন্তা-ভাবনা। সেগুলো দেখে মানুষ কী ভাবতো আল্লাহই জানেন!
ফেইসবুকে অনেকেই মেসেজ পাঠাতেন - 'আপনার লেখা খুব ভালো (!)। এড করবেন?'
এড করতাম।
তাঁরা এড হয়ে আমার প্রোফাইল ঘেটে আবার মেসেজ দিতেন, 'তুমি তো পিচ্চি পোলা। যাও পড়তে যাও। ব্লগে কী করো?'
আপুরাও মেসেজ পাঠাতেন। আমার তখন বয়স কম। খুশিতে আটখানা হয়ে তাঁদেরকে এড করতাম।
তারপর তাঁরা মেসেজ দিতেন, 'আমার ৫ বছরের ছোট বোনও তোমার সাথে পড়ে। পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো, ছোট ভাই। "বড় হয়ে" তুমি অনেক বড় হও। দোয়া করি।'
আমি বিরস বদনে রিপ্লাই দিতাম, 'ওকে। বড় হবো। ধন্যবাদ।'
ব্যাথায় জর্জরিত হয়ে ফেইসবুক থেকে বার্থ ইয়ার, প্রোফাইল পিকচার সব সরিয়ে দিয়েছি। এই চেহারা রাখার কোনো মানেই হয়না।
তাও রক্ষা নেই। সর্বশেষ বেইজ্জতিটা ঘটে গেছে অফলাইনে।
সিএনজিতে উঠেছি। আমার পাশের সিটে এসে বসেছে থার্ড ইয়ারের এক ছোট ভাই। আমার চেয়ে পাক্কা তিন বছরের জুনিয়র। জুনিয়রের সাথে সিএনজিতে উঠলে তাঁর ভাড়া দিয়ে দেয়াটাই নিয়ম। ভাবলাম, সিএনজি থেকে নামার সময় ভাড়া দিয়ে দেবো।
সিএনজি থামলো। আমরা দুইজন নামলাম। আমি ভাড়া দিতে মানি ব্যাগে হাত দিয়েছি, সাথে সাথে জুনিয়রটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'চলে যাও। আমি দিচ্ছি।'
আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। সে আবার আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'আরে রাখো। জুনিয়ররা ভাড়া দেয় নাকি? তুমি যাও তো!'
সে ভাড়া দিয়ে হনহন করে চলে গেলো। আমি বেক্কল হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
হায়!
তখন আমি ১৭ বছর বয়সে ১৮+ ব্লগিং করতাম। আমার ব্লগে শোভা পেতো দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে কঠিন সব চিন্তা-ভাবনা। সেগুলো দেখে মানুষ কী ভাবতো আল্লাহই জানেন!
ফেইসবুকে অনেকেই মেসেজ পাঠাতেন - 'আপনার লেখা খুব ভালো (!)। এড করবেন?'
এড করতাম।
তাঁরা এড হয়ে আমার প্রোফাইল ঘেটে আবার মেসেজ দিতেন, 'তুমি তো পিচ্চি পোলা। যাও পড়তে যাও। ব্লগে কী করো?'
আপুরাও মেসেজ পাঠাতেন। আমার তখন বয়স কম। খুশিতে আটখানা হয়ে তাঁদেরকে এড করতাম।
তারপর তাঁরা মেসেজ দিতেন, 'আমার ৫ বছরের ছোট বোনও তোমার সাথে পড়ে। পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো, ছোট ভাই। "বড় হয়ে" তুমি অনেক বড় হও। দোয়া করি।'
আমি বিরস বদনে রিপ্লাই দিতাম, 'ওকে। বড় হবো। ধন্যবাদ।'
ব্যাথায় জর্জরিত হয়ে ফেইসবুক থেকে বার্থ ইয়ার, প্রোফাইল পিকচার সব সরিয়ে দিয়েছি। এই চেহারা রাখার কোনো মানেই হয়না।
তাও রক্ষা নেই। সর্বশেষ বেইজ্জতিটা ঘটে গেছে অফলাইনে।
সিএনজিতে উঠেছি। আমার পাশের সিটে এসে বসেছে থার্ড ইয়ারের এক ছোট ভাই। আমার চেয়ে পাক্কা তিন বছরের জুনিয়র। জুনিয়রের সাথে সিএনজিতে উঠলে তাঁর ভাড়া দিয়ে দেয়াটাই নিয়ম। ভাবলাম, সিএনজি থেকে নামার সময় ভাড়া দিয়ে দেবো।
সিএনজি থামলো। আমরা দুইজন নামলাম। আমি ভাড়া দিতে মানি ব্যাগে হাত দিয়েছি, সাথে সাথে জুনিয়রটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'চলে যাও। আমি দিচ্ছি।'
আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। সে আবার আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'আরে রাখো। জুনিয়ররা ভাড়া দেয় নাকি? তুমি যাও তো!'
সে ভাড়া দিয়ে হনহন করে চলে গেলো। আমি বেক্কল হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
হায়!
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।