tag:blogger.com,1999:blog-71781918851620392282024-03-05T21:30:19.484+06:00খেয়ালিকাএখানেই শুরু হোক রোজকার রূপকথা... | আলিম আল রাজি'র ব্লগআলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.comBlogger274125tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-633620394565475602019-06-21T23:47:00.000+06:002019-06-22T00:10:29.706+06:00ভারতের বিখ্যাত অ্যাপোলো হাসপাতালের একটি প্রেসক্রিপশনের ময়না তদন্ত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">এ</span>ক বড়বোন। ইন্ডিয়া গিয়েছিলো এই মাসের শুরুর দিকে। সাথে তাঁর স্বামী,
তাঁর বাবা, মা এবং ছোট ভাই। উদ্দেশ্য দুইটা - ১. ঘুরাঘুরি ২. হেলথ চেক আপ<br />
১০ তারিখের দিকে হোয়াটসআপ-এ একটা কল আসলো। সেই বড় বোনের ফোন। <br />
- রাজি?<br /> - হ্যাঁ, বল। তোর ইন্ডিয়া ট্যুর কেমন যায়?<br /> - ভালো না। আব্বার তো অপারেশন। <br /> - আংকেলের আবার কী হলো। তিনি তো সুস্থ।<br /> ওপাশ থেকে বললো, হ্যাঁ তিনি তো সুস্থযই। এমনিই ভাবলাম চেক আপ করে যাই।<br /> - তাহলে কীসের অপারেশন?<br /> - কিডনি কেটে অপারেশন করবে।<br /> - মানে কী?<br /> - হ্যাঁ, এখানকার ডাক্তার বললো। কিডনি থেকে মাংস নিয়ে পরীক্ষা করবে।<br /> - বলিস কী! বায়োপসি!<br /> - হ্যাঁ, হ্যাঁ। বায়োপসি।<br />
<a name='more'></a>তৎক্ষণাত কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম। সবগুলোর উত্তরই আসলো 'না'। <br /> আমি খুব শক্তভাবে বললাম - কোনো দরকার নেই এই প্রসিডিউরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার। নিয়ে চলে আয় দেশে। যা হবার হবে।<br />
আমার কথার উপর ভর করেই সে চলে আসলো দেশে। <br />
এত টাকা খরচ করে বিদেশ গিয়েছিলো। এত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা না করে, চিকিৎসা
অসম্পূর্ণ রেখে আমার কথাতেই দেশে চলে আসলো। খুব স্বাভাবিকভাবেই একটা বেশ
ভারী দায় অনুভব করলাম। তাছাড়া আংকেল আমাকে অসম্ভব ভালোবাসেন। একবার দেখে
আসা দরকার। আজ সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম দেখতে।<br />
প্রচুর ওষুধ। এক বছরের ওষুধ নিয়ে এসেছেন আংকেল। সাথে কাগজপত্র তো আছেই।<br />
<span> এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো - সেই বড়বোন যখন নেফ্রোলোজিস্টকে</span><wbr></wbr><span class="word_break"></span>
একদম ইলেভেন্থ আওয়ারে জানিয়েছে যে সে তাঁর বাবার রেনাল বায়োপসি করাতে
ইচ্ছুক না তখন ঐ নেফোলোজিস্ট আবার ইন্টার্নিস্টকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে
রোগী বায়োপসি করতে রাজি না। বড়বোন বুদ্ধি করে সেই চিঠির ছবিটা তুলে
এনেছিলো।<br />
যাই হোক, সব কাগজপত্র এবং ওষুধ নিয়ে বসলাম। হাতে এক কাপ চা ছিলো। <br />
ইনভেস্টিগেশন অনেক। অনেক এবং অনেক। <br /> আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান, ক্ষুদ্র জানাশোনা এবং ক্ষুদ্র ট্রেইনিং সব একে একে ভেঙে পড়তে থাকলো এত এত ইনভেস্টিগেশন আর রিপোর্ট দেখে।<br />
ওষুধ অবশ্য কম। ৫/৬ টা মাত্র।<br />
এই ৫/৬ টা ওষুধের সাথে রোগীর আগের ইতিহাস, বর্তমান রিপোর্ট এবং ডাক্তারের প্ল্যান কিছুই মেলাতে পারলাম না।<br />
সবচেয়ে বড় খটকাটা নিয়েই ভাবলাম প্রথমে। ডাক্তার কেন রেনাল বায়োপসির মতো প্রসিডিউরের মধ্য দিয়ে যেতে চাইলেন।<br /> কাগজপত্র ঘাটলাম আরো কিচ্ছুক্ষণ। অ্যাবনরমালিটি বলতে শুধুমাত্র ক্রিয়েটিনিন ১.৭। আর কিচ্ছু নেই। <br />
অথচ পুরো পৃথিবীতে যে বইকে মেডিসিনের বাইবেল হিসাবে গণনা করা হয় সেই বই-তে
রেনাল বায়োপসি কখন করতে হবে তা খুব পরিষ্কার করে বলা আছে। এবং সেখানে
একবারও বলা নেই ক্রিয়েটিনিন ১.৭ হলেই কিডনি কেটে মাইক্রোস্কোপের নিচে বসিয়ে
দিতে হবে!<br />
<span> খটকা তবুও কাটে না। হাতের চা যখন ঠান্ডা হয়ে আসছে
তখন বোন ফোন বের করে দেখালো সেই চিঠির ছবি। যে চিঠি নেফ্রোলোজিস্ট
পাঠিয়েছেন ইন্টার্নিস্টকে।</span><wbr></wbr><span class="word_break"></span> যেখানে বলা আছে রেনাল বায়োপসির ব্যাপারে।<br />
চিঠিটা পড়লাম।<br /> পরে আরেকবার আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেলো।<br /> নেফ্রোলোজিস্ট 'হাইপারটেনসিভ নেফ্রোপ্যাথি' আছে কিনা সেটা চেক করতে কিডনি কাটতে চান। ও ভাই রে ভাই! এইটা কী ছিলো!<br />
যে রোগীর ১ যুগ থেকে ডায়াবেটিস এবং হাইপারটেনশন সে রোগীর 'হাইপারটেনসিভ
নেফ্রোপ্যাথি' ডায়াগনোসিস করার জন্য কিডনি কেটে দেখা আর 'তোমায় হৃদমাঝারে
রাখিবো' বলা গায়কের বুক কেটে হৃদয় চেক করা তো একই কথা!<br /> নেফ্রোলোজিস্ট ভিভেক ব্রো-কে জিজ্ঞাস করতে চাই, বিবেক নাই? স্যান্স নাই? বুদ্ধি নাই? শিক্ষিত হইয়াও...<br />
দ্বিতীয় খটকা। <br />
নেফ্রোলোজিস্ট সন্দেহ করছেন 'হাইপারটেনসিভ নেফ্রোপ্যাথি'। অর্থাৎ
উচ্চরক্তচাপের কারণে কিডনি সমস্যা। অথচ পুরো প্রেসক্রিপশনে কোথাও প্রেশারের
কোনো ওষুধ নেই।<br /> প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। এত বড় হসপিটাল! এত এত আয়োজন। এত সিরিয়াস চিকিৎসা। নিশ্চয়ই কোথাও না কোথাও এন্টি হাইপারটেনসিভ থাকবে। <br /> নাহ... কোথাও নেই। <br />
অথচ এই রোগী এম্লোডিপিন আর অলমেসার্টানের কম্বিনেশন পেতেন। আর পেতেন একটা বিটা ব্লকার।<br /> কথা নেই বার্তা নেই তিনটাই বন্ধ! ড্রাগ হিস্ট্রিতে তারা সব লিখেছে কিন্তু ডিসচার্জে একটাও নেই! <br />
বিশেষ সিচুয়েশন ছাড়া কোনোভাবেই হুট করে প্রেশারের ওষুধ করা যাবেনা - এই
সহজ জিনিসটা আমরা রাউন্ডে ইন্টার্নিকে শিখাই। আর উনারা এত বড় হাসপাতালের এত
বড় বড় ডাক্তার!<br /> এই রোগীর রক্তচাপ বেড়ে আজকে যদি বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তখন!<br />
আর বিটা ব্লকার বন্ধের ব্যাপারটা তো খুন করে ফেলার মতো অন্যায়। হুট করে এই
ওষুধ বন্ধ করলে ফ্যাটাল এরিদমিয়া হওয়ার ঘটনা আনকমন না। ফলাফল হার্ট বন্ধ
হয়ে মৃত্যু!<br />
তিনটা ওষুধ বন্ধ করার একটা লজিক অবশ্য পাওয়া গেছে। অন
এক্সামিনেশন রোগীর ব্লাড প্রেশার নরমাল ছিলো। ব্যাস, ডাক্তার বন্ধ করে
দিয়েছেন।<br /> ভাইরে... রোগী ঐদিন সকালে ঐ তিনটা ওষুধ খেয়েছিলেন বলেই প্রেশার নরমাল ছিলো। এই সেন্সটা আপনাদের নাই?<br /> আমাদের দেশের হাসপাতালে যেখানে এক ডাক্তার এক বসায় ২০০ রোগী দেখেন সেখানেও তো এইসব ভুল কমই হয়।<br /> কিন্তু লাখ লাখ টাকার চিকিৎসার এই অবস্থা কেন!<br />
ডায়াবেটিসের ব্যাপারে আসি একটু।<br />
রোগী দেশ থাকতে পেতেন ভিলডাগ্লিপটিন। ওখান থেকে ডাক্তার দিয়ে দিয়েছেন
সিটাগ্লিপটিন। দোষের কিছু না। কিন্তু যখন আপনি ক্রিয়েটিনিন বেশি পাবেন তখন
সিটাগ্লিপটিন দিলে আমি আপত্তি করি বা না করি, ফার্মাকোলোজি বই ঠিকই আপত্তি
করে বসবে। <br /> এত এত পরীক্ষা করলেন একটা ক্রিয়েয়িনিন ক্লিয়ারেন্স করলে কেমন হতো! তখন না হয় দিতেন আপনার সিটাগ্লিপটিন।<br />
আর যদি এতই ডিপিপি-4 ইনহিবিটর দিতে ইচ্ছা করছে তাহলে রেনাল ফ্রেন্ডলি একটা
গ্লিপটিন দিলে কী হতো? নাকি লিনাগ্লিপটিনের দাম কম বলে...? আর যে রোগীর
HbA1C প্রায় সন্তোষজনক তার ড্রাগ রুটিনকে ম্যাসাকার করে দেবারই বা কী দরকার
ছিলো!<br /> এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো তারা রোগীকে এক বছরের সিটাগ্লিপটিন কিনিয়ে দিয়েছে। এগুলো নাকি বাংলাদেশে পাওয়া যায় না! হলি কাউ!<br />
'চেক আপ'এর নামে এক সেটিং-এ তাঁরা কী পরিমান ইনভেস্টিগেশন করিয়েছে সে
প্রসঙ্গ আর না-ই বা তুললাম। বই পত্রে কিছু নিয়মকানুন দেয়া আছে। আপনি হুট
করে লাইন ছেড়ে বেলাইনে ইনভেস্টিগেশন করতে পারবেন না। ইথিক্স তার অদৃশ্য
হাতে আপনার কলম আটকাবেই। অবশ্য বোকা মুরগী পেয়ে এক চিপায় সব ডিম বের করে
ফেলার টেন্ডেন্সি থাকলে অন্য বিষয়।<br />
আংকেলকে জিজ্ঞেস করেছিলাম - একদিনে কত খরচ হলো? আংকেল হাসিমুখে উত্তর দিয়েছেন - এক লাখ।<br />
অনেকেই ভালো চিকিৎসা পান, অস্বীকার করছিনা। <br />
তবে এটাও নিশ্চিত - একটা বড় অংশ বড় টাকার বিনিময়ে এভাবেই ভগিচগি চিকিৎসা
নিয়ে দেশে আসেন। তাঁদের প্রতি পরামর্শ। একটু সাবধানে থাকবেন। টাকাগুলো
আপনার পরিশ্রমের।<br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0duNQbpZZHRgEwTF2sl7mhJcGaMrQNMmfX9EYTDkzjwkxcZ75eTN325CosZVvUqVhLFLRMOQ8orC9UUZeZEWn5NxfA_7d321Mmd4Pckwf_Coekm3fJOH0f_P0fIfeOLSgEhsvc3M5a6g/s1600/IMG-20190621-WA0011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj0duNQbpZZHRgEwTF2sl7mhJcGaMrQNMmfX9EYTDkzjwkxcZ75eTN325CosZVvUqVhLFLRMOQ8orC9UUZeZEWn5NxfA_7d321Mmd4Pckwf_Coekm3fJOH0f_P0fIfeOLSgEhsvc3M5a6g/s320/IMG-20190621-WA0011.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEixI5I_PmLT7lNGfzQ62vH4nCFwu31pt0lHQ2Ec4M0yAoiSG0Z24bX9vWIDZwyoNz-sYiuHpudiDsDS_7e_3Oap_c48f2BPCaYgOAQMoXsRV0hDWkWj0De5z_AxvAOY324KRMen9c8zHhI/s1600/IMG-20190621-WA0012.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEixI5I_PmLT7lNGfzQ62vH4nCFwu31pt0lHQ2Ec4M0yAoiSG0Z24bX9vWIDZwyoNz-sYiuHpudiDsDS_7e_3Oap_c48f2BPCaYgOAQMoXsRV0hDWkWj0De5z_AxvAOY324KRMen9c8zHhI/s320/IMG-20190621-WA0012.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcZ9FatdOJMQ5Hmd9DmICvAYiBWPQqcoLJOgBKc7gJEwsS-YDrnjlNjQ9J3LlMGKWonkAi8a26T6cxtCsp_PdW7JQdtaYT6LUG_x_hyphenhyphencw0LpxTtX0QioNYsTbSJ5mibaJ6afF2E_RolgM/s1600/IMG-20190621-WA0013.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcZ9FatdOJMQ5Hmd9DmICvAYiBWPQqcoLJOgBKc7gJEwsS-YDrnjlNjQ9J3LlMGKWonkAi8a26T6cxtCsp_PdW7JQdtaYT6LUG_x_hyphenhyphencw0LpxTtX0QioNYsTbSJ5mibaJ6afF2E_RolgM/s320/IMG-20190621-WA0013.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhGRHY5Bqax7ACnKhyphenhypheniUZbepwIq63LrFj6lKmGTl4mNuK8q24TxtN3NtX28V6wAH9UfxZ4HfdYqQHFMCAODzH-NBfQeXoaifulcZ7H2otMGgHMuGHCXxUB3r1OPFoe0GfSKRvzMVzKjgIM/s1600/IMG-20190621-WA0014.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhGRHY5Bqax7ACnKhyphenhypheniUZbepwIq63LrFj6lKmGTl4mNuK8q24TxtN3NtX28V6wAH9UfxZ4HfdYqQHFMCAODzH-NBfQeXoaifulcZ7H2otMGgHMuGHCXxUB3r1OPFoe0GfSKRvzMVzKjgIM/s320/IMG-20190621-WA0014.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8NhvgggtBU4IN75EUzxGyH2wizbOIcLlg9TKDiuU1HW9dks0gu3nhKQKmW59qqOzvu-zpW775YclQQz6hy-LQURVCRTYrHzEdesmAui7pMxV-MrEkoBOYhWA-DyStTDiyl20iU5XmcA8/s1600/IMG-20190621-WA0015.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi8NhvgggtBU4IN75EUzxGyH2wizbOIcLlg9TKDiuU1HW9dks0gu3nhKQKmW59qqOzvu-zpW775YclQQz6hy-LQURVCRTYrHzEdesmAui7pMxV-MrEkoBOYhWA-DyStTDiyl20iU5XmcA8/s320/IMG-20190621-WA0015.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg04jdA4w-UOVlAMgHlMI9s2ycJxFubi6jhaJUhQMX-Rbo-0-gV7I6bx8gxQc5_kP9rGdp0LkfNrlIx9-ovi_1JbADGtHgh2YdeWclPAsVbyopg1BEIpa3mBha5cCRI229SSCdcIqnSnJg/s1600/IMG-20190621-WA0016.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg04jdA4w-UOVlAMgHlMI9s2ycJxFubi6jhaJUhQMX-Rbo-0-gV7I6bx8gxQc5_kP9rGdp0LkfNrlIx9-ovi_1JbADGtHgh2YdeWclPAsVbyopg1BEIpa3mBha5cCRI229SSCdcIqnSnJg/s320/IMG-20190621-WA0016.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcF9Yfs5UBg34Hs3f7hmYB_4C-hAhOdevsboOGX3mi83w3feQCp7CIEHyULxv7yMNxryB7QPV1JZUUdZpPTvYJvIBLiotfrNlQBrzX6P93VPSuRk5znkpFhF9S4R_xwpPGXAHc-UG3L2s/s1600/IMG-20190621-WA0017.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjcF9Yfs5UBg34Hs3f7hmYB_4C-hAhOdevsboOGX3mi83w3feQCp7CIEHyULxv7yMNxryB7QPV1JZUUdZpPTvYJvIBLiotfrNlQBrzX6P93VPSuRk5znkpFhF9S4R_xwpPGXAHc-UG3L2s/s320/IMG-20190621-WA0017.jpg" width="240" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtuehR5dlETUEPujgeEQnzHDCe4s6v2X3TG8LcTAR_j5JAFuTBzmZCFzaI4STicsqBVNqka6L2iJvcvpUlzH5pEykiBg0D2sgqqrBM8kYxgdXwNoX1dXQXMnsEW__avPKzOR_emYvhXTk/s1600/IMG-20190621-WA0019.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="960" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjtuehR5dlETUEPujgeEQnzHDCe4s6v2X3TG8LcTAR_j5JAFuTBzmZCFzaI4STicsqBVNqka6L2iJvcvpUlzH5pEykiBg0D2sgqqrBM8kYxgdXwNoX1dXQXMnsEW__avPKzOR_emYvhXTk/s320/IMG-20190621-WA0019.jpg" width="240" /></a></div>
<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com7tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-9539443158029403622019-04-02T00:02:00.000+06:002019-04-02T01:14:22.707+06:00এ নাইট টু রিমেম্বার - হোয়াই আই লাভ মেডিসিন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">ঘ</span>ড়িতে রাত ১১.৪৫ মিনিট। ইন্টার্ন ছোট ভাই ফাইল নিয়ে আসলো। <br />
- ভাইয়া, প্যাশেন্ট আসছে<br />
- কী প্যাশেন্ট?<br />
- ডায়রিয়া আর উইকনেস।<br />
- ম্যানেজ করো।<br />
- পালস তো কম। ৫২।<br />
- আগে কি ওষুধ টষুধ কিছু পায়?<br />
- বিসোপ্রোলোল পায়।<br />
- এইটাই মনে হয় ব্রেডিকার্ডিয়া করেছে। তাও একটা ইসিজি করে নিয়ে আয়।<br />
<a name='more'></a><br />
ইসিজি আসলো ১২ টায়। টল পিকড টি ওয়েভ। কোনো এট্রিয়াল একটিভিটি নেই। টিপিকাল হাইপারক্যালেমিয়ার ইসিজি। হাইপার একিউট এমআইর সম্ভবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।<br />
<br />
প্যাশেন্টটা দেখে আসা দরকার।<br />
<br />
যেতে যেতে ইন্টার্ন-এর কাছ থেকে সংক্ষেপে হিস্ট্রি শুনে নিলাম। <br />
মহিলার বয়স ৬৩। ১০ বছর থেকে ডায়াবেটিক। ৮ বছর থেকে হাইপারটেনসিভ। এখন ব্লাড প্রেশার ১৬০/১০০। আরবিএস ২৮।<br />
<br />
প্যাশেন্টের পাশে দাঁড়ালাম। <br />
কয়েক মুহূর্ত পর আবিষ্কার করলাম রোগীর হাত পায়ের কোনো মুভমেন্ট নেই। মাসল পাওয়ার একদম জিরো। কোনো জার্ক নেই। মাসল বলতে শুধু ফ্যাসিয়াল মাসল আর রেসপিরেটরি মাসল চলছে। তাও কষ্টে। ফ্যাটিগ হয়ে আসছে, বুঝাই যাচ্ছে। আর হাত পায়ের পাওয়ার আসলেই শূণ্য।<br />
<br />
রোগী যে খুবই খারাপ এটা বুঝতে আর বাকি থাকলো না। <br />
ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তখন চিন্তার ঝড়। নিজেই নিজেকে অসংখ্য প্রশ্ন করছি। আবার উত্তরও খোজার চেষ্টা করছি।<br />
<br />
- ডায়রিয়া থেকে হাইপোক্যালেমিয়া? হাইপোক্যালেমিয়া থেকে প্যারালাইসিস? <br />
: সম্ভবনা প্রবল। কিন্তু ইসিজির এই চেহারা কেন? এই ইসিজি কোনোভাবেই ইগনোর করার মতো না।<br />
<br />
- বেশি গ্লুকোজের কারণে ইন্ট্রাসেলুলার পটাশিয়াম শিফট হয়ে বাইরে চলে এসেছে? সেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?<br />
: নট আনলাইকলি। কিন্তু তাই বলে এতটা হয়ে যাবে যে একদম মাসল পাওয়ার শূণ্য হয়ে যাবে?<br />
<br />
- প্রচুর গ্লুকোজের কারণে প্রচুর ইনসুলিন চলে এসেছে ব্লাডে? এই ইনসুলিন সব পটাশিয়াম ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেলের ভিতরে? তারপর হাইপোক্যালেমিক প্যারালাইসিস?<br />
: নট আনলাইকলি। বাট একটু বেশি আকাশ পাতাল চিন্তাভাবনা হয়ে যাচ্ছে না? তাছাড়া ইসিজিই বা এমন হবে কেন? টি অয়েভ আকাশে উঠে বসে থাকবে কেন?<br />
<br />
- তাহলে কি ডায়রিয়া থেকে একিউট কিডনি ইনজুরি, ইনজুরি থেকে হাইপারক্যালেমিয়া, যেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?<br />
: সম্ভবনা খুবই কম। ইউরিন আউটপুট ভালো। তাছাড়া এইটা একটু বেশিই ডিসটেন্ট পসিবিলিটি।<br />
<br />
- নাকি সিম্পল হাইপোকেলেমিক/হাইপারক্যালেমিক পরিয়ডিক প্যারালাইসিস? বেশি চিন্তা করছি না তো?<br />
: সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। <br />
হাত নিশপিশ করছে, একবার ভাবছি ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট দেই, আবার ভাবছি পটাশিয়াম দেই।<br />
কিন্তু... কোনো একদিকে রিস্ক নেয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমান হাত নেই।<br />
<br />
এখন কী করা?<br />
<br />
- আইসিইউর কথা বললাম।<br />
তারা যাবেনা।<br />
<br />
টেকনিকাল দিন চিন্তা করে ভাবলাম ওসমানিতে পাঠিয়ে দেই।<br />
তারা তাও যাবে না। এই গভীর রাতে মরলেও এখানে, বাঁচলেও এখানে।<br />
<br />
<br />
রিস্ক বন্ডে স্বাক্ষর নিলাম। বললাম, দোয়া করেন। আমার মা হলে যা করতাম, আপনার মা'র জন্য তা-ই করবো।<br />
<br />
ল্যাবে ফোন দিলাম। ইলেকট্রোলাইট রিপোর্ট দিতে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট লেগে যাবে।<br />
<br />
এত সময় হাতে নেই।<br />
চট করে মাথায় আসলো এবিজি করে ফেলা যায়। <br />
আর্টারিয়াল ব্লাড টেনে আইসিইউতে পাঠালাম। এখান থেকে ইলেকট্রোলাইটের একটা রাফ হিসাব পাওয়া সম্ভব।<br />
রিপোর্ট চলে আসলো ১০/১৫ মিনিট পরেই।<br />
পটাশিয়াম ১০.৬! অর্থাৎ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস। খুবই আনকমন। হাইপোতে পাওয়া যায়, আগেও পেয়েছি। কিন্তু হাইপার ক্যালেমিয়াতে এই অবস্থা খুবই রেয়ার। অন্তত আমি আগে পাইনি।<br />
মাসল যাক, ভয়ংকর ব্যাপার হলো এই পটাশিয়াম লেভেলে যেকোনো মুহূর্তে হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে! ইন ফ্যাক্ট এতক্ষণ যে বন্ধ হয়নি এটাই আশ্চর্যের বিষয়। <br />নেফ্রোলোজিকে ডায়ালাইসিসের জন্য রেডি করে আমার কাজ করা শুরু করলাম।<br />
<br />
দ্রুত দিলাম ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট। এই ইনজেকশন দিতে সময় নিতে হয় ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটকে আমার মনে হলো মহাকাল!<br />
<br />
মন্দের ভালো হচ্ছে -ব্লাড প্রেশার বেশি। গ্লুকোজ বেশি। হার্টরেট কম।<br />
এগ্রেসিভ ওয়েতে ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, বিটা এগোনিস্ট দিতে কোনো বাধা নেই। <br />
<br />
সব দিলাম। ঘড়িতে তখন ১২.৪৫<br />
<br />
১.৩০ মিনিটে যা ঘটলো সেটা জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।<br />
মাসল পাওয়া শূণ্যের প্যাশেন্ট খুব অল্প করে আঙুল নাড়ছে।<br />
আরো ৩০ মিনিট গেলো।<br />
প্যাশেন্টের কব্জিও নড়ছে।<br />
জীবনেও ভাবিনি - এতটা বিষ্ময়, এতটা আনন্দ আর এতটা মুগ্ধতা নিয়ে কারো কবজি নাড়ানো দেখবো।<br />
<br />
ইসিজি রিপিট করলাম।<br />
টি অয়েভ নেমে এসেছে ২ ঘর!<br />
<br />
ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, সালবিউটামল চলছে।<br />
রুটিনলি ইসিজি করছি, এক ঘর আধ ঘরে টি নামছে। হার্ট রেট বাড়ছে। <br />
আমার নিজের হার্টবিটও বাড়ছে। মস্তিষ্ককে এড্রেনালিনে ধুয়ে দিচ্ছে। <br />
প্যাশেন্টের মাসল পাওয়ার বাড়ছে। ১..২..২+...৩...<br />
আমি দুইজন ইন্টার্ণের সাথে এই পৃথিবীর সব আনন্দ নিয়ে প্যাশেন্টের পাশে বসে রইলাম ভোর ৬ টা পর্যন্ত।<br />
<br />
এর মধ্যে পাওয়া গেলো ড্রাগ হিস্ট্রি।<br />
ডায়রিয়ার সাথে রোগীর ছিলো পেট ব্যাথা। এই ব্যাথা কমানোর জন্য ফার্মেসিওয়ালা খাইয়েছে কিটোরোলাক। জানি না কী ভেবে ফার্মেসিওয়ালা রোগীকে এক বোতল সাইট্রা কে সিরাপও খাইয়ে দিয়েছে।<br />
<br />
এর মধ্যে ল্যাব থেকে রিপোর্ট চলে এসেছে। ক্রিয়েটিনিন ১.৮।<br />
<br />
প্রাথমিক ডায়াগনোসিস হিসেবে ধরে নিলাম - <br />
সিভিয়ার হাইপারক্যালেমিয়া ডিউ টু একেআই ডিউ টু ডায়রিয়া এন্ড NSAID এন্ড এক্সেসিভ অরাল পটাশিয়াম ইনটেক (+/- ডিউ টু হাইপারগ্লাইসেমিয়া) উইথ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস এন্ড DM এন্ড HTN.<br />
<br />
আজ সন্ধার ফলো আপ -<br />
ক্রিয়েটিনিন কমছে।<br />
ইসিজি নরমাল।<br />
হার্ট রেট ৭০।<br />
পটাশিয়াম ৫.৬<br />
সোডিয়াম একটু কম, ১২৭ (সম্ভবত বেশি ডাইইউরেটিক্স এর জন্য)<br />
প্যাশেন্ট হাটছেন, কথা বলছেন।<br />
<br />
ফাইনাল ডায়াগনোসিস কী হবে জানি না (কারো কোনো অপিনিয়ন থাকলে জানাতে পারেন)। তবে মেডিসিন তাঁর সব সৌন্দর্য নিয়ে যে রাতে নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেমে এসেছিলো সেই রাতকে আমি কখনোই ভুলবো না।<br />
<br />
সারারাত ঘুমাইনি। ভোরবেলা তাও ক্লান্তি লাগেনি। The Science of Uncertainty and the Art of Probability নিয়ে ঘাটাঘাটিতে কোনো ক্লান্তি নেই।<br />
<br />
<u><b>সিরিয়াল ইসিজি-</b></u><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-FVvdoaoLLY3qqvofKqkucx-OKNa4GzYvU0nrxTAIKXR-0Lezbs3M6hgAoUo_h_yKdfmwd1Xj65V2zlKrmxCDcUDpcdZYy2aWBZ3J3vlEDULSGslNNgMSN1PrYLUGlPrzqv_ag5T8MFk/s1600/1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="390" data-original-width="862" height="144" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj-FVvdoaoLLY3qqvofKqkucx-OKNa4GzYvU0nrxTAIKXR-0Lezbs3M6hgAoUo_h_yKdfmwd1Xj65V2zlKrmxCDcUDpcdZYy2aWBZ3J3vlEDULSGslNNgMSN1PrYLUGlPrzqv_ag5T8MFk/s320/1.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgNtFWsB6EaZgvcDjKoQVm_abjU9BGiUKKoiyyubqVjyn3FDo1MyhgCJ2Xc7oz0z_JUp7VDniHMI0xIr1y5LoGWrsKEW3t_CK6Oo8ghPkSiDhqUqBmKaIO_gMLx82JqloCnsP9Y2BtZLUM/s1600/2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="236" data-original-width="832" height="90" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgNtFWsB6EaZgvcDjKoQVm_abjU9BGiUKKoiyyubqVjyn3FDo1MyhgCJ2Xc7oz0z_JUp7VDniHMI0xIr1y5LoGWrsKEW3t_CK6Oo8ghPkSiDhqUqBmKaIO_gMLx82JqloCnsP9Y2BtZLUM/s320/2.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEinZF14fBnHGbswnQMaMHX_QPlPA8zRhgTvBGFYJ05VRm8rdI0l_SibfcsFGrMhFrAhKvxx-Jw0ZR4kDPVg1EGa-Uds7LW6KIEK1rE1B4pWW94-m2Wvm-q3oa6SW2gDYe_NR7IdqLfW_5s/s1600/3.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="201" data-original-width="864" height="74" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEinZF14fBnHGbswnQMaMHX_QPlPA8zRhgTvBGFYJ05VRm8rdI0l_SibfcsFGrMhFrAhKvxx-Jw0ZR4kDPVg1EGa-Uds7LW6KIEK1rE1B4pWW94-m2Wvm-q3oa6SW2gDYe_NR7IdqLfW_5s/s320/3.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBN_dsuAD4WjeEbSmroRvH-lUvGUXiRDd0uVyG1p3K85TZf6VY86ux3SYd4C41M8Q-5W74qg4OldtQiGJ4ceeCGtXwP_MP2BxuJPSROXGmd89-4NCxbY3iLbKHRxiAHdu6i3oagySIVdw/s1600/4.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="244" data-original-width="829" height="94" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhBN_dsuAD4WjeEbSmroRvH-lUvGUXiRDd0uVyG1p3K85TZf6VY86ux3SYd4C41M8Q-5W74qg4OldtQiGJ4ceeCGtXwP_MP2BxuJPSROXGmd89-4NCxbY3iLbKHRxiAHdu6i3oagySIVdw/s320/4.jpg" width="320" /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgobo2zgVmDfvC3GOJSZYYOjyese1Ru6s9o1Tfx11_RWRu1EfsFOvtTTWOZxmUmG53O5QgB9Op7H9lFamHDDfZNrBDwYkfLmWiiSskrDxHsv5MulIBosQ8-s1UEEJNuuM2DkMLD-SRMzU8/s1600/5.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="298" data-original-width="857" height="111" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgobo2zgVmDfvC3GOJSZYYOjyese1Ru6s9o1Tfx11_RWRu1EfsFOvtTTWOZxmUmG53O5QgB9Op7H9lFamHDDfZNrBDwYkfLmWiiSskrDxHsv5MulIBosQ8-s1UEEJNuuM2DkMLD-SRMzU8/s320/5.jpg" width="320" /></a></div>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjiF0i1EoGeWi046ZSyUeTzvyEnna14kzY91ekix16H9o4T-KZVSxGH7uJkfWsVPTIttlFstZVst9thYJf2jK2T2lzHnTJZtzYm8Z25QJZCcrC1L0M7kn0RHIM35mo2Fr6GeOvNgC_R834/s1600/5.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><br /></a></div>
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAttywk4P-S2e7UGyLkPmUTCoy6ue-Rgts7Qop4oDU7ai6ILruPSGMxaE7Zp7EnAqZ75fa2KzHYQ0G0ZEiHF3tFtHr-AKoqWXyPO4VvbqQE6-bZ9SlR98KyWMewmsTdIwfY0AqtrV1aaM/s1600/6.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="293" data-original-width="864" height="108" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjAttywk4P-S2e7UGyLkPmUTCoy6ue-Rgts7Qop4oDU7ai6ILruPSGMxaE7Zp7EnAqZ75fa2KzHYQ0G0ZEiHF3tFtHr-AKoqWXyPO4VvbqQE6-bZ9SlR98KyWMewmsTdIwfY0AqtrV1aaM/s320/6.jpg" width="320" /></a></div>
<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com4tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-50337337590770816712019-03-14T22:32:00.002+06:002019-03-14T22:32:34.991+06:00আমাদের দেবি শেঠিরা কোথায়?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="bx" data-ft="{"tn":"*s"}">
<span style="font-size: x-large;">দে</span>বি শেঠি এমবিবিএস পাশ করেন ১৯৭৯ সালে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৬। <br /> জেনারেল সার্জারিতে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন ১৯৮২ সালে। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৯।<br />
এবার ধরি ডা. শেঠি একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক। <br />
২৬-এ এমবিবিএস পাশ করার পর প্রথম এক বছর তাঁর কেটে গেছে বিভিন্ন ক্লিনিকে
ক্ষ্যাপ মেরে। ক্লিনিকে ১০০ টাকা প্রতি ঘন্টা মজুরিতে কাজ করার ফাঁকে মাথার
চুল ছিড়েছেন এই ভেবে - এফসিপিএস দিবেন? বিসিএস দিবেন? নাকি এমএস দিবেন?<br />
<a name='more'></a>অনেক ভেবে তিনি শেষ পর্যন্ত বিসিএসই বেছে নিলেন। এই দেশে বিসিএস ছাড়া যেহেতু খুব একটা গতি নেই।<br />
২৭ বছর বয়সে বিসিএস প্রিলি দিলেন শেঠি। <br /> যেহেতু তিনি মেধাবী সেহেতু খুব সহজে তিনি 'এসিউর্যান্স ডাইজেস্ট' মুখস্ত করে ফেললেন এবং প্রথমবারেই বিসিএস-এ টিকে গেলেন। <br /> কিন্তু সেই বিসিএস এর পোস্টিং হতে হতে উনার বয়স ৩০। <br /> পোস্টিং-এর অপেক্ষায় থেকে থেকে মেধাবী শেঠি একটু মেডিকেল পড়ার চেষ্টা করেছিলেন। <br /><span> কিন্তু মাথাটা তো মানুষেরই। খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। সকালে পড়েছেন ক্যাপ্টোপ্রিলের</span><wbr></wbr><span class="word_break"></span> হাফ লাইফ, বিকালে পড়েছেন সুপসুপা সমাসের উদাহারণ। কী একটা অবস্থা!<br />
প্রথমবার এফসিপিএস পার্ট ওয়ান পরীক্ষা দিলেন তিনি ২৯ বছর বয়সে। সেবার
পাশের হার ছিলো ৪.৩ পার্সেন্ট। তা যা-ই হোক, মেধাবী শেঠি বলে কথা। উনাকে
আটকায় সাধ্যি কার? <br />
এফসিপিএস ট্রেইনিং-এ ঢুকার আগেই বিসিএস পোস্টিং হয়ে গেলো।<br />
গ্রামে চাকরি করে ফিরলেন ট্রেইনিং-এ। বয়স তখন ৩৩।<br />
ট্রেইনিং করলেন ৪ বছর। প্রথমবারেই পাশ করে ফেললেন এফসিপিএস পার্ট টু।
সেবার পাশের হার ছিলো ৬.৯ পার্সেন্ট। যা-ই হোক। শেঠি বলে কথা। পাশ করার পরে
উনার বয়স তখন ৩৭।<br />
গল্পের শেঠি এখন জেনারেল সার্জন। <br /> এই যখন অবস্থা তখন ভাবলেন, এভাবে তো হবে না! তাঁর তো ছোটবেলার ইচ্ছা কার্ডিয়াক সার্জন হবেন। <br /><span> কার্ডিয়োথোরাসিক</span><wbr></wbr><span class="word_break"></span> সার্জারিতে এমএসটা তাহলে দিতেই হবে। এবারই এমএস-এ ঢুকে গেলে ৪১ বছর বয়সে তিনি কার্ডিয়াক সার্জন হয়ে যাবেন। মন্দ কী?<br />
কিন্তু এ কী! সরকারের নতুন নিয়ম! এক ডাক্তার দুইবার শিক্ষাছুটি পাবেন না!
যেহেতু তিনি এফসিপিএস করে ফেলেছেন অতএব আর এমএস করতে পারবেন না। <br /> শেঠির মাথায় হাত! লও ঠ্যালা!<br />
কী আর করা!<br />
গল্পের শেঠি এখন নামকরা জেনারেল সার্জন। তিনি প্রচুর অপারশন করেন। তার প্রচুর টাকা।<br />
ওদিকে বাস্তবের শেঠি ২৯ বছর বয়সে জেনারেল সার্জন হয়ে বসে আছেন।<br /> ৩৫-এ কার্ডিয়াক সার্জন।<br /> ৩৭-এ ভারতে ৯ দিন বয়সী বাচ্চা রনির কার্ডিয়াক সার্জারি করে ফেলেছেন।<br /> ৪৮-এ নারায়ানা হৃদয়ালায়া প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন।<br /> ৫০-এ উনার ১৫০০০ কার্ডিয়াক সার্জারি করা শেষ।<br /> ৬০-এ উনি বাংলাদেশে এসে এক রাজনীতিবিদকেও দেখে গেছেন।<br />
পুনশ্চ - গল্পের শেঠিকে কতবার উপজেলায় মার খেতে হয়েছে, কতবার মেম্বারের
বউ-এর কাশির জন্য রাতের বেলা তাঁর বাসায় যেতে হয়েছে, ট্রেইনিং পোস্টের জন্য
কতবার দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে তা এখানে উহ্য রাখলাম।<br />
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,<br />
জনাব ওবায়েদুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য ডা. শেঠিকে আনতে হয়েছে ভারত থেকে।
এবার অন্তত ভেবে দেখুন আমাদের এখানকার দেবি শেঠিরা কোথায়? এরা কোন উপজেলায়,
কোন বিসিএস কোচিং সেন্টারে, কোন মেসে, কোন ক্লিনিকে, কোথায় কোর্স আউট হয়ে,
কোন মাছ বাজারের পাশের চেম্বারে পড়ে আছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। শুধু দেবি
শেঠিদের না, অনেক প্রশ্নের উত্তরও পেয়ে যাবেন সাথে।</div>
</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-60299574993113397422019-03-14T22:31:00.000+06:002019-03-14T22:31:09.766+06:00দুঃসাহস...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">চে</span>ম্বার দিচ্ছি। সপ্তাহে দুই দিন। আজ প্রথমদিন।<br />
সিলেটের সীমান্তবর্তী সে এলাকা। আকাশের কোলে চোখ রাখলে দেখা যায় খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়। <br />
শিক্ষার হার ২২%, স্যানিটেশনের হার ১৮%। দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে
অধিকাংশ মানুষ। সারাদিনে যে টাকা আয় করে ভাত ডাল কেনার পরে তার আর তেমন
কিছু বাকি থাকেনা। <br /> সেখানে ২৫+ মেয়েরা ধরে নেয় তাঁদের জীবন এখন
সায়াহ্নে। ৩৫+ পুরুষরা ধরে নেয় ছোট ছেলেটা যেহেতু পাথর কুয়ারিতে যাওয়া শিখে
গেছে সেহেতু তাঁর এখন মরে গেলেও চলবে।<br />
<a name='more'></a><br />
চিকিৎসা! এ আবার কী?<br /> ইনভেস্টিগেশন! কী বলেন এইগুলো?<br /> ওষুধ! গত বছর একটা ভিটামিন ফাইল খেয়েছিলাম।<br /> বড় ডাক্তার! আচ্ছা, আগামী শীতে ধানের টাকা তুলে ওসমানিতে চলে যাব একবার।<br />
এই হচ্ছে অবস্থা!<br />
এলাকার রোগীর টাকা নাই।<br /> আমারও পুজি নেই।<br />
তবে একটা স্টেথোস্কোপ আছে। একটা বিপি মেশিন আছে। হ্যামার আছে। টিউনিং ফর্ক আছে। থার্মোমিটার আছে। <br /> রোগীর প্রস্রাব জ্বাল দেয়ার জন্য টিউব আর ল্যাম্প আছে, অপথালমোস্কোপ আছে।<br /> এফসিপিএস এর জন্য জমানো ট্রেনিং আছে, ডেভিডসন নামক এক ব্যাক্তির লেখা একটা বইয়ের প্রতি অসম্ভবরকম ভালোবাসা আছে।<br />
... প্রাইমারি এবং হাই স্কুলে প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার+৩ কিলোমিটার = ৬
কিলোমিটার হাঁটার স্মৃতি আছে। বিকাল বেলায় কাদায় পড়ে পাওয়া আঘাতের দাগ আছে।<br />
... প্রফেসর গৌতম কুমার রায়ের কাছ থেকে পাওয়া মন্ত্র আছে - ডোন্ট ট্রিট
দ্যা ডিজিজ, ডোন্ট ট্রিট দ্যা ইনভেস্টিগেশন, ট্রিট দ্যা প্যাশেন্ট।<br /> ... এবং আব্বার কাছ থেকে পাওয়া সাহস আছে - যাও। মানুষের সাথে মিশো। কথা বলো। <br />
ভিজিট? টাকা?<br /> ডালভাত কিনে যা থাকে সেখান থেকে একটু হয়তো... কিংবা এক আটি কচুশাক কিংবা একটা লাউ কিংবা একটা পেপে কিংবা কিছুই না।<br />
দোয়া করবেন।<br />
আর দাওয়াত থাকলো। যদি সিলেট আসেন, যদি জাফলং-লালাখাল দেখতে ইচ্ছা করে
তাহলে আরেকটু এগুলেই পাওয়া যাবে আমাকে। এখানে ৫ টাকায় খুব ভালো
'চানা-পোলাও' পাওয়া যায়। আমরা স্কুলে থাকতে খেতাম।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-1605987422728791842019-01-21T00:50:00.003+06:002019-01-21T01:31:12.886+06:00কনফেশন : যেমন ছিলো আমাদের নির্বাচন <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">আ</span>ওয়ামী লীগ সমর্থন করে কিন্তু 'আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করি' এটা ফট করে
ফেলতে পারেনা আশপাশের বেশিরভাগ মানুষই। উত্তর দিতে গিয়ে 'যদি, কিন্তু...'
দিয়ে বাক্য ভারী করে ফেলতে দেখি তাঁদেরকে। <br /> - আমি শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ না, আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ করি...<br /> - আমি আওয়ামীলীগ চিনি না, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে...<br /> - বিকল্প নাই তাই আওয়ামীলীগ করি...<br /> ইত্যাদি, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি...।<br />
<a name='more'></a><br />
আমি এত 'যদি... কিন্তু'র মাঝে নেই। একজন নাগরীক হিসেবে একটা দল সমর্থন
করার অধিকার আমার আছে। তাই স্বীকার করতে আমার দ্বিধা নেই - আমি আওয়ামীলীগ
সমর্থন করি। <br />
এখন আসি আমি কেমন আওয়ামীলীগ সমর্থক।<br /> আমি পাঁচ বছরই
আওয়ামীলীগের গোষ্ঠী উদ্ধার করি। খাবার টেবিলে আমার আর আব্বার মাঝে
প্রতিযোগীতা থাকে কে বেশি আওয়ামীলীগের সমালোচনা করতে পারে। কোনো আগন্তুক
যদি আমাদের আলোচনা শুনে ফেলে তাহলে আমাদেরকে তারেক জিয়ার শশুর বাড়ির লোক
ভেবে বসে থাকবে সন্দেহ নেই। <br /> সরকার দলীয় কেউ শুনলে ঘটনাস্থল থেকেই দুইজনকে ধরে থানায় নিয়ে যাবে - এ ব্যাপারেও বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।<br />
... এই যখন অবস্থা - তখন দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসলো এবং ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হলো। <br /> আব্বা আর আমার গালাগালিও চলতে থাকলো। <br />
বাসায় ২/৩ টা পত্রিকা রাখা হয়। নভেম্বরের 'প্রথম আলো' তখন ঐক্যফ্রন্টের
মুখপত্র। আমরা প্রথম দিকে খুব খুশি হলাম - এইবার আওয়ামীলীগ বুঝবে রাজনীতি
কী জিনিস! দুনিয়া এত ইজি না। কামাল সাহেব সাঙ্ঘাতিক লোক। অনেক অভিজ্ঞতা।
হুহ! <br />
আমরা দুইজনেরই মন খারাপ হয়ে গেলো ডিসেম্বরে এসে। প্রথম আলোর
পাতায়, অনলাইন ভার্সনে জনাব মাহমুদুর রহমান মান্না, বঙ্গবীরদের কঠিন সব
উচ্চারণ - 'আছেনই তো আর ১০/১২ দিন... ', '২৪ তারিখের পর পরিস্থিতে বদলে
যাবে...', 'আপনাদের দিন শেষ...' ইত্যাদি।<br />
এর মধ্যে একদিনের ছবি দেখে আব্বার মনে হলো শেখ হাসিনার কপালে নাকি দুঃশ্চিন্তার ভাজ! <br /> আমার আর আব্বার ভয় বেড়ে তখন দ্বিগুন। তাহলে কি আওয়ামীলীগ হেরে যাবে?<br />
অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে - আব্বা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিলেন প্রায়। আমারও একই অবস্থা। <br />
আম্মা আমাদেরকে ঝাড়ির উপর রাখেন - 'বাপ ফুয়ার অইছে কিতা? আওয়ামীলীগের খাও
না পরো? তোমরারে টেকা দেয় নি?' (সাবটাইটেল - বাপ ছেলের হয়েছে কী?
আওয়ামীলীগের খাও না পরো? তোমাদেরকে টাকা দেয় নাকি?)<br /> আব্বা আর আমি
আম্মার কথায় কান দেই না। তাঁকে কী করে বুঝাই - আওয়ামীলীগ একটা অনুভূতির
নাম! এখানে দেনা পাওনার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার দাদা আওয়ামী লীগ সমর্থন
করতেন, আব্বা সমর্থন করেন, আমি সমর্থন করি, একদিন আমার ছেলেও করবে। এভাবে
জ্বিন থেকে জ্বিনে বয়ে যাবে 'জয় বাংলা'।<br />
যাই হোক - শুধু তো চিন্তা করলে হবেনা। দলের জন্য তো কাজও করতে হবে। <br />
আব্বা শুরু করলেন তার মতো করে প্রচারণা। এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে তাঁর
পরিচিতি আছে। কোর্টে, চেম্বারে মামলা মোকদ্দমার কঠিন আলোচনার ফাঁকে চট করে
বলে ফেলতে ভুলেননা - ভোটটা তাইলে নৌকায় দিবা, ঠিক আছে তো? নেইন চা খাইন।
(সাবটাইটেল - ভোটটা তাহলে নৌকায় দেবেন। ঠিক আছে তো? নেন, চা খান।)<br />
আমিও প্রচারণা চালাই।<br /> ডিপার্টমেন্টে বিএনপি সমর্থক ভাইদের সাথে প্রতিদিন তর্ক-বিতর্ক চলে। <br /> সিলেটে পাঠাও তখন জনপ্রিয় হয়েছে। পাঠাও-তে উঠে চালকের সাথে আড্ডা জমাই। বলি - উন্নয়ন দরকার। ভোট নৌকায় দেবেন। <br /> সিএনজিওয়ালার সাথে কথা বলি। <br /> লিফটে উঠলে লোকজনকে শুনিয়ে আলোচনা করি - আমাদের নেত্রী কতো পারফেক্ট!<br />
এর মধ্যে জানতে পারলাম, শেখ হাসিনা আসছেন সিলেটে। আমার উৎসাহ দেখে কে? আব্বাকে বললাম - সমাবেশে যাবো। আপত্তি করবা না।<br /> আব্বার ধারণা এসব সমাবেশে গেলেই গ্রেনেড মেরে দেবে। তাই পারমিশন দেবেন না ধরেই নিয়েছিলাম। <br /> আমাকে অবাক করে দিয়ে আব্বা বললেন, 'তুই যা। আমিও যাওয়ার চেষ্টা করবো।'<br />
২২ তারিখ আসলো। হসপিটাল থেকে ছুটি নিলাম। দুপুর ১২ টায় দাঁড়ালাম সোবহানিঘাট পয়েন্টে। নেত্রী এদিক দিয়েই যাবেন। <br />
অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকগুলো গাড়ি সামনে দিয়ে চলে গেলো। এই গাড়িগুলোর
কোনো একটাতে করেই যাচ্ছেন নেত্রী, আমাদের নেত্রী, আমাদের শেখ হাসিনা,
বঙ্গবন্ধুর রক্ত!<br /> আমার চোখ তখন ছলছল। গলায় আটকে গেলো কিছু একটা। স্লোগান দিলাম 'জয় বাংলা... জয় বাংলা...।'<br />
(সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে একটা জিনিস মাথায় আসলো। আমার মনে হলো শেখ হাসিনা
আমার জন্য যেমন আবেগের যায়গা বেগম জিয়াও অনেকের কাছে তেমন আবেগের যায়গা।
আমার মনে হলো এবার যদি শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় আসেন তাহলে আমি বেগম জিয়ার
মুক্তি চাইবো। এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে আমি বেগম জিয়ার মুক্তি চাইছি।)<br />
১টার সময় মিছিল করতে করতে সমাবেশে গেলাম। মানুষ ঠেলে আমি আর কবির গেলাম একেবারে সামনে। মানুষ আর মানুষ।<br />
দুইটার দিকে শেখ হাসিনা আসলেন সমাবেশে। দুই চোখ ভরে নেত্রীকে দেখলাম।
বারবার চোখ ভিজে উঠলো নেত্রীর কথা শুনতে শুনতে। নেত্রী... আমাদের নেত্রী!
বঙ্গবন্ধুর কন্যা! <br />
৩০ তারিখ আসলো। সকাল ৭টায় উঠে আমি আর বোন গেলাম ভোট দিতে। আমাদের সেন্টারে আমরা দুইজনই প্রথম।<br /> ভোট দিয়ে এসে টিভি বন্ধ করে বসে রইলাম। এত টেনশন নেয়া সম্ভব না।<br />
বিকেলের দিকে বুঝতে পারলাম - পরিবেশ ভালো। জিতে যাচ্ছি। <br /> আব্বা বাইরে যেতে চাইলেন। না করলাম। পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না। কী দরকার!<br /> আব্বা জোর করে গেলেন। একটু পরেই ফিরলেন। দুই হাতে মিস্টির প্যাকেট। আমরা মিস্টি খেলাম আর টিভির দিকে তাকিয়ে রইলাম।<br />
এমন খুশির দিনে ঘরে বসে থাকা যায়? <br />
আব্বা আম্মার নিষেধ উপেক্ষা করে চলে গেলাম আমাদের প্রার্থী জনাব মোমেন
সাহেবের নির্বাচন কন্ট্রোল রুমে। হাফিজ কমপ্লেক্স পুরোটাই তখন কন্ট্রোল
রুম।<br />
একটু পর পর মিছিল আসছে। আমি প্রতিটা মিছিলের সাথে 'জয় বাংলা'
বলে ঢুকি। আবার বের হয়ে যাই। আবার মিছিলের সাথে ঢুকি। কী আনন্দ! কী আনন্দ!<br />
তখন মোবাইলে নেট এসে গেছে। ভাবলাম মোবাইল দিয়ে একটু পুরো দেশের ফলাফলটা দেখি।<br /> একটু সময় দেখলাম। দেখে মাথা ধরে গেলো। এরকম বিজয় তো চাইনি!<br /> আমি সোয়েটারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেটে হেটে বাসায় চলে আসলাম। এসে দেখি আব্বার গালাগালি শুরু হয়ে গেছে।<br />
সে রাতে আমার নাইট ডিউটি ছিলো না। ইচ্ছা করে নাইট ডিউটি নিলাম এবং ডিউটি করলাম।<br />
আমাদের বাসায় আগে পরিবেশ ফিরে এসেছে। আব্বা এবং আমি দুইজনই এখন
'আওয়ামীলীগের গোষ্ঠী উদ্ধার' মুডে আছি। উদ্ধার চলবে আগামী ৫ বছর। আবার যদি
কখনো শেখ হাসিনার কপালে চিন্তার দাগ দেখি তাহলে আবারও আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে
চলে যাবো...।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-8459615722803394022018-08-16T23:54:00.000+06:002018-08-17T12:04:04.626+06:00দূরতম বন্ধুর জন্য ভালোবাসা...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="bw" data-ft="{"tn":"*s"}">
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="72fpr-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="72fpr-0-0">
<span data-offset-key="72fpr-0-0"><span data-text="true"><span style="font-size: x-large;">ভ</span>য়েজার-১ নামক স্পেসক্রাফটটি পৃথিবী ত্যাগ করে ১৯৭৭ সালের সেপ্টেম্বরে। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="94clt-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="94clt-0-0">
<span data-offset-key="94clt-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="1qfcd-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1qfcd-0-0">
<span data-offset-key="1qfcd-0-0"><span data-text="true">৪০ বছর কেটে গেছে। ৮২৫ কিলোগ্রাম ওজনের ভয়েজার-১ আর পৃথিবীর মধ্যকার দুরত্ব এখন প্রায় ১৪ বিলিওন মাইল! </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="bhhc3-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bhhc3-0-0">
<span data-offset-key="bhhc3-0-0"><span data-text="true">'লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপ'এর সবচেয়ে বড় উদাহারণ হয়ে ভয়েজার-১ এখনো পৃথিবীর মানুষের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে!</span></span><br />
<a name='more'></a><br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgcU1moQs3gQi6Ysm9nxn2OHZRG0I8UG0wm9TjQ4xIGsjxOi45Z0A8wbvY4pwHJkDHHiZPfdgZMj2xYdd6ERUp8tUnFWUO_SRsp0IOdjlbBWOWkAYRbo4rm78ixzXqfK3Ynmu2Lmf6jnHM/s1600/voyager1.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="934" data-original-width="1600" height="186" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgcU1moQs3gQi6Ysm9nxn2OHZRG0I8UG0wm9TjQ4xIGsjxOi45Z0A8wbvY4pwHJkDHHiZPfdgZMj2xYdd6ERUp8tUnFWUO_SRsp0IOdjlbBWOWkAYRbo4rm78ixzXqfK3Ynmu2Lmf6jnHM/s320/voyager1.jpg" width="320" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">ভয়েজার ১</td></tr>
</tbody></table>
</div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="4r7pm-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="4r7pm-0-0">
<span data-offset-key="4r7pm-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="dntni-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dntni-0-0">
<span data-offset-key="dntni-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার বৃহষ্পতি গ্রহকে অতিক্রম করেছে ১৯৭৯ সালে। যাত্রাপথে সে আমাদেরকে পাঠিয়েছে বৃহষ্পতির ছবি। আমরা দেখেছি দানবগ্রহ বৃহষ্পতির বুকে ১৮৮ বছর ধরে বয়ে চলেছে এক দানবঝড় - দ্যা গ্রেট রেড স্পট। এই ঝড়ের আয়তন তিনটা পৃথিবীর সমান!</span></span></div>
</div>
<br />
<div data-contents="true">
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="7v8rt-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7v8rt-0-0">
<span data-offset-key="7v8rt-0-0"><span data-text="true"><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjajvyTnlIqq6EztkjfIIFcIDXddnnD0rQSaeChw5P96W43WYxUpBAKT5bZJqBJYvGFkaT48n5DY7Grduvom-SnUVBOLby_Y8gpN5E4kmNpENP_r_05R_JyjQw3DFGd6G72cDDxr-h9vXo/s1600/790106-0203_Voyager_58M_to_31M_reduced.gif" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="390" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjajvyTnlIqq6EztkjfIIFcIDXddnnD0rQSaeChw5P96W43WYxUpBAKT5bZJqBJYvGFkaT48n5DY7Grduvom-SnUVBOLby_Y8gpN5E4kmNpENP_r_05R_JyjQw3DFGd6G72cDDxr-h9vXo/s320/790106-0203_Voyager_58M_to_31M_reduced.gif" width="312" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">ভয়েজার এক-এর পাঠানো ছবিঃ বৃহষ্পতির ঝড়</td></tr>
</tbody></table>
</span></span><br />
<br />
<span data-offset-key="aslan-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার-১ শনি গ্রহ অতিক্রম করে ১৯৮০ সালে। ভয়েজার আমাদেরকে জানিয়েছে শনিকে প্রদক্ষিণ করছে আরো অনেকগুলো বরফের তৈরী চাঁদ!</span></span><br />
<br />
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiVEPYnshZfT5elV-x-5pB8YC-g65sVjHx2bNB9b7FnjkbDEhvfRYZ6q_CNZ1is7lb57JVQdSBl7l-sbOBmfQ3_BVE2SBtfl-sWlG2lFu43aAMe6AK65pBLnFwyRlZwS6oN5k-GJh-7PWY/s1600/ST+Moon.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="629" data-original-width="640" height="314" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiVEPYnshZfT5elV-x-5pB8YC-g65sVjHx2bNB9b7FnjkbDEhvfRYZ6q_CNZ1is7lb57JVQdSBl7l-sbOBmfQ3_BVE2SBtfl-sWlG2lFu43aAMe6AK65pBLnFwyRlZwS6oN5k-GJh-7PWY/s320/ST+Moon.jpg" width="320" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">শনির একটি চাঁদ</td></tr>
</tbody></table>
</div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="btdnl-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="btdnl-0-0">
<span data-offset-key="btdnl-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="n8u3-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="n8u3-0-0">
<span data-offset-key="f4vj6-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার তাঁর সর্বশেষ ছবিটি তুলেছিলো ১৯৯০ সালের ভালোবাসার দিবসে। অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারিতে। সর্বশেষ এই ছবিটি ভয়েজার তুলেছিলো কার্ল স্যাগান নামক একজন খেয়ালী বিজ্ঞানীর অনুরোধে।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="cmqt2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cmqt2-0-0">
<span data-offset-key="cmqt2-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="diist-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="diist-0-0">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgb9iaNrzmulghnHuE_3hBOFwK3F-oz7A0xGG3XjUExSOR9vBVymE5mXT8v7M4hBDqUsei6hvQK-Rs1coj7FXDgKv36nk7PEcQexK7-Gc2UmE2Y-ZFSENdnatyRmjNLO-EFbpYts6n8Jks/s1600/Carl_Sagan_Planetary_Society.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><br /></a></div>
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgb9iaNrzmulghnHuE_3hBOFwK3F-oz7A0xGG3XjUExSOR9vBVymE5mXT8v7M4hBDqUsei6hvQK-Rs1coj7FXDgKv36nk7PEcQexK7-Gc2UmE2Y-ZFSENdnatyRmjNLO-EFbpYts6n8Jks/s1600/Carl_Sagan_Planetary_Society.JPG" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="448" data-original-width="328" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgb9iaNrzmulghnHuE_3hBOFwK3F-oz7A0xGG3XjUExSOR9vBVymE5mXT8v7M4hBDqUsei6hvQK-Rs1coj7FXDgKv36nk7PEcQexK7-Gc2UmE2Y-ZFSENdnatyRmjNLO-EFbpYts6n8Jks/s320/Carl_Sagan_Planetary_Society.JPG" width="234" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">কার্ল স্যাগান</td></tr>
</tbody></table>
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="fjc64-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fjc64-0-0">
<span data-offset-key="fjc64-0-0"><span data-text="true">'কার্ল স্যাগান' নামটি ভয়েজার-১এর সাথে মিশে আছে একটু ভিন্নভাবে। সংক্ষেপে বলা যাক।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="1shs0-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="1shs0-0-0">
<span data-offset-key="1shs0-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="a4nd9-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="a4nd9-0-0">
<span data-offset-key="a4nd9-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার ১ তৈরির কাজ তখন প্রায় শেষ। নাসা দ্রুত ভয়েজারকে অনন্ত মহাশূণ্যের উদ্দেশ্যে বিদায় জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="cc0go-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cc0go-0-0">
<span data-offset-key="cc0go-0-0"><span data-text="true">৪০ বছর বয়েসী কার্ল স্যাগান তখন ভাবলেন একটা ভিন্ন ব্যাপার। তিনি ভাবলেন, এই স্পেসক্রাফটটি তো চলতেই থাকবে। এর গতি কমবে না, বরং বাড়বে। এক সময় এটা আমাদের সৌরজগতকে ছেড়ে চলে যাবে। হয়তো ছেড়ে যাবে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথকেও। এমনও সময় আসবে যখন ভয়েজার থেকে আমাদের দূরত্ব হবে কয়েক হাজার আলোকবর্ষ। এই দূরতম বন্ধুর সাথে আমাদের আর কোনো যোগাযোগই তখন থাকবেনা। কে বলতে পারে এই ভয়েজার কোনোদিন কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর দেখা পাবে না!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="7oe1a-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7oe1a-0-0">
<span data-offset-key="7oe1a-0-0"><span data-text="true">কী হবে যদি কয়েক কোটি আলোকবর্ষ দূরের কোনো স্বজনের সাথে দেখা হয়ে যায় ভয়েজারের!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="fggvc-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fggvc-0-0">
<span data-offset-key="fggvc-0-0"><span data-text="true">কার্ল স্যাগান দূরতম সেই স্বজনদের জন্য বার্তা এবং উপহার পাঠাতে চাইলেন।</span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fggvc-0-0">
</div>
</div>
</div>
</div>
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="54b1p-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="54b1p-0-0">
<span data-offset-key="54b1p-0-0"><span data-text="true">নাসায় টিম তৈরী করা হলো। স্যাগান হলেন টিম লিডার। এক বছর ধরে চললো ভীনগ্রহের স্বজনদের জন্য বার্তা সংগ্রহের কাজ।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="7tf8d-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="7tf8d-0-0">
<span data-offset-key="7tf8d-0-0"><span data-text="true">৫৫ টি ভাষায় 'হাই' জানানো হলো দূরতম স্বজনদের। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="djr8l-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="djr8l-0-0">
<span data-offset-key="djr8l-0-0"><span data-text="true">প্রথম জানালেন তৎকালিন জাতিসংঘের মহাসচিব কার্ট ওয়াল্ডহেইম। তিনি বললেন, "I send greetings on behalf of the people of our planet. We step out of our solar system into the universe seeking only peace and friendship, to teach if we are called upon, to be taught if we are fortunate."</span></span></div>
</div>
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="9tvqn-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9tvqn-0-0">
<span data-offset-key="9tvqn-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="e90cc-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e90cc-0-0">
<span data-offset-key="e90cc-0-0"><span data-text="true">আছে বাংলা ভাষাও। কন্ঠ দিয়েছেন সুব্রত মূখার্জি। তিনি বলেছেন 'নমস্কার, বিশ্বের শান্তি হোক।'</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="bme1j-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bme1j-0-0">
<span data-offset-key="bme1j-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="8bs03-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8bs03-0-0">
<span data-offset-key="8bs03-0-0"><span data-text="true">পাঠানো হলো বৃষ্টির শব্দ, বাতাসের শব্দ, হাসির শব্দ। হেসেছিলেন কার্ল স্যাগান নিজেই। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="5gn8c-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5gn8c-0-0">
<span data-offset-key="5gn8c-0-0"><span data-text="true">পাঠানো হলো পাখির ডাক, ঝিঝি পোকার ডাক।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="ceqq9-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ceqq9-0-0">
<span data-offset-key="ceqq9-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="5etmf-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5etmf-0-0">
<span data-offset-key="5etmf-0-0"><span data-text="true">ভয়েজারের সাথে পাঠানো হলো ৯০ মিনিট দীর্ঘ গান এবং সুর। এর মধ্যে ছিলো সাড়ে তিন মিনিটের একটি ভারতীয় সুরও।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="5dpo3-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5dpo3-0-0">
<span data-offset-key="5dpo3-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="cr8t8-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="cr8t8-0-0">
<span data-offset-key="cr8t8-0-0"><span data-text="true">অচেনা স্বজনদের জন্য ছবি পাঠানো হলো ১১৬টি। এর মধ্যে আছে আমাদের ডিএনএর ছবি, হাঁড়ের ছবি,পাখির ছবি, সূর্যদয়ের ছবি, সূর্যাস্তের ছবি, নারী-পুরুষের জননাঙ্গের ছবি, মিলনের ছবি! খাওয়ার ছবি, পান করার ছবি, শিশুকে স্তন পান করানোর ছবি!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="fbmi2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fbmi2-0-0">
<span data-offset-key="fbmi2-0-0"><span data-text="true">যুদ্ধ আর অস্ত্রের ছবি পাঠানোর কথা থাকলেও পরে আর পাঠানো হয়নি।</span></span></div>
</div>
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="eliv8-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="eliv8-0-0">
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8NfBIaFgtDhFIkvdoKydKGO300QyW89LaaWGMswcj_yS3sO1Fe9-Pf89zR0MuUuUBZwJ0iSXZkGuFf1Lf7jwBfocxz73cbggfnoKRr_9LuoCZXeBL8o-ZXkMHcgQGW0i8V0P47EYHIZ4/s1600/golden.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="1004" data-original-width="800" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj8NfBIaFgtDhFIkvdoKydKGO300QyW89LaaWGMswcj_yS3sO1Fe9-Pf89zR0MuUuUBZwJ0iSXZkGuFf1Lf7jwBfocxz73cbggfnoKRr_9LuoCZXeBL8o-ZXkMHcgQGW0i8V0P47EYHIZ4/s320/golden.jpg" width="254" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আমাডেড় ঊপহার এবং বার্তা বয়ে বেড়াচ্ছে এই গোল্ডেন রেকর্ড</td></tr>
</tbody></table>
</div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="alcef-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="alcef-0-0">
<span data-offset-key="alcef-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="38hl1-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="38hl1-0-0">
<span data-offset-key="38hl1-0-0"><span data-text="true">কার্ল স্যাগান তখন ভয়েজার-১ এর জন্য 'গোল্ডেন রেকর্ড' তৈরীর কাজে দিনরাত ব্যাস্ত এবং ভীষণ উত্তেজিত। </span></span></div>
</div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="d6dbt-0-0">
<span data-offset-key="d6dbt-0-0"><span data-text="true"></span></span></div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="fuuci-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="fuuci-0-0">
<span data-offset-key="fuuci-0-0"><span data-text="true">একদিন ভোরবেলা তিনি তার সুন্দরী সহকর্মী অ্যান ড্রুয়ানকে ফোন করলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর ফোন রেখে দিলেন। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="dafq2-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="dafq2-0-0">
<span data-offset-key="dafq2-0-0"><span data-text="true">ফোন রাখার পর স্যাগান আবিষ্কার করলেন তিনি ড্রুয়ানের প্রেমে পড়েছেন! স্যাগান মনের কথা জানালেন ড্রুয়ানকে। ড্রুয়ান জানালেন, তিনিও...।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="8ueep-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8ueep-0-0">
<span data-offset-key="8ueep-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="eanag-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="eanag-0-0">
<span data-offset-key="eanag-0-0"><span data-text="true">এরপর কার্ল স্যাগান করলেন আরেক ছেলেমানুষী কাজ। তিনি তাঁর প্রেমিকাকে এক ঘন্টা চুপচাপ শুয়ে থেকে পৃথিবীর কথা, মানবসভ্যতার কথা এবং স্যাগানের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা ভাবতে বললেন। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="doahp-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="doahp-0-0">
<span data-offset-key="doahp-0-0"><span data-text="true">বেচারী ড্রুয়ান এক ঘন্টা চোখ বন্ধ করে এসব ভাবলেন। এই সময় তাঁর ব্রেইনওয়েভ রেকর্ড করা হলো। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="bg1fi-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bg1fi-0-0">
<span data-offset-key="bg1fi-0-0"><span data-text="true">এই ব্রেইনওয়েভও জুড়ে দেয়া হলো ভয়েজার ওয়ানের সাথে!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="9ag25-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9ag25-0-0">
<span data-offset-key="9ag25-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="9gru5-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="9gru5-0-0">
<span data-offset-key="9gru5-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার ওয়ান ৪০ বছর থেকে ছুটছে।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="8rkj-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="8rkj-0-0">
<span data-offset-key="8rkj-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="20l2h-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="20l2h-0-0">
<span data-offset-key="20l2h-0-0"><span data-text="true">যাত্রার ১৩ বছর পর ভয়েজার-১ তখন পৃথিবী থেকে ৬ বিলিওন কিলোমিটার দূরে। আমাদের সৌরজগতকে শুভ বিদায় জানাচ্ছে এই স্পেসক্রাফট। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="5pifb-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="5pifb-0-0">
<span data-offset-key="5pifb-0-0"><span data-text="true">কার্ল স্যাগান তখন তাঁর শেষ পাগলামীটা করলেন। নাসার বিজ্ঞানীদের তিনি অনুরোধ করলেন এত দূরত্ব থেকে ভয়েজার-১ পৃথিবী নামক গ্রহের একটা ছবি তুলে পাঠাক। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="ckv0e-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="ckv0e-0-0">
<span data-offset-key="ckv0e-0-0"><span data-text="true">অনেক বিজ্ঞানীর আপত্তি ছিলো। তারা বলেছিলেন ভয়েজারের ক্যামেরা পৃথিবীর দিকে ঘুরালে সূর্যের আলোতে সেটার ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু স্যাগানের অনুরোধে শেষবারের মতো পৃথিবীর ছবি তুলেছিলো ভয়েজার-১। একটা বিন্দুর চেয়েও ছোট দেখাচ্ছিলো আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="2dc3f" data-offset-key="chfcs-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="chfcs-0-0">
</div>
<table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody>
<tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmPLvzx7LEo0OvDXtYY4zcMV3AxyYAVoPBjWlXTcLFI9_M5jdlC_BDiMYyqp2UIB8kAoXQx_UUHpqi5xhe70jqBY8wKzkKToG3H2pN4BO36l5Z_4UUrgkN6IAm5oeNU93xLb3IL8rsjPo/s1600/Pale_Blue_Dot.png" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" data-original-height="614" data-original-width="453" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmPLvzx7LEo0OvDXtYY4zcMV3AxyYAVoPBjWlXTcLFI9_M5jdlC_BDiMYyqp2UIB8kAoXQx_UUHpqi5xhe70jqBY8wKzkKToG3H2pN4BO36l5Z_4UUrgkN6IAm5oeNU93xLb3IL8rsjPo/s320/Pale_Blue_Dot.png" width="236" /></a></td></tr>
<tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><span class=" UFICommentActorAndBody"></span><br />
<div class="UFICommentActorAndBodySpacing">
<span class=" UFICommentActorAndBody"> <span data-ft="{"tn":"K"}"><span class="UFICommentBody">৬ বিলিওন কিলোমিটার দূর থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি -</span></span></span></div>
<span class=" UFICommentActorAndBody">
</span><span class="_36rj"></span></td></tr>
</tbody></table>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="chfcs-0-0">
</div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="2dc3f" data-offset-key="kmtp-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="kmtp-0-0">
<span data-offset-key="kmtp-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<br />
<br />
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="3c8ni-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3c8ni-0-0">
<span data-offset-key="3c8ni-0-0"><span data-text="true">কার্ল স্যাগান মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে।</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="e27an-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e27an-0-0">
<span data-offset-key="e27an-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার -১ আমাদের সৌরজগতকে চির বিদায় বলেছে ১৯৯০ সালেই। </span></span></div>
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="e27an-0-0">
<span data-offset-key="e27an-0-0"><span data-text="true">হেলিওশিথকে বিদায় বলেছে ২০১২ সালে। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="76mha-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="76mha-0-0">
<span data-offset-key="76mha-0-0"><span data-text="true">ভয়েজার -১ এখন আছে ইন্টারস্টেলার স্পেসে। নিঃসীম শীতল অন্ধকারে ঘন্টায় ৬২ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে চলেছে ভয়েজার-১। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="bukoc" data-offset-key="bis4q-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="bis4q-0-0">
<span data-offset-key="bis4q-0-0"><span data-text="true">আর কয়েকটা বছর মাত্র। তারপর আমরা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলবো আমাদের দূরতম এই বন্ধুটির সাথে। ... এবং তারপর কোথায় যাবে ভয়েজার-১, কোথায় থাকবে আমাদের প্রিয় গ্রহের কয়েক কিলোবাইট স্মৃতি আমরা জানতে পারবো না কোনোদিনও!</span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="76kno-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="76kno-0-0">
<span data-offset-key="76kno-0-0"><br data-text="true" /></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="47cca-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="47cca-0-0">
<span data-offset-key="47cca-0-0"><span data-text="true">সেপ্টেম্বরের মাসের ৫ তারিখ ভয়েজার-১ মিশনের ৪০ বছর পূর্ণ হবে। নাসা তাঁদের ওয়েব সাইটে গতকাল ১৪ বিলিওন মাইল দূরের বন্ধুর স্মরণে তিনটা পোস্টার প্রকাশ করেছে। একটা পোস্টার জুড়ে দিলাম কাভার ফটোতে। </span></span></div>
</div>
<div class="" data-block="true" data-editor="d1h6r" data-offset-key="3dudj-0-0">
<div class="_1mf _1mj" data-offset-key="3dudj-0-0">
<span data-offset-key="3dudj-0-0"><span data-text="true">ভালো থেকো ভয়েজার - ১। তোমার জন্য ভালোবাসা এবং ভালোবাসা।</span></span></div>
</div>
</div>
</div>
</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-78764833920453283532017-01-11T21:35:00.001+06:002018-08-12T21:57:07.556+06:00মিশন এফসিপিএস (মেডিসিন)<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">অ<span style="font-size: small;">নেকেই প্রশ্ন করেছেন - কোচিং ছাড়া কীভাবে পড়া যেতে পারে।<br /><br />আমি মাঝারি মানের ছাত্র। পরিশ্রম ও ভাগ্যের জোরে পাশ করে গেছি। সবার ক্ষেত্রে এটা ঘটবে বলার উপায় নেই। <br />তবে যেভাবে পড়েছি তার উপর ভিত্তি করে এই পোস্ট লিখলাম। যারা প্রশ্ন করেছেন তাঁদের কাজে লাগতে পারে।</span></span><br />
<a name='more'></a><br />
<a href="https://www.blogger.com/null" name="more"></a><br />
<u><b>১. মেডিসিন -</b></u><br />
ক. বই একটাই - ডেভিডসনস প্রিন্সিপাল এন্ড প্র্যাকটিস অব মেডিসিন।<br />
খ. প্রতিটি চ্যাপ্টারের শুরুতে যে এনাটমি ফিজিওলোজি আছে ঐ অংশটা ঝাড়া করে ফেলতে হবে।<br />
গ. বেশিরভাগ রোগেরই ট্রিটমেন্ট পড়া লাগবে না। তবে অনেক ডিজিজের ড্রাগে এরকম কথা লেখা আছে। যেমন - <i>'ড্রাগ অব চয়েজ' 'ড্রাগ অব চয়েজ ইন ফাস্ট অ্যাটাক' 'ড্রাগ হোয়েন সিনিএস ইজ ইনভলভড'</i> -- এই যায়গাগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে। <br />
ঘ. সার্জিকাল ডিজিজ (যেমন - কলিসিস্টাইটিস, অ্যাপেনডিসাইটিস, পিএলআইডি) এগুলো না পড়লেও চলবে।<br />
ঙ. ছোট ছোট যে চ্যাপ্টার আছে যেমন <i>মেডিকেল ইথিক্স, ক্রিটিকাল কেয়ার, জেনেটিক্স, থেরাপিউটিক্স</i>। এই চ্যাপ্টারগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে। একদম প্যাকড কোশ্চেন আসে এখান থেকে।<br />
চ. বিষয় যেটা দাঁড়ালো - মোটামুটি ডেভিডসনের ৮০%ই পড়তে হবে এবং বারবার পড়তে হবে। প্রতিবার রিভিশন দিলে আপনার মার্ক্স ৫ করে বাড়তে থাকবে।<br />
<br />
<u><b>২. ফিজিওলোজি</b></u><br />
ক. গ্যানং-টা পড়ে ফেলতে পারলে খুবই ভালো। FCPS জানুয়ারি ২০১৭তে সরাসরি কয়েকটা সিংগেল বেস্ট চলে এসেছিলো। তবে বইটা যেহেতু জটিল সেহেতু সময় নিয়ে পড়তে হবে। সময় কম থাকলে সাজেস্ট করবোনা।<br />
খ. আগে যে বই থেকে পড়া ছিলো সে বই থেকেই পড়া যেতে পারে। এফসিপিএস যেহেতু কনসেপ্টের পরীক্ষা সেহেতু কনসেপ্ট পরিষ্কার করাটাই আসল।<br />
গ. ভিশন ফিজিওলোজি বইটা আমার বেশ অপছন্দ। আমি দুর্বল প্রজাতীর ছাত্র। তাও বইটাকে আমার কাছে বেশ গন্ডগোলওয়ালা মনে হয়েছে।<br />
ঘ. 'স্যাম্বুলিংগাম এসেনশিয়ালস অব ফিজিওলোজি' নামে একটা চমৎকার বই পাওয়া যায়। ঐ বইটা কাজে লাগবে। ইন্ডিয়ান দুইজন লেখকের লেখা বই। পুরো বই ৭ দিনে পড়ে ফেলা কোনো বিষয়ই না। যারা নতুন করে শুরু করতে চান তারা এটা পড়তে পারেন। কনসেপ্ট হবে মারাত্মক। গ্যারান্টি দিচ্ছি।<br />
ঙ. ফিজিওলোজির কিছু কনসেপ্ট তারপরেও ধোয়াশা থেকে যাবে। যেমন <i>লাংস মেকানিকস, ইনট্রাসেলুলার সিগনালিং, ফ্লুইড ম্যাকানিক্স</i>। ওগুলো পড়ার জন্য একটা চমৎকার বই আছে। নাম 'বিআরএস ফিজিওলোজি'। এই বই থেকে কয়েকটা (বেশি না, ৮/১০ পাতা) পাতা পড়ে ফেললে অনেক জটিল কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে।<br />
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
চ. লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট -- যে বই থেকেই ফিজিওলোজি পড়ুন না কেন ভালো প্রিপারেশনের জন্য গ্যানং-এর বক্স (বিশেষ করে এই চার সিস্টেম - সিভিএস, এন্ডোক্রাইন, রেনাল, রেসপিরেটরি) আপনাকে পড়তেই হবে। ইটস এ মাস্ট।<br />
ছ. তারপরেও কনফিউশন থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যতোটুকু পারি সাহায্য করবো।<br />
<br />
<u><b>৩. মাইক্রোবায়োলোজি</b></u><br />
খুব ভাইটাল সাবজেক্ট। পেপার থ্রির গেম চ্যাঞ্জার হচ্ছে এটা।<br />
ক. ব্যাকটেরিয়োলোজি, ভাইরোজি, মাইকোলোজি ভাজা ভাজা করে ফেলতে হবে।<br />
খ. অনেকে বলবেন সিলেক্টেড ভাইসার/ব্যাকটেরিয়া পড়েলেই চলবে। আমি বলবো, 'নো'। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সব পড়ুন। বিস্তারিত পড়ুন। কোনটা দেখতে কীরকম, চরিত্র কী, কী রোগ করে সব পড়ুন। ডেভিডসনের ইনফেকশাস আর ল্যাঞ্জের মাইক্রো করিলেট করে পড়ুন। মাইক্রো হচ্ছে মার্ক্স উঠানোর যায়গা। সুতরাং রিস্ক নেয়াটা উচিত হবে না।<br />
গ. মাইক্রো পড়ে ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই বারবার পড়তে হবে।</div>
<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
ঘ. মাইক্রো একসাথে বেশি পড়ে না ফেলার পরামর্শ থাকলো। প্রথমে একবার ভালো করে দাগিয়ে পুরো ল্যাঞ্জ+ডেভিডসনটা পড়ুন। তারপর শেষ তিন মাস প্রতিদিন (আই রিপিট - প্রতিদিন) এক/দেড় ঘন্টা করে মাইক্রো পড়ুন এবং রিভিশন দিন। কম কম করে পড়ুন। কাজে আসবে। একসাথে বেশি পড়লে হতাশায় পড়ে যাবেন। আমিও পড়েছিলাম। দেখবেন সব ইনফরমেশন গুলিয়ে গেছে। সুতরাং ধীরে ধীরে আগান।<br />
ঙ. প্যারাসিটোলোজি - সব লাগবেনা। খালেক স্যারের বই থেকে পড়ে ফেললেই যথেষ্ট।<br />
চ. এত কিছু করার পরেও পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে দেখবেন সব গুলিয়ে গেছে। ভয় পাবেন না। প্রশ্ন দেখলে সবকিছু মনে পড়বে।<br />
<u><b><br />৪. ইম্যুনোলোজি</b></u><br />
ক. ল্যাঞ্জ মাইক্রোর ইম্যুনোলোজি অংশ বুঝে বুঝে ঝাড়া করে ফেলতে হবে।<br />
খ. সাথে ডেভিডসনের ইম্যুনোলোজি অংশ।<br />
গ. ব্যাস, ৮ মার্ক্স কনফার্ম।<br />
ঘ. এরপরেও কারো আগ্রহ থাকলে 'রবিন্স প্যাথোলোজি'র ইম্যুনোলোজি পড়ে ফেলার পরামর্শ রইলো।<br />
<br />
<u><b>৫. অংকোলোজি</b></u><br />
একবিংশ শতকের কোনো পরীক্ষায় অংকোলোজি থেকে প্রশ্ন আসবেনা - এটা ভাবা অন্যায়। জানুয়ারি ২০১৭-তে পেপার ওয়ানে ১০% মার্ক্স এসেছে শুধু অংকোলোজি থেকে।<br />
ক. ডেভিডসনের ৮/১০ পাতা অবশ্যই পড়ে ফেলতে হবে।<br />
খ. রবিনস প্যাথোর কয়েকটা বক্স (প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম+টিউমার মার্কার+এক্সপোজার এন্ড ক্যান্সার+কার্সিনোজেন) পড়ে ফেলতে হবে।<br />
গ. বেসিক অংকোলোজি লাগবে না। তবে আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলা যেতে পারে রবিন্স থেকে। একবার বুঝে ফেললে <a href="http://razybd.blogspot.com/2016/04/p53.html" target="_blank">খুবই মজার।</a><br />
<br />
<u><b>৬. জেনেটিক্স</b></u><br />
ক. ডেভিডসনের জেনেটিক্স মাস্ট, সাথে রবিন্সের কয়েক পাতা।<br />
খ. ডোমিনেন্ট, রিসিসিভ ডিজিজের নাম (সহজ সূত্র আছে) মনে রাখতে হবে।<br />
গ. ইনহেরিটেন্স প্যাটার্ন খুব ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।<br />
ঘ. এটুকুই যথেষ্ট। তবে এর বাইরেও প্রশ্ন আসে। জানুয়ারি ২০১৭ তে এর বাইরে কয়েকটা প্রশ্ন এসেছিলো (যেমন - ক্রোমাটিডের স্ট্রাকচার, ট্রান্সলোকেশন)। এগুলো বোঝার জন্য লিপিংকট বায়োকেমিস্ট্রির জেনেটিক্স চ্যাপ্টারটা পড়ে ফেলা যেতে পারে। বেশি জটিল। না বুঝলে দরকার নাই। তবে বুঝে ফেললে মজা। খুবই মজা। দাগাবেন আর মার্ক্স উঠাবেন।<br />
<br />
<u><b>৭. বায়োস্ট্যাটিসটিক্স</b></u><br />
প্যাপার টু-এর গ্যাম চ্যাঞ্জার। ইন ফ্যাক্ট এটা পুরো পার্ট ওয়ানের গ্যাম চ্যাঞ্জার।<br />
ক. দিলীপ সরকার দাদার একটা নোটের সাথে আমি কিছু যোগ করে একটা শিট বানিয়েছিলাম ২৫ পাতার। ঐটা পড়লে আশা রাখি ৮০% মার্ক্স কনফার্ম। যোগাযোগ করতে পারেন <a href="mailto:razy17@gmail.com">razy17@gmail.com</a><br />
<br />
<u><b>৮. বায়োকেমিস্ট্রি</b></u><br />
ক. মেটাবোলিজম অংশটা এবিসি বায়োকেম বই থেকে ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।<br />
<br />
<u><b>৯. ফার্মাকোলোজি</b></u><br />
ক. ডেভিডসনে যা আছে তা এনাফ। <br />
খ. তারপরে আগ্রহ থাকলে লিপিংকট ফার্মা (ভিশনও চলে) থেকে এই চ্যাপ্টারগুলো পড়ে ফেলা যেতে পারে - অটোনোমিক ফার্মা, সিভিএস, এন্টি সাইকোটিক, রেনাল ফার্মা।<br />
<br />
<u><b>১০. নিউরোএনাটমি</b></u><br />
খুবই জরুরী। খুবই জরুরী।<br />
ক. স্নেলের কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। এগুলো হলো - <i>ক্রেনিয়াল নার্ভস, সেরেবেলাম, ব্যাজাল গ্যাংগ্লিয়া (শুধু পার্ট ও ফাংশন), লিম্বিক সিস্টেম (শুধু পার্ট ও ফাংশন), ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম, ব্লাড সাপ্লাই, স্পাইনাল কর্ড, অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম কর্টেক্সের এরিয়া</i>।<br />
খ. নিউরোএনাটমির কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকলে আপনি একই পড়া দিয়ে নিউরোমেডিসিন এবং নিউরো ফিজিওলোজির মার্ক্স উঠাতে পারবেন। <br />
<br />
<u><b>১১. এমসিকিউ বই</b></u><br />
ছোট্ট একটা বই কিনতেই হবে - 'রড্ডি ফিজিওলোজি'।<br />
এই বই থেকে তিনটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। 'সিভিএস, রেসপি, এন্ডোক্রাইন'। ব্যাস।<br />
<br />
<br />
<br />
<span style="font-size: large;"><u><b>জিজ্ঞাসা -</b></u></span><br />
<i>১. ম্যাট্রিক্স/ইমপালস কোনো গাইড কিনবো?</i><br />
উত্তর - এফসিপিএসের জন্য এইসব না কেনাই ভালো। তবে প্রশ্নের প্যাটার্ন বুঝার জন্য কারো কাছ থেকে ১ সপ্তার জন্য ধার আনা যেতে পারে।<br />
<br />
<i>২. পার্টনার কতোটা জরুরী</i><br />
উত্তর - খুব জরুরী। প্রয়োজনে কাউকে অপহরণ করে নিয়ে এসে পার্টনার বানান। আমার পার্টানার ছিলোনা। তাই ডাবল পরিশ্রম করতে হয়েছে।<br />
<br />
<i>৩. কয়দিনের প্রস্তুতী দরকার</i><br />
উত্তর - প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা পড়লে ৬ মাস যথেষ্ট।<br />
<br />
পুনশ্চ ১ - এটা পিউর এফসিপিএস প্রিপারেশন। এমডির জন্য এটা ফলো করলে বিপদে পড়বেন। </div>
</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-53081548988294700172016-08-06T12:52:00.001+06:002018-08-12T21:56:04.232+06:00রবীন্দ্রনাথ, শৈশব এবং বিটিভি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">আ</span>মাদের প্রজন্মের একটা অংশের রবীন্দ্রনাথভীতির পেছনে দায়ী জিনিসটার নাম হচ্ছে 'বিটিভি'।<br />
<br />
প্রতিদিন সন্ধ্যায় আটটার সংবাদের আধঘন্টা আগে বিটিভি পর্দায় একটা ভৌতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতো। 'রে... রু... পে... পু... গে... গু...' অদ্ভুত বাজনা বাজতো আর পর্দায় লেখা আসতো 'রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান - গীতবিতান'।<br />
অনুষ্ঠান শুরু হলে দেখা যেতো সেই একই দৃশ্য, একই সেট। একটা সিড়ির মতো উচু যায়গা, পেছনে রবীন্দ্রনাথের ইয়া বড় একটা ছবি, পাশে প্লাস্টিকের একটা গাছ।<br />
<a name='more'></a>শিল্পীরা হেলেদুলে সেটে আসতেন, স্টেজে হাঁটা শুরু করতেন। নারী শিল্পীরা মাঝে মাঝে উচু যায়গাটায় বসতেন।<br />
আর সবাই নাভীর নিচে থেকে উচ্চারণ টেনে এনে গান গাইতেন।<br />
আমাদের বেশিরভাগেরই ছিলো সাদাকালো টিভি আর দুর্বল অ্যান্টেনা। সাদাকালো টিভিতে ঝিরিঝিরি 'গীতবিতান' আমাদের কাছে আরো একঘেয়ে আর ভৌতিক হয়ে ধরা দিতো।<br />
<br />
রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন বা মৃত্যুদিন ছিলো আরেক বিভীষিকা! 'আলেখ্যানুষ্ঠান' নামক ভয়ংকর একটা জিনিস দেখা যেতো বিটিভিতে।<br />
সেটার টাইমিং-ও ছিলো অতি চমৎকার!<br />
যেমন ধরুন, 'দ্যা নিউ অ্যাডভেঞ্চার অব সিনবাদ' দেখার প্রস্তুতি নিয়ে টিভির সামনে বসে আছি। পুরো সপ্তাহের অপেক্ষা। তিমির পেট থেকে প্রিয় সিনবাদ কীভাবে মুক্তি পায় সেটা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছি টিভির দিকে। ঘড়িতে ৮ টা বেজে ৩৫। পর্দায় অনুষ্ঠান ঘোষিকা আসলেন, এসে হাসিমুখে ঘোষণা দিলেন, 'এখন দেখবেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ আলেখ্যানুষ্ঠান "প্রাণে খুশির তুফান"।'<br />
ঘোষণা শুনে আমাদের প্রাণে তখন বেদনার তুফান!<br />
<br />
আমরা আশা করে থাকতাম, 'আলেখ্যানুষ্ঠান' নামক জিনিসটার পরেই হয়তো সিনবাদকে দেখা যাবে।<br />
না, দেখা যেতো না। উলটা শুরু হতো আরেক যন্ত্রনা। এই যন্ত্রনার নাম 'রবীন্দ্রনাথের নাটক'। আবারও বিটিভির সেই চিরচেনা সেট, চিরচেনা বাজনা, চিরচেনা ঝিরিঝিরি...।<br />
<br />
স্মৃতি বলে, সেই রাতে আমরা অনুষ্ঠান ঘোষিকার ১৪ গোষ্ঠী আর রবীন্দ্রনাথ নামক বুড়ার ২৮ গোষ্ঠীকে গালাগালি করতে করতে ঘুমাতে যেতাম।<br />
<br />
আমাদের শৈশবের সন্ধ্যায় সিনবাদকে হটিয়ে যে রবীন্দ্রনাথ হানা দিতেন, সে রবীন্দ্রনাথকে আমরা ভয় পেতাম, অপছন্দ করতাম।<br />
<br />
আমাদের প্রজন্মের ২১.৬ ভাগ ছেলেমেয়ে পরবর্তি জীবনে সেই ভয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি এবং রবীন্দ্রনাথ নামক বুড়োর আশেপাশেও ঘেষেনি।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-19148628201182705372016-05-13T11:16:00.002+06:002016-05-17T17:58:08.040+06:00ডায়েরি কেনার টাকা না থাকায় - ২<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">আ</span>মি তিনবার জন্ম নিয়েছি। প্রথমবার জন্মেছিলাম ২৫ বছর আগের এক রাতে।<br />
<br />
দ্বিতীয়বার জন্মালাম ২০১৫ সালে।<br />
আব্বার ইসিজি খারাপ, ইটিটিও খারাপ। প্রফেসর এমিরেটাস সুফিয়া রহমানের ভাষায় আব্বা বসে আছেন 'ভলকানোর উপর'। বললেন 'এনজিওগ্রাম করো।'<br />
২ বছর গেলো, আব্বাকে এনজিওগ্রামের জন্য রাজি করানো গেলোনা। তার ভয় - যদি খুব খারাপ কিছু আসে তখন?<br />
<a name='more'></a>এনজিওগ্রামের জন্য রাজি হলেন ২০১৫-র এপ্রিলে।<br />
আব্বাকে নিয়ে যাওয়া হলো ক্যাথ ল্যাবে।<br />
আমার খুব মনে আছে সেই ২০ মিনিটের কথা। আমি ক্যাথ ল্যাবের সামনে দাঁড়িয়ে আছি - হঠাৎ চারদিক অন্ধকারের মতো হয়ে গেলো। নিজেকে মনে হচ্ছিলো একটি জড় পদার্থ। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম - নিজের ক্যাম্পাস, নিজের হাসপাতালকে মনে হচ্ছিলো অন্য কোনো গ্রহ।<br />
২০ মিনিট - অথচ মনে হলো, কয়েক আলোকবর্ষ পর মেডাম বের হলেন ল্যাব থেকে। বের হয়ে বললেন, 'হার্টের অবস্থা খুব ভালো। কোনো ব্লক নেই। একদম শিশুদের হার্ট।'<br />
আমার মনে হলো - পৃথিবী নামক এই গ্রহে আমি নতুন করে দাঁড়ালাম। সে রাতে আমি কার্ডিওলোজি ডিপার্টমেন্টের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলাম। এত শান্তির ঘুম আমার আর কখনো হয়নি।<br />
<br />
তৃতীয়বার জন্ম নিলাম আজ সকালে।<br />
৩ দিন আগে আম্মার গলব্লাডার অপারেশন হয়েছিলো। ক্যামেরা নিয়ে স্যার ভিতরে ঢুকলেন এবং কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেন। আমিও তাকিয়ে থাকলাম মনিটরের দিকে।<br />
স্যার বললেন, 'তোমার মা-র লিভারের অবস্থা বেশি ভালো না রে। আরলি সিরোটিক চ্যাঞ্জের মতো মনে হচ্ছে। মা-কে কিছু বলার দরকার নাই আপাতত। রিপোর্ট পেলে তারপর দেখা যাবে। তবে ড্রাগ এবং ডায়েটের ব্যাপারে সাবধান থেকো।'<br />
<br />
গত তিনদিন আমার দুঃস্বপ্নের মতো কাটলো। চোখ বন্ধ করলে সামনে ভেসে উঠতো লিভারের ছবি। এই লিভার সুস্থ লিভার না। কানে একটু পর পর বাজতো স্যারের কথা - 'লিভার ভালো না রে। আরলি সিরোটিক চ্যাঞ্জ।'<br />
<br />
আমার বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিলো গ্যাস্ট্রোএন্টারোলোজি ডিপার্টমেন্টের দিনগুলোর কথা। প্রচন্ড যন্ত্রনা নিয়ে জীবনের শেষদিনগুলো গুনতে থাকা লিভার সিরোসিসের রোগীদের যায়গায় সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে ভাবার দুঃসাহস হচ্ছিলোনা একবারও।<br />
<br />
আজকে হিস্টোপ্যাথোলোজি রিপোর্ট পাওয়ার কথা।<br />
৯ টার সময় কাউন্টার থেকে রিপোর্ট নিলাম। একটা ঘোর লাগা অনুভূতি নিয়ে কাঁপাকাঁপা হাতে রিপোর্ট খুললাম। শেষ লাইনে লেখা - ফ্যাটি চ্যাঞ্জ।<br />
একটু পরেই ঝাপসা হয়ে আসলো লেখাগুলো।<br />
মনে হলো পৃথিবীতে আরেকবার জন্ম নিলাম এবং এই পৃথিবী অনেক সুন্দর।<br />
... বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। এত সুন্দর বৃষ্টি সিলেটে আর কখনো হয়নি।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-16927941752225496202016-05-08T00:20:00.003+06:002016-05-08T00:20:56.982+06:00ডায়েরি কেনার টাকা না থাকায় - ১<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">প্র</span>ফেসর আবদুল খালেক ছিলেন সিলেটের প্রথম রয়েল কলেজের ডিগ্রিধারী ডাক্তার। প্রফেসর এম. এনায়েত উল্লাহ দ্বিতীয়।<br />এম এনায়েত উল্লাহ যখন লন্ডন গেলেন তখন তার বাবা তাঁকে বলেছিলেন, 'আমি মরে গেলেও দেশে আসবানা, তোমার মা মরে গেলেও না।'<br />মা বাবা দুজনেই মরে গেলেন। তিনি দেশে আসলেন না। বাবার কথামতো দেশে ফিরলেন MRCP, FRCP নিয়ে।<br /><br />রাজশাহী মেডিকেল ও সিলেট মেডিকেলের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।<br />অনেকেই জানেন না, আমরা প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নিচে যে ১+০+১ লিখি সেটা প্রথম চালু করেছিলেন প্রফেসর এম এনায়েত উল্লাহ।<br />আরেকটা তথ্যও অনেকেই জানেন না, বাংলাদেশে প্রথম মেডিসিনের টেক্সট বই তিনিই লিখেছিলেন - 'এসেনসিয়াল অব মেডিসিন' (এবং বইটি ডেভিডসনের করসপন্ডিং এডিশনের চেয়ে বড় ছিলো)।<br />
<a name='more'></a>পাইরেসি হয়ে যাওয়ায় এটার নতুন এডিশন আর বের করেন নি।<br />আমার সৌভাগ্য, আমি স্যারের সরাসরি ছাত্র।<br /><br />গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হচ্ছেনা।<br /><br />আম গাছের নিচে আম জন্মায়। প্রফেসর এম এনায়েত উল্লাহ স্যারের ঘরে জন্ম নিয়েছেন ফজলে এলাহী নূরানী।<br />ইনিও ডাক্তার। স্যার যখন ইন্টারনাল মেডিসিনে এমডি পাশ করলেন আমরা তখন সম্ভবত ফোর্থ ইয়ারে। সন্ধ্যায় ক্লাস নিতে এসে জানালেন 'এমডি শেষ'।<br />আমি স্যারের দিকে ভালো করে তাকালাম। বাংলাদেশে একটা কথা প্রচলিত আছে - বয়স ৪০ না হলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পাশ হয়না। স্যার পাশ করলেন ৩০ এর আগেই!<br />পাশ না করে উপায় নেই। পরিপাটি করে চুল আঁচড়ানো এই মানুষটা একজন চলন্ত হ্যারিসন। মুখস্ত জিনিসটার প্রতি আমার এক ধরণের অ্যালার্জি ছিলো। ডা. ফজলে এলাহী নূরানীকে দেখার পর মনে হয়েছে - মুখস্ত জিনিসটাও আর্ট।<br />একটা উদাহারণ দেই - রাউন্ডে স্যার পড়া ধরেন অনেক। কাউকে হয়তো হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন হাইপোকেলেমিয়ার কজ বলো -<br />- স্যার, কুশিং সিন্ড্রোম।<br />- এইটা হ্যারিসনের ৪ নাম্বার হেডলাইনের ৩ নাম্বার কজ। আরো উপরে আসো।<br />- স্যার, কনস সিন্ড্রোম।<br />- এইটা ২ নাম্বার হেডলাইনের ৬ নাম্বার কজ। আরো উপরে আসো। এভাবে তো হবেনা।<br /><br />কোরয়ানে হাফিজ দেখেছি। হ্যারিসনে হাফিজকে চিনলাম স্যারকে দেখে।<br /><br />এনায়েত উল্লাহ স্যারের ছেলে হওয়ার কারনেই কিনা কে জানে, অসম্ভব ভালো পড়াতে পারেন। আমার ২৫ বছরের জীবনে পাওয়া সেরা শিক্ষক সন্দেহ নেই। আমি আমার মেডিকেল জীবনকে দুইভাগে ভাগ করি - নূরানী স্যারের ক্লাস করার আগের ভাগ আর নূরানী স্যারের ক্লাস করার পরের ভাগ।<br /><br />১০/১২ দিন হেপাটাইটিসে ভুগলাম। প্রতিদিন সকাল ৮টায় একটা ফোন আসতো। স্ক্রিনে লেখা আসতো Noorani sir.<br />স্যার ফোন দিয়েই বলতেন - 'কী ব্যাপার রাজি, আজকে সুস্থ্য?'<br /><br />আমি বিব্রত হতাম। আমার ভালো লাগতো। আমার গলা ধরে আসতো। ভালোবাসা আর স্নেহ জিনিসটা খারাপ, খুব খারাপ।<br /><br />ইন্টার্নি শেষ হওয়ার পথে। কী কী মিস করবো জানিনা তবে নূরানী স্যারকে মিস করবো প্রচন্ড। সেই সাথে চমৎকার একটা স্মৃতিও গাঁথা থাকবে মাথায় - আমি সম্ভবত স্যারের প্রিয় ছাত্র ছিলাম।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-83233098921718777952016-04-22T11:06:00.000+06:002016-04-22T11:06:11.190+06:00দ্যা বিউটি অব p53<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div dir="ltr">
<span style="font-size: x-large;">ক্যা</span>নসার চিকিৎসার ইতিহাসকে মোটামুটি দুইভাগে ভাগ করা যায়। p53 আবিষ্কারের আগের পর্যায়, p53 আবিষ্কারের পরের পর্যায়।</div>
<div dir="ltr">
p53 জিনিসটা তাহলে কী? <br />
যে আঙ্গুল দিয়ে একটু আগে মাউসে ক্লিক করেছি সেখান থেকে একটা কোষ নেই। কোষের ভেতরে নিউক্লিয়াসে যাই। সেখানে গেলে দেখতে পাবো সুতার মতো দেখতে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম নাচানাচি করছে। সবচেয়ে লম্বা 'ক্রোমোজোম কাপল'টির নাম দেই ক্রোমোজোম নাম্বার এক। পরেরটির নাম দেই ক্রোমোজোম নাম্বার দুই। এভাবে সাজাতে থাকি।</div>
<a name='more'></a>সাজানো শেষ হলে ১৭ নাম্বার ক্রোমোজোমটি হাতে নেই। এই ১৭ নাম্বারের ভেতরেই লুকিয়ে আছে আমাদের p53 জিন। প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন স্যার ডেভিড লেইন। সুন্দর একটা বিশেষণও দিয়েছিলেন p53কে - 'গার্ডিয়ান অব জিনোম'।<br />
<div dir="ltr">
আমাদেরকে ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই জিনটি প্রতি মুহূর্তে যে প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে তা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর কবিতাটির চেয়েও সুন্দর, সবচেয়ে রহস্যময় গল্পটির চেয়েও রহস্যময়।</div>
<div dir="ltr">
একটা উদাহারণ দেই।<br />
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য কোষ বিভাজন একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় মা কোষ থেকে নতুন বাচ্চা কোষ তৈরী হয়। তৈরি হওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই মা কোষের ডিএনএর কপি যায় বাচ্চা কোষে। মা কোষের ডিএনএ'তে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা বাচ্চা কোষে যাবে - এটাই স্বাভাবিক। <br />
কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় নষ্ট ডিএনএ-ওয়ালা মা কোষ নতুন বাচ্চা কোষ তৈরি করতে পারেনা। কারণ আমাদের আছে জিনোমের গার্ডিয়ান - THE p53!</div>
<div dir="ltr">
এই p53র দুইটি হাত। এক হাত থাকে পকেটে। পকেটে কী থাকে সেটা পরে বলছি। <br />
আরেক হাতে থাকে লাঠি। এই লাঠি নিয়ে সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। সুস্থ মা কোষ বাচ্চা তৈরি করার প্রস্তুতি নিলে p53 কিছুই করেনা। সে মা'কে তার কাজ করতে দেয়। <br />
কিন্তু... যখনই একটা একটা অসুস্থ ডিএনএ-ওয়ালা মা কোষ নতুন কোষ তৈরির প্রস্তুতি নেয় তখনই মাঠে নামে আমাদের p53। প্রায় আক্ষরীক অর্থেই p53 লাঠি দিয়ে অসুস্থ মা কোষকে পেটানো শুরু করে। আর বলতে থাকে, 'এত বড় সাহস! নষ্ট ডিএনএ নিয়ে এসেছো বাচ্চাকাচ্চা ফুটাতে? যাও ডিএনএ ঠিক করে তারপর আসো।'</div>
<div dir="ltr">
মা কোষটি যতোবার ডিএনএ ঠিক না করে নতুন কোষ তৈরি করতে আসবে ততবারই p53 তাকে পিটিয়ে বাড়ি পাঠাবে। ডিএনএ ঠিক করে আসলে তবেই সে এলাউ করবে - ওকে ফাইন, তুমি এবার বংশ বৃদ্ধি করতে পারো।</div>
<div dir="ltr">
কিন্তু এমন যদি হয় - ডিএনএ-তে এতো বেশি গন্ডোগোল যে মা কোষ আর তার ডিএনএকে কোনোভাবেই ঠিক করতে পারছেনা সেক্ষেত্রে p53 কী করে?<br />
আগেই বলেছি p53-র এক হাত থাকে পকেটে। ঐ হাতে আসলে ধরা থাকে একটি পিস্তল। <br />
এক্ষেত্রে p53 আর লাঠি দিয়ে পেটায় না। সে পকেট থেকে তার পিস্তলটা বের করে। পিস্তলটা মা কোষের হাতে দেয়। দিয়ে বলে, 'তোমার আর এ নষ্ট জীবন রেখে কী হবে? তুমি বরং আত্মহত্যা করো।'<br />
মা কোষ বাধ্য মেয়ের মতো p53-র কথা শুনে। সে নিজের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে এবং মরে যায়। এই প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে এপোপটোসিস।</div>
<div dir="ltr">
এই হচ্ছে p53-র জাদু। </div>
<div dir="ltr">
যদি কোনো কারণে আপনার p53 নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা অনেকগুন বেড়ে যাবে। হয়ও তাই। প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্যানসারে দেখা যায় p53-র মিউটেশন হয়ে গেছে এবং সে লাঠিও তৈরি করতে পারছেনা, বন্দুকও তৈরি করতে পারছেনা। </div>
<div dir="ltr">
আজ থেকে ঠিক ৩৭ বছর আগের এই দিনে স্যার ডেভিড লেইন তার গবেষণাটি লিখেছিলেন : p53-গার্ডিয়ান অব জিনোম</div>
<div dir="ltr">
#পাই_ডে আছে, #p53_ডে থাকাও দরকার ছিলো। জিনিসটা সুইট। খুবই সুইট। সাংঘাতিক সুইট।</div>
</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-88794472564531456122016-02-22T23:09:00.001+06:002016-02-23T00:34:08.374+06:00তারা বাতাস খেয়ে বেঁচে থাকেন...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<i><span style="font-size: x-large;">এ</span>মবিবিএস</i> শেষ করার পর একজন ডাক্তারের সম্ভাব্য গন্তব্য হতে পারে কয়েকটি -<br /><br /><span style="font-size: large;"><b>১.</b></span> <br />দুনিয়াদারী ছেড়ে দিয়ে গ্রামে চলে যাওয়া। একটা ফার্মেসির পেছনের নোংরা ঘরে আরএফএল চেয়ার নিয়ে বসে পড়া। তিন মাসের কোর্স করা 'বিশেষজ্ঞ ডাক্তার'দের সাথে প্রতিযোগীতা করে দিনে ৪/৫টি রোগী দেখা। সন্ধ্যা হলে পকেটে ২৫০ টাকা আর ডান হাতে সবজীর ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফেরা।<br />২৫ বছর পর দরীদ্র বউ ছেলে-মেয়েকে রেখে কৈশোরে দেখা রঙিন সব স্বপ্নকে সাথে নিয়ে কবরে শুয়ে পড়া।<a name='more'></a><span style="font-size: large;"><br />২.</span><br />নামের নিচে 'বিসিএস (স্বাস্থ্য)' নামক কথাটি জুড়ে দিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করা। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত মার খেয়ে হলেও এই যাত্রা কিছুটা নিরাপদ। <br /><br /><span style="font-size: large;">৩.</span><br />কিন্তু ধরুন আপনার সেই 'সৌভাগ্য' নেই। বছরে দেড়শ বিসিএসওয়ালা হওয়ার যোগ্যতা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দেননি। সিয়েরালিওনের রাজার বউ-এর নাম মুখস্থ করার ক্ষমতা আপনার নেই। <br />কিন্তু আপনার বেয়াদব মন 'বড় ডাক্তার' হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আপনার ইচ্ছে করে, বয়স যখন ৪০ হবে তখন নামের নিচে FCPS, MD টাইপের কিছু অক্ষর জ্বল জ্বল করবে। <br />তাহলে আপনার উপায় কী? আপনার গন্তব্য হতে হবে এরকম -<br /><br />ক)<br /><u>FCPS :</u><br />
<u> </u><br />* দিনে ২১ ঘন্টা পড়াশোনা করে আপনি পার্ট ওয়ান পাশ করবেন। বলা ভালো - এডমিশন টেস্টে টিকবেন। হাজার দুএক থেকে ৫০/৬০ জন টিকে থাকেন সাধারণত। ধরে নিলাম আপনার অলৌকীক মেধার জোরে টিকলেন।<br /><br />* তারপর? কোর্স তো কমপ্লিট করতে হবে। এজন্য আপনাকে ট্রেইনিং করতে হবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।<br /><br />* আপনাকে সপ্তায় ৬ দিন সকাল-বিকাল-রাত গাধার মতো খাটতে হবে হাসপাতালে। সবচেয়ে মজার বিষয়টা হচ্ছে এজন্য আপনাকে দেয়া হবেনা একটা সিকি পয়সাও! আরো মজার বিষয় হচ্ছে সন্ধ্যা হলে বাচ্চাদের মতো পড়তেও বসতে হবে আবার!!<br /><br />* আপনার বয়স তখন হয়তো ২৭, ২৮ অথবা ২৯। বিয়ে করার সময় এসে গেছে। মায়ের ইনসুলিন লাগে। বাবার হার্টের ওষুধ লাগে। বোনের একটা মোবাইল কেনার শখ। <br />...ছেলে ডাক্তার। সবাই আশা করে বসে আছে পরিবারে কিছু টাকা পয়সা দিবেন। <br /><br />* কিন্তু আপনাকেই প্রতিদিন এখনো টাকা আনতে হয় বাবার কাছ থেকে। আপনার মাথা নিচু হয়ে যায় তারপরেও টাকাটা ভরতে হয় মানিব্যাগে। <br /><br />* আপনার অন্য পেশার বন্ধুদের মাইনে তখন ৬ অংকের। এসি গাড়িতে করে তারা অফিসে যায়। বিকেল হলে বউ বাচ্চা নিয়ে শপিং শেষে স্টার সিনেপ্লেক্সে একটা মুভি দেখে বাসায় ফিরে। পথে তাদের সাথে দেখা হলে আপনি এড়িয়ে যান। বন্ধুর ফুটফুটে বাচ্চাকে দেখে আপনার হয়তো মনও খারাপ হয়।<br /><br />* মেঘে মেঘে বেলা কম হয়নি। চুলে পাক ধরবে। এখনো কোনো আয় রোজগার নেই। শৈশব-কৈশোরে মানব সেবা করে টাকা পয়সা কামানোর যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি প্রতিরাতে এসে ছোবল মেরে যায়। আপনি যদি বাবা মার সব সঞ্চয় দিয়ে বেসরকারী মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে থাকেন তাহলে রাতগুলো আরো কঠিন হওয়ার কথা।<br /><br />* একটা সময়ে এসে সিদ্ধান্ত নেয়াটা কঠিন হয়ে যায়। মায়ের ইনসুলিন নাকি নিজের নামের নিচে FCPS?<br />দোটানায় ভুগতে ভুগতে এক সময় হয়তো FCPS যুক্ত হয় নামের নিচে। আপনি হয়ে যান.৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে 'কুত্তার বাচ্চা কসাই' গালি শোনার যোগ্য ডাক্তার।<br /><br />* বিনিময়ে বয়স তখন ৩৮/৩৯ অথবা ৪০। মা বাবা দুজনেই মারা গেছেন। ছেলে বড় ডাক্তার হয়েছে দেখার আগেই চলে গেছেন তারা। <br /><br />* আপনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। চেম্বার 'জমাতে জমাতে' বয়স ৪৫।<br />তারপর... আপনার ভাগে পাওয়া গড় আয়ূর বাকি ১৫/২০ দ্রুত শেষ করার অপেক্ষা।<br /><br />খ.<br /><u>MD/MS</u><br /><br />* তুলনামূলকভাবে লোভনীয়। তবে আরো কঠিন। এবারও ধরে নিলাম আপনি অলৌকীক মেধার অধিকারী। আপনার সাবজেক্টের জন্য বরাদ্দ ৮/১০/১৫ টি সিটের মধ্যে একটাতে টিকে গেলেন। স্বপ্নের বিষয়ে পড়ার জন্য নিজের শহর ছেড়ে পাড়ি দিলেন অন্য শহরে।<br /><br />* দিন-রাত খাটুনী। তবে এই ভাগ্যবানদের জন্য সম্মানীর ব্যাবস্থা আছে। মাস শেষে ১০ হাজাআআআর টাকা! <br /><br />* খুব আনন্দিত? ১০ হাজার টাকা দিয়ে অচেনা শহরে মাস কাটিয়ে দিতে পারবেন? প্রতি মাসে কিছু টাকা বাঁচিয়ে বাসায়ও পাঠিয়ে দেবেন? <br />...হুহ! থামুন। এই ১০ হাজার টাকা নিয়েও গন্ডগোল আছে। প্রতিবছর এটা নিয়ে টানাটানি হয়। সম্ভবত এটাও উঠে যাবে। উলটা আপনাকেই ভর্তি হতে দিতে হবে ৭০ হাজার টাকা।<br /><br />মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী,<br />আপনি কিছুদিন আগে বলেছিলেন - 'তরুন চিকিৎসকদের বিশেষজ্ঞ হওয়ার আগ্রহ কম।'<br /><br />প্রিয় মন্ত্রী, <br />আপনি কি কখনো এই ২৮/২৯/৩০ বছর বয়েসী ছেলেমেয়েগুলোর কথা ভাবেন? এই বয়সের একটা রক্ত মাংসের মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কী কী দরকার চিন্তা করেন?<br />ফাঁকা পকেট নিয়ে অমানুষিক খেটে একটি 'সামাজিক জীব' কী করে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ১০/১২ টি বছর কাটিয়ে দেয়, কখনো খোঁজ নিয়েছেন?<br /><br />প্রতিবছর সরকারী চাকুরেদের বেতন বাড়ে। খেলোয়াড়রা ম্যাচ জিতলে সরকার থেকে কোটি টাকা দিয়ে দেয়া হয়। প্রতিবছর বাজেট দিগুন হয়। নিজেরাই বানিয়ে ফেলি পদ্মাসেতু।<br />'অনারারি' অথবা 'রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার' নামক যে প্রাণীগুলো দিনরাত খেটে হাসপাতালগুলো সচল রাখছে তাদেরকে সত্যিকার অর্থে একটু 'অনার' দিলে কি খুব বেশি টাকা অপচয় হয়ে যাবে সরকারের?<br /><br />প্রতিটি পেশার মানুষের অভিভাবক থাকেন। আমার সন্দেহ ভুল না হলে আপনি মনে হয় ডাক্তারদের অভিভাবক। এদের ভালো মন্দ দেখার দায়ীত্ব মনে হয় আপনারই।<br />বলেছিলেন, 'ডাক্তারদের শাষণের উপর রাখবেন।'<br />
আপত্তি নেই। তার আগে সম্ভব হলে পেটে ভাত দেয়ার ব্যাবস্থা করে দিবেন একটু। ভালো থাকুন।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-64655877402015481592016-02-13T01:57:00.007+06:002016-02-13T10:39:13.192+06:00গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ বিষয়ক...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="t">
<span style="font-size: x-large;">বি</span>জ্ঞানের জগতে একটি সাংঘাতিক ঘটনা ঘটে গেছে। 'গ্র্যাভিটেশনাল<wbr></wbr><span class="word_break"></span> ওয়েভ' আবিষ্কৃত হয়েছে। <br />
কিন্তু জিনিসটা একটু কঠিন হওয়ায় ফেসবুকবাসী এটা বুঝতে পারছেন না এবং এটা নিয়ে 'হিট' লেখার জন্ম দিতে পারছেন না। <br />
গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ নিয়ে কীভাবে হিট লেখা লিখবেন এটা জানাতেই এই স্ট্যাটাসের অবতারণা -<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
<u><b>পদ্ধতি ১ - গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ + দেশপ্রেম</b></u><br />
দেশপ্রেমের সাথে গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের কঠিন এক প্যাচ দিয়ে দেন। দেখবেন ভালো একটা বস্তু দাঁড়িয়ে গেছে।<br />
<b>নমুনা- </b><br />
আবিষ্কার হয়ে গেলো গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ।<br />
আমাদেরও স্বপ্ন ছিলো একটি স্বাধীন দেশ, স্বাধীন মাটি, স্বাধীন মানচিত্র,
স্বাধীন সবুজ মাঠ। সেই সবুজ মাঠে শুয়ে আমরা বাংলার নীলাকাশের দিকে তাকিয়ে
থাকবো। নীল আকাশ দিয়ে ঝাকে ঝাকে পাখি উড়ে যাবে পাখি, পাখির ফাঁক দিয়ে দেখা
যাবে অনন্ত নক্ষত্র বীথি। সেই নক্ষত্র বীথির মধ্যে দেখা যাবে
গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। আমাদের গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ। সে ওয়েভে আমরা রোজ ঘুরতে
যাবো।<br />
এই স্বপ্ন কি বেশি কিছু ছিলো? না ছিলোনা। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে আমরা ব্যার্থ হয়েছি। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আজ অন্য দেশের।<br />
সময় এসেছে নিজেদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করার - কেন ১৬ কোটি
মানুষের ৩০ কোটি হাত দিয়ে আমরা গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিষ্কার করতে পারলাম
না? কেন? <br />
আমরা কি পারিনা চিৎকার করে বলতে, 'ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও আমাদের গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ।'<br />
আসুন, হাতে হাত রাখি, আরেকবার দেখিয়ে দেই, আমরাও পারি।<br />
<br />
<u><b>পদ্ধতি ২ - গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ + মিডলক্লাস সেন্টিমেন্ট</b></u><br />
মধ্যবিত্ত জীবন নিয়ে আবেগ মেশানো লেখা ইদানিং ফেসবুকে খুব চলছে। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভের সাথে এই জিনিস মিশিয়ে ট্রাই করতে পারেন।<br />
<b>নমুনা - </b><br />
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেগুলো খুব শক্ত হয়। বাবার ঘামে ভেজা পয়সা, মায়ের হাড়
ভাঙ্গা পরিশ্রমের টাকায় সংসার চলেনা। বই কেনার টাকা কোথায়? বাধ্য হয়ে বেছে
নিতে হয় টিউশনির পথ। <br />
যে বিকেলে ঘুমানোর কথা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা
দেয়ার কথা সেই বিকেলে মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেটি রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে হেটে যায়
ছাত্রের বাড়িতে। দুটো বিস্কুট আর এক কাপ চা খেয়ে নতমুখে পড়ায় তার ছাত্রকে।
স্বপ্ন একটাই - মাস শেষে ১৫০০ টাকা হাতে আসবে। সেই টাকা দিয়ে পদার্থ
বিজ্ঞানের বই কিনবে। বই কিনে পড়ালেখা করে একদিন গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ
আবিষ্কার করবে।<br />
কিন্তু সেই স্বপ্নে হানা দেয় জীবন বাস্তবতা। মধ্যবিত্ত
ঘরের ছেলেটির ইন্টারনেট লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ১৫০০ টি টাকা চলে যায়
গ্রামীনফোন ইন্টারনেটের বিল দিতে। বই আর কেনা হয়না। গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ
আবিষ্কারের স্বপ্ন বন্দি হয়ে যায় গ্রামীনফোন নামক বিদেশী বেনিয়ার শুভ্র
পকেটে।<br />
আর কতকাল মধ্যবিত্তদের গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিষ্কারের স্বপ্নে হানা দেবে বিদেশী বেনিয়ারা?<br />
<br />
<u><b>পদ্ধতি ৩ - গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ + প্রেম/ভালোবাসা</b></u><br />
এটাও ইদানিং খুব চলছে। ট্রাই করে দেখতে পারেন।<br />
<b>নমুনা - </b><br />
যে ছেলেটি সারাদিন হাসি ঠাট্টা করে বেড়ায় তারও একটি দুঃখ আছে। যে মেয়েটি
চোখে কাজল দিয়ে বান্ধবীদের সাথে হ্যাং-আউট-এ বের হয় তারও একান্ত নিজের কিছু
ব্যাথা আছে। <br />
রোজ রাতে ছেলেটি কাঁদে, রোজ রাতে মেয়েটি বালিশ ভেজায়। নাহলে তারাও গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিষ্কার কইরা উলটায় ফালাইতো।<br />
<br />
<u><b>পদ্ধতি ৪ - গ্র্যাভিটেশন ওয়েভ + আশার বানী</b></u><br />
মানুষ আশার বানী শুনতে চায়। গ্র্যাভিটেশন ওয়েভের সাথে দেশ, সমাজ,
অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ক কিছু আশার বানী মিক্স করে দেখতে পারেন।<br />
<b>নমুনা -</b><br />
বিশ্বব্যাংকের সহযোগীতা ছাড়াই আমেরিকা বানিয়ে ফেললো গ্র্যাভিটেশন ওয়েভ।
অন্যদিকে আমরা বিশ্বব্যাংকের সহযোগীতা ছাড়াই বানিয়ে ফেললাম পদ্মাসেতু। এর
থেকে এটা পরিষ্কার যে বড় কিছু করতে হলে বড় কারো সহযোগীতা লাগেনা। নিজেরা
নিজেরাই করা যায়।<br />
যেমন ধরুন বিসিএস। বিসিএস ভাইবায় বড় কারো সহযোগীতা লাগেনা। পড়ালেখা করলে নিজেই পারা যায়। আমি যখন...</div>
</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-36222449876196225182016-01-08T21:50:00.004+06:002016-01-08T21:50:48.563+06:00ডোন্ট ট্রাই দিস অ্যাট হোম<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">প্র</span>থমে ভরাট করলাম ১২৫টি বৃত্ত। এর মধ্যে ৮০/৮৫টা প্রায় শিউর। বাকিগুলো ফিফটি ফিফটি।<br />ঘড়িতে তখন ১০টা বেজে ৩০ মিনিট। হাতে পাক্কা ১ ঘন্টা।<br />আমি মাথা ঘুরিয়ে পুরো হলের দিকে তাকালাম। দেখলাম সবাই মনযোগ দিয়ে বৃত্ত ভরাট করছে।<br /><br />সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে আর আপনি চোখ বড় করে বসে আছেন, এর অর্থ হতে পারে দুইটি -<br />১. আপনি সব পারেন এবং আপনার পরীক্ষা শেষ<br />২. আপনি কিছুই পারেননা এবং লেখার কিছুই পাচ্ছেনা।<br />
<a name='more'></a><br />পাশে বসেছিলো এক মেধাবী চেহারার মেয়ে। আমার চাহনী সে দেখে ফিশফিশ করে জিজ্ঞেস করলো, 'আপনার পরীক্ষা শেষ!?'<br /><br />প্রশ্নের ধরণ দেখেই বুঝে গেলাম এই মেয়ে ধরে নিয়েছে আমি দুই নম্বর ক্যাটাগরির মাল - কিছুই পারিনা এবং লেখার কিছুই পাচ্ছিনা।<br /><br />এতবড় অপবাদ মেনে নেয়া যায়না।<br />আমি গম্ভীর গলায় তাকে যে জবাব দিলাম - 'আরে নাহ, সবই তো বাকি।'<br />চেহারায় যে ভাব ফুটিয়ে তুললাম - 'হাউ ফানি! বিসিএস কি ফাইজলামী নাকি? কী ঘোড়ার ডিম জানো বিসিএস-এর? এখনো তো সবই বাকি। তোমার পরীক্ষা তুমি দাও। ডোণ্ট ডিশটাব মি।'<br /><br />এক ঘন্টা কী করা যায়?<br />একটা অংক এসেছে এরকম ১+৫+৯+......+৮১=?<br />এর উত্তর আপনি দুইভাবে বের করতে পারেন।<br />১. সূত্র দিয়ে<br />২. সবগুলা সংখ্যা বের করে খাতায় বসিয়ে তারপর যোগ করে।<br /><br />প্রথম উপায়টা সহজ, ১০ সেকেন্ডসদের মামলা।<br />কিন্তু সূত্রই তো পারিনা। শেষবার অংক করেছি ৭ বচ্ছর আগে।<br />বাধ্য হয়ে দ্বিতীয় উপয়টাই বেছে নিলাম। পুরা প্রশ্নপত্র জুড়ে 'রাফ' করলাম এবং উত্তর বের করলাম। এক মার্কের জন্য লাগলো ১৫/২০ মিনিট।<br /><br />ঘড়িতে তখনও সময় বাকি ৪০ মিনিট। উত্তর পত্রে বৃত্ত বাকি ৮০টা।<br /><br />নিজেকে অসহায় লাগলো। সবাই নিশ্চয়ই বৃত্ত ভরাট করে শেষ করে ফেলছে। আর আমি ৮০টা খালি মাল নিয়ে বসে আছি! এ হতেই পারেনা।<br />তাছাড়া উত্তরপত্রটা দেখতেও খুব একটা ভাল্লাগছেনা। কেমন যেনো অগোছালো।<br />এটাকে গোছানোর দায়ীত্ব নিলাম। বৃত্ত ভরাট করে এটাকে একটা 'শেপ'এ আনার চেষ্টা করলাম। একটার 'ক' ভরাট করলে ঠিক পরেরটার করলাম 'খ'। তারপরেরটার 'গ'। এরপর 'ঘ'। এভাবে চলতে থাকলো।<br />কিছুক্ষণ পর আমার উত্তর পত্রটা দাঁড়ালো অনেকটা ওয়াটসন ও ক্রিকের ডিএনএ মডেলের মতো।<br /><br />আমার উত্তর পত্র দেখে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।<br /><br />ঘন্টা বাজলো। পরীক্ষক আসলেন এবং ডিএনএ'র মডেল নিয়ে গেলেন। আমার বিসিএস শেষ হয়ে গেলো।<br /><br />#বিসিএস_বিলাস<br />#ডোন্ট_ট্রাই_দিস_অ্যাট_হোম<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-29702795144821649592015-11-17T18:12:00.002+06:002015-11-17T18:12:25.504+06:00যে কারণে আমি আমার মেয়ে বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করিনা <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">১</span>৭ বছর বয়সে ১৮+ লেখালেখি করে আমি তখন রীতিমতো বিখ্যাত ব্লগার। মানুষ ইনবক্সে নক দিয়ে বলে, 'ভাইয়া, আপনার লেখা ভালো লাগে'। আমি মেসেজ পড়ি, আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে।<br />অনেকে ফোনও দেয়। দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আমার সাথে কঠিন আলাপ আলোচনা করে, আমার মূল্যবান মতামত নেয়।<br />... এভাবেই যাচ্ছিলো দিন।<br />
<a name='more'></a><br />... হঠাৎ একদিন একটা মেসেজ আসলো। পাঠিয়েছেন এক সুন্দরী। মেসেজে তিনি লিখেছেন - 'ভাইয়া, আপনার সাথে দেখা করবো। আমি সিলেট এসেছি।'<br />মেসেজ পড়ে ঝাকুনী খেলাম। আমার সাথে দেখা করবে! আমার সাথে!! ওএমজি!!!<br />পালটা মেসেজে বললাম 'অবশ্যই, চলে আসুন।'<br />তিনি প্রশ্ন করলেন, 'কোথায় আসবো?'<br />আমি বললাম, 'জিন্দাবাজার আসেন। উন্দালে বসে দুমুঠো খাওয়াদাওয়া করবোনে।'<br />তিনি বললেন 'আচ্ছা। ৫ টার দিকে আসবো।'<br /><br />ঐদিন দুপুরে ঘুম এলোনা। ৪টার সময়ই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। ঠিক সাড়ে চারটায় তিনি ফোন দিলেন। 'ভাইয়া, আমি তো উন্দাল রেস্টুরেন্ট চিনিনা। আমি 'রোজ ভিউ' চিনি। ওখানে চলে এসেছি। আপনিও চলে আসুন।'<br /><br />শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। রোজ ভিউ!<br /><br />রোজ ভিউ হচ্ছে সিলেটের সবচেয়ে দামী রেস্টুরেন্ট। এখানে রিশাদ ভাই শখ করে একটা পাবদা মাছ খেয়েছিলেন, বিল এসেছিলো ২৩০০ টাকা!<br />আমি একজন দরীদ্র মেধাবী। পকেটে আছে সর্বসাকূল্যে ৫/৬শ টাকা। এই সল্প সময়ে কারো কাছ থেকে টেকাটুকা আনবো সে উপায়ও নেই। এই মেয়েকে আমি রোজ ভিউতে খাওয়াবো কীভাবে? হাউ?<br /><br />আল্লাহর নাম নিয়ে রোজ ভিউর পঞ্চম তলায় চলে গেলাম।<br />গিয়ে দেখি মেয়ে বসে আছে এবং আগেই খাবার অর্ডার করে ফেলেছে। মেয়ে প্রচুর কথাটথা বললো। আমি ইয়া নফসি পড়তে পড়তে হ্যাঁ হু বলে গেলাম। আর ভাবতে লাগলাম কীভাবে ইজ্জত বাঁচানো যায়!<br /><br />কায়দা করে জানতে পারলাম মেয়ে আমার সমবয়সী। এটা জানার পর আমি মনে হয় আমার জীবনের সেরা চালটি চাললাম। আমার বয়স ফট করে ১ বছর কমিয়ে দিলাম। হাসি হাসি মুখ করে বললাম, 'আপনি তো আমার বোনের মতো, আমাকে তুমি করে বলতে পারেন। তাছাড়া আমার বড় বোন টোনও নেই।'<br />মেয়ে আমার কথা বিশ্বাস করলো। না করার কারণও নেই। আমার চেহারায় একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে - মুরব্বীরা বলেন।<br /><br />ওয়েটার বিল দিলো। তারপর আমি মান ইজ্জত নিয়ে আমার জীবনের দ্বিতীয় বড় জুয়াটা খেললাম। এমন একটা ভাব দেখালাম যে মেয়েকে আমি বিল দিতে দিবোই না।... 'প্লিজ আমাকে বিল দিতে দিন। হতে পারেন আপনি আমার বড়, হতে পারি আমি ছোট ভাই, কিন্তু সিলেটে আপনি আমার গেস্ট। আজকে আমিই বিল দেবো। প্লিজ বাধা দিবেন না।' (মনে মনে চাচ্ছিলাম, আল্লাহ... বিলটা মেয়েই দিক।)<br /><br />আল্লাহ আমার কথা শুনলেন। আমার চাপাচাপিতে মেয়ের মন গললোনা। বিলটা শেষ পর্যন্ত সে-ই দিলো। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।<br /><br />এই ঘটনার পর থেকে আমি আমার মেয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করিনা। কারণ এরা উন্দাল চিনেনা, যার কারণে সমবয়সী সুন্দরী মেয়েদেরকেও আমার বোন বানিয়ে দিতে হয়।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-38717929749150216392015-11-17T18:11:00.000+06:002015-11-17T18:11:10.273+06:00লুকিং ফর রাহাত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">মি</span>লিনিয়াম শপিং সিটির সামনের ফুটপাতে বসে ছিলাম আমি আর শুভ্র। আলো আধারীর মধ্যে বসে আমরা ব্যস্ত সিলেটকে দেখছিলাম।<br /><br />ঘড়িতে তখন আটটা বেজে ৪০ মিনিট।<br />আমাদের সামনে এসে একটা রিক্সা থামলো। রিক্সা থেকে নামলো এক সুন্দরী মেয়ে। হুমায়ূন আহমদের ভাষায় 'মাথা আউলা করে দেয়া রুপবতী'। জীবনানন্দের ভাষায় 'রাঙা রাজকন্যা'।<br />
<a name='more'></a>আমরা তাকিয়ে থাকলাম, মেয়ে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে রিক্সা ভাড়া দিলো।<br />তারপরের ঘটনাগুলো ঘটে গেলো খুব দ্রুত। মেয়ে চোখ মোটা মোটা করে আমার দিকে তাকালো। আমি লজ্জায় চোখ নামিয়ে ফেললাম। মেয়েদের চোখের দিকে তাকাতে আমার অস্বস্থি হয়।<br />আড় চোখে দেখলাম, মেয়ে আমার দিকেই আসছে। আমি নড়েচড়ে বসলাম।<br />মেয়ে সত্যি সত্যি আমার সামনে এসে থামলো। আমি মাথা উচু করে তাকালাম।<br />মেয়ে উচ্ছ্বাসভরা গলা নিয়ে বললো, 'ও মাই গড, ও মাই গড! আপনি রা... ...'<br /><br />এতটুকু বলার পর আমার সময় থমকে গেলো। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী নামক গ্রহের ঘুর্ণন মনে হলো থেমে গেছে কিছুক্ষণের জন্য। মনে হলো পৃথিবীতে কোনো ঘড়ি নেই, কোনো সময় নেই।<br /><br />মেয়ের পরের কথাগুলো কী হবে নিজে নিজেই ভেবে নিলাম... ভাবনাগুলো নিম্নরূপ -<br /><br />১. 'ও মাই গড, আপনি রাজি না? আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা। দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আপনার ভাবনাগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে আছি সেই কবে থেকে।'<br /><br />২. 'ও মাই গড, আপনি রাজি না? আপনাকেই আমি খুজছিলাম। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনি রাস্তায় বসে আছেন?'<br /><br />৩. 'ও মাই গড, আপনি রাজি না? আপনার মতো বুদ্ধিজীবি মানুষ মিলিনিয়ামের সামনে ফুটপাতে বসে আছে? কেমনে ম্যান? এও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে?'<br /><br />৪. 'ও মাই গড, আপনি রাজি না? ও মাই গড। আপনার সাথে দুমুঠো সেলফি তুলবো বলে হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছি। সেলফি আপনাকে তুলতেই হবে ভাইয়া।'<br /><br />৫. 'ও মাই গড, আপনি রাজি না? আপনার লেখা পড়ে আমার হৃদয় হুহু করে কেঁদে উঠে। এখন হৃদয় মুছে দিন।'<br /><br />... মেয়ে এসবের কিছুই বললোনা। বললো, 'ও মাই গড আপনি রাহাত না?'<br />প্রশ্নের উত্তর মেয়েই দিলো - 'না না, সরি। কিছু মনে করবেন না। আমি ভেবেছিলাম আপনি রাহাত। আচ্ছা, আসি।'<br /><br />আমার পৃথিবী আবার থমকে গেলো। মনে হলো বসা থেকে উঠে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে উঠি -<br /><br />১. 'অবশ্যই আমি রাহাত। আমার চৌদ্দ গোষ্ঠীর নাম রাহাত। আমার বাবার নাম রাহাত, দাদার নাম রাহাত। আমরা সিলেটের সম্ভ্রান্ত রাহাত বংশের লোক।'<br /><br />২. 'ফাইজলামী নাকি? আপনার বন্ধুকে আপনি আমার থেকে বেশি চিনেন? অবশ্যই আমি আপনার ছোটবেলায় মেলায় হারিয়ে যাওয়া বন্ধু রাহাত।'<br /><br />৩. 'আমি রাহাত না হলে আজকে আপনার খবর আছে। আপনাকে মানতেই হবে আমি রাহাত। আমি পৃথিবীর একমাত্র রাহাত। আমার কোথাও কোনো শাখা নেই।'<br /><br />৪. 'হতে পারি আমি রাহাত না। ওকে ফাইন... কিন্তু আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি রাহাত। মোহাম্মদ রাহাতুদ্দিন রাহাত। নাম পালটে ফেললাম। কালকেই আইনি প্রক্রিয়া সেরে ফেলবো। এখন বলুন কী চান...'<br /><br />... কিছুই বলা হলোনা। মেয়ে হন হন করে চলে গেলো।<br />আমি রাস্তার পাশের সোডিয়াম লাইটের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর সব রাহাতকে হিংসা করতে লাগলাম।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-42254289002678457812015-05-13T12:05:00.002+06:002015-05-13T12:05:50.943+06:00এই চেহারা লইয়া আমি কী করিব?<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">চে</span>হারা নিয়ে খুব বিপদে আছি। আগেও ছিলাম।<br /><br />তখন আমি ১৭ বছর বয়সে ১৮+ ব্লগিং করতাম। আমার ব্লগে শোভা পেতো দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে কঠিন সব চিন্তা-ভাবনা। সেগুলো দেখে মানুষ কী ভাবতো আল্লাহই জানেন!<br /><br />ফেইসবুকে অনেকেই মেসেজ পাঠাতেন - 'আপনার লেখা খুব ভালো (!)। এড করবেন?'<br />
<a name='more'></a><br />এড করতাম।<br />তাঁরা এড হয়ে আমার প্রোফাইল ঘেটে আবার মেসেজ দিতেন, 'তুমি তো পিচ্চি পোলা। যাও পড়তে যাও। ব্লগে কী করো?'<br /><br />আপুরাও মেসেজ পাঠাতেন। আমার তখন বয়স কম। খুশিতে আটখানা হয়ে তাঁদেরকে এড করতাম।<br />তারপর তাঁরা মেসেজ দিতেন, 'আমার ৫ বছরের ছোট বোনও তোমার সাথে পড়ে। পরিচিত হয়ে ভালো লাগলো, ছোট ভাই। "বড় হয়ে" তুমি অনেক বড় হও। দোয়া করি।'<br /><br />আমি বিরস বদনে রিপ্লাই দিতাম, 'ওকে। বড় হবো। ধন্যবাদ।'<br /><br />ব্যাথায় জর্জরিত হয়ে ফেইসবুক থেকে বার্থ ইয়ার, প্রোফাইল পিকচার সব সরিয়ে দিয়েছি। এই চেহারা রাখার কোনো মানেই হয়না।<br /><br />তাও রক্ষা নেই। সর্বশেষ বেইজ্জতিটা ঘটে গেছে অফলাইনে।<br /><br />সিএনজিতে উঠেছি। আমার পাশের সিটে এসে বসেছে থার্ড ইয়ারের এক ছোট ভাই। আমার চেয়ে পাক্কা তিন বছরের জুনিয়র। জুনিয়রের সাথে সিএনজিতে উঠলে তাঁর ভাড়া দিয়ে দেয়াটাই নিয়ম। ভাবলাম, সিএনজি থেকে নামার সময় ভাড়া দিয়ে দেবো।<br /><br />সিএনজি থামলো। আমরা দুইজন নামলাম। আমি ভাড়া দিতে মানি ব্যাগে হাত দিয়েছি, সাথে সাথে জুনিয়রটা আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'চলে যাও। আমি দিচ্ছি।'<br />আমি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। সে আবার আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'আরে রাখো। জুনিয়ররা ভাড়া দেয় নাকি? তুমি যাও তো!'<br /><br />সে ভাড়া দিয়ে হনহন করে চলে গেলো। আমি বেক্কল হয়ে তাকিয়ে রইলাম।<br /><br />হায়!<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-90502611752635446142015-05-11T21:16:00.002+06:002015-05-11T21:40:59.267+06:00গাড়ি বিলাস এবং রাজনীতি বিলাস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">আ</span>মরা তখনও খড়ের ঘরে থাকি। পাকা ঘরবাড়ি বানানোটা খুব জরুরী। আম্মা প্রতিদিন আব্বার কানে বকবক করেন। আব্বা সেদিকে পাত্তা দেন না। তার কাছে 'বাড়ি'র চেয়ে 'গাড়ি' কেনা জরুরী মনে হলো।<br />
<br />
একদিন সন্ধ্যায় চা খেতে খেতেই সিদ্ধান্ত ফাইনাল হয়ে গেলো, আমরা গাড়ি কিনবো।<br />
আব্বা বললেন 'একটা গাড়ি না থাকলে কী আছে জীবনে?'<br />
আমরা তার কথা শুনে মাথা নাড়ালাম। বেশি মাথা নাড়ালেন মেজো চাচা। তার উৎসাহ সবচেয়ে বেশি। তিনি হাতে কিল মেরে বললেন, 'চমৎকার সিদ্ধান্ত। গাড়ি ছাড়া জীবনে কিছুই নাই।'<br />
<a name='more'></a><br />
নতুন গাড়ি কেনার টাকা নেই, সেকেন্ড হ্যান্ড কিনতে হবে। সিলেট শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে ফিরতে আব্বার প্রতিদিন এমনিতেই সন্ধ্যা হয়ে যেতো। গাড়ি প্রজেক্ট চালু হওয়ার পর দেরী আরো বাড়লো।<br />
আব্বা কোর্ট শেষে গাড়ির খোঁজখবর নিতে বের হোন, সাথে থাকেন মেজো চাচা। চাচা তার ডান হাত, বাম হাত সবকিছু। বাড়ি ফিরতে হয়ে যায় রাত ১১টা/১২টা।<br />
<br />
১০/১২ দিন চললো তুমুল খোঁজাখুঁজি। অবশেষে একটা গাড়ি পছন্দ হলো, দামে পোষালো, কেনাও হলো। ড্রাইভারও রাখা হলো একজন।<br />
<br />
কিন্তু ক্ষুদ্র একটা সমস্যা হয়ে গেলো।<br />
গাড়ি যে বাড়িতে আসবে রাস্তাটা কই? এই রাস্তা দিয়ে সপ্তাহে রিক্সাই চলে ৪/৫ টা। গাড়ি আসবে কীভাবে?<br />
আব্বার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২ কিলোমিটার রাস্তা কেটেকুটে গাড়ি চলার উপযুক্ত করা হলো। একদিন বিকালে সেই রাস্তা দিয়ে বাড়িতে গাড়িও চলে আসলো।<br />
<br />
সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। বাড়ি নেই, রাস্তা নেই, কিন্তু গাড়ি আছে।<br />
গাড়ি দেখার জন্য কয়েক'শ মানুষ বাড়িতে চলে আসলো। আশপাশের ছোটছোট ছেলেমেয়েদেরকে আমি গাড়ির কাছেও ঘেষতে দিলাম না। পৃথিবীর সব অহংকার নিয়ে আমি গাড়ি পাহারা দিতে শুরু করলাম। বন্ধুমহলে আমার পার্ট সার্ট কয়েকগুন বেড়ে গেলো।<br />
<br />
শুধু আমার না, পরিবারের সবার পার্টসার্টই বেড়ে গেলো। ঠাশঠুশ করে দরজা বন্ধ করি। ঘরের আয়নায় মুখ দেখিনা, গাড়ির আয়নায় দেখি। আমরা প্রায় প্রতিদিন বিকালেই গাড়িতে করে ঘুরতে চলে যাই। গাড়িতে বসার যায়গা আছে মোটে পাঁচজনের। আমরা বসতাম দশজন। এতে কষ্টের বদলে আনন্দই হতো বেশি।<br />
এখানে যাবো, ওখানে যাবো... গাড়ি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা বাড়তেই থাকলো।<br />
<br />
তখনও জানতাম না,আমাদের চেয়েও ভয়ংকর পরিকল্পনা ঘুরছিলো আব্বার মাথায়। একদিন সন্ধ্যায় আব্বা সবাইকে ডাকলেন। আমরা বসলাম।<br />
আব্বা বললেন, 'গাড়ি তো কিনলাম। এবার জনগনের জন্য কিছু করা উচিত। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চ্যায়ারম্যান পদে দাঁড়াবো। সবার সিদ্ধান্ত কী?'<br />
মেজো চাচা হাতে কিল মেরে বললেন, 'চমৎকার সিদ্ধান্ত। কাল থেকেই প্রচারণা শুরু। গাড়ি তো আছেই। যেখানে ইচ্ছা সেখানে চলে যাবো। জনগন ভোট না দিয়ে যাবে কই?'<br />
<br />
আব্বা চ্যায়ারম্যান পদে দাঁড়ালেন। পোস্টার ছাপানো হলো, মাইকের ব্যাবস্থা করা হলো, প্রচারণা শুরু হলো।<br />
সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। আমিও মাইকে আব্বার পক্ষে স্লোগান দিতাম, 'আমার ভাই, তোমার ভাই অমুক ভাই অমুক ভাই...'<br />
জমে উঠলো নির্বাচন। আব্বার জনসমর্থন তখন তুঙ্গে। সিলেটের ডাক পত্রিকায় কয়েকটা রিপোর্টও আসলো - 'মূল লড়াই হবে মোমবাতি আর চাকা মার্কার'। মোমবাতি ছিলো আব্বার প্রতীক।<br />
<br />
সেদিন ছিলো নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। আব্বা শেষ জনসভা করলেন।<br />
অন্যদিকে ঘটে গেলো একটি মজার ঘটনা। কুলা মার্কার প্রার্থী তার শেষ জনসভায় ঘোষণা দিয়ে দিলেন, 'মোমবাতি মার্কা তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, তাদের ভোট যেনো দেয়া হয় কুলা মার্কায়। তিনি আমাদের সাথে আছেন।'<br />
<br />
সংবাদের চেয়ে গুজব ছড়ায় দ্রুত। এই গুজবও ছড়িয়ে গেলো। আমাদের পক্ষ থেকে ট্যাকেল দেয়ার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু তখন প্রচারণা থেমে যাওয়ায় খুব একটা কাজ দিলোনা।<br />
আব্বা অল্প ব্যাবধানে হেরে গেলেন।<br />
<br />
তার কিছুদিন পর মেজো চাচা গাড়ি এক্সিডেন্ট করলেন। তারপর গাড়ি বিক্রি করে দেয়া হলো।<br />
<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-6512364389686168582015-05-03T15:13:00.002+06:002015-05-03T23:40:37.742+06:00যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙতো ঝড়ে...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">ক্লা</span>স এইট পর্যন্ত খড়ের ঘরেই থাকতাম। আমাদের বাড়িটি ছিলো বিশাল। চারটা ঘর। আমি থাকতাম উত্তরের ঘরটাতে। সাথে বাবা, মা এবং বোন।<br />
প্রতি শীতে ঘর ভেঙ্গে আবার ঘর বানানো হতো।<br />
ঘর বানানো মানে হচ্ছে বিশাল বড় উৎসব। এই উৎসবের জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকতাম সারাবছর।<br />
<br />
কয়েক মাইল দূর থেকে লম্বা লম্বা খড় এনে স্তুপ করে রাখা হতো।<br />
<a name='more'></a>খড় আনা শেষ হলে আনা হতো 'ইকড়'। ইকড় হচ্ছে গুল্ম ধরণের উদ্ভিদ। এটাও আনা হতো অনেক দূর থেকে।<br />
সবশেষে আনা হতো বাঁশ।<br />
<br />
সব উপকরণ আনার পর শুরু হতো ঘর বানানোর কাজ। তবে তার আগেও আনুষ্ঠানিকতা ছিলো। মিলাদের ব্যাবস্থা করা হতো ঐদিন সকালে। সিলেটি ভাষায় আমরা এটাকে বলি 'শিন্নি'। শিন্নি খাওয়া শেষ হতো, মাওলানারা দোয়া করতেন, 'হে আল্লাহ, এই ঘর শক্ত করে দাও, এই ঘরে রহমত আর বরকত বর্ষণ করো।'<br />
<br />
দোয়ার পর শুরু হতো ঘরের কাজ। আগের বছরের সব খড় ঘরের চালা থেকে খুলে ফেলা হতো প্রথমে। খোলা শেষ হলে শুরু হতো নতুন করে ঘরের চালা বানানো।<br />
সে এক অসাধারণ প্রক্রিয়া। উঠানে থাকতো ৫/৬ জন, ঘরের চালে থাকতো আরো ৫/৬ জন। উঠানে থাকা মানুষরা ছোট ছোট খড়ের আঁটি ছুড়ে দিতো চালার মানুষের কাছে। চালার মানুষ সেই আটিগুলো অসম্ভব দক্ষতায় ধরে ফেলতেন। আমি তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর মুগ্ধ হতাম। মনে মনে বলতাম, বড় হয়ে আমিও নিশ্চয়ই ধরতে পারবো।<br />
<br />
পুরো ঘর বানাতে লেগে যেতো ৩/৪ দিন। সেই তিন চারদিন আমরা ঐ ঘরেই থাকতাম। ঘরে চাল নেই, বেড়া নেই, তাও থাকতাম। হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে যেতাম।<br />
দাদী খুব দোয়া করতেন, এমন রাতে যেনো বৃষ্টি না আসে। আসলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।<br />
একবার খুব বৃষ্টি হলো এবং আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেলো। ঘরের চালে কিছু না থাকায় বৃষ্টির পানি এসে পড়লো ভিটাতে। সেবার অনেক ঝামেলা হয়েছিলো।<br />
<br />
ঘর বানানো শেষ হতো একটা সময়। সেই ঘরে আমরা নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে যেতাম।<br />
শীতের সময়টা কেটে যেতো ভালোই। সমস্যা দেখা দিতো হতো একটু বৃষ্টি হলেই। ৩/৪ দিন ধরে যত্ন করে বানানো ঘরের চালায় দেখা যেতো অনেকগুলো ফুটা রয়ে গেছে এবং সেই ফুটা দিয়ে বিছানায় অবিরত বৃষ্টির পানি আসছে। পানি সামলানোর দায় পড়তো আম্মার ঘাড়ে। তিনি রান্নাঘর থেকে হাড়ি পাতিল নিয়ে এসে চালার ফুটার নিচে রাখতেন। বৃষ্টি পড়তো পাতিলে, টুং টাং শব্দ হতো। মধুর সে শব্দ। আমরা হাড়ি পাতিলের মধ্যেই গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়তাম।<br />
<br />
সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হতো কালবৈশাখীর সময়। একটু বাতাস দিলেই বারান্দায় বেরিয়ে আসতে হবে এবং আজান দিতে হবে এটাই ছিলো নিয়ম।<br />
আমার শৈশবের সবচেয়ে আতংকের অভিজ্ঞতা হচ্ছে সেই রাতগুলো।<br />
উঠানে সারী সারী সুপারি গাছ ছিলো। ঝড় আসলে সুপারী গাছগুলোর মাথা বাঁকা হয়ে মাটিতে নেমে আসতো। বিজলি চমকাতো, বিজলীর আলোয় আমরা দেখতাম সুপারি গাছ বাকা হয়ে নেমে আসছে। গাছে যতো নিচে নেমে আসছে, ঝড় তত বেশি, তত জোরে আজান দিতে হবে।<br />
আমি বেশি ভয় পেতাম, আজানও দিতাম সবচেয়ে বেশি। ঝড় হতো বৈশাখের প্রায় প্রতিটি রাতেই। কিছুক্ষণ আজান দেয়ার পর গলা শুকিয়ে যেতো। কিছুক্ষণ থেমে আবার শুরু করতাম।<br />
<br />
ঝড় থামতো, সকাল আসতো। সকালের আলোয় দেখা যেতো আমাদের ঘরগুলো আর ঘর নেই, কংকাল হয়ে আছে। কোথাও খড় নেই, কোথাও বেড়া নেই। সারাদিন ঠিক করা হতো সেগুলো। পরের রাতে ঝড় এসে আবার কংকাল বানিয়ে দিতো সব।<br />
কালবৈশাখীর আক্রমনে আমাদের প্রতিবারই মন খারাপ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আমাদের মন খারাপ হতোনা। ঘর ভেঙ্গেছে - এটাও একধরণের উৎসব।<br />
আব্বা ঘর মেরামতকারীদের খবর দিতেন। আমাদের অনেকগুলো ছাগল ছিলো। সুখের অথবা দুঃখের যেকোনো ঘটনা ঘটলেই চাচাদেরকে আব্বা নির্দেশ দিতেন - ছাগল জবাই করে ফেল। <br />
মানুষ এসে ঘর ঠিক করতো আর উঠানের এক কোনে আব্বার নির্দেশে চলতো ছাগল রান্না করা আর খাওয়া দাওয়া। <br />
ঘর ঠিক হলে রাতে ঘুমাতে যেতাম। আম্মা এসে কিছুক্ষণ আব্বাকে গালাগালি করতেন - তোমার সংসারে এসে আমার এই অবস্থা, ঘুমাতেও পারিনা শান্তিমতো। এমন ঘর বানাও, যেনো খোলা আকাশ। কবে যে আমার একটু শান্তি হবে!<br />
আম্মার কথায় আব্বা পাত্তা দিতেন না। তিনি হেলান দিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর বই পড়তেন আর আবার ঝড়ের অপেক্ষা করতেন। সাথে আমিও।<br />
<br />
শৈশবকে মিস করি কিনা জানিনা। মনে হয় করিনা।<br />
তবে মাঝে মাঝে মন খারাপ করে দেয় সেই দিনগুলো, রাতগুলোও। মনে হয় সেইসব ঝড়ের রাতে ফেরত গিয়ে আব্বাকে জড়িয়ে ধরে আজান দিতে পারলে মনে হয় খারাপ হতোনা।</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-44350033998167239412015-03-15T21:43:00.005+06:002015-03-15T21:43:48.354+06:00লবন খেতে নোনতা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">ও</span>য়েটারকে ডাক দিয়ে বললাম, 'মামা, একটু লবন দেন তো!'<br /><br />আমার কথা শুনে ওয়েটারের চোয়াল ঝুলে পড়লো। মুখভঙ্গি দেখে মনে হলো, এরকম কথা সে জীবনেও শুনেনি।<br />পাশে বসা ছিলো তানিয়া ইসলাম। সশব্দে তার হাত থেকে চামচ পড়ে গেলো।<br />অন্যদিকে বসা ছিলো প্রিয়ম ও বাপ্পি। তাঁদের চোখ বড় বড় হয়ে গেলো আমার কথা শুনে।<br />সামনে বসা ছিলো অনামিকা। সে বিষম খেলো।<br />
<a name='more'></a><br />আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। এ কী বললাম আমি! মাথায় অনেকগুলো সম্ভবনা খেলে গেলো।<br /><br />- নিশ্চয়ই আমি লবনের কথা বলিনি। হয়তো বলে ফেলেছি, 'মামা, দুই পিস পেট্রোল বোমা দেন। সরকার পতন করবো।'<br />- আমি হয়তো লবনের কথা বলিনি। বলেছি, 'মামা, বিয়ে করবো। আপনাদের এখানে কী কী আইটেমের বউ আছে দেখান তো!'<br />- আমি মনে হয় লবন না চেয়ে বাংলা মদ অথবা ইয়াবা চেয়ে ফেলেছি।<br />- হতে পারে, আমি জানিনা, গতকাল জাতীয় সংসদে আইন করে সারাদেশে লবন খাওয়া নিষিদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। যে খাবে তাকে দেখামাত্র গুলি। শ্যুট অন সাইট।<br />- কিংবা এমনও হতে পারে, দুই দিনের এই দুনিয়ায় লবন বলে কিছু নেই। কিছু ছিলোনা। ভবিষ্যতেও থাকবেনা।<br />... ইত্যাদি ইত্যাদি।<br /><br />পুরো রেস্টুরেন্ট থমকে থাকলো কিছুক্ষণ।<br /><br />আমি বলতে যাচ্ছিলাম, 'ভাই, বড় ভুল হয়ে গেছে। লবন লাগবেনা। আর জীবনে লবন খাবোনা। এই প্রমিজ করলাম। কিরা। মাফ করে দেন এইবারের মতো।'<br /><br />বলার আগেই পরিস্থিতি সামলে নিলো অনামিকা।<br />সে বললো, 'এক্সকিউজ মি, ও ভুল করে ফেলেছে। একটু "সল্ট" হবে, প্লিজ।'<br /><br />মুহূর্তে স্বাভাবিক হয়ে আসলো পরিস্থিতি।<br /><br />...'সল্ট'কে 'লবন' বললে এরকম পরিস্থিতি হয়, কে জানতো? অনামিকাকে ধন্যবাদ। সে পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-15649149380079106442015-03-12T22:19:00.004+06:002017-10-27T13:52:29.735+06:00feeling প্রথম আলো স্পোর্টস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">স</span>মকাল - পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড<br />
যুগান্তর - ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে<br />
কালের কন্ঠ - ১৪ বছর পর সেমিতে ইংল্যান্ড<br />
এবং<br />
<b>... প্রথম আলো -</b> <u><span style="font-size: small;">শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানের হারঃ মাত্র ১১ অভার আগে ৭ উইকেট হাতে রেখে ইংল্যান্ডের জয়</span></u><br />
(বিস্তারিতঃ ৩৯তম অভারে একটুও কি কেঁপে উঠেনি ইংল্যান্ডের বুক? প্রতিপক্ষটা যে পাকিস্তান! এডিলেডের ইতিহাস বলে, এই মাঠেই অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে থেকেও জিতেছিলো শহীদ আফ্রিদির দল। এইতো! ১৯৯৬ সালের কথা। এডিলেডের আকাশে ছিলো ঘন মেঘ! কে জানতো? একটু পরেই ঝলমল করে উঠবে রোঁদ। তারচেয়েও ঝলমল করে উঠবে ইনজামাম-এর মুখ...।)<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
আনন্দবাজার পত্রিকা - ফাইনালে পাকিস্তান<br />
সমকাল - ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান<br />
কালের কণ্ঠ - কঠিন ম্যাচে পাকিস্তানের জয়<br />
এবং<br />
<b>... প্রথম আলো </b>- <u>তোরা সব জয়ধ্বনি কর, তোরা সব জয়ধ্বনি কর</u><br />
(বিস্তারিত - ভিসুবিয়াসকেও একসময় থামতে হয়। সুনামীর তান্ডবলীলার পর শান্ত হতে হয় সাগরকে। একইভাবে পাকিস্তান ক্রিকেটের দুঃসময়কেও শেষ হতে হয় একদিন। হ্যাঁ, ইডেনের মাঠ স্বাক্ষী থাকলো, মাঠের বাইরের ঝাউগাছের সারী স্বাক্ষী থাকলো, পাকিস্তানের দুঃসময় শেষ হলো। যে কথা এতোদিন হজম করতে হয়েছে আফ্রিদির দলকে সেটি আজ মিথ্যা প্রমান হলো। বিশ্বকাপে পাকিস্তানও হারাতে পারে ভারতকে...।)<br />
<br />
সমকাল - আফ্রিদীর নতুন রেকর্ড<br />
জনকণ্ঠ - ২৫ বলে আফ্রিদির সেঞ্চুরী<br />
কালের কণ্ঠ - দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন আফ্রিদি<br />
এবং<br />
<b>... প্রথম আলো -</b> <u>ক্রিকেটের ঈশ্বরকে নতুন করে চিনলো এই গ্রহ</u><br />
(বিস্তারিতঃ এই গ্রহের বয়স কতো হলো? বিজ্ঞান বলে, হাজার কোটি বছর। প্রাণের বয়স কতো? তাও অনেক কোটি বছর। প্রথম এক কোষী জীব অ্যামিবা যখন একটু একটু নড়তে শিখেছিলো প্রকৃতি কি জানতো এই গ্রহেই একজন আসবেন যিনি ব্যাট হাতে সব নাড়িয়ে দেবেন? হয়তো জানতো! এজন্যই আকাশের রঙ হয়েছিলো নীল, আফ্রিদির জার্সির রঙের মতো...।)<br />
<br />
সমকাল - আফ্রিদি শূন্য রানে আউট<br />
যুগান্তর - টানা দশম ম্যাচে ডাক মারলেন আফ্রিদি<br />
সমকাল - আফ্রিদি '০'<br />
এবং<br />
<b>... প্রথম আলো -</b> <u>তাহলে আফ্রিদিরও খারাপ সময় যায়!</u><br />
(বিস্তারিতঃ পিথাগোরাস বলেছিলেন, 'শূণ্যর রহস্য বোঝা গেলে ঈশ্বরকে চেনা যাবে।' আজ কার্ডিফে যদি পিথাগোরাস থাকতেন, কী বলতেন এই গণিত বিশারদ? আফ্রিদি যখন টানা দশমবারের মতো শূণ্য করে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন তখন গণিতবিদ হয়তো তার পকেট থেকে সেই নোটবইটা বের করতেন। হাজার বছর আগে লেখা লাইনটি মুছে নতুন করে লিখতেন - 'আফ্রিদিকে বোঝা গেলে ঈশ্বরকে বোঝা যাবে, প্রকৃতিকে বোঝা যাবে।'...)</div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-81898932853097582842015-03-12T11:12:00.003+06:002015-03-12T11:12:31.578+06:00এক গানের নানা ভার্সন - ৩<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<b><span style="font-size: x-large;">মূ</span>ল গান -</b><br /><br /><i>মেয়েঃ</i><br />তুমি দিয়োনা গো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া<br />আমি অন্ধকারে বন্ধ ঘরে যাবো মরিয়া।<br /><br /><i>ছেলেঃ</i><br />তুমি ভয় কেন পাও প্রাণ সজনী আমায় দেখিয়া?<br />তোমায় প্রেম সোহাগে রাখবো আমার বুকে জড়াইয়া।<br />
<a name='more'></a><br /><br /><b>রিমিক্স ভার্সন -</b><br /><br /><i>কাজী নজরুল ইসলামঃ</i><br />শুনতে কি পাও ওরে আমার বাসর ঘরের যাত্রী?<br />বন্ধ এ ঘর, রুদ্ধ এ দ্বার, অন্ধকার এ রাত্রী<br />ওরে পাষাণ, তুমি যদি নিভিয়েছো এই বাতি<br />জানিয়া রাখো আজি তোমার মৃত্যু হবে সাথী।<br /><br /><i>রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ</i><br />ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা<br />এত ভয়ে যায় কিরে বল বাঁচা?<br />আয় না সখী আয়<br />অনেক সোহাগ দেবো তোকে<br />মম বক্ষ জ্বলে যায়।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-73376997513911374192015-03-10T22:50:00.005+06:002015-03-10T22:50:54.891+06:00কী এতো কথা বলেন প্রেমিক-প্রেমিকারা...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">প্রে</span>ম করে - এমন বন্ধুর কাছে সিঙ্গেল বন্ধুদের চিরায়ত জিজ্ঞাসা- 'ফোনে কী এত কথা বলিস? এত কথা পাস কই?'<br /><br />প্রফ-পরবর্তি এই ছুটিতে বসে অনেক পুরানো এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করার চেষ্টা করলাম।<br /><br />প্রসঙ্গ - ভাত খাওয়া<br />ভাত খাওয়া একটি জরুরী বিষয়। ভাত খাওয়া বিষয়ে আধা ঘন্টা কথা না বললে সে প্রেম টিকেনা বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করে থাকেন।<br />ভাত খাওয়া বিষয়ক আলাপ শুরু হয় সাধারণত রাত ১২টায়। কথোকথনের ব্যাপ্তি প্রেমের বয়সের উপর নির্ভর করে। প্রেম যতো নতুন প্রেমে ভাত খাওয়া ততো বেশি। গড়ে ধরলাম সময় আধা ঘন্টা।<br />
<a name='more'></a><br /><br />কথোপকথনের নমুনা -<br /><br />মেয়ে - এই ভাত খাইছো?<br />ছেলে - হু খাইলাম মাত্র। তুমি?<br />মেয়ে - নিজে তো খেয়ে ফেলছো। আমার খবর নিয়ে কী হবে?<br />ছেলে - সরি। ভুল হয়ে গেছে। সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আবার খাবো।<br />মেয়ে - আর লাগবেনা। আমি তোমার কে? আমার সাথে আর খেতে হবেনা।<br />ছেলে - এইভাবে বলোনা।<br />মেয়ে - কোনভাবে বলবো? খেয়ে খেয়ে দিন দিন সাইজ গোল হয়ে যাচ্ছে সে খবর রাখো?<br />ছেলে - গোলগাল হওয়া তো ভালো। আদর করার যায়গা বাড়বে...<br />মেয়ে - অসভ্য কোথাকার।<br />... এভাবে চলে আধা ঘন্টা।<br /><br />প্রসঙ্গ - মাথা ব্যাথা<br />চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথা করে প্রেমিকাদের। প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রতিদিন এই ব্যাথা নিয়ে সাধারণত আধাঘন্টা আলাপ করতে থাকেন।<br /><br />কথোপকথনের নমুনা-<br /><br />ছেলে - এই কথা বলতেছো না কেন? শরীর খারাপ?<br />মেয়ে - হ্যাঁ, মাথাটা না খুব ব্যাথা করতেছে।<br />ছেলে - বলো কী? আগে বলবা না?<br />মেয়ে - এই জানো? আমার পাশে ৩০টা প্যারাসিটামল আছে। খেয়ে ফেলি?<br />ছেলে - পাগলামী করবা না।<br />মেয়ে - না খাচ্ছি। আর সহ্য হয়না। মরে যাবো এই ব্যাথায়।<br />ছেলে - আমি মাথা টিপে দিচ্ছি। কমে যাবে।<br />মেয়ে- না প্যারাসিটামলই খাবো। ৩০ টা।<br />ছেলে - আমার কসম, প্রেমের কসম। তুমি ঐ প্যারাসিটামলে হাত দিবা না।<br />মেয়ে - হাত দিলে কী করবা?<br />ছেলে - তোমার হাত ধরে ফেলবো। আর ছাড়বোনা।<br />মেয়ে - হিহিহি<br />... এভাবে চলে ১২টা ৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত।<br /><br />প্রসঙ্গ - সুইটি<br />সূত্রানূযায়ী প্রতিটা ছেলেরই একটি সুন্দরী ক্লাসমেট থাকে। সাধারণত তার নাম হয় সুইটি টাইপ কিছু। যে প্রেমে সুইটি নেই, সেই প্রেমে সুইটনেস নেই বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই সুইটি নিয়ে প্রতিদিন এ ঘন্টা ঝগড়া করা প্রেমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।<br /><br />কথোপকথনের নমুনা -<br /><br />মেয়ে - ফেইসবুকে তোমার ছবিতে সুইটি লাইক দিছে ক্যান?<br />ছেলে - আমার ছবিতে লাইক দিছে, আমার কী দোষ?<br />মেয়ে - আমি বলছি তুমি ঐ মেয়েকে ব্লক করবা। আমার কথা শুনছো তুমি?<br />ছেলে - আমার ক্লাসমেট, ব্লক করবো কেমনে?<br />মেয়ে - ওকে ফাইন, তুমি সুইটি নিয়েই থাকো। লাইক দেও। আরো অনেক কিছু দাও। আমাকে তোমার কী দরকার? রাখলাম ফোন। আর জীবনে আমারে ফোন দিবানা।<br /><br />এভাবে চলে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।<br />তারপর ১৫ মিনিট 'মধ্যান্নভোজের বিরতী'। এই ১৫ মিনিটে বয়ফ্রেন্ডরা গার্লফ্রেন্ডের ফোনে ফোন দিয়ে যায়। দুজনে এর মধ্যে যার যার ফেইসবুকের নোটিফিকেশন চেক করে ফেলেন। পানি খান। ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসেন।<br />গার্লফ্রেন্ড ফোন উঠান ১টা ৪৫ মিনিটে। সুইটি বিষয়ক ঝগড়ার বাকি অংশ চলে রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।<br /><br />প্রসঙ্গ - খেলাধুলা<br />সারাবছর কোনো না কোনো খেলা চলেই। বিশ্বকাল, ফুটবল লীগ, এটাসেটা নানান কিছু। প্রেমিক প্রেমিকারা সাধারণত প্রতিদিন খেলাধুলা নিয়ে আধাঘন্টা কথা বলে থাকেন।<br /><br />কথোপকথনের নমুনা -<br /><br />ছেলে - কালকের খেলাটা দেখছো?<br />মেয়ে - হু।<br />ছেলে - সেকেন্ড হাফে মেসির খেলা দেখছো?<br />মেয়ে - হু।<br />ছেলে - দুইটা গোলই খুব সুন্দর ছিলো না?<br />মেয়ে - হু।<br />ছেলে - তিনটা গোল হতে পারতো।<br />মেয়ে - হু।<br />ছেলে - কিন্তু রেফারি বলদটা অফসাইড দিয়ে দিলো।<br />মেয়ে - একদম ঠিক বলছো। ওটা মোটেও অফসাইড ছিলোনা। আমি ক্রিকইনফোতে দেখেছি। এই যায়গায় মেসি না হয়ে বিরাট কোহলী হলে দেখতা ঠিকই রেফারি গোল দিয়ে দিতো। ফিফা তো চলেই ইন্ডিয়ার কথায়। আচ্ছা বাবু, এখানে থার্ড আম্পায়ার কিছু বললোনা কেন?<br /><br />এভাবে চলে রাত ৩টা পর্যন্ত।<br /><br />রাত চারটা পর্যন্ত চলে কথোপকথনের বাকি অংশ।<br />এই অংশে নানান কিছু থাকে। যেমন - কেন মেয়েটি 'আই হেট পলিটিক্স', মেয়েটির ফ্রেন্ডের নতুন বয়ফ্রেন্ড কতোটা খ্যাত, ভার্সিটি ক্যান্টিনের গতকালের সিংগাড়ায় কেন গতকাল লবন বেশি ছিলো, ছেলেটি কতোদিন পর সিগারেট একদম ছেড়ে দেবে, মেয়েটির গালের তিলটি কেন এতো পারফেক্ট, ছেলেটিকে কীরকম টিশার্টে ভালো মানায়... ইত্যাদি ইত্যাদি।<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-60058201137317537532014-10-23T23:16:00.000+06:002014-10-23T23:16:12.594+06:00কী বিচিত্র এই সম্পাদক পরিষদ!<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">বাং</span>লাদেশে সব যায়গায় রাজনৈতিক বিভাজন। এমন কোনো সেক্টর পাওয়া যাবেনা যেখানে বিভাজন নেই।<br />তবে এত সব বিভক্তির মাঝেও একটা সংঘটন পুরোপুরি ব্যতিক্রম। এখানে কোনো বিভাজন নেই, বিভক্তি নেই। এখানে সবার 'গলায় গলায় পিরীত'। একজনের বিপদ হলে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসেন বাকিরা।<br />বিরল এই সংঘটনটির নাম - 'সম্পাদক পরিষদ'।<br /><br />অদ্ভুত একটা পরিষদ। অতি ডান, মাঝারী ডান, হালকা ডান - অতি বাম, মাঝারী বাম, হালকা বাম - অতি নিরপেক্ষ, মাঝারী নিরপেক্ষ, হালকা নিরপেক্ষ... সহ সব প্রজাতী এখানে মিলেমিশে একাকার। পুরাই সবজী-বাজারের মতো অবস্থা।<br />
<a name='more'></a><br />এই শতাব্দীতে দেশের সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তিটি সম্ভবত মাহমুদুর রহমান। মাহমুদুর তাঁর পরিকল্পনায় সফল হলে বাংলাদেশ হয়তো এতদিনে পাকিস্তানের পরিণতি বরণ করতো।<br />আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভাগ্য ভালো যে প্রাণীটিকে গ্রেপ্তার করে আপাতত তাঁর ভয়ংকর পরিকল্পনা থামানো গেছে।<br />কিন্তু একে গ্রেপ্তার করায় কষ্টে বুক ফেটে গিয়েছিলো আমাদের বর্তমান সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের।<br />কষ্টে তাঁরা একজোট হয়ে একটি সংঘটনই তৈরি ফেলেছিলেন এবং বিশাল এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, মাহমদুরকে গ্রেপ্তার করা হলো বাকস্বাধীনতার উপর আঘাত!<br /><br />অথচ এই পরিষদের অনেকেই আমাদেরকে নানান স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করেন, দেশকে বদলে দেয়ার পরামর্শ বলেন, অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের কথা বলেন!<br />কী আশ্চর্য দ্বিচারীতা!<br /><br />আজকে অনেকদিন পর আবার আমাদের সম্পাদক পরিষদকে দেখা গেছে। <a href="http://www.samakal.net/2014/10/23/93990" target="_blank">নতুন এক বিবৃতি দিয়েছেন তাঁরা</a>।<br />এবার তাঁদের হৃদয় হুহু করে কেঁদে উঠেছে নতুন দুজনের জন্য। এদের একজন হলে মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধূরী।<br />২০১৩-র এপ্রিলে এই মানবজমিনের ভূমিকা কী ছিলো, সেটা এখনো ভুলিনি। সাইদিকে যখন চাঁদে 'দেখা গিয়েছিলো' তখনও মানবজমিন কীরকম উষ্কানীমূলক খবর ছাপাতো সেগুলোও মনে আছে।<br />সরকার বিরোধী খবর ছাপানো এক জিনিস। উষ্কানীমূলক খবর ছাপানো আরেক জিনিস। মানবজমিন এখনো উষ্কানীমূলক খবর ছাপায়।<br /><br />জাফর ইকবাল স্যার বলেছিলেন, 'ভিন্নমত' আর 'মিথ্যামত' আলাদা জিনিস। ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার সবার আছে, কিন্তু মিথ্যা বলার অধিকার কারো নেই।<br />আমাদের 'সম্পাদক পরিষদ' কিছু মিথ্যুকের মিথ্যা বলার অধিকার সমুন্নত রাখার জন্য একজোট হয়ে যায়, বিবৃতি দেয় অথচ তাঁরাই পত্রিকার প্রথম পাতায় লিখে রাখে, অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস নিয়ে তাঁরা আংশিক নয়, পুরো সত্যটাই প্রকাশ করে যাবে এবং সবকিছু বদলে দিবে।<br /><br />কী বিচিত্র এই পরিষদ!<br /></div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7178191885162039228.post-55423089501258916082014-09-26T00:08:00.002+06:002014-09-26T00:12:11.491+06:00পলকের এক ছেলেবেলা...<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<span style="font-size: x-large;">১</span>।<br />
ছোটবেলায় বৃষ্টি হলে খড়ের চাল ফুটা হয়ে যেতো। সেই ফুটা দিয়ে বৃষ্টি আসতো। মা বৃষ্টি থেকে বিছানা বাঁচাতে রান্নাঘর থেকে হাড়ি পাতিল নিয়ে আসতেন। চালের ফুটার ঠিক নিচেই রাখা হতো পাতিল। সেগুলোর ফাঁকে গুটিসুটি মেরে ঘুমিয়ে যেতাম। পাতিলে টুং-টাং করে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তো। আমাদের ঘুম গভীর হতো।<br />
<br />
২। <br />
তখন রোজা পড়তো শীতকালে। ধান কেটে নিয়ে আসার পর মাড়াই করা হতো। গরুগুলা ধানের উপর ঘুরতেই থাকতো ঘুরতেই থাকতো। গরুও ক্লান্ত হতো, যারা মাড়াই করছেন তাঁরাও। ইফতারের সময় বসে থাকতো গরুগুলো। বাকিরা ইফতার শেষ আবার ধানের উপর ঘুরা শুরু করতো। <br />
<a name='more'></a>উঠানের কোনায় বসে দাদা কাশতেন, হুক্কা টানতেন আর গল্প করতেন।<br />
দাদা মারা গেছেন তিন বছর হলো। হার্ট অ্যাটাক হয়েছিলো সকাল ৮ টায়। সেদিন ৯ টায় ছিলো এনাটমি প্রফের রিটেন। পরীক্ষা ভালো হয়েছিলো খুব। প্রশ্ন হাতে পেয়ে হেসে দিয়েছিলাম। সব কমন। পরীক্ষা শেষে বের হয়ে কেমন জানি লাগছিলো। দাদা নেই। কী অদ্ভুত! শৈশব পুরোটাই কেটেছে দাদাকে নিয়ে। ১৬ ঘন্টা জেগে থাকলে ১২ ঘন্টাই থাকতাম তাঁর সাথে।<br />
বাড়িতে যাই। মন খারাপ লাগে। বিশেষ করে সন্ধ্যাগুলোতে। <br />
<br />
<br />
কেউ যে কোথাও নেই—সকলে গিয়েছে মরে—সকলে গিয়েছে চলে—উঠান রয়েছে শুধু একা<br />
শিশুরা কাঁদে না কেউ—রুগিরা হাঁপায় না তো—বুড়োরা কয় না কথা : থুবড়ো ব্যথার কথা যত<br />
এখানে সকাল নাই—এখানে দুপুর নাই—এখানে জনতা নাই—এখানে সমাজ নাই—নাইকো মূর্খ ধাঁধা কিছু<br />
আকাশে চাঁদের আলো—উঠোনে চাঁদের আলো—নীলাভ চাঁদের আলো—এমন চাঁদের আলো আজ<br />
<br />
<br />
৩।<br />
সবচেয়ে ভালো লাগতো বন্যা আসলে। বিশাল পুকুর ছিলো দুইটা। আব্বা সারাবছর পুকুরের মাছের যত্ন নিতেন। বন্যা এসে পুকুর ডুবিয়ে দিতো। প্রথমে কারেন্ট জাল দিয়ে পুকুরে বেড়া দেয়ার চেষ্টা করা হতো। পানি আরো বাড়তো। আব্বা হাল ছেড়ে দিতেন। মন খারাপ করে বলতেন, 'পরের বছর তেলাপিয়া চাষ করবো। তাড়াতাড়ি বড় হবে। বন্যা আসার আগেই সব মাছ ধরে ফেলবো।'<br />
<br />
একবার পানি এসে ঘরে ঢুকে গেলো। মারাত্মক বন্যা হয়েছিলো। 'পুরান বাড়ি'তে আশ্রয় নিয়েছিলাম। আবছা আবছা মনে আসে সেই ঘটনা। ছোট ঘর ছিলো পুরান বাড়িতে। সেখানে অনেক মানুষ উঠেছিলাম। ৩০/৩৫ জন।<br />
যেদিন পানি বাড়লো সেদিন বিকালে আব্বা অফিস থেকে আসছিলেন। রাস্তায় তিনি ছিলেন একা। পানির স্রোত আব্বাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো হাওরের মাঝে। সামনেই ছিলো নদী। সেই ক্ষরস্রোতা নদীতে পড়লে আব্বা মরে যেতেন। নদীর খুব কাছে যাওয়ার পরেই একটা নৌকা এসে আব্বাকে তুললো।<br />
আব্বা আমার জন্য শার্ট কিনেছিলেন। হাতে ছিলো শার্টের ব্যাগ। আব্বা বাঁচলেন, কিন্তু শার্ট ভেসে গিয়েছিলো।<br />
আব্বা মাঝে মাঝে সেই ঘটনার কথা বলেন। আমার শার্টের রঙ ছিলো নীল। পকেটে বোতাম ছিলো। আব্বার হুবুহু মনে আছে।<br />
<br />
<br />
৪।<br />
চাচার জানালার বাইরে রক্তজবা গাছ ছিলো। সারাবছর টকটকে লাল ফুল ধরতো।<br />
<br />
জানালার পাশে বসে আমি চাচার কাছে পড়তাম। টেবিল না, আমরা পড়তাম বিছানায়। লেপ মুড়ি দিয়ে।<br />
চাচা খুব রাগী ছিলেন। একবার অংক না পারায় চাচা আমাকে লেপ সহ জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। আমি পড়েছিলাম রক্তজবা গাছের উপরে। <br />
<br />
বিল্ডিং বানানোর জন্য যখন রক্তজবা গাছটি কেটে ফেলা হয় তখন খুব মন খারাপ হয়েছিলো।<br />
<br />
<br />
৫।<br />
একটা কুকুর ছিলো। অনেকগুলো বাচ্চা দিতো প্রতি শীতে। আমার খুব খাতির হয়ে যেতো বাচ্চাগুলোর সাথে। তারপর একটা একটা করে বাচ্চাগুলো মরে যেতো।<br />
একটা সাদা রঙের বাচ্চা পেছনের দুই পা নাড়াতে পারছিলোনা। সারাদিন শুয়ে থাকতো। আমাদের মন খারাপ হতো। আমি আর আব্বা সেটাকে খাবার দিতাম প্রতিদিন। কোনো উন্নতি হলোনা। এক পর্যায়ে খাবারের সাথে প্যারাসিটামল আর এম্পিসিলিন মিশিয়ে দেয়া শুরু করলাম। ওষুধ দিচ্ছি, নিশ্চয়ই ভালো হয়ে যাবে।<br />
প্রতিদিন সকালে কুকুরটাকে দেখতে যেতাম। ভালো হয়ে গেছে, এই আশা নিয়ে। এক সপ্তাহ চললো। এক সকালে মরে গেলো কুকুরটা। আমাদের আরো মন খারাপ হয়েছিলো। আব্বা আর আমি সকালে খাইনি সেদিন।<br />
<br />
<br />
৬।<br />
বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে মন খারাপ হয়। মন খারাপ হলে শৈশবের কথা মনে পড়ে। বৃষ্টি ভালো না। </div>
আলিম আল রাজিhttp://www.blogger.com/profile/12680994048415671589noreply@blogger.com0