তিনচার দিন আগে একুশে টিভিতে ইফতার বিষয়ক একটা অনুষ্ঠান দেখছিলাম। বেশ 'ইয়ো ইয়ো' চেহারার এক উপস্থাপক পুরান ঢাকা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ইফতার দেখালেন। রসিকতা করলেন।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে হুট করে পর্দায় দুজন পথশিশুকে দেখা গেলো। শিশু দুটির পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন সেই ইয়ো ইয়ো উপস্থাপক। ক্যামেরা ধীরে ধীরে গেলো উপস্থাপকের মুখে। উপস্থাপক বললেন, 'পথশিশুদের নিয়ে ইফতার করুন। গুড বাই। দেখা হবে আগামী কাল সেইম টাইম, সেইম চ্যানেল।'
আহা! অনুষ্ঠানের কী মানবিক সমাপ্তি!
আমি বুঝি কম। এ কারণেই সম্ভবত আমার কাছে সমাপ্তিটা মানবিক মনে হয়নি। উলটা অনুষ্ঠানকে 'মেসেজওয়ালা' বানাতে পথশিশুদের ব্যবহার করাটাকে অশ্লীল এবং অমানবিক মনে হয়েছে প্রচন্ড।
রবির একটা বিজ্ঞাপন দেখছি কয়েকদিন ধরে। একটা বিশেষ অংকের টাকা রিচার্জ করলে একটা অংশ নাকি যাবে পথশিশুদের জন্য।
অসাধারণ একটা উদ্যোগ। পথশিশুদের জন্য কিছু করার এ চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখে। কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকলো না। সেটা হচ্ছে, এর জন্য রিচার্জ করানোর এই ধান্দাটা কেন করা হলো?
এখানে পথশিশুদের সাহাজ্যের চেয়ে তাদের দারীদ্রতাকে দেখিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে রিচার্জ ব্যবসাকে আরেকটু জমিয়ে তোলার চেষ্টাটাকেই মুখ্য মনে হয়েছে আমার কাছে।
একটা মোবাইল অপারেটরের আয় কেমন আমার জানা নেই। তবে বিলবোর্ড, পত্রিকা, টিভি ইত্যাদি দেখে মোটামুটি ধারণা করতে পারি তাদের ব্যয় কেমন।
আমার জানতে ইচ্ছে করে এই বিশাল বিজ্ঞাপন খরচের ভগ্নাংশতম অংশও কি তারা কখনো নিঃস্বার্থভাবে পথশিশুদের জন্য খরচ করেছেন?
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেই। ব্যবসার পাশাপাশি তারা পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করতেই পারেন। মন্দ কিছু না। কিন্তু সেটার জন্য অনেক শালীন উপায় আছে বলেই আমার ধারণা। উদাহারণ হিশেবে হানিফ সংকেতের ইত্যাদির কথা বলা যায়। কেয়া কসমেটিক্স প্রতি পর্বেই কিছু মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু কখনোই আমার মনে হয়নি তারা কারো দারীদ্রতাকে পুজি করে ব্যবসা করছে।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রতি আকুল আবেদন। ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে ব্যবসা করুন, বৈশাখ নিয়ে করুন, প্রেমিক প্রেমিকা নিয়ে করুন, দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে করুন। দয়া করে মানুষের দারীদ্রতাকে পূজি বানাবেন না। চোখে লাগে প্রচন্ড।
অনুষ্ঠানের শেষের দিকে হুট করে পর্দায় দুজন পথশিশুকে দেখা গেলো। শিশু দুটির পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন সেই ইয়ো ইয়ো উপস্থাপক। ক্যামেরা ধীরে ধীরে গেলো উপস্থাপকের মুখে। উপস্থাপক বললেন, 'পথশিশুদের নিয়ে ইফতার করুন। গুড বাই। দেখা হবে আগামী কাল সেইম টাইম, সেইম চ্যানেল।'
আহা! অনুষ্ঠানের কী মানবিক সমাপ্তি!
আমি বুঝি কম। এ কারণেই সম্ভবত আমার কাছে সমাপ্তিটা মানবিক মনে হয়নি। উলটা অনুষ্ঠানকে 'মেসেজওয়ালা' বানাতে পথশিশুদের ব্যবহার করাটাকে অশ্লীল এবং অমানবিক মনে হয়েছে প্রচন্ড।
রবির একটা বিজ্ঞাপন দেখছি কয়েকদিন ধরে। একটা বিশেষ অংকের টাকা রিচার্জ করলে একটা অংশ নাকি যাবে পথশিশুদের জন্য।
অসাধারণ একটা উদ্যোগ। পথশিশুদের জন্য কিছু করার এ চেষ্টা অবশ্যই প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখে। কিন্তু একটা জিনিস কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকলো না। সেটা হচ্ছে, এর জন্য রিচার্জ করানোর এই ধান্দাটা কেন করা হলো?
এখানে পথশিশুদের সাহাজ্যের চেয়ে তাদের দারীদ্রতাকে দেখিয়ে ঈদ উপলক্ষ্যে রিচার্জ ব্যবসাকে আরেকটু জমিয়ে তোলার চেষ্টাটাকেই মুখ্য মনে হয়েছে আমার কাছে।
একটা মোবাইল অপারেটরের আয় কেমন আমার জানা নেই। তবে বিলবোর্ড, পত্রিকা, টিভি ইত্যাদি দেখে মোটামুটি ধারণা করতে পারি তাদের ব্যয় কেমন।
আমার জানতে ইচ্ছে করে এই বিশাল বিজ্ঞাপন খরচের ভগ্নাংশতম অংশও কি তারা কখনো নিঃস্বার্থভাবে পথশিশুদের জন্য খরচ করেছেন?
ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেই। ব্যবসার পাশাপাশি তারা পিছিয়ে পড়াদের সাহায্য করতেই পারেন। মন্দ কিছু না। কিন্তু সেটার জন্য অনেক শালীন উপায় আছে বলেই আমার ধারণা। উদাহারণ হিশেবে হানিফ সংকেতের ইত্যাদির কথা বলা যায়। কেয়া কসমেটিক্স প্রতি পর্বেই কিছু মানুষকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু কখনোই আমার মনে হয়নি তারা কারো দারীদ্রতাকে পুজি করে ব্যবসা করছে।
বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রতি আকুল আবেদন। ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে ব্যবসা করুন, বৈশাখ নিয়ে করুন, প্রেমিক প্রেমিকা নিয়ে করুন, দুনিয়ার সবকিছু নিয়ে করুন। দয়া করে মানুষের দারীদ্রতাকে পূজি বানাবেন না। চোখে লাগে প্রচন্ড।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।