ম্যামঃ 'আর কোনোদিন বই আনতে ভুল হবে না' - এই কথাটা তুমি আগামীকাল ১০০০ বার লিখে আনবা, এইটা তোমার শাস্থি। যদি কাল না আনো তাহলে পরের দিন ২০০০ বার লিখে আনতে হবে। তাও যদি না আনো তাহলে পরের দিন লিখতে হবে ৩০০০ বার। আর সেটা জমা দিতে হবে সোজা প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে। বুঝতে পেরেছো কী বলেছি?
আমিঃ জ্বি ম্যাম, বুঝতে পেরেছি।
১০০০ বার এই কথা লিখতে হবে! কঠিন শাস্থি। ফাঁকি দেয়ার উপায় নেই। আর্মি প্রতিষ্ঠান, এরা যা বলে তা-ই করে। দেখা যাবে হাজার খানেক ছাত্রছাত্রীর সামনে মাঠে নীল ডাউন করে বসিয়ে রেখেছে।
ঝুকি নেয়ার কোনো মানে হয়না। আমি লিখতে বসলাম।
প্রথম ৫০/৬০বার পুরো বাক্যটাই লিখলাম, 'আর কোনোদিন বই আনতে ভুল হবে না'।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছুক্ষণ পর টায়ার্ড হয়ে গেলাম আমি। টায়ার্ড হয়ে বাক্যটা ছোট করে ফেললাম কিছুটা। 'কোনোদিন' বাদ দিয়ে লিখলাম, 'আর বই আনতে ভুল হবে না'।... এভাবে চললো পরবর্তী ৫০/৬০ বার।
এরপর ভাবলাম আরো ছোট করি। এই পর্যায়ে এসে বাদ দিলাম 'আর'। বাক্য দাঁড়ালো 'বই আনতে ভুল হবে না'। এভাবে চললো আরো কিছু সময়।
আবার টায়ার্ড হয়ে গেলাম। আরো ছোট করে লিখলাম 'বই আনতে ভুলবোনা'।
দুই/তিন'শ বার হওয়ার পর দেখি আর হাত চলে না! কী করি?
ভাবলাম আরো ছোট করা উচিত। কিন্তু কীভাবে? একটা উপায় আছে, তবে একটু রিস্ক হয়ে যায় ব্যাপারটা। আল্লাহ্র নাম নিয়ে রিস্ক নিলাম। নো রিস্ক, নো গেইন।
সব কেটেকুটে শুধু লিখলাম, 'বই আনবো।'
বাক্য বেশি ছোট, তো কী হয়েছে? মূল বক্তব্য তো ঠিক আছে, তাই না?- এটাই ছিলো আমার যুক্তি।
লেখা চলতে থাকলো...
৫৯৯) বই আনবো
৬০০) বই আনবো
৬০১) বই আনবো
... ... ...
এভাবে ১০০০ বার লিখে পরের দিন ম্যাডামের কাছে জমা দিয়েছিলাম 'হোমওয়ার্ক'।
ভেবেছিলাম ম্যাডাম রাগ করবেন। কিন্তু রাগ করেননি। ম্যাডাম খুব হেসেছিলেন আমার কান্ড দেখে।
মিস ইউ জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। মিস ইউ শারমিন ম্যাম।
প্রথম প্রকাশঃ ফেইসবুক
আমিঃ জ্বি ম্যাম, বুঝতে পেরেছি।
১০০০ বার এই কথা লিখতে হবে! কঠিন শাস্থি। ফাঁকি দেয়ার উপায় নেই। আর্মি প্রতিষ্ঠান, এরা যা বলে তা-ই করে। দেখা যাবে হাজার খানেক ছাত্রছাত্রীর সামনে মাঠে নীল ডাউন করে বসিয়ে রেখেছে।
ঝুকি নেয়ার কোনো মানে হয়না। আমি লিখতে বসলাম।
প্রথম ৫০/৬০বার পুরো বাক্যটাই লিখলাম, 'আর কোনোদিন বই আনতে ভুল হবে না'।
খুব স্বাভাবিকভাবেই কিছুক্ষণ পর টায়ার্ড হয়ে গেলাম আমি। টায়ার্ড হয়ে বাক্যটা ছোট করে ফেললাম কিছুটা। 'কোনোদিন' বাদ দিয়ে লিখলাম, 'আর বই আনতে ভুল হবে না'।... এভাবে চললো পরবর্তী ৫০/৬০ বার।
এরপর ভাবলাম আরো ছোট করি। এই পর্যায়ে এসে বাদ দিলাম 'আর'। বাক্য দাঁড়ালো 'বই আনতে ভুল হবে না'। এভাবে চললো আরো কিছু সময়।
আবার টায়ার্ড হয়ে গেলাম। আরো ছোট করে লিখলাম 'বই আনতে ভুলবোনা'।
দুই/তিন'শ বার হওয়ার পর দেখি আর হাত চলে না! কী করি?
ভাবলাম আরো ছোট করা উচিত। কিন্তু কীভাবে? একটা উপায় আছে, তবে একটু রিস্ক হয়ে যায় ব্যাপারটা। আল্লাহ্র নাম নিয়ে রিস্ক নিলাম। নো রিস্ক, নো গেইন।
সব কেটেকুটে শুধু লিখলাম, 'বই আনবো।'
বাক্য বেশি ছোট, তো কী হয়েছে? মূল বক্তব্য তো ঠিক আছে, তাই না?- এটাই ছিলো আমার যুক্তি।
লেখা চলতে থাকলো...
৫৯৯) বই আনবো
৬০০) বই আনবো
৬০১) বই আনবো
... ... ...
এভাবে ১০০০ বার লিখে পরের দিন ম্যাডামের কাছে জমা দিয়েছিলাম 'হোমওয়ার্ক'।
ভেবেছিলাম ম্যাডাম রাগ করবেন। কিন্তু রাগ করেননি। ম্যাডাম খুব হেসেছিলেন আমার কান্ড দেখে।
মিস ইউ জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। মিস ইউ শারমিন ম্যাম।
প্রথম প্রকাশঃ ফেইসবুক
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।