মিস্টার চৌধুরী হলেন দেশের প্রথম শ্রেনীর শিল্পপতিদের একজন। তিনি চৌধুরী গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর মালিক। তার এক মাত্র কন্যা মিস রোজ। ছোটবেলায়ই মাকে হারায় রোজ। একে তো ধনীর দুলালী, তার উপর অল্প বয়সে মা হারা মেয়ে - তাই বাবার আদরে আদরে মাথায় উঠে বসে সে।
অত্যন্ত চঞ্চল এবং আহ্লাদী মেয়ে হিসেবেই চৌধুরী বাড়িতে বেড়ে উঠতে থাকে রোজ। তার অনেক "সখী" আছে। তারা সব সময় রোজের আশে পাশে ঘুর ঘুর করে।
এদিকে জ্যাক হলো চৌধুরী বাড়ির একজন চাকর। তার বাবা অতি অল্প বয়সে মারা যান। চৌধুরী বাড়ি থেকে যে বেতন পায় জ্যাক তা দিয়ে অনেক টানাটানি মা-কে নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকে জ্যাক। জ্যাক গরীব হওয়ায় চৌধুরী কন্যা রোজ তাকে পাত্তাই দেয় না। পদে পদে জ্যাক-কে অপমান করে সে।
চৌধুরী সাহেবের ব্যাবসায়ীক পার্টনার হলেন খান সাহেব। খান সাহেবের একমাত্র ছেলে ক্যাল। ক্যাল হলো এই ছবির ভিলেন। খান সাহেব পরিকল্পনা করেন যে করেই হোক চৌধূরী সাহেবের একমাত্র কন্যা মিস রোজ-কে ক্যালের সাথে বিয়ে দেবেন। এতে করে চৌধুরী সাহেবের সব সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবেন তিনি আর তার ছেলে। রাজকন্যা রাজত্ত্ব - সব হবে নিজের।
সখিদের নিয়ে একদিন শপিং করে বাসায় আসছিলো রোজ। পথিমধ্যে হঠাৎ ইভ টিজারদেরদের ক্ষপ্পরে পড়ে গেলো সুন্দরী রোজ। ইভ টিজাররা রোজকে ঘিরে ঘুরতে থাকলো এবং শীষ বাজাতে থাকলো। রোজ চিৎকার করা শুরু করলো, "বাচাও, বাচাও। কে আছো বাচাও"। ইভটিজারদের নেতা অট্টোহাসি দিয়ে বললো "সুন্দরী... কেউ তোকে আজ বাচাতে পারবে না আমার হাত থেকে। হো হো হো।"
হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে আসলো নায়ক জ্যাক। এসেই সে ইভ টিজারদের ধরে প্যাদানি দিয়ে দিলো ব্যাপক। টিজাররা তার সাথে পাত্তা না পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে। জ্যাক গায়ের নিজের শার্ট খুলে রোজের গায়ে পরিয়ে দিয়ে বললো "যান ম্যাম সাহেব। বাড়িতে যান।"
এই ঘটনার পরই বদলে গেলো রোজ। যে জ্যাককে সে প্রতিদিন অপমান করতো সেই জ্যাক-এর প্রেমে পড়ে গেলো সে। প্রেমের কথা জ্যাক-কে জানালো একদিন। প্রথম দিকে জ্যাক নানা রকম উচ্চ মার্গিয় ডায়লগ দিলো, "ম্যাম সাহেব, আপনারা বড় লোক। আপনাদের কাছে প্রেম মানে খেলা। আমরা গরীব। আমরা আপনাদের কাছে খেলনা। আমাকে মাফ করুব ম্যাম সাহেব, আমাকে মাফ করুন।"
এসব ভুং ভাং বললেও এক পর্যায়ে পটে গেলো জ্যাক নিজেও। হাজার হোক। পুরুষ মানুষ বলে কথা।
কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্যাক আর রোজকে গানের সাথে কিম্ভুতকিমাকার ড্যান্স আর লাফালাফি করতে দেখা গেলো। গানের কথা এরকম,
"মাই ডিয়ার জ্যাক
তুমি শূন্য আমি এক।
মাই ডিয়ার রোজ,
আমি তোমার পেলাম খোজ।"
একদিন জ্যাক তার মাকে বিয়ের কথা বার্তা ফাইনাল করার জন্য পাঠালো চৌধুরী বাড়িতে। জ্যাক-এর মায়ের কথা শুনে রেগেমেগে আগুন হয়ে গেলেন চৌধুরী সাহেব। হুংকার ছাড়লেন তিনি "এতো বড় সাহস। চাকরানীর ছেলের সাথে আমার বিয়ে! এ হতেই পারে না।"
দারওয়ান ডেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন জ্যাক এর মাকে।
মায়ের অপমান দেখে নায়ক জ্যাক এর রক্তে আগুন ধরে গেলো। সে চৌধুরী বাড়ির ড্রয়িং রুমে এসে বেশ চিল্লাচিল্লি করলো। "চৌধুরী সাহেব, গরীব হলেও আমরা মানুষ। আমার মাকে রক্তাক্ত করার প্রতিশোধ আমি নেবোই।" এসব বলে সে বড়লোক হবার ইচ্ছা পোষন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। একটা রিক্সা কিনে চালানো শুরু করলো জ্যাক। তাকে বড়লোক হতেই হবে।
এদিকে কন্যা রোজকে ঘরে তালা মেরে রাখে দিলেন চৌধুরী সাহেব। জানিয়ে দিলেন পরের মাসের এক তারীখ তার বন্ধু খান সাহেবের ছেলে ক্যাল এর সাথে তার একমাত্র কন্যা রোজ এর শুভ বিবাহ সম্পন্ন কবে।
বিয়ের অনুষ্ঠিত হবে এম ভি টাইটানিক নামক জাহাজে। এম ভি টাইটানিক হলো চৌধুরী এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব জাহাজ।
সমুদ্রের উপর চলছে এমভি টাইটানিক। ভেতরে চলছে নিয়ের অনুষ্ঠান। পাত্রী রোজ কেবল কাঁদছে। বর ক্যাল বসে আছে বিয়ের পিড়িতে। কাজী উপস্থিত। বরযাত্রী উপস্থিত। কবুল পড়ানো হবে।
যখনই কাজী বললেন, "বলো মা কবুল" তখনই একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলো। সমুদ্রে ভাসতে থাকা একটা বরফে ধাক্কা খেলো এম ভি টাইটানিক। আস্তে আস্তে পানি ঢুকতে থাকলো জাহাজে।
বিয়ের আসর থেকে উঠে দাড়ালো ক্যাল। "বিয়ে গুল্লি মারি" বলে হাতে পিস্তল আর দলীল নিয়ে সে ছুটে গেলো চৌধুরী সাহেবের কাছে। বললো, "চৌধুরী সাহেব, এই দলীলে সই করুন। তাড়াতাড়ি করুন। সময় নেই। আমি সই নিয়েই বোটে করে পালিয়ে যাবো। আপনারা ডুবে মরবেন।"
ক্যাল এর আসল রুপ দেখে অবাক হয়ে গেলেন চৌধুরী। ক্ষুব্ধ কন্ঠে তিনি বললেন, "শয়তান। আমার জান থাকতে এই দলীলে সই দিবো না।"
জবাবে ক্যাল হুমকি দিলো সই না করলে সে রোজকে গুলি করবে।
রোজ কাদো কাদো হয়ে বললো, "না বাবা না। তুমি এই দলীলে সই করো না। আমরা এমনিতেই তো জাহাজ ডুবে মরে যাচ্ছি।"
হঠাৎ রোজ কান্না থামিয়ে গান গাইতে শুরু করলো "মাই ডিয়ার জ্যাক... মাই ডিয়ার জ্যাক... তুমি শূন্য আমি এক।"
জ্যাক তখন রিক্সা চালাচ্ছিলো ঢাকা শহরে। কিন্তু রোজ-এর গান তার কান পর্যন্ত ঠিকই পৌছে গেলো। "রো...জ" বলে চিৎকার করতে করতে সে রিক্সা চালিয়েই পানির উপর দিয়ে পৌছে গেলো এম ভি টাইটানিক-এ।
এসেই শুরু করলো ফাইট। ঘুষির চোটে ধরাশয়ী করলো ক্যাল আর খান সাহেবকে।
তারপর রিক্সার সিটের নিচ থেকে থেকে আঠা বের করে জাহাজের ছিদ্রও বন্ধ করে দিলো জ্যাক। ততক্ষনে পুলিশও এসে গেলো জাহাজের ভেতর। তারা ধরে নিয়ে গেলো ক্যাল আর তারা বাবাকে।
চৌধুরী সাহেব তার ভুল বুঝতে পারলেন। তিনি জ্যাক আর রোজের হাত ধরিয়ে দিলেন। আবার গান শোনা গেলো, "মাই ডিয়ার রোজ... মাই ডিয়ার রোজ... আমি পেলাম তোমার খোজ।"
পর্দায় লেখা উঠলো সমাপ্ত।
দৈনিক যুগান্তরঃ ২৯/০৪/২০১২
অত্যন্ত চঞ্চল এবং আহ্লাদী মেয়ে হিসেবেই চৌধুরী বাড়িতে বেড়ে উঠতে থাকে রোজ। তার অনেক "সখী" আছে। তারা সব সময় রোজের আশে পাশে ঘুর ঘুর করে।
এদিকে জ্যাক হলো চৌধুরী বাড়ির একজন চাকর। তার বাবা অতি অল্প বয়সে মারা যান। চৌধুরী বাড়ি থেকে যে বেতন পায় জ্যাক তা দিয়ে অনেক টানাটানি মা-কে নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকে জ্যাক। জ্যাক গরীব হওয়ায় চৌধুরী কন্যা রোজ তাকে পাত্তাই দেয় না। পদে পদে জ্যাক-কে অপমান করে সে।
চৌধুরী সাহেবের ব্যাবসায়ীক পার্টনার হলেন খান সাহেব। খান সাহেবের একমাত্র ছেলে ক্যাল। ক্যাল হলো এই ছবির ভিলেন। খান সাহেব পরিকল্পনা করেন যে করেই হোক চৌধূরী সাহেবের একমাত্র কন্যা মিস রোজ-কে ক্যালের সাথে বিয়ে দেবেন। এতে করে চৌধুরী সাহেবের সব সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবেন তিনি আর তার ছেলে। রাজকন্যা রাজত্ত্ব - সব হবে নিজের।
সখিদের নিয়ে একদিন শপিং করে বাসায় আসছিলো রোজ। পথিমধ্যে হঠাৎ ইভ টিজারদেরদের ক্ষপ্পরে পড়ে গেলো সুন্দরী রোজ। ইভ টিজাররা রোজকে ঘিরে ঘুরতে থাকলো এবং শীষ বাজাতে থাকলো। রোজ চিৎকার করা শুরু করলো, "বাচাও, বাচাও। কে আছো বাচাও"। ইভটিজারদের নেতা অট্টোহাসি দিয়ে বললো "সুন্দরী... কেউ তোকে আজ বাচাতে পারবে না আমার হাত থেকে। হো হো হো।"
হঠাৎ কোথা থেকে উড়ে আসলো নায়ক জ্যাক। এসেই সে ইভ টিজারদের ধরে প্যাদানি দিয়ে দিলো ব্যাপক। টিজাররা তার সাথে পাত্তা না পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে। জ্যাক গায়ের নিজের শার্ট খুলে রোজের গায়ে পরিয়ে দিয়ে বললো "যান ম্যাম সাহেব। বাড়িতে যান।"
এই ঘটনার পরই বদলে গেলো রোজ। যে জ্যাককে সে প্রতিদিন অপমান করতো সেই জ্যাক-এর প্রেমে পড়ে গেলো সে। প্রেমের কথা জ্যাক-কে জানালো একদিন। প্রথম দিকে জ্যাক নানা রকম উচ্চ মার্গিয় ডায়লগ দিলো, "ম্যাম সাহেব, আপনারা বড় লোক। আপনাদের কাছে প্রেম মানে খেলা। আমরা গরীব। আমরা আপনাদের কাছে খেলনা। আমাকে মাফ করুব ম্যাম সাহেব, আমাকে মাফ করুন।"
এসব ভুং ভাং বললেও এক পর্যায়ে পটে গেলো জ্যাক নিজেও। হাজার হোক। পুরুষ মানুষ বলে কথা।
কিছুক্ষনের মধ্যেই জ্যাক আর রোজকে গানের সাথে কিম্ভুতকিমাকার ড্যান্স আর লাফালাফি করতে দেখা গেলো। গানের কথা এরকম,
"মাই ডিয়ার জ্যাক
তুমি শূন্য আমি এক।
মাই ডিয়ার রোজ,
আমি তোমার পেলাম খোজ।"
একদিন জ্যাক তার মাকে বিয়ের কথা বার্তা ফাইনাল করার জন্য পাঠালো চৌধুরী বাড়িতে। জ্যাক-এর মায়ের কথা শুনে রেগেমেগে আগুন হয়ে গেলেন চৌধুরী সাহেব। হুংকার ছাড়লেন তিনি "এতো বড় সাহস। চাকরানীর ছেলের সাথে আমার বিয়ে! এ হতেই পারে না।"
দারওয়ান ডেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন জ্যাক এর মাকে।
মায়ের অপমান দেখে নায়ক জ্যাক এর রক্তে আগুন ধরে গেলো। সে চৌধুরী বাড়ির ড্রয়িং রুমে এসে বেশ চিল্লাচিল্লি করলো। "চৌধুরী সাহেব, গরীব হলেও আমরা মানুষ। আমার মাকে রক্তাক্ত করার প্রতিশোধ আমি নেবোই।" এসব বলে সে বড়লোক হবার ইচ্ছা পোষন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। একটা রিক্সা কিনে চালানো শুরু করলো জ্যাক। তাকে বড়লোক হতেই হবে।
এদিকে কন্যা রোজকে ঘরে তালা মেরে রাখে দিলেন চৌধুরী সাহেব। জানিয়ে দিলেন পরের মাসের এক তারীখ তার বন্ধু খান সাহেবের ছেলে ক্যাল এর সাথে তার একমাত্র কন্যা রোজ এর শুভ বিবাহ সম্পন্ন কবে।
বিয়ের অনুষ্ঠিত হবে এম ভি টাইটানিক নামক জাহাজে। এম ভি টাইটানিক হলো চৌধুরী এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব জাহাজ।
সমুদ্রের উপর চলছে এমভি টাইটানিক। ভেতরে চলছে নিয়ের অনুষ্ঠান। পাত্রী রোজ কেবল কাঁদছে। বর ক্যাল বসে আছে বিয়ের পিড়িতে। কাজী উপস্থিত। বরযাত্রী উপস্থিত। কবুল পড়ানো হবে।
যখনই কাজী বললেন, "বলো মা কবুল" তখনই একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলো। সমুদ্রে ভাসতে থাকা একটা বরফে ধাক্কা খেলো এম ভি টাইটানিক। আস্তে আস্তে পানি ঢুকতে থাকলো জাহাজে।
বিয়ের আসর থেকে উঠে দাড়ালো ক্যাল। "বিয়ে গুল্লি মারি" বলে হাতে পিস্তল আর দলীল নিয়ে সে ছুটে গেলো চৌধুরী সাহেবের কাছে। বললো, "চৌধুরী সাহেব, এই দলীলে সই করুন। তাড়াতাড়ি করুন। সময় নেই। আমি সই নিয়েই বোটে করে পালিয়ে যাবো। আপনারা ডুবে মরবেন।"
ক্যাল এর আসল রুপ দেখে অবাক হয়ে গেলেন চৌধুরী। ক্ষুব্ধ কন্ঠে তিনি বললেন, "শয়তান। আমার জান থাকতে এই দলীলে সই দিবো না।"
জবাবে ক্যাল হুমকি দিলো সই না করলে সে রোজকে গুলি করবে।
রোজ কাদো কাদো হয়ে বললো, "না বাবা না। তুমি এই দলীলে সই করো না। আমরা এমনিতেই তো জাহাজ ডুবে মরে যাচ্ছি।"
হঠাৎ রোজ কান্না থামিয়ে গান গাইতে শুরু করলো "মাই ডিয়ার জ্যাক... মাই ডিয়ার জ্যাক... তুমি শূন্য আমি এক।"
জ্যাক তখন রিক্সা চালাচ্ছিলো ঢাকা শহরে। কিন্তু রোজ-এর গান তার কান পর্যন্ত ঠিকই পৌছে গেলো। "রো...জ" বলে চিৎকার করতে করতে সে রিক্সা চালিয়েই পানির উপর দিয়ে পৌছে গেলো এম ভি টাইটানিক-এ।
এসেই শুরু করলো ফাইট। ঘুষির চোটে ধরাশয়ী করলো ক্যাল আর খান সাহেবকে।
তারপর রিক্সার সিটের নিচ থেকে থেকে আঠা বের করে জাহাজের ছিদ্রও বন্ধ করে দিলো জ্যাক। ততক্ষনে পুলিশও এসে গেলো জাহাজের ভেতর। তারা ধরে নিয়ে গেলো ক্যাল আর তারা বাবাকে।
চৌধুরী সাহেব তার ভুল বুঝতে পারলেন। তিনি জ্যাক আর রোজের হাত ধরিয়ে দিলেন। আবার গান শোনা গেলো, "মাই ডিয়ার রোজ... মাই ডিয়ার রোজ... আমি পেলাম তোমার খোজ।"
পর্দায় লেখা উঠলো সমাপ্ত।
দৈনিক যুগান্তরঃ ২৯/০৪/২০১২
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।