ডিসক্লাইমারঃ প্রথমেই বলে রাখি এটি একটি অসম্পুর্ণ লেখা। কী ভেবে শুরু করেছিলাম। মাঝখানে গিয়ে আর লিখতে ভাল লাগেনি। তাই আর কাহিনি নিয়ে এগিয়ে যাইনি।
তবে আমার মাথায় কিছু ঢুকে গেলে সেটা ঘুরতেই থাকে। ইলিয়াস আলী নিয়ে আরেকটা কান্ড করে ফেলেছি এর মাঝে। আশা করি দ্রুতই ঐটা পাবলিশ করতে পারবো।
এইটা পড়ে আমাকে গালি দিবেন। তাই না পড়াই ভালো। :)
- বিনিত।
১
মেরি চাচি পার্টি দিবেন শুনে এক মুহুর্ত দেরি করলো না মুসা। ফোক্স ওয়াগন চালিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যে পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে হাজির হলো সে। গাড়িটা কোন রকমে পার্ক করে এক দৌড়ে ডায়েনিং রুমে পৌছে গেলো মুসা। কিশোর আর রবিন আগেই পৌছে গেছে সেখানে।
ডায়েনিং টেবিলে খাবারের সারি দেখে "ইয়াল্লা" বলে একটা চিৎকার দিলো মুসা।
মুসার মুখের অভিব্যাক্তি দেখে হেসে দিলো রবিন। পাশে কিশোরকে কনুই দিয়ে হালকা একটা খোঁচা দিলো সে।
- মুসা এসে গেছে খাওয়াটা এবার শুরু করে দেয়া যেতে পারে। বললেন ম্যারি চাচি।
মুসা এক গাল হেসে বললো - "অবশ্যই"
ম্যারি চাচি ছেলেদের পাতে এক টুকরো করে ইলিশ তুলে দিলেন।
খাওয়া শেষে পেটে হাত বুলাতে বুলাতে তৃপ্তির হাসি হাসছিলো মুসা। হঠাৎ ডায়েনিং রুমের ফোনটা বেজে উঠলো। কিশোর উঠতে যাচ্ছিলো। তার আগেই বললেন ম্যারি চাচি। তুমি বোস। আমি দেখছি।
কিছুক্ষণ কথা বলে মুসাকে ডাক দিলেন চাচী
মুসা, তোমার ফোন।
মুসা ভরপেট খেয়ে চেয়ারে হালকা হেলান দিয়ে কোকের ক্যানটা খুলছিলো মাত্র।
- খাইছে! এখানে আমার ফোন? অবাক হলো সে।
ক্যানের বোতলটা হাতে নিয়েই কিছুটা অলস ভঙ্গীতে গিয়ে ফোন ধরলো মুসা।
ফোন শেষ করে আবার ডায়েনিং টেবিলে বসলো মুসা।
- কে ফোন করলো? হালকা কৌতুহলের সুরে জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- সাহারা আন্টি।
- ও! তোমার সেই সাহারা আন্টি?
পাশ থেকে রবিন বলে উঠলো,
- যিনি একবার আমাদের ডেকে নিয়ে ৪৮ ঘন্টার ভেতর বেড়াল খোজে দেয়ার দায়ীত্ত্ব দিয়েছিলেন।
হা হা হা করে হেসে দিলো কিশোর আর রবিন।
মুসা থামিয়ে দিলো দুই জনকে।
- হেসো না। এবার জরুরী কিছু মনে হচ্ছে।
- কী ব্যাপার? জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- একজনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
- বলো কী! কে সে? বিস্তারিত জানাও। রহস্যের গন্ধ পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে গোয়েন্দা প্রধান।
- বেশি কিছু বলেন নি। সাহারা আন্টি বলেছেন দেখা করতে হবে উনার সাথে।
- তাহলে চলো দেখা করে আসি এখনই। ছুটিটা ভালোই কাটবে মনে হচ্ছে।
আনন্দিত দেখা গেলো কিশোর পাশাকে।
২।
নিচের ঠোটে ক্রমাগত চিমটি কেটে যাচ্ছে কিশোর।
তার পাশে বসে চকলেট চিবুচ্ছে মুসা।
একটু দুরের চেয়ারে বসে আছে রবিন। রবিনের সামনে চেয়ারে বসে আছেন সাহারা খাতুন। তার কথা গুলোই নোট করে যাচ্ছে রবিন।
- তারপর কী হলো? সাহারা আন্টিকে জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- তারপর আর কী। ইলিয়াস আলীর কোন খবর নেই। নানা রকম চেষ্টা করা হলো। র্যাব বের হলো। পুলিশ তন্ন তন্ন করে খোঁজলো। কিন্তু ইলিয়াস আর নেই। তোমরা কী পারবে কিছু করতে?
- চেষ্টা করতে দোষ কী? আশা করি পারবো। এর আগেও অনেক কেসের সমাধান করেছি আমরা।
- ধন্যবাদ। তোমাদের উপর আমার আস্থা আছে।
তিন গোয়েন্দার কার্ড বের করে সাহারা আন্টির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো কিশোর, "এই আমাদের কার্ড। কোন সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।"
ঘর থেকে বের হয়ে গেলো তিন গোয়েন্দা। সাই করে দরজা বন্ধ করে দিলেন সাহারা খালা।
৩।
পাহাড়ি রাস্তার মাঝ দিয়ে ছুটে চলেছে ফোক্সওয়াগন।
- কিশোর, কী ভাবছো কেসটা নিয়ে? ডান দিকে স্টিয়ারিং-টা ঘোরাতে ঘোরাতে জিজ্ঞেস মুসা।
- কিছুটা জটিল কেইস মনে হচ্ছে। পাশে বসা কিশোর জবাব দিলো।
- আমাদের নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশে কোন কিছু ঠিক নেই। কখন কী হয়ে যায়। পেছনের সিট থেকে বললো রবিন।
- একটা ক্লু পেলে ভালো হতো।
সামনে থেকে আসা একটা রিক্সাকে পাশ কাটাচ্ছিলো মুসা। তখনই কিশোরের ফোন বেজে উঠলো। টিং টিং।
- কার এস এম এস? জিজ্ঞেস করলো মুসা
- দেখি কার।
এস এম এস পড়তে চিন্তিত হয়ে পড়লো কিশোর।
- অদ্ভুত একটা মেসেজ পেলাম।
- কী মেসেজ? উতসুক ভঙ্গীতে বললো রবিন।
- 48/A,
তবে আমার মাথায় কিছু ঢুকে গেলে সেটা ঘুরতেই থাকে। ইলিয়াস আলী নিয়ে আরেকটা কান্ড করে ফেলেছি এর মাঝে। আশা করি দ্রুতই ঐটা পাবলিশ করতে পারবো।
এইটা পড়ে আমাকে গালি দিবেন। তাই না পড়াই ভালো। :)
- বিনিত।
১
মেরি চাচি পার্টি দিবেন শুনে এক মুহুর্ত দেরি করলো না মুসা। ফোক্স ওয়াগন চালিয়ে আধা ঘন্টার মধ্যে পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে হাজির হলো সে। গাড়িটা কোন রকমে পার্ক করে এক দৌড়ে ডায়েনিং রুমে পৌছে গেলো মুসা। কিশোর আর রবিন আগেই পৌছে গেছে সেখানে।
ডায়েনিং টেবিলে খাবারের সারি দেখে "ইয়াল্লা" বলে একটা চিৎকার দিলো মুসা।
মুসার মুখের অভিব্যাক্তি দেখে হেসে দিলো রবিন। পাশে কিশোরকে কনুই দিয়ে হালকা একটা খোঁচা দিলো সে।
- মুসা এসে গেছে খাওয়াটা এবার শুরু করে দেয়া যেতে পারে। বললেন ম্যারি চাচি।
মুসা এক গাল হেসে বললো - "অবশ্যই"
ম্যারি চাচি ছেলেদের পাতে এক টুকরো করে ইলিশ তুলে দিলেন।
খাওয়া শেষে পেটে হাত বুলাতে বুলাতে তৃপ্তির হাসি হাসছিলো মুসা। হঠাৎ ডায়েনিং রুমের ফোনটা বেজে উঠলো। কিশোর উঠতে যাচ্ছিলো। তার আগেই বললেন ম্যারি চাচি। তুমি বোস। আমি দেখছি।
কিছুক্ষণ কথা বলে মুসাকে ডাক দিলেন চাচী
মুসা, তোমার ফোন।
মুসা ভরপেট খেয়ে চেয়ারে হালকা হেলান দিয়ে কোকের ক্যানটা খুলছিলো মাত্র।
- খাইছে! এখানে আমার ফোন? অবাক হলো সে।
ক্যানের বোতলটা হাতে নিয়েই কিছুটা অলস ভঙ্গীতে গিয়ে ফোন ধরলো মুসা।
ফোন শেষ করে আবার ডায়েনিং টেবিলে বসলো মুসা।
- কে ফোন করলো? হালকা কৌতুহলের সুরে জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- সাহারা আন্টি।
- ও! তোমার সেই সাহারা আন্টি?
পাশ থেকে রবিন বলে উঠলো,
- যিনি একবার আমাদের ডেকে নিয়ে ৪৮ ঘন্টার ভেতর বেড়াল খোজে দেয়ার দায়ীত্ত্ব দিয়েছিলেন।
হা হা হা করে হেসে দিলো কিশোর আর রবিন।
মুসা থামিয়ে দিলো দুই জনকে।
- হেসো না। এবার জরুরী কিছু মনে হচ্ছে।
- কী ব্যাপার? জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- একজনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
- বলো কী! কে সে? বিস্তারিত জানাও। রহস্যের গন্ধ পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে গোয়েন্দা প্রধান।
- বেশি কিছু বলেন নি। সাহারা আন্টি বলেছেন দেখা করতে হবে উনার সাথে।
- তাহলে চলো দেখা করে আসি এখনই। ছুটিটা ভালোই কাটবে মনে হচ্ছে।
আনন্দিত দেখা গেলো কিশোর পাশাকে।
২।
নিচের ঠোটে ক্রমাগত চিমটি কেটে যাচ্ছে কিশোর।
তার পাশে বসে চকলেট চিবুচ্ছে মুসা।
একটু দুরের চেয়ারে বসে আছে রবিন। রবিনের সামনে চেয়ারে বসে আছেন সাহারা খাতুন। তার কথা গুলোই নোট করে যাচ্ছে রবিন।
- তারপর কী হলো? সাহারা আন্টিকে জিজ্ঞেস করলো কিশোর।
- তারপর আর কী। ইলিয়াস আলীর কোন খবর নেই। নানা রকম চেষ্টা করা হলো। র্যাব বের হলো। পুলিশ তন্ন তন্ন করে খোঁজলো। কিন্তু ইলিয়াস আর নেই। তোমরা কী পারবে কিছু করতে?
- চেষ্টা করতে দোষ কী? আশা করি পারবো। এর আগেও অনেক কেসের সমাধান করেছি আমরা।
- ধন্যবাদ। তোমাদের উপর আমার আস্থা আছে।
তিন গোয়েন্দার কার্ড বের করে সাহারা আন্টির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো কিশোর, "এই আমাদের কার্ড। কোন সমস্যা হলে যোগাযোগ করতে ভুলবেন না।"
ঘর থেকে বের হয়ে গেলো তিন গোয়েন্দা। সাই করে দরজা বন্ধ করে দিলেন সাহারা খালা।
৩।
পাহাড়ি রাস্তার মাঝ দিয়ে ছুটে চলেছে ফোক্সওয়াগন।
- কিশোর, কী ভাবছো কেসটা নিয়ে? ডান দিকে স্টিয়ারিং-টা ঘোরাতে ঘোরাতে জিজ্ঞেস মুসা।
- কিছুটা জটিল কেইস মনে হচ্ছে। পাশে বসা কিশোর জবাব দিলো।
- আমাদের নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশে কোন কিছু ঠিক নেই। কখন কী হয়ে যায়। পেছনের সিট থেকে বললো রবিন।
- একটা ক্লু পেলে ভালো হতো।
সামনে থেকে আসা একটা রিক্সাকে পাশ কাটাচ্ছিলো মুসা। তখনই কিশোরের ফোন বেজে উঠলো। টিং টিং।
- কার এস এম এস? জিজ্ঞেস করলো মুসা
- দেখি কার।
এস এম এস পড়তে চিন্তিত হয়ে পড়লো কিশোর।
- অদ্ভুত একটা মেসেজ পেলাম।
- কী মেসেজ? উতসুক ভঙ্গীতে বললো রবিন।
- 48/A,
pls razi vai.ontoto ei jinishta pura likhun.pls.olpo porei moja lagche.pls.
উত্তরমুছুনpls... Complete this... Pls... Plss... Plsss....
উত্তরমুছুন