খুব বেশী যে অপ্রস্তুত ছিলাম তা বলবো না। আমি
জানতাম এরকম কিছু ঘটবেই। আজ অথবা কাল। ঘটলোও তাই। কিন্তু ঘটার পরে খুব
ভালোভাবে বুঝতে পারলাম যে আমি আসলে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কিংবা
প্রস্তুত থাকলেও ওরকম অবস্থায় মনে হয় কোনরকম প্রস্তুতিই আর কাজ করে না।
ব্রেক আপের সময়টা নিয়ে লেখার আগে ব্রেক আপের কিছু আগে ফিরে যাই।
ঐ সময়টা ছিলো আরো ভয়ংকর। সন্দেহের পর সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। আমি প্রতিদিন তৈরী করছি বিশ্বাসের এভারেস্ট। কিন্তু সন্দেহের জোয়ার এসে ভেঙ্গে দিয়ে যায় এভারেস্ট। আমি আবার বিশ্বাস জড়ো করি। পরমুহুর্তে আবার সন্দেহের সুনামী। ভাঙ্গা গড়ার এ এক অদ্ভুত চক্র। আমি সীমাহীন ক্লান্তি নিয়ে তারপরেও সব সন্দেহকে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করি।
একটা পর্যায়ে সবই পরিষ্কার হয়ে গেলো আমার কাছে। কিন্তু তারপরেও মন মানে না। সমুদ্রে ভাসমান মানুষ নাকি খড়কুটা ধরে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে। আমার অবস্থা হলো সেরকম। চোখ বন্ধ করে সব দ্বিধাকে অস্বীকার করি। হাতে গোনা কিছু ব্যাপার নিয়ে আমি বিশ্বাসের দেয়ালটা গড়তে চেষ্টা করি। কিন্তু ভাঙ্গা ইট দিয়ে দেয়াল বেশী উচু করা যায়না। মাঝখানে ফাঁকা থেকে যায় অনেক যায়গা। আমি চোখ বন্ধ করে ফাকা যায়গাগুলো অস্বীকার করি।
তখন নতুন একটা মুভির অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে। নাম "লাভ ডে"। আমার একটা অভ্যাস হলো বাজারে যে অ্যালবামই আসুক সেটার একটা কপি সংগ্রহে রাখা। অ্যালবামটা যতো অখাদ্য হোক সেটা ব্যাপার না। লাভ ডে - সংগ্রহ করলাম। সেই অ্যালবামে ন্যান্সির একটা গান আছে। "আর কতো ভাবনায় ভাসাবে"
গানের লিরিকটা এরকমঃ আর কতো ভাবনায় ভাসাবে, কতো আর রাখবে আড়াল। আর কতো খেয়ালের সীমানায় কাটাবে দাঁড়িয়ে মহাকাল। ভাঙ্গো না কেনো দ্বিধা, সহস্র নীল ব্যাথা সুখ নদী হয় যে আড়াল।"
সব কিছুর মাঝে রবীন্দ্রনাথকে টেনে নিয়ে আসার একটা অভ্যাস আছে আমার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়ে আসলাম ন্যান্সিকে। আনার কারণ আছে। এই গানের প্রতিটা লাইনের সাথে আমার সে অবস্থা মিলে গেলো। গানের সুর আর কম্পোজিশনেও কিছু একটা ছিলো। হার্টের অলিন্দ নিলয় সবকিছুকে একসাথে আঘাত করে যেতো।
জানি না গানটা এখন শুনলে একই অনুভুতি হবে কি না। এই পোস্ট লেখার সময় গানটা প্ল্যা করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু প্ল্যা করতে গিয়ে থেমে গেলাম। ভয় হয়। ঐ ভয়ংকর সময়টা আমি আর অনুভব করতে চাই না। "কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"
কোন তারীখ কিংবা নাম - কিছুই উল্লেখ করবো না এই সিরিজে। কোন কিছুর বর্ণনাতেও যাবো না। খুব প্রচ্ছন্নভাবে বলার চেষ্টা করবো। দেখা যাক কতোটুকু পারি।
সোজা বাংলায় বললে বলা যায় সেটা ছিলো ত্রিভুজ প্রেম।
সে রাতে বৃষ্টি হয়েছিলো অনেক। আমি ফোনে কথা বলছি। কার সাথে? ত্রিভুজের তৃতীয় বাহুর সাথে। তিনিও নিখাদ ভালো মানুষ। সন্দেহ যেমন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো, তার ক্ষেত্রেও তাই। ত্রিভুজের দ্বিতীয় বাহুটা অনেক চেষ্টা করেছিলো যাতে প্রথম আর তৃতীয় বাহু কোন ভাবে কন্টাক্টে না আসে। কিন্তু ত্রিভুজ বলে কথা। কনটাক্ট না হলে হবে?
আমাদের দুজনের ধৈর্য্যেরই বাধ ভাংলো এক সময়। সে রাতে কথা বললাম অনেকক্ষণ। বলতে গেলে পুরো রাতই। খুব ধীরে ধীরে সত্য বের হয়ে আসতে শুরু করলো।
সত্য আসলে কী! আমি জানতাম সব। তিনিও জানতেন।
কিন্তু সব কিছু পরেও ভিতরে একটা আশা কাজ করছিলো। নিশ্চয়ই আমাদেরই কোথাও ভুল হচ্ছে। সব সন্দেহ শেষ পর্যন্ত সন্দেহই থাকবে।
কিন্তু না। তা হলো না। সন্দেহই সত্য হলো। বিশ্বাসের মৃত্যু হলো তখনই।
(চলবে)
ব্রেক আপের সময়টা নিয়ে লেখার আগে ব্রেক আপের কিছু আগে ফিরে যাই।
ঐ সময়টা ছিলো আরো ভয়ংকর। সন্দেহের পর সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে। আমি প্রতিদিন তৈরী করছি বিশ্বাসের এভারেস্ট। কিন্তু সন্দেহের জোয়ার এসে ভেঙ্গে দিয়ে যায় এভারেস্ট। আমি আবার বিশ্বাস জড়ো করি। পরমুহুর্তে আবার সন্দেহের সুনামী। ভাঙ্গা গড়ার এ এক অদ্ভুত চক্র। আমি সীমাহীন ক্লান্তি নিয়ে তারপরেও সব সন্দেহকে উড়িয়ে দেবার চেষ্টা করি।
একটা পর্যায়ে সবই পরিষ্কার হয়ে গেলো আমার কাছে। কিন্তু তারপরেও মন মানে না। সমুদ্রে ভাসমান মানুষ নাকি খড়কুটা ধরে বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে। আমার অবস্থা হলো সেরকম। চোখ বন্ধ করে সব দ্বিধাকে অস্বীকার করি। হাতে গোনা কিছু ব্যাপার নিয়ে আমি বিশ্বাসের দেয়ালটা গড়তে চেষ্টা করি। কিন্তু ভাঙ্গা ইট দিয়ে দেয়াল বেশী উচু করা যায়না। মাঝখানে ফাঁকা থেকে যায় অনেক যায়গা। আমি চোখ বন্ধ করে ফাকা যায়গাগুলো অস্বীকার করি।
তখন নতুন একটা মুভির অ্যালবাম রিলিজ হয়েছে। নাম "লাভ ডে"। আমার একটা অভ্যাস হলো বাজারে যে অ্যালবামই আসুক সেটার একটা কপি সংগ্রহে রাখা। অ্যালবামটা যতো অখাদ্য হোক সেটা ব্যাপার না। লাভ ডে - সংগ্রহ করলাম। সেই অ্যালবামে ন্যান্সির একটা গান আছে। "আর কতো ভাবনায় ভাসাবে"
গানের লিরিকটা এরকমঃ আর কতো ভাবনায় ভাসাবে, কতো আর রাখবে আড়াল। আর কতো খেয়ালের সীমানায় কাটাবে দাঁড়িয়ে মহাকাল। ভাঙ্গো না কেনো দ্বিধা, সহস্র নীল ব্যাথা সুখ নদী হয় যে আড়াল।"
সব কিছুর মাঝে রবীন্দ্রনাথকে টেনে নিয়ে আসার একটা অভ্যাস আছে আমার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়ে আসলাম ন্যান্সিকে। আনার কারণ আছে। এই গানের প্রতিটা লাইনের সাথে আমার সে অবস্থা মিলে গেলো। গানের সুর আর কম্পোজিশনেও কিছু একটা ছিলো। হার্টের অলিন্দ নিলয় সবকিছুকে একসাথে আঘাত করে যেতো।
জানি না গানটা এখন শুনলে একই অনুভুতি হবে কি না। এই পোস্ট লেখার সময় গানটা প্ল্যা করার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু প্ল্যা করতে গিয়ে থেমে গেলাম। ভয় হয়। ঐ ভয়ংকর সময়টা আমি আর অনুভব করতে চাই না। "কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!"
কোন তারীখ কিংবা নাম - কিছুই উল্লেখ করবো না এই সিরিজে। কোন কিছুর বর্ণনাতেও যাবো না। খুব প্রচ্ছন্নভাবে বলার চেষ্টা করবো। দেখা যাক কতোটুকু পারি।
সোজা বাংলায় বললে বলা যায় সেটা ছিলো ত্রিভুজ প্রেম।
সে রাতে বৃষ্টি হয়েছিলো অনেক। আমি ফোনে কথা বলছি। কার সাথে? ত্রিভুজের তৃতীয় বাহুর সাথে। তিনিও নিখাদ ভালো মানুষ। সন্দেহ যেমন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো, তার ক্ষেত্রেও তাই। ত্রিভুজের দ্বিতীয় বাহুটা অনেক চেষ্টা করেছিলো যাতে প্রথম আর তৃতীয় বাহু কোন ভাবে কন্টাক্টে না আসে। কিন্তু ত্রিভুজ বলে কথা। কনটাক্ট না হলে হবে?
আমাদের দুজনের ধৈর্য্যেরই বাধ ভাংলো এক সময়। সে রাতে কথা বললাম অনেকক্ষণ। বলতে গেলে পুরো রাতই। খুব ধীরে ধীরে সত্য বের হয়ে আসতে শুরু করলো।
সত্য আসলে কী! আমি জানতাম সব। তিনিও জানতেন।
কিন্তু সব কিছু পরেও ভিতরে একটা আশা কাজ করছিলো। নিশ্চয়ই আমাদেরই কোথাও ভুল হচ্ছে। সব সন্দেহ শেষ পর্যন্ত সন্দেহই থাকবে।
কিন্তু না। তা হলো না। সন্দেহই সত্য হলো। বিশ্বাসের মৃত্যু হলো তখনই।
(চলবে)
ব্রেকআপ জিনিশটা খুব কষ্টের । পরের টুকু জানতে মন চায়
উত্তরমুছুনদ্রুতই আশা করি পরের পর্ব লিখে ফেলবো :)
মুছুনপড়ার জন্য ধন্যবাদ অনেক।
এই রাজি একদমই অপরিচিত আমার কাছে......কিন্তু আত্মকথন সব সময়ই খুব বিষণ্ন সুন্দর হয়...
উত্তরমুছুনআমি নিজেও এই রাজির সাথে খুব পরিচিত না আসলে আপু।
মুছুননিজের মধ্যে অনেক চ্যাঞ্জ এসেছে এসব কিছু পরে। :)
কিচ্ছু বলার নাই, নিজের সাথে অনেক মিল খুজে পাচ্ছি....:(
উত্তরমুছুন:) সেটাই স্বভাবিক।
মুছুনতারপর....
উত্তরমুছুনপরের পর্বে :)
মুছুনমিল খুজে পাচ্ছি।।ভুলেই তো গিয়েছিলাম।।মনটা অনেক দিন পর আবার খারাপ হয়ে গেল।।
উত্তরমুছুন:)
মুছুনখামাখা কষ্টটাকে না খুড়লে চলতো না পাগলা!
উত্তরমুছুনঅনেকদিনের ইচ্ছা এসব নিয়ে কিছু লিখবো। লোভটা শেষ পর্যন্ত সামলাতে পারলাম না :)
মুছুনVy,apnar xperience ta bivotsho! I hate trivuj ! Trivuj manush k botrishvuj bnae fle:-|
উত্তরমুছুনঠিক বলেছেন।
মুছুন