রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তো গবেষণা কম হলো না। অনেকেই গবেষণা করেছেন তাঁর সৃষ্টি নিয়ে। তাহলে আমি বাদ যাবো কেনো? তাই এবার আমিও নেমেছি রবীন্দ্র গবেষনায়।
‘কূলের কাছাকাছি আমি ডুবতে রাজি আছি’
>> এই অংশ পাঠের পর আমাদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন? রবীন্দ্রনাথ কূলের কাছাকাছি ডুবতে রাজি আছেন, কেন তিনি মাঝনদীতে ডুবতে চাইছেন না? তবে কি তিনি সাঁতার জানেন না? সাঁতার না জানার ভয়েই কি মাঝনদীকে ভয় পাচ্ছেন? বিশ্বকবি সাঁতার জানতেন না, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। মেনে নেওয়া যায় না।
তার সাতার শিখে নেয়া উচিত ছিলো। লঞ্চ টঞ্চ ডুবে তিনি মারা গেলে ঠাকুর পরিবার নোবেল না পেয়ে ব্ল্যাক ব্যাংগল গোট পেয়ে বসতো। খুবই দুঃখের ব্যাপার হতো সেটা।
‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’
>> এই অংশটা রবীন্দ্রপ্রতিভার একটি অসাধারণ উদাহরণ। বিশ্বকবি আগেই জানতেন, বাংলাদেশ নামের দেশটা দুর্নীতিবাজে ভরে যাবে। অতঃপর সেই দুর্নীতিবাজদের কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক প্যাঁদানি দেবে। প্যাঁদানির চোটে বেচারারা হয়ে পড়বে কাহিল। এ কারণে ঠিকমতো হাঁটতেও পারবে না। আদালতভবনে আসার আগে পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে আসতে হবে তাদের। এসব দুর্নীতিবাজের পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটার দৃশ্যটি মনে করে কবি লিখেছেন, ‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’।’
‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না?’
>> দূরদর্শী রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছেন আমাদের বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নিয়ে। কবি জানতেন, এমন এক সময় আসবে যখন বিদ্যুতের দেখা পাওয়াই হয়ে উঠবে বিরাট মুশকিলের ব্যাপার। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবে মানুষ। এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই কবির সপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না ?’
"সকাতরে ঐ কাদিছে সকলে শোন শোন পিতা"
>> এ গানটি লেখা হয়েছে আওয়ামিলিগ ও জাতির পিতার জন্য। রবীন্দ্রনাথ জানতেন জাতির জনকের মৃত্যুর পর পুরো জাতি কাদবে। কবি মনে প্রশ্ন জেগেছে সকলের কান্না কি পিতা শুনতে পাচ্ছেন? না শুনলে তিনি পিতার কাছে এই গানের মাধ্যমে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন, "সকাতরে ঐ কাদিছে সকলে শোন শোন পিতা"
"রুদ্ধদ্বারের বাহিরে দাড়ায়ে আমি আর কতোকাল এমনে কাটিবে স্বামী"
>> কবি হলেন সাম্যের প্রতিক। তিনি আওয়ামিলীগের জন্য গান লিখেছেন কিন্তু বি এন পি-র জন্য লিখবেন না এটা হতে পারে না। আওয়ামিলিগের জন্য যেমন লিখেছেন পিতা নিয়ে। বি এন পি-র জন্য লিখেছেন স্বামী নিয়ে। দেশের দুরবস্থার কথা দেখে বি এন পি চ্যায়ারপার্সনের মনে জিজ্ঞাসা "এভাবে আর কতোকাল?" রবীন্দ্রনাথ তার ভাষায় বলে দিয়েছেন, "রুদ্ধদ্বারের বাহিরে দাড়ায়ে আমি, আর কতোকাল এমনে কাটিবে স্বামী"
‘আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব— ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব ’
>> এই দেশের রাজনীতিবিদদের কথা মনে করে লেখা হয়েছে এই লাইন দুটো। দেশের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় এসে রাজনীতিবিদেরা দুহাতে টাকা কামানো শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁদের টাকার ভান্ডার হয়ে যায় অশেষ। অবশ্য বিরোধী দলে চলে গেলে তাঁদের টাকা আবার কিছুটা ফুরিয়ে যায়। তবে সেটা বেশি দিনের জন্য না। পাঁচ বছর পর আবার যখন তাঁরা ক্ষমতায় আসেন, তখন আবার তাঁরা হয়ে ওঠেন টাকার কুমির। জীবন হয় নব নব।
গোপন কথাটি রবে না গোপনে উঠিলো ফুটিয়া নীরব নয়নে
>> পারসোনার গোপন ক্যামেরা নিয়ে বিশ্বকবি এই বয়ান দিয়ে গেছেন। তিনি জানতেন ক্যামেরা যতোই গোপন থাকুক না কেনো একদিন সেটা "ফুটিয়া" উঠিবে।
‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’
>> রবীন্দ্রনাথ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছিলেন, একদা এই দেশে রস+আলো নামে একটা ম্যাগাজিন বের হবে। সঙ্গে এ কথাও তিনি জেনেছিলেন, ওই ম্যাগাজিনে তাঁর গান আর লেখা নিয়ে গবেষণা হবে, যেখানে সূক্ষ্মভাবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করা হবে। তাই আগেভাগেই তিনি ‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’—এ কথা বলে সবাইকে রস+আলো পড়তে বারণ করে দিয়ে গেছেন। এ কথাও জানিয়ে গেছেন, রস+আলোতে রস নাই।
রবীন্দ্র গবেষনার একটা ভার্সন আজ রস আলো-তে প্রকাশিত।
‘কূলের কাছাকাছি আমি ডুবতে রাজি আছি’
>> এই অংশ পাঠের পর আমাদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন? রবীন্দ্রনাথ কূলের কাছাকাছি ডুবতে রাজি আছেন, কেন তিনি মাঝনদীতে ডুবতে চাইছেন না? তবে কি তিনি সাঁতার জানেন না? সাঁতার না জানার ভয়েই কি মাঝনদীকে ভয় পাচ্ছেন? বিশ্বকবি সাঁতার জানতেন না, এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। মেনে নেওয়া যায় না।
তার সাতার শিখে নেয়া উচিত ছিলো। লঞ্চ টঞ্চ ডুবে তিনি মারা গেলে ঠাকুর পরিবার নোবেল না পেয়ে ব্ল্যাক ব্যাংগল গোট পেয়ে বসতো। খুবই দুঃখের ব্যাপার হতো সেটা।
‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’
>> এই অংশটা রবীন্দ্রপ্রতিভার একটি অসাধারণ উদাহরণ। বিশ্বকবি আগেই জানতেন, বাংলাদেশ নামের দেশটা দুর্নীতিবাজে ভরে যাবে। অতঃপর সেই দুর্নীতিবাজদের কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে ব্যাপক প্যাঁদানি দেবে। প্যাঁদানির চোটে বেচারারা হয়ে পড়বে কাহিল। এ কারণে ঠিকমতো হাঁটতেও পারবে না। আদালতভবনে আসার আগে পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে আসতে হবে তাদের। এসব দুর্নীতিবাজের পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে হাঁটার দৃশ্যটি মনে করে কবি লিখেছেন, ‘আমার এ দেহখানি তুলে ধরো’।’
‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরদিন কেন পাই না?’
>> দূরদর্শী রবীন্দ্রনাথ এ গানটি লিখেছেন আমাদের বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা নিয়ে। কবি জানতেন, এমন এক সময় আসবে যখন বিদ্যুতের দেখা পাওয়াই হয়ে উঠবে বিরাট মুশকিলের ব্যাপার। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবে মানুষ। এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই কবির সপ্রশ্ন জিজ্ঞাসা, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না ?’
"সকাতরে ঐ কাদিছে সকলে শোন শোন পিতা"
>> এ গানটি লেখা হয়েছে আওয়ামিলিগ ও জাতির পিতার জন্য। রবীন্দ্রনাথ জানতেন জাতির জনকের মৃত্যুর পর পুরো জাতি কাদবে। কবি মনে প্রশ্ন জেগেছে সকলের কান্না কি পিতা শুনতে পাচ্ছেন? না শুনলে তিনি পিতার কাছে এই গানের মাধ্যমে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন, "সকাতরে ঐ কাদিছে সকলে শোন শোন পিতা"
"রুদ্ধদ্বারের বাহিরে দাড়ায়ে আমি আর কতোকাল এমনে কাটিবে স্বামী"
>> কবি হলেন সাম্যের প্রতিক। তিনি আওয়ামিলীগের জন্য গান লিখেছেন কিন্তু বি এন পি-র জন্য লিখবেন না এটা হতে পারে না। আওয়ামিলিগের জন্য যেমন লিখেছেন পিতা নিয়ে। বি এন পি-র জন্য লিখেছেন স্বামী নিয়ে। দেশের দুরবস্থার কথা দেখে বি এন পি চ্যায়ারপার্সনের মনে জিজ্ঞাসা "এভাবে আর কতোকাল?" রবীন্দ্রনাথ তার ভাষায় বলে দিয়েছেন, "রুদ্ধদ্বারের বাহিরে দাড়ায়ে আমি, আর কতোকাল এমনে কাটিবে স্বামী"
‘আমারে তুমি অশেষ করেছ, এমনি লীলা তব— ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ, জীবন নব নব ’
>> এই দেশের রাজনীতিবিদদের কথা মনে করে লেখা হয়েছে এই লাইন দুটো। দেশের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় এসে রাজনীতিবিদেরা দুহাতে টাকা কামানো শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁদের টাকার ভান্ডার হয়ে যায় অশেষ। অবশ্য বিরোধী দলে চলে গেলে তাঁদের টাকা আবার কিছুটা ফুরিয়ে যায়। তবে সেটা বেশি দিনের জন্য না। পাঁচ বছর পর আবার যখন তাঁরা ক্ষমতায় আসেন, তখন আবার তাঁরা হয়ে ওঠেন টাকার কুমির। জীবন হয় নব নব।
গোপন কথাটি রবে না গোপনে উঠিলো ফুটিয়া নীরব নয়নে
>> পারসোনার গোপন ক্যামেরা নিয়ে বিশ্বকবি এই বয়ান দিয়ে গেছেন। তিনি জানতেন ক্যামেরা যতোই গোপন থাকুক না কেনো একদিন সেটা "ফুটিয়া" উঠিবে।
‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’
>> রবীন্দ্রনাথ অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে অনুভব করেছিলেন, একদা এই দেশে রস+আলো নামে একটা ম্যাগাজিন বের হবে। সঙ্গে এ কথাও তিনি জেনেছিলেন, ওই ম্যাগাজিনে তাঁর গান আর লেখা নিয়ে গবেষণা হবে, যেখানে সূক্ষ্মভাবে তাঁর সৃষ্টিকর্মের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করা হবে। তাই আগেভাগেই তিনি ‘নাই রস নাই, দারুণ দাহনবেলা’—এ কথা বলে সবাইকে রস+আলো পড়তে বারণ করে দিয়ে গেছেন। এ কথাও জানিয়ে গেছেন, রস+আলোতে রস নাই।
রবীন্দ্র গবেষনার একটা ভার্সন আজ রস আলো-তে প্রকাশিত।