রস+আলো প্রায়ই পাঠকদের লেখা নিয়ে বের করে পাঠকসংখ্যা। ঘোষণা দিয়ে পাঠকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় লেখা। কিন্তু পাঠকসংখ্যা বের হতে দেরি হয় সপ্তাহের পর সপ্তাহ। পাঠকদের দাবির মুখেও বের হয় না তা। বের হয় অনেক দিন পরে, হঠাৎ করে। এই পাঠকসংখ্যা কেন বের হয়? কী তার কারণ? গবেষণা করে জানাচ্ছেন আলিম আল রাজি:
সমস্যা
রস+আলো বিভাগীয় সম্পাদক চলে গেছেন দেশের বাইরে। দেশে থাকতেই তিনি বিরাট ফাঁকিবাজ। বিদেশ গিয়ে একেবারেই ভুলে গেলেন রস+আলো ও তাঁর লাখ লাখ পাঠকের কথা।
বিভাগীয় সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নিয়মিত লেখকেরা ফাঁকি দেওয়া শুরু করলেন। কেউই লেখা-আঁকা জমা দিলেন না সময়মতো। এদিকে, সোমবার প্রায় এসেই গেল। বিরাট সমস্যা! এখন পাঠকদের কী দেওয়া হবে?
সমাধান: পাঠকদের লেখা দিয়ে বের করা হলো একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
রস+আলোর নিয়মিত লেখকেরা ফাঁকিবাজির জন্য বিখ্যাত। এঁরা সুযোগ পেলেই পল্টি মারেন। বিভাগীয় সম্পাদকের চোখরাঙানি দেখে মোটামুটি লাইনে থাকেন সবাই। কিন্তু মাঝেমধ্যে সেই চোখরাঙানিতেও কাজ হয় না। হঠাৎ হঠাৎ লেখা জমা না দিয়ে হাওয়া হয়ে যান কেউ কেউ। বিভাগীয় সম্পাদকের তখন মাথা গরম। ফোন করেন লেখককে—
—ওই মিয়া, কই আপনি?
—এই তো, বস। অফিসের পাশেই।
—লেখা কই?
—ইয়ে...মানে। আমি তো কবেই লেখা লিখে রেখেছি। এক্ষুনি এসে লেখা দিয়ে যাচ্ছি।
বলা বাহুল্য, লেখক আর লেখা জমা দেন না। বিভাগীয় সম্পাদকের তখন মাথায় হাত। পাঠকের কাছে কী যাবে?
সমাধান: বের করে দাও একটা পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
বিভাগীয় সম্পাদক মহোদয় অত্যন্ত তথ্য ও প্রযুক্তিসচেতন মানুষ। দেশ-বিদেশের ফিমেল ফ্যানদের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। এ জন্য তাঁকে প্রায় সারা দিনই ফেসবুক খুলে বসে থাকতে দেখা যায়। অফিসের সময় দীর্ঘক্ষণ চ্যাট করতে করতে আসল কাজের কথাই ভুলে যান। একেবারে শেষের দিকে এসে মনে পড়ে—খাইছে রে! রস+আলোই তো রেডি করা হয়নি। এখন কী হবে! টেনশনে তাঁর সারা শরীর ঘামতে থাকে।
সমাধান: এই জটিল সমস্যার সমাধান করতে তিনি পাঠকদের লেখা দিয়ে বের করে ফেলেন একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
আমাদের এই প্রিয় বঙ্গদেশে খালি দুঃসংবাদ আর দুঃসংবাদ। এত দুঃসংবাদের ভিড়েও রস+আলোর আইডিয়াবাজরা প্রতি সপ্তাহে পাঠকের জন্য খুঁজে বের করে আনেন মজার সব লেখা। কিন্তু বিধির বিধান বড়ই নির্মম। মাঝে মাঝে তাঁরা কোনো আইডিয়াই খুঁজে পান না। আইডিয়াবাজ, কার্টুনিস্টরা বসে মাথা চুলকান, চুল ছেঁড়েন, কাপের পর কাপ চা খান। কিন্তু আইডিয়া আর আসে না। এই আইডিয়াশূন্য অবস্থা বিভাগীয় সম্পাদকের জন্য এক অশনিসংকেত। তিনি ভেবে পান না, পরের সোমবার পাঠককে কী দেবেন!
সমাধান: এই সমস্যার সমাধানও সহজ। প্রাণপ্রিয় পাঠকদের লেখা দিয়ে তিনি বের করে ফেলেন একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
রস+আলোর আইডিয়াবাজরা সারা রাত না ঘুমিয়ে খুঁটে খুঁটে আইডিয়া বের করেন। দেশ, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রেম ইত্যাদি নিয়ে তাঁরা লেখেন। তারপর সেটা দেন বিভাগীয় সম্পাদকের টেবিলে। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিভাগীয় সম্পাদকের সব খারাপ সিনড্রোম চলে আসে (নিন্দুকেরা বলেন, স্ত্রীর ঝাড়ি খাওয়ার পর তাঁর এই সমস্যা বেশি হয়)। তাঁর কাছে কোনো আইডিয়াই আর ভালো লাগে না। তিনি লেখা দেখে মুখ কুঁচকে বলেন, ‘ওই মিয়া, কী লিখছেন? এইখানে তো মজা খুঁইজা পাই না!’
আইডিয়াবাজরা মুখ কালো করে প্রস্থান করেন। কিন্তু বিভাগীয় সম্পাদক তখন কী করবেন? লেখা তো পছন্দ হলো না। রস+আলোতে যাবে কী?
সমাধান: বিভাগীয় সম্পাদক পাঠকদের সম্মানে বের করে ফেললেন একটা পাঠকসংখ্যা। পাঠক খুশি, বিভাগীয় সম্পাদকও।
সমস্যা
রস+আলো বিভাগীয় সম্পাদক চলে গেছেন দেশের বাইরে। দেশে থাকতেই তিনি বিরাট ফাঁকিবাজ। বিদেশ গিয়ে একেবারেই ভুলে গেলেন রস+আলো ও তাঁর লাখ লাখ পাঠকের কথা।
বিভাগীয় সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে নিয়মিত লেখকেরা ফাঁকি দেওয়া শুরু করলেন। কেউই লেখা-আঁকা জমা দিলেন না সময়মতো। এদিকে, সোমবার প্রায় এসেই গেল। বিরাট সমস্যা! এখন পাঠকদের কী দেওয়া হবে?
সমাধান: পাঠকদের লেখা দিয়ে বের করা হলো একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
রস+আলোর নিয়মিত লেখকেরা ফাঁকিবাজির জন্য বিখ্যাত। এঁরা সুযোগ পেলেই পল্টি মারেন। বিভাগীয় সম্পাদকের চোখরাঙানি দেখে মোটামুটি লাইনে থাকেন সবাই। কিন্তু মাঝেমধ্যে সেই চোখরাঙানিতেও কাজ হয় না। হঠাৎ হঠাৎ লেখা জমা না দিয়ে হাওয়া হয়ে যান কেউ কেউ। বিভাগীয় সম্পাদকের তখন মাথা গরম। ফোন করেন লেখককে—
—ওই মিয়া, কই আপনি?
—এই তো, বস। অফিসের পাশেই।
—লেখা কই?
—ইয়ে...মানে। আমি তো কবেই লেখা লিখে রেখেছি। এক্ষুনি এসে লেখা দিয়ে যাচ্ছি।
বলা বাহুল্য, লেখক আর লেখা জমা দেন না। বিভাগীয় সম্পাদকের তখন মাথায় হাত। পাঠকের কাছে কী যাবে?
সমাধান: বের করে দাও একটা পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
বিভাগীয় সম্পাদক মহোদয় অত্যন্ত তথ্য ও প্রযুক্তিসচেতন মানুষ। দেশ-বিদেশের ফিমেল ফ্যানদের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। এ জন্য তাঁকে প্রায় সারা দিনই ফেসবুক খুলে বসে থাকতে দেখা যায়। অফিসের সময় দীর্ঘক্ষণ চ্যাট করতে করতে আসল কাজের কথাই ভুলে যান। একেবারে শেষের দিকে এসে মনে পড়ে—খাইছে রে! রস+আলোই তো রেডি করা হয়নি। এখন কী হবে! টেনশনে তাঁর সারা শরীর ঘামতে থাকে।
সমাধান: এই জটিল সমস্যার সমাধান করতে তিনি পাঠকদের লেখা দিয়ে বের করে ফেলেন একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
আমাদের এই প্রিয় বঙ্গদেশে খালি দুঃসংবাদ আর দুঃসংবাদ। এত দুঃসংবাদের ভিড়েও রস+আলোর আইডিয়াবাজরা প্রতি সপ্তাহে পাঠকের জন্য খুঁজে বের করে আনেন মজার সব লেখা। কিন্তু বিধির বিধান বড়ই নির্মম। মাঝে মাঝে তাঁরা কোনো আইডিয়াই খুঁজে পান না। আইডিয়াবাজ, কার্টুনিস্টরা বসে মাথা চুলকান, চুল ছেঁড়েন, কাপের পর কাপ চা খান। কিন্তু আইডিয়া আর আসে না। এই আইডিয়াশূন্য অবস্থা বিভাগীয় সম্পাদকের জন্য এক অশনিসংকেত। তিনি ভেবে পান না, পরের সোমবার পাঠককে কী দেবেন!
সমাধান: এই সমস্যার সমাধানও সহজ। প্রাণপ্রিয় পাঠকদের লেখা দিয়ে তিনি বের করে ফেলেন একটি পাঠকসংখ্যা।
সমস্যা
রস+আলোর আইডিয়াবাজরা সারা রাত না ঘুমিয়ে খুঁটে খুঁটে আইডিয়া বের করেন। দেশ, সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, প্রেম ইত্যাদি নিয়ে তাঁরা লেখেন। তারপর সেটা দেন বিভাগীয় সম্পাদকের টেবিলে। কিন্তু মাঝেমধ্যে বিভাগীয় সম্পাদকের সব খারাপ সিনড্রোম চলে আসে (নিন্দুকেরা বলেন, স্ত্রীর ঝাড়ি খাওয়ার পর তাঁর এই সমস্যা বেশি হয়)। তাঁর কাছে কোনো আইডিয়াই আর ভালো লাগে না। তিনি লেখা দেখে মুখ কুঁচকে বলেন, ‘ওই মিয়া, কী লিখছেন? এইখানে তো মজা খুঁইজা পাই না!’
আইডিয়াবাজরা মুখ কালো করে প্রস্থান করেন। কিন্তু বিভাগীয় সম্পাদক তখন কী করবেন? লেখা তো পছন্দ হলো না। রস+আলোতে যাবে কী?
সমাধান: বিভাগীয় সম্পাদক পাঠকদের সম্মানে বের করে ফেললেন একটা পাঠকসংখ্যা। পাঠক খুশি, বিভাগীয় সম্পাদকও।