ঘড়িতে রাত ১১.৪৫ মিনিট। ইন্টার্ন ছোট ভাই ফাইল নিয়ে আসলো।
- ভাইয়া, প্যাশেন্ট আসছে
- কী প্যাশেন্ট?
- ডায়রিয়া আর উইকনেস।
- ম্যানেজ করো।
- পালস তো কম। ৫২।
- আগে কি ওষুধ টষুধ কিছু পায়?
- বিসোপ্রোলোল পায়।
- এইটাই মনে হয় ব্রেডিকার্ডিয়া করেছে। তাও একটা ইসিজি করে নিয়ে আয়।
ইসিজি আসলো ১২ টায়। টল পিকড টি ওয়েভ। কোনো এট্রিয়াল একটিভিটি নেই। টিপিকাল হাইপারক্যালেমিয়ার ইসিজি। হাইপার একিউট এমআইর সম্ভবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
প্যাশেন্টটা দেখে আসা দরকার।
যেতে যেতে ইন্টার্ন-এর কাছ থেকে সংক্ষেপে হিস্ট্রি শুনে নিলাম।
মহিলার বয়স ৬৩। ১০ বছর থেকে ডায়াবেটিক। ৮ বছর থেকে হাইপারটেনসিভ। এখন ব্লাড প্রেশার ১৬০/১০০। আরবিএস ২৮।
প্যাশেন্টের পাশে দাঁড়ালাম।
কয়েক মুহূর্ত পর আবিষ্কার করলাম রোগীর হাত পায়ের কোনো মুভমেন্ট নেই। মাসল পাওয়ার একদম জিরো। কোনো জার্ক নেই। মাসল বলতে শুধু ফ্যাসিয়াল মাসল আর রেসপিরেটরি মাসল চলছে। তাও কষ্টে। ফ্যাটিগ হয়ে আসছে, বুঝাই যাচ্ছে। আর হাত পায়ের পাওয়ার আসলেই শূণ্য।
রোগী যে খুবই খারাপ এটা বুঝতে আর বাকি থাকলো না।
ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তখন চিন্তার ঝড়। নিজেই নিজেকে অসংখ্য প্রশ্ন করছি। আবার উত্তরও খোজার চেষ্টা করছি।
- ডায়রিয়া থেকে হাইপোক্যালেমিয়া? হাইপোক্যালেমিয়া থেকে প্যারালাইসিস?
: সম্ভবনা প্রবল। কিন্তু ইসিজির এই চেহারা কেন? এই ইসিজি কোনোভাবেই ইগনোর করার মতো না।
- বেশি গ্লুকোজের কারণে ইন্ট্রাসেলুলার পটাশিয়াম শিফট হয়ে বাইরে চলে এসেছে? সেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: নট আনলাইকলি। কিন্তু তাই বলে এতটা হয়ে যাবে যে একদম মাসল পাওয়ার শূণ্য হয়ে যাবে?
- প্রচুর গ্লুকোজের কারণে প্রচুর ইনসুলিন চলে এসেছে ব্লাডে? এই ইনসুলিন সব পটাশিয়াম ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেলের ভিতরে? তারপর হাইপোক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: নট আনলাইকলি। বাট একটু বেশি আকাশ পাতাল চিন্তাভাবনা হয়ে যাচ্ছে না? তাছাড়া ইসিজিই বা এমন হবে কেন? টি অয়েভ আকাশে উঠে বসে থাকবে কেন?
- তাহলে কি ডায়রিয়া থেকে একিউট কিডনি ইনজুরি, ইনজুরি থেকে হাইপারক্যালেমিয়া, যেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: সম্ভবনা খুবই কম। ইউরিন আউটপুট ভালো। তাছাড়া এইটা একটু বেশিই ডিসটেন্ট পসিবিলিটি।
- নাকি সিম্পল হাইপোকেলেমিক/হাইপারক্যালেমিক পরিয়ডিক প্যারালাইসিস? বেশি চিন্তা করছি না তো?
: সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
হাত নিশপিশ করছে, একবার ভাবছি ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট দেই, আবার ভাবছি পটাশিয়াম দেই।
কিন্তু... কোনো একদিকে রিস্ক নেয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমান হাত নেই।
এখন কী করা?
- আইসিইউর কথা বললাম।
তারা যাবেনা।
টেকনিকাল দিন চিন্তা করে ভাবলাম ওসমানিতে পাঠিয়ে দেই।
তারা তাও যাবে না। এই গভীর রাতে মরলেও এখানে, বাঁচলেও এখানে।
রিস্ক বন্ডে স্বাক্ষর নিলাম। বললাম, দোয়া করেন। আমার মা হলে যা করতাম, আপনার মা'র জন্য তা-ই করবো।
ল্যাবে ফোন দিলাম। ইলেকট্রোলাইট রিপোর্ট দিতে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট লেগে যাবে।
এত সময় হাতে নেই।
চট করে মাথায় আসলো এবিজি করে ফেলা যায়।
আর্টারিয়াল ব্লাড টেনে আইসিইউতে পাঠালাম। এখান থেকে ইলেকট্রোলাইটের একটা রাফ হিসাব পাওয়া সম্ভব।
রিপোর্ট চলে আসলো ১০/১৫ মিনিট পরেই।
পটাশিয়াম ১০.৬! অর্থাৎ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস। খুবই আনকমন। হাইপোতে পাওয়া যায়, আগেও পেয়েছি। কিন্তু হাইপার ক্যালেমিয়াতে এই অবস্থা খুবই রেয়ার। অন্তত আমি আগে পাইনি।
মাসল যাক, ভয়ংকর ব্যাপার হলো এই পটাশিয়াম লেভেলে যেকোনো মুহূর্তে হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে! ইন ফ্যাক্ট এতক্ষণ যে বন্ধ হয়নি এটাই আশ্চর্যের বিষয়।
নেফ্রোলোজিকে ডায়ালাইসিসের জন্য রেডি করে আমার কাজ করা শুরু করলাম।
দ্রুত দিলাম ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট। এই ইনজেকশন দিতে সময় নিতে হয় ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটকে আমার মনে হলো মহাকাল!
মন্দের ভালো হচ্ছে -ব্লাড প্রেশার বেশি। গ্লুকোজ বেশি। হার্টরেট কম।
এগ্রেসিভ ওয়েতে ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, বিটা এগোনিস্ট দিতে কোনো বাধা নেই।
সব দিলাম। ঘড়িতে তখন ১২.৪৫
১.৩০ মিনিটে যা ঘটলো সেটা জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।
মাসল পাওয়া শূণ্যের প্যাশেন্ট খুব অল্প করে আঙুল নাড়ছে।
আরো ৩০ মিনিট গেলো।
প্যাশেন্টের কব্জিও নড়ছে।
জীবনেও ভাবিনি - এতটা বিষ্ময়, এতটা আনন্দ আর এতটা মুগ্ধতা নিয়ে কারো কবজি নাড়ানো দেখবো।
ইসিজি রিপিট করলাম।
টি অয়েভ নেমে এসেছে ২ ঘর!
ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, সালবিউটামল চলছে।
রুটিনলি ইসিজি করছি, এক ঘর আধ ঘরে টি নামছে। হার্ট রেট বাড়ছে।
আমার নিজের হার্টবিটও বাড়ছে। মস্তিষ্ককে এড্রেনালিনে ধুয়ে দিচ্ছে।
প্যাশেন্টের মাসল পাওয়ার বাড়ছে। ১..২..২+...৩...
আমি দুইজন ইন্টার্ণের সাথে এই পৃথিবীর সব আনন্দ নিয়ে প্যাশেন্টের পাশে বসে রইলাম ভোর ৬ টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে পাওয়া গেলো ড্রাগ হিস্ট্রি।
ডায়রিয়ার সাথে রোগীর ছিলো পেট ব্যাথা। এই ব্যাথা কমানোর জন্য ফার্মেসিওয়ালা খাইয়েছে কিটোরোলাক। জানি না কী ভেবে ফার্মেসিওয়ালা রোগীকে এক বোতল সাইট্রা কে সিরাপও খাইয়ে দিয়েছে।
এর মধ্যে ল্যাব থেকে রিপোর্ট চলে এসেছে। ক্রিয়েটিনিন ১.৮।
প্রাথমিক ডায়াগনোসিস হিসেবে ধরে নিলাম -
সিভিয়ার হাইপারক্যালেমিয়া ডিউ টু একেআই ডিউ টু ডায়রিয়া এন্ড NSAID এন্ড এক্সেসিভ অরাল পটাশিয়াম ইনটেক (+/- ডিউ টু হাইপারগ্লাইসেমিয়া) উইথ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস এন্ড DM এন্ড HTN.
আজ সন্ধার ফলো আপ -
ক্রিয়েটিনিন কমছে।
ইসিজি নরমাল।
হার্ট রেট ৭০।
পটাশিয়াম ৫.৬
সোডিয়াম একটু কম, ১২৭ (সম্ভবত বেশি ডাইইউরেটিক্স এর জন্য)
প্যাশেন্ট হাটছেন, কথা বলছেন।
ফাইনাল ডায়াগনোসিস কী হবে জানি না (কারো কোনো অপিনিয়ন থাকলে জানাতে পারেন)। তবে মেডিসিন তাঁর সব সৌন্দর্য নিয়ে যে রাতে নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেমে এসেছিলো সেই রাতকে আমি কখনোই ভুলবো না।
সারারাত ঘুমাইনি। ভোরবেলা তাও ক্লান্তি লাগেনি। The Science of Uncertainty and the Art of Probability নিয়ে ঘাটাঘাটিতে কোনো ক্লান্তি নেই।
সিরিয়াল ইসিজি-
- ভাইয়া, প্যাশেন্ট আসছে
- কী প্যাশেন্ট?
- ডায়রিয়া আর উইকনেস।
- ম্যানেজ করো।
- পালস তো কম। ৫২।
- আগে কি ওষুধ টষুধ কিছু পায়?
- বিসোপ্রোলোল পায়।
- এইটাই মনে হয় ব্রেডিকার্ডিয়া করেছে। তাও একটা ইসিজি করে নিয়ে আয়।
ইসিজি আসলো ১২ টায়। টল পিকড টি ওয়েভ। কোনো এট্রিয়াল একটিভিটি নেই। টিপিকাল হাইপারক্যালেমিয়ার ইসিজি। হাইপার একিউট এমআইর সম্ভবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না।
প্যাশেন্টটা দেখে আসা দরকার।
যেতে যেতে ইন্টার্ন-এর কাছ থেকে সংক্ষেপে হিস্ট্রি শুনে নিলাম।
মহিলার বয়স ৬৩। ১০ বছর থেকে ডায়াবেটিক। ৮ বছর থেকে হাইপারটেনসিভ। এখন ব্লাড প্রেশার ১৬০/১০০। আরবিএস ২৮।
প্যাশেন্টের পাশে দাঁড়ালাম।
কয়েক মুহূর্ত পর আবিষ্কার করলাম রোগীর হাত পায়ের কোনো মুভমেন্ট নেই। মাসল পাওয়ার একদম জিরো। কোনো জার্ক নেই। মাসল বলতে শুধু ফ্যাসিয়াল মাসল আর রেসপিরেটরি মাসল চলছে। তাও কষ্টে। ফ্যাটিগ হয়ে আসছে, বুঝাই যাচ্ছে। আর হাত পায়ের পাওয়ার আসলেই শূণ্য।
রোগী যে খুবই খারাপ এটা বুঝতে আর বাকি থাকলো না।
ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে তখন চিন্তার ঝড়। নিজেই নিজেকে অসংখ্য প্রশ্ন করছি। আবার উত্তরও খোজার চেষ্টা করছি।
- ডায়রিয়া থেকে হাইপোক্যালেমিয়া? হাইপোক্যালেমিয়া থেকে প্যারালাইসিস?
: সম্ভবনা প্রবল। কিন্তু ইসিজির এই চেহারা কেন? এই ইসিজি কোনোভাবেই ইগনোর করার মতো না।
- বেশি গ্লুকোজের কারণে ইন্ট্রাসেলুলার পটাশিয়াম শিফট হয়ে বাইরে চলে এসেছে? সেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: নট আনলাইকলি। কিন্তু তাই বলে এতটা হয়ে যাবে যে একদম মাসল পাওয়ার শূণ্য হয়ে যাবে?
- প্রচুর গ্লুকোজের কারণে প্রচুর ইনসুলিন চলে এসেছে ব্লাডে? এই ইনসুলিন সব পটাশিয়াম ঢুকিয়ে দিচ্ছে সেলের ভিতরে? তারপর হাইপোক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: নট আনলাইকলি। বাট একটু বেশি আকাশ পাতাল চিন্তাভাবনা হয়ে যাচ্ছে না? তাছাড়া ইসিজিই বা এমন হবে কেন? টি অয়েভ আকাশে উঠে বসে থাকবে কেন?
- তাহলে কি ডায়রিয়া থেকে একিউট কিডনি ইনজুরি, ইনজুরি থেকে হাইপারক্যালেমিয়া, যেখান থেকে হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস?
: সম্ভবনা খুবই কম। ইউরিন আউটপুট ভালো। তাছাড়া এইটা একটু বেশিই ডিসটেন্ট পসিবিলিটি।
- নাকি সিম্পল হাইপোকেলেমিক/হাইপারক্যালেমিক পরিয়ডিক প্যারালাইসিস? বেশি চিন্তা করছি না তো?
: সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
হাত নিশপিশ করছে, একবার ভাবছি ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট দেই, আবার ভাবছি পটাশিয়াম দেই।
কিন্তু... কোনো একদিকে রিস্ক নেয়ার মতো পর্যাপ্ত প্রমান হাত নেই।
এখন কী করা?
- আইসিইউর কথা বললাম।
তারা যাবেনা।
টেকনিকাল দিন চিন্তা করে ভাবলাম ওসমানিতে পাঠিয়ে দেই।
তারা তাও যাবে না। এই গভীর রাতে মরলেও এখানে, বাঁচলেও এখানে।
রিস্ক বন্ডে স্বাক্ষর নিলাম। বললাম, দোয়া করেন। আমার মা হলে যা করতাম, আপনার মা'র জন্য তা-ই করবো।
ল্যাবে ফোন দিলাম। ইলেকট্রোলাইট রিপোর্ট দিতে ৬০ থেকে ৯০ মিনিট লেগে যাবে।
এত সময় হাতে নেই।
চট করে মাথায় আসলো এবিজি করে ফেলা যায়।
আর্টারিয়াল ব্লাড টেনে আইসিইউতে পাঠালাম। এখান থেকে ইলেকট্রোলাইটের একটা রাফ হিসাব পাওয়া সম্ভব।
রিপোর্ট চলে আসলো ১০/১৫ মিনিট পরেই।
পটাশিয়াম ১০.৬! অর্থাৎ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস। খুবই আনকমন। হাইপোতে পাওয়া যায়, আগেও পেয়েছি। কিন্তু হাইপার ক্যালেমিয়াতে এই অবস্থা খুবই রেয়ার। অন্তত আমি আগে পাইনি।
মাসল যাক, ভয়ংকর ব্যাপার হলো এই পটাশিয়াম লেভেলে যেকোনো মুহূর্তে হার্ট বন্ধ হয়ে যাবে! ইন ফ্যাক্ট এতক্ষণ যে বন্ধ হয়নি এটাই আশ্চর্যের বিষয়।
নেফ্রোলোজিকে ডায়ালাইসিসের জন্য রেডি করে আমার কাজ করা শুরু করলাম।
দ্রুত দিলাম ক্যালসিয়াম গ্লুকোনেট। এই ইনজেকশন দিতে সময় নিতে হয় ১০ মিনিট। এই ১০ মিনিটকে আমার মনে হলো মহাকাল!
মন্দের ভালো হচ্ছে -ব্লাড প্রেশার বেশি। গ্লুকোজ বেশি। হার্টরেট কম।
এগ্রেসিভ ওয়েতে ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, বিটা এগোনিস্ট দিতে কোনো বাধা নেই।
সব দিলাম। ঘড়িতে তখন ১২.৪৫
১.৩০ মিনিটে যা ঘটলো সেটা জন্য আমি একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।
মাসল পাওয়া শূণ্যের প্যাশেন্ট খুব অল্প করে আঙুল নাড়ছে।
আরো ৩০ মিনিট গেলো।
প্যাশেন্টের কব্জিও নড়ছে।
জীবনেও ভাবিনি - এতটা বিষ্ময়, এতটা আনন্দ আর এতটা মুগ্ধতা নিয়ে কারো কবজি নাড়ানো দেখবো।
ইসিজি রিপিট করলাম।
টি অয়েভ নেমে এসেছে ২ ঘর!
ফ্রুসেমাইড, ইনসুলিন, সালবিউটামল চলছে।
রুটিনলি ইসিজি করছি, এক ঘর আধ ঘরে টি নামছে। হার্ট রেট বাড়ছে।
আমার নিজের হার্টবিটও বাড়ছে। মস্তিষ্ককে এড্রেনালিনে ধুয়ে দিচ্ছে।
প্যাশেন্টের মাসল পাওয়ার বাড়ছে। ১..২..২+...৩...
আমি দুইজন ইন্টার্ণের সাথে এই পৃথিবীর সব আনন্দ নিয়ে প্যাশেন্টের পাশে বসে রইলাম ভোর ৬ টা পর্যন্ত।
এর মধ্যে পাওয়া গেলো ড্রাগ হিস্ট্রি।
ডায়রিয়ার সাথে রোগীর ছিলো পেট ব্যাথা। এই ব্যাথা কমানোর জন্য ফার্মেসিওয়ালা খাইয়েছে কিটোরোলাক। জানি না কী ভেবে ফার্মেসিওয়ালা রোগীকে এক বোতল সাইট্রা কে সিরাপও খাইয়ে দিয়েছে।
এর মধ্যে ল্যাব থেকে রিপোর্ট চলে এসেছে। ক্রিয়েটিনিন ১.৮।
প্রাথমিক ডায়াগনোসিস হিসেবে ধরে নিলাম -
সিভিয়ার হাইপারক্যালেমিয়া ডিউ টু একেআই ডিউ টু ডায়রিয়া এন্ড NSAID এন্ড এক্সেসিভ অরাল পটাশিয়াম ইনটেক (+/- ডিউ টু হাইপারগ্লাইসেমিয়া) উইথ হাইপারক্যালেমিক প্যারালাইসিস এন্ড DM এন্ড HTN.
আজ সন্ধার ফলো আপ -
ক্রিয়েটিনিন কমছে।
ইসিজি নরমাল।
হার্ট রেট ৭০।
পটাশিয়াম ৫.৬
সোডিয়াম একটু কম, ১২৭ (সম্ভবত বেশি ডাইইউরেটিক্স এর জন্য)
প্যাশেন্ট হাটছেন, কথা বলছেন।
ফাইনাল ডায়াগনোসিস কী হবে জানি না (কারো কোনো অপিনিয়ন থাকলে জানাতে পারেন)। তবে মেডিসিন তাঁর সব সৌন্দর্য নিয়ে যে রাতে নর্থ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেমে এসেছিলো সেই রাতকে আমি কখনোই ভুলবো না।
সারারাত ঘুমাইনি। ভোরবেলা তাও ক্লান্তি লাগেনি। The Science of Uncertainty and the Art of Probability নিয়ে ঘাটাঘাটিতে কোনো ক্লান্তি নেই।
সিরিয়াল ইসিজি-
Very justified observations! Please carry on....
উত্তরমুছুনVery good article! Your post is really helpful for me thanks for wonderful post.I am very happy to read your post Honours 2nd Year Result 2020 has been Published 2020 Check Your Result Download the Marksheet
উত্তরমুছুনআপনার এই পোস্ট টা অনেকবার পড়েছি স্যার,সত্যিই মেডিসিনের একটা আলাদা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে,যেটা ধরতে পারলে চোখ ফেরানো যায় না😍😍
উত্তরমুছুনAro likha chai
উত্তরমুছুন