একটা মুভি রিভিউ লিখলাম। তবে কোন মুভি সেটা বুঝতে পারছিনা। সামনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে এরকম কোনো মুভিটুভি হবে হয়তো। ব্যাপার না। মুক্তি পাক। দ্যান মিলিয়ে দেখা যাবে।
-
ছবিটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ। প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী স্ব-স্ব চরিত্রে ছিলেন জীবন্ত। ছবি দেখে মনেই হয়নি এটি এফডিসির সীমিত প্রযুক্তি কিংবা সীমিত সাধ্য দিয়ে বানানো কোনো সিনেমা। ক্যামেরার কাজ কিংবা লাইটিং থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির পাশাপাশি মেধার যথাযথ ব্যবহার ছবিটিকে নিঃসন্দেহে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ক্যামেরার কাজগুলোর কথা আলাদা করে না বললেই নয়। পরিচালক ক্যামেরা দিয়ে অনেক সাধারণ দৃশ্যকে অসাধারণ করে তুলেছেন। লাইটিংও ছিলো মুগ্ধ করে দেয়ার মতো।
বিশেষ চরিত্রগুলোর জন্য অভিনেতা নির্বাচনে পরিচালক যে দক্ষতা দেখিয়েছেন তা প্রশংসার দাবীদার।
ছবির গল্পের ব্যাপারে একটু বিশদ আলোচনা করা যেতে পারে।
একটা কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ছবিতে আমাদের আটপৌরে নাগরীক জীবনের গল্পই উঠে এসেছে। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, আমাদের জীবনের গল্প ঠিক কতোটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক? যে গল্প তিনি বলেছেন সেটা কি আসলেই আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে? করলে কতোটা?
হ্যাঁ একটি ছবি অবশ্যই আমাদের জীবনকে দেখানোর শতভাগ দায় নেয়না। কিন্তু দেখানো দিনলীপিকে বাস্তবতার কক্ষপথ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেবার দায় কী সিনেমা এড়াতে পারে? পারেনা। কোনো শিল্পই তা পারেনা। শিল্পের দায়বদ্ধতা ঠিক এই যায়গাতেই।
এই দৃষ্টিকোন থেকে ছবিটিকে অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি করার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
যাই হোক, সব মিলিয়ে বলা যায়, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও বাংলা চলচ্চিত্র জগতে নতুন ধারার সিনেমার যে বিজয় মিছিল চলছে সেই মিছিলে এই ছবিটি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে।
-
ছবিটি নিঃসন্দেহে অসাধারণ। প্রতিটি অভিনেতা অভিনেত্রী স্ব-স্ব চরিত্রে ছিলেন জীবন্ত। ছবি দেখে মনেই হয়নি এটি এফডিসির সীমিত প্রযুক্তি কিংবা সীমিত সাধ্য দিয়ে বানানো কোনো সিনেমা। ক্যামেরার কাজ কিংবা লাইটিং থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির পাশাপাশি মেধার যথাযথ ব্যবহার ছবিটিকে নিঃসন্দেহে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ক্যামেরার কাজগুলোর কথা আলাদা করে না বললেই নয়। পরিচালক ক্যামেরা দিয়ে অনেক সাধারণ দৃশ্যকে অসাধারণ করে তুলেছেন। লাইটিংও ছিলো মুগ্ধ করে দেয়ার মতো।
বিশেষ চরিত্রগুলোর জন্য অভিনেতা নির্বাচনে পরিচালক যে দক্ষতা দেখিয়েছেন তা প্রশংসার দাবীদার।
ছবির গল্পের ব্যাপারে একটু বিশদ আলোচনা করা যেতে পারে।
একটা কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ছবিতে আমাদের আটপৌরে নাগরীক জীবনের গল্পই উঠে এসেছে। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, আমাদের জীবনের গল্প ঠিক কতোটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক? যে গল্প তিনি বলেছেন সেটা কি আসলেই আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে? করলে কতোটা?
হ্যাঁ একটি ছবি অবশ্যই আমাদের জীবনকে দেখানোর শতভাগ দায় নেয়না। কিন্তু দেখানো দিনলীপিকে বাস্তবতার কক্ষপথ থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দেবার দায় কী সিনেমা এড়াতে পারে? পারেনা। কোনো শিল্পই তা পারেনা। শিল্পের দায়বদ্ধতা ঠিক এই যায়গাতেই।
এই দৃষ্টিকোন থেকে ছবিটিকে অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি করার সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।
যাই হোক, সব মিলিয়ে বলা যায়, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকা স্বত্ত্বেও বাংলা চলচ্চিত্র জগতে নতুন ধারার সিনেমার যে বিজয় মিছিল চলছে সেই মিছিলে এই ছবিটি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।