১.
আজ সম্ভবত বৃষ্টি হবে। হোক।
শহরের বৃষ্টি কেনো জানি গ্রামের বৃষ্টির মতো সুন্দর হয়না। কংক্রিটের ছাদে পা রেখে বৃষ্টি গায়ে মাখার মাঝে একটু যেনো কৃত্রিমতা থেকে যায়।
আমার ধারনা পৃথিবীর সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় আমাদের গ্রামটাতে।
আমাদের গ্রামটাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। কারণ আমি ঘিনঘিনে গ্রাম্যতা দেখেছি, ছায়া ঢাকা শান্ত গ্রামও দেখেছি।
আমাদের গ্রামটা হলো দ্বিতীয় ক্যাটাগরির। ছিমছাম সুন্দর একটা গ্রাম। পাশে নদী। সারি নদী। সারি নদীর ওপাশে উচু উচু পাহাড়। রাস্তার পাশে সারী সারী গাছ। রাস্তার অন্য পাশে হাওর। বিকেল হলে লাল সূর্য অস্ত যায়। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।
রাস্তায় একটা ব্রিজ আছে। আমার জীবনের অসংখ্য বিকেল কেটেছে ঐ ব্রিজের রেলিং-এ বসে বসে সূর্যাস্ত দেখে।
তিন চার বছর আগের ঘটনা। এক বিকেলে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু বৃষ্টি না। প্রায় ঝড়ও হচ্ছে সাথে। আমি কাউকে কিছু না বলে চলে গেলাম সারি নদীর পারে। নদী একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ।
ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি সম্পুর্ন একা বসে আছি। অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপার। ঐ বিকেলটা আমার জীবন মনে থাকবে। কেনো জানি না। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোন কারণ ছাড়াই ঐদিন আমি কেদেছিলাম।
অসম্ভব সুন্দর কিছু দেখলে আমার কান্না আসে। এটা নতুন কিছু না।
২.
একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। আমার প্রিয় অনেকগুলো গান অপ্রিয় হয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম তালিকাটা মনে হয় বেশি বড় হবে না। এখন দেখি ঘটনা উলটা। অনেকগুলো গান শুনা তো দুরের কথা, ফোল্ডার খুলে গানগুলো দেখলেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে। "শিফট ডিলিট ওকে" দিয়ে সেগুলো ডিলিট করে দিচ্ছি দেখা মাত্রই।
শুধু তা না। ব্রাউজার, আইডিএম সব যায়গা থেকে গানগুলোর অস্তিত্ব মুছে দিচ্ছি।
একটা বিশেষ সময়কে হয়তো ক্ষমা করতে পারবো কোন একদিন। হাজার হাজার মিথ্যা সৃষ্টি করার অপরাধ, শত শত প্রতারনা, আবেগের সুযোগ নেয়া, ইমোশন নিয়ে ছেলে খেলা করা, সব অপরাধ হয়তো আমি ক্ষমা করে দিতে পারবো। কিন্তু আমার প্রিয় গানগুলোকে অপ্রিয় করে দেয়ার অপরাধটার জন্য আমি ঐ সময়টাকে ক্ষমা করতে পারবো না কখনো।
ঐ সময়টাকে ঘৃনা করে যাবো এই জঘন্য নিকৃষ্ঠতম অপরাধটার জন্য। সম্ভব হলে সময়ের মুখে একদলা থু-থু ছুড়ে দিয়ে বলতাম "ঘৃনা করি... ঘৃনা করি... ঘৃনা করি"
আচ্ছা! পাপ করার জন্য মানুষের শাস্থি হবে। পাপ সৃষ্টি করার জন্য সময়ের কি শাস্থি হবে না? যদি হয় তাহলে অন্য জগতে ঐ কুৎসিত সময়টা কঠিনতম শাস্থি পাবে। আমি নিশ্চিত।
৩.
কি ব্যাপার? আজ "এক কাহন" সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে কেনো?
এই সিরিজটা হালকা রাখবো এমনই তো প্ল্যান ছিলো।
শেষ করি একটা ১৮+ কাহিনি দিয়ে।
স্থানঃ অ্যানাটমি ডিপার্টমেন্ট, ডিসেকশন রুম।
সময়ঃ দুপুর একটা।
একটা টেবিলের চারিদিকে বসে আছি আটজন ফ্রেন্ড। টেস্টিস এর ডেমো দিচ্ছে রাফি।
ডেমোর একদম শেষে এসে বললো এখন আমি বলবো স্পার্ম এর পাথওয়ে। স্পার্ম কোথায় সৃষ্টি হয় আর কোথায় যায়। ওকে শুরু।
"স্পার্ম সৃষ্টি হয় ........" শেষ করলো।
এ পর্যায়ে এসে বললো "এবার বলতো সবাই স্পার্ম বের হয়ে কোথায় পড়ে?"
এক মেয়ে বললো ভ্যাজাইনাতে।
কোনায় বসা দিপায়ন বলে উঠলো, "অবজেকশন। শুধু ভ্যাজাইনাতে কেনো? মুখেওতো পড়তে পারে।"
তার কথা অত্যান্ত যৌক্তিক। পর্ন মুভির কাহিনী সেরকমই বলে।
ডেমো মাস্টার রাফি বললো, "এটা তো অ্যাবনরমাল ব্যাপার।"
উত্তরে যুক্তি দেখালো দীপায়ন, "হার্ট, লাংস, লিভার, ইউটেরাস সব কিছুর অ্যাবনরমালিটি নিয়ে পড়ি আর কয়টাসের অ্যাবনরমালিটি পড়তে সমস্যা কোথায়?"
অকাট্য যুক্তি। আমরা মাথা ঝাকালাম।
যে গান শুনছিঃ মনে পড়ে আজ - ইন্দ্রানী সেন
(অসম্ভব প্রিয় একটা গান। আমার সব চেয়ে প্রিয় ৫ টা গানের একটা)
১০ সেপ্টেম্বর, রাত ১১ টা ১৫।
আজ সম্ভবত বৃষ্টি হবে। হোক।
শহরের বৃষ্টি কেনো জানি গ্রামের বৃষ্টির মতো সুন্দর হয়না। কংক্রিটের ছাদে পা রেখে বৃষ্টি গায়ে মাখার মাঝে একটু যেনো কৃত্রিমতা থেকে যায়।
আমার ধারনা পৃথিবীর সব চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় আমাদের গ্রামটাতে।
আমাদের গ্রামটাকে আমি অসম্ভব ভালোবাসি। কারণ আমি ঘিনঘিনে গ্রাম্যতা দেখেছি, ছায়া ঢাকা শান্ত গ্রামও দেখেছি।
আমাদের গ্রামটা হলো দ্বিতীয় ক্যাটাগরির। ছিমছাম সুন্দর একটা গ্রাম। পাশে নদী। সারি নদী। সারি নদীর ওপাশে উচু উচু পাহাড়। রাস্তার পাশে সারী সারী গাছ। রাস্তার অন্য পাশে হাওর। বিকেল হলে লাল সূর্য অস্ত যায়। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্য।
রাস্তায় একটা ব্রিজ আছে। আমার জীবনের অসংখ্য বিকেল কেটেছে ঐ ব্রিজের রেলিং-এ বসে বসে সূর্যাস্ত দেখে।
তিন চার বছর আগের ঘটনা। এক বিকেলে প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে। শুধু বৃষ্টি না। প্রায় ঝড়ও হচ্ছে সাথে। আমি কাউকে কিছু না বলে চলে গেলাম সারি নদীর পারে। নদী একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ।
ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি সম্পুর্ন একা বসে আছি। অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপার। ঐ বিকেলটা আমার জীবন মনে থাকবে। কেনো জানি না। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কোন কারণ ছাড়াই ঐদিন আমি কেদেছিলাম।
অসম্ভব সুন্দর কিছু দেখলে আমার কান্না আসে। এটা নতুন কিছু না।
২.
একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম। আমার প্রিয় অনেকগুলো গান অপ্রিয় হয়ে গেছে। আমি ভেবেছিলাম তালিকাটা মনে হয় বেশি বড় হবে না। এখন দেখি ঘটনা উলটা। অনেকগুলো গান শুনা তো দুরের কথা, ফোল্ডার খুলে গানগুলো দেখলেই মেজাজ খারাপ হচ্ছে। "শিফট ডিলিট ওকে" দিয়ে সেগুলো ডিলিট করে দিচ্ছি দেখা মাত্রই।
শুধু তা না। ব্রাউজার, আইডিএম সব যায়গা থেকে গানগুলোর অস্তিত্ব মুছে দিচ্ছি।
একটা বিশেষ সময়কে হয়তো ক্ষমা করতে পারবো কোন একদিন। হাজার হাজার মিথ্যা সৃষ্টি করার অপরাধ, শত শত প্রতারনা, আবেগের সুযোগ নেয়া, ইমোশন নিয়ে ছেলে খেলা করা, সব অপরাধ হয়তো আমি ক্ষমা করে দিতে পারবো। কিন্তু আমার প্রিয় গানগুলোকে অপ্রিয় করে দেয়ার অপরাধটার জন্য আমি ঐ সময়টাকে ক্ষমা করতে পারবো না কখনো।
ঐ সময়টাকে ঘৃনা করে যাবো এই জঘন্য নিকৃষ্ঠতম অপরাধটার জন্য। সম্ভব হলে সময়ের মুখে একদলা থু-থু ছুড়ে দিয়ে বলতাম "ঘৃনা করি... ঘৃনা করি... ঘৃনা করি"
আচ্ছা! পাপ করার জন্য মানুষের শাস্থি হবে। পাপ সৃষ্টি করার জন্য সময়ের কি শাস্থি হবে না? যদি হয় তাহলে অন্য জগতে ঐ কুৎসিত সময়টা কঠিনতম শাস্থি পাবে। আমি নিশ্চিত।
৩.
কি ব্যাপার? আজ "এক কাহন" সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে কেনো?
এই সিরিজটা হালকা রাখবো এমনই তো প্ল্যান ছিলো।
শেষ করি একটা ১৮+ কাহিনি দিয়ে।
স্থানঃ অ্যানাটমি ডিপার্টমেন্ট, ডিসেকশন রুম।
সময়ঃ দুপুর একটা।
একটা টেবিলের চারিদিকে বসে আছি আটজন ফ্রেন্ড। টেস্টিস এর ডেমো দিচ্ছে রাফি।
ডেমোর একদম শেষে এসে বললো এখন আমি বলবো স্পার্ম এর পাথওয়ে। স্পার্ম কোথায় সৃষ্টি হয় আর কোথায় যায়। ওকে শুরু।
"স্পার্ম সৃষ্টি হয় ........" শেষ করলো।
এ পর্যায়ে এসে বললো "এবার বলতো সবাই স্পার্ম বের হয়ে কোথায় পড়ে?"
এক মেয়ে বললো ভ্যাজাইনাতে।
কোনায় বসা দিপায়ন বলে উঠলো, "অবজেকশন। শুধু ভ্যাজাইনাতে কেনো? মুখেওতো পড়তে পারে।"
তার কথা অত্যান্ত যৌক্তিক। পর্ন মুভির কাহিনী সেরকমই বলে।
ডেমো মাস্টার রাফি বললো, "এটা তো অ্যাবনরমাল ব্যাপার।"
উত্তরে যুক্তি দেখালো দীপায়ন, "হার্ট, লাংস, লিভার, ইউটেরাস সব কিছুর অ্যাবনরমালিটি নিয়ে পড়ি আর কয়টাসের অ্যাবনরমালিটি পড়তে সমস্যা কোথায়?"
অকাট্য যুক্তি। আমরা মাথা ঝাকালাম।
যে গান শুনছিঃ মনে পড়ে আজ - ইন্দ্রানী সেন
(অসম্ভব প্রিয় একটা গান। আমার সব চেয়ে প্রিয় ৫ টা গানের একটা)
(যুগে যুগে পাষানে বাসিয়াছো ভালো
আপনারে দাহ করি মোর বুকে জ্বালায়েছো আলো
বারে বারে করিয়াছো তব পুজারীনি
চিনি প্রিয়া চিনি তোমায়
জন্মে জন্মে... চিনি চিনি চিনি
চিনি তোমা বারে বারে জীবনের অস্তঘাটে মরণবেলায়
তারপর চেনা শেষে, তুমি হারা পরদেশে
ফেলে যাও একা শূন্য বিদায় ভেলা।)
মনে পড়ে আজ সে কোন জনমের বিদায় সন্ধ্যা বেলা
আমি দাড়ায়ে রহিনু এপারে তুমি ওপারে ভাসালে ভেলা।
সেই সে বিদায় ক্ষণে
শপথ করিলে বন্ধু আমার রাখিবে আমারে মনে
ফিরিয়া আসিবে খেলিবে আবার সেই পুরাতন খেলা।
মনে পড়ে আজ ...
**********************************************************
১০ সেপ্টেম্বর, রাত ১১ টা ১৫।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।