জানুয়ারী মাসের তৃতীয় সপ্তাহ।
প্রথম আলোর শনিবারের ম্যাগাজিন ছুটির দিনে হাতে নিয়ে বসে আছি। পাতা উল্টাতে উল্টাতে চলে গেলাম জ্যোতিষি কাওসার সাহেবের পাতায়। ভদ্রলোক ভবিষ্যত বলার ছলে জোর করে মানুষদের হাসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার লেখা পড়ে হাসি আসেনা। হাসি আসে তার হাসানোর প্রচেষ্টা দেখে। একটা উদাহারণ দেই। একবার তিনি আমার ভবিষ্যত বলে দিচ্ছেন। -
যাই হোক। কাওসার সাহেব পরের লাইনে নং পুং-এর কি একটা কাওসারীয় “ফানি” ব্যাক্ষা দিলেন। কি দিয়েছিলেন তা ভুলে গেছি।
বলছিলাম জানুয়ারি-র তৃতীয় সপ্তাহের ছুটির দিনের কথা।
কাওসার সাহেবের কথা শুনে আমি মহা খুশি।
সাফল্য এসে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে এই অপেক্ষায় হা করে বসে আছি। প্রনয় কিভাবে আরো শুভ হয় সেটাও দেখার আশায় আছি।
আমাকে বেশী অপেক্ষা করতে হলো না। শনিবার বিকেলেই “প্রনয় শুভ” হয়ে গেলো। একজনের সাথে শেষবারের মতো কথা হলো। বুদ্ধিমানরা নিশচয়ই বাকিটুকু বুঝে ফেলেছেন।
শনিবারের ঘটনার কারনেই সপ্তাহের বাকি দিনগুলো প্রচন্ড মানষিক চাপের মধ্যে। আমার জীবনের অন্যতম খারাপ সময় ছিলো সেটা। ফেসবুক, ব্লগ সব কিছু থেকে অবসর নিয়েছিলাম।
যে সপ্তাহে “বৃহস্পতি তুঙ্গে” থাকার কথা সেই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এসে ঘটলো আরেক ঘটনা। জীবনে প্রথমবারের মতো কোন পরীক্ষায় ফেল করে বসলাম। খেলাম সাপ্লি।
কাওসার সাহেবের ভবিষ্যত বানীর এই অবস্থা দেখে আফসুস হচ্ছে। আহারে!
আজকের ছুটির দিনে তিনি আবার বৃশ্চিকদের ভ্যালেন্টাইন ভবিষ্যতবানী করেছেন-
এই ভবিষ্যত বানী পেয়ে আমি ব্যাপক ভয়ে আছি। “আলাদা আনন্দময়” “প্রীতিজনক” টার্মগুলো শেষ পর্যন্ত কিসে রুপ নেয় কে জানে!
পরিশেষে সকল কপোত কপোতিকে বলতে চাই- হ্যাপ্পি ভ্যালেন্টাইন ড্যা। তোমরা সুখি হও। আর হ্যা, জ্যোতিষ কাওসার আহমেদের ক্ষপ্পরে পইড়ো না।
মনে মনে বলছি “টিকবোনারে! টিকবোনা”(এই ডায়লগের স্বত্বাধিকারী আমার ক্লোজ বড় ভাই নুর-ই-আল-মামুন)
প্রথম আলোর শনিবারের ম্যাগাজিন ছুটির দিনে হাতে নিয়ে বসে আছি। পাতা উল্টাতে উল্টাতে চলে গেলাম জ্যোতিষি কাওসার সাহেবের পাতায়। ভদ্রলোক ভবিষ্যত বলার ছলে জোর করে মানুষদের হাসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার লেখা পড়ে হাসি আসেনা। হাসি আসে তার হাসানোর প্রচেষ্টা দেখে। একটা উদাহারণ দেই। একবার তিনি আমার ভবিষ্যত বলে দিচ্ছেন। -
“প্রিয় বৃশ্চিক, এই সপ্তাহে আপনি নং পুং হয়ে যাবেন”আমার কপাল গেলো কুচকে। বলে কি! এর মানে কি এই সপ্তাহে আমি “নপুংসক" হয়ে যাবো? নং পুং আর নপুংসহ তো মোটামোটি কাছাকাছি শব্দ।
যাই হোক। কাওসার সাহেব পরের লাইনে নং পুং-এর কি একটা কাওসারীয় “ফানি” ব্যাক্ষা দিলেন। কি দিয়েছিলেন তা ভুলে গেছি।
বলছিলাম জানুয়ারি-র তৃতীয় সপ্তাহের ছুটির দিনের কথা।
ওখানে কাওসার সাহেব যা বললেন তা মোটামোটি এরকম- “প্রিয় বৃশ্চিক, এই সপ্তাহে আপনার বৃহস্পতি তুঙ্গে। সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিবে। প্রনয় শুভ। টুং পুং কুং”(আলু আর্কাইভ বন্ধ রাখলো ক্যান হঠাৎ)
কাওসার সাহেবের কথা শুনে আমি মহা খুশি।
সাফল্য এসে হাতের মুঠোয় ধরা দেবে এই অপেক্ষায় হা করে বসে আছি। প্রনয় কিভাবে আরো শুভ হয় সেটাও দেখার আশায় আছি।
আমাকে বেশী অপেক্ষা করতে হলো না। শনিবার বিকেলেই “প্রনয় শুভ” হয়ে গেলো। একজনের সাথে শেষবারের মতো কথা হলো। বুদ্ধিমানরা নিশচয়ই বাকিটুকু বুঝে ফেলেছেন।
শনিবারের ঘটনার কারনেই সপ্তাহের বাকি দিনগুলো প্রচন্ড মানষিক চাপের মধ্যে। আমার জীবনের অন্যতম খারাপ সময় ছিলো সেটা। ফেসবুক, ব্লগ সব কিছু থেকে অবসর নিয়েছিলাম।
যে সপ্তাহে “বৃহস্পতি তুঙ্গে” থাকার কথা সেই সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এসে ঘটলো আরেক ঘটনা। জীবনে প্রথমবারের মতো কোন পরীক্ষায় ফেল করে বসলাম। খেলাম সাপ্লি।
কাওসার সাহেবের ভবিষ্যত বানীর এই অবস্থা দেখে আফসুস হচ্ছে। আহারে!
আজকের ছুটির দিনে তিনি আবার বৃশ্চিকদের ভ্যালেন্টাইন ভবিষ্যতবানী করেছেন-
আপনার এ বছরের ভ্যা. দিবস অন্যান্য বছরের চেয়ে যে একেবারেই আলাদা আনন্দময় হবে—তা বললেও চলে, না বললেও চলে। সপ্তাহ থাকবে নানা কাজের বোঝায় কষ্টকর এবং একই সঙ্গে প্রীতিজনক।
এই ভবিষ্যত বানী পেয়ে আমি ব্যাপক ভয়ে আছি। “আলাদা আনন্দময়” “প্রীতিজনক” টার্মগুলো শেষ পর্যন্ত কিসে রুপ নেয় কে জানে!
পরিশেষে সকল কপোত কপোতিকে বলতে চাই- হ্যাপ্পি ভ্যালেন্টাইন ড্যা। তোমরা সুখি হও। আর হ্যা, জ্যোতিষ কাওসার আহমেদের ক্ষপ্পরে পইড়ো না।
মনে মনে বলছি “টিকবোনারে! টিকবোনা”(এই ডায়লগের স্বত্বাধিকারী আমার ক্লোজ বড় ভাই নুর-ই-আল-মামুন)
কমেন্ট হচ্ছে কিনা যাচাই!
উত্তরমুছুন