অনেকেই প্রশ্ন করেছেন - কোচিং ছাড়া কীভাবে পড়া যেতে পারে।
আমি মাঝারি মানের ছাত্র। পরিশ্রম ও ভাগ্যের জোরে পাশ করে গেছি। সবার ক্ষেত্রে এটা ঘটবে বলার উপায় নেই।
তবে যেভাবে পড়েছি তার উপর ভিত্তি করে এই পোস্ট লিখলাম। যারা প্রশ্ন করেছেন তাঁদের কাজে লাগতে পারে।
১. মেডিসিন -
ক. বই একটাই - ডেভিডসনস প্রিন্সিপাল এন্ড প্র্যাকটিস অব মেডিসিন।
খ. প্রতিটি চ্যাপ্টারের শুরুতে যে এনাটমি ফিজিওলোজি আছে ঐ অংশটা ঝাড়া করে ফেলতে হবে।
গ. বেশিরভাগ রোগেরই ট্রিটমেন্ট পড়া লাগবে না। তবে অনেক ডিজিজের ড্রাগে এরকম কথা লেখা আছে। যেমন - 'ড্রাগ অব চয়েজ' 'ড্রাগ অব চয়েজ ইন ফাস্ট অ্যাটাক' 'ড্রাগ হোয়েন সিনিএস ইজ ইনভলভড' -- এই যায়গাগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে।
ঘ. সার্জিকাল ডিজিজ (যেমন - কলিসিস্টাইটিস, অ্যাপেনডিসাইটিস, পিএলআইডি) এগুলো না পড়লেও চলবে।
ঙ. ছোট ছোট যে চ্যাপ্টার আছে যেমন মেডিকেল ইথিক্স, ক্রিটিকাল কেয়ার, জেনেটিক্স, থেরাপিউটিক্স। এই চ্যাপ্টারগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে। একদম প্যাকড কোশ্চেন আসে এখান থেকে।
চ. বিষয় যেটা দাঁড়ালো - মোটামুটি ডেভিডসনের ৮০%ই পড়তে হবে এবং বারবার পড়তে হবে। প্রতিবার রিভিশন দিলে আপনার মার্ক্স ৫ করে বাড়তে থাকবে।
২. ফিজিওলোজি
ক. গ্যানং-টা পড়ে ফেলতে পারলে খুবই ভালো। FCPS জানুয়ারি ২০১৭তে সরাসরি কয়েকটা সিংগেল বেস্ট চলে এসেছিলো। তবে বইটা যেহেতু জটিল সেহেতু সময় নিয়ে পড়তে হবে। সময় কম থাকলে সাজেস্ট করবোনা।
খ. আগে যে বই থেকে পড়া ছিলো সে বই থেকেই পড়া যেতে পারে। এফসিপিএস যেহেতু কনসেপ্টের পরীক্ষা সেহেতু কনসেপ্ট পরিষ্কার করাটাই আসল।
গ. ভিশন ফিজিওলোজি বইটা আমার বেশ অপছন্দ। আমি দুর্বল প্রজাতীর ছাত্র। তাও বইটাকে আমার কাছে বেশ গন্ডগোলওয়ালা মনে হয়েছে।
ঘ. 'স্যাম্বুলিংগাম এসেনশিয়ালস অব ফিজিওলোজি' নামে একটা চমৎকার বই পাওয়া যায়। ঐ বইটা কাজে লাগবে। ইন্ডিয়ান দুইজন লেখকের লেখা বই। পুরো বই ৭ দিনে পড়ে ফেলা কোনো বিষয়ই না। যারা নতুন করে শুরু করতে চান তারা এটা পড়তে পারেন। কনসেপ্ট হবে মারাত্মক। গ্যারান্টি দিচ্ছি।
ঙ. ফিজিওলোজির কিছু কনসেপ্ট তারপরেও ধোয়াশা থেকে যাবে। যেমন লাংস মেকানিকস, ইনট্রাসেলুলার সিগনালিং, ফ্লুইড ম্যাকানিক্স। ওগুলো পড়ার জন্য একটা চমৎকার বই আছে। নাম 'বিআরএস ফিজিওলোজি'। এই বই থেকে কয়েকটা (বেশি না, ৮/১০ পাতা) পাতা পড়ে ফেললে অনেক জটিল কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আমি মাঝারি মানের ছাত্র। পরিশ্রম ও ভাগ্যের জোরে পাশ করে গেছি। সবার ক্ষেত্রে এটা ঘটবে বলার উপায় নেই।
তবে যেভাবে পড়েছি তার উপর ভিত্তি করে এই পোস্ট লিখলাম। যারা প্রশ্ন করেছেন তাঁদের কাজে লাগতে পারে।
১. মেডিসিন -
ক. বই একটাই - ডেভিডসনস প্রিন্সিপাল এন্ড প্র্যাকটিস অব মেডিসিন।
খ. প্রতিটি চ্যাপ্টারের শুরুতে যে এনাটমি ফিজিওলোজি আছে ঐ অংশটা ঝাড়া করে ফেলতে হবে।
গ. বেশিরভাগ রোগেরই ট্রিটমেন্ট পড়া লাগবে না। তবে অনেক ডিজিজের ড্রাগে এরকম কথা লেখা আছে। যেমন - 'ড্রাগ অব চয়েজ' 'ড্রাগ অব চয়েজ ইন ফাস্ট অ্যাটাক' 'ড্রাগ হোয়েন সিনিএস ইজ ইনভলভড' -- এই যায়গাগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে।
ঘ. সার্জিকাল ডিজিজ (যেমন - কলিসিস্টাইটিস, অ্যাপেনডিসাইটিস, পিএলআইডি) এগুলো না পড়লেও চলবে।
ঙ. ছোট ছোট যে চ্যাপ্টার আছে যেমন মেডিকেল ইথিক্স, ক্রিটিকাল কেয়ার, জেনেটিক্স, থেরাপিউটিক্স। এই চ্যাপ্টারগুলো ঝাড়া মুখস্ত করে ফেলতে হবে। একদম প্যাকড কোশ্চেন আসে এখান থেকে।
চ. বিষয় যেটা দাঁড়ালো - মোটামুটি ডেভিডসনের ৮০%ই পড়তে হবে এবং বারবার পড়তে হবে। প্রতিবার রিভিশন দিলে আপনার মার্ক্স ৫ করে বাড়তে থাকবে।
২. ফিজিওলোজি
ক. গ্যানং-টা পড়ে ফেলতে পারলে খুবই ভালো। FCPS জানুয়ারি ২০১৭তে সরাসরি কয়েকটা সিংগেল বেস্ট চলে এসেছিলো। তবে বইটা যেহেতু জটিল সেহেতু সময় নিয়ে পড়তে হবে। সময় কম থাকলে সাজেস্ট করবোনা।
খ. আগে যে বই থেকে পড়া ছিলো সে বই থেকেই পড়া যেতে পারে। এফসিপিএস যেহেতু কনসেপ্টের পরীক্ষা সেহেতু কনসেপ্ট পরিষ্কার করাটাই আসল।
গ. ভিশন ফিজিওলোজি বইটা আমার বেশ অপছন্দ। আমি দুর্বল প্রজাতীর ছাত্র। তাও বইটাকে আমার কাছে বেশ গন্ডগোলওয়ালা মনে হয়েছে।
ঘ. 'স্যাম্বুলিংগাম এসেনশিয়ালস অব ফিজিওলোজি' নামে একটা চমৎকার বই পাওয়া যায়। ঐ বইটা কাজে লাগবে। ইন্ডিয়ান দুইজন লেখকের লেখা বই। পুরো বই ৭ দিনে পড়ে ফেলা কোনো বিষয়ই না। যারা নতুন করে শুরু করতে চান তারা এটা পড়তে পারেন। কনসেপ্ট হবে মারাত্মক। গ্যারান্টি দিচ্ছি।
ঙ. ফিজিওলোজির কিছু কনসেপ্ট তারপরেও ধোয়াশা থেকে যাবে। যেমন লাংস মেকানিকস, ইনট্রাসেলুলার সিগনালিং, ফ্লুইড ম্যাকানিক্স। ওগুলো পড়ার জন্য একটা চমৎকার বই আছে। নাম 'বিআরএস ফিজিওলোজি'। এই বই থেকে কয়েকটা (বেশি না, ৮/১০ পাতা) পাতা পড়ে ফেললে অনেক জটিল কনসেপ্ট ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
চ. লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট -- যে বই থেকেই ফিজিওলোজি পড়ুন না কেন ভালো প্রিপারেশনের জন্য গ্যানং-এর বক্স (বিশেষ করে এই চার সিস্টেম - সিভিএস, এন্ডোক্রাইন, রেনাল, রেসপিরেটরি) আপনাকে পড়তেই হবে। ইটস এ মাস্ট।
ছ. তারপরেও কনফিউশন থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যতোটুকু পারি সাহায্য করবো।
৩. মাইক্রোবায়োলোজি
খুব ভাইটাল সাবজেক্ট। পেপার থ্রির গেম চ্যাঞ্জার হচ্ছে এটা।
ক. ব্যাকটেরিয়োলোজি, ভাইরোজি, মাইকোলোজি ভাজা ভাজা করে ফেলতে হবে।
খ. অনেকে বলবেন সিলেক্টেড ভাইসার/ব্যাকটেরিয়া পড়েলেই চলবে। আমি বলবো, 'নো'। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সব পড়ুন। বিস্তারিত পড়ুন। কোনটা দেখতে কীরকম, চরিত্র কী, কী রোগ করে সব পড়ুন। ডেভিডসনের ইনফেকশাস আর ল্যাঞ্জের মাইক্রো করিলেট করে পড়ুন। মাইক্রো হচ্ছে মার্ক্স উঠানোর যায়গা। সুতরাং রিস্ক নেয়াটা উচিত হবে না।
গ. মাইক্রো পড়ে ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই বারবার পড়তে হবে।
ছ. তারপরেও কনফিউশন থাকলে আমার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। যতোটুকু পারি সাহায্য করবো।
৩. মাইক্রোবায়োলোজি
খুব ভাইটাল সাবজেক্ট। পেপার থ্রির গেম চ্যাঞ্জার হচ্ছে এটা।
ক. ব্যাকটেরিয়োলোজি, ভাইরোজি, মাইকোলোজি ভাজা ভাজা করে ফেলতে হবে।
খ. অনেকে বলবেন সিলেক্টেড ভাইসার/ব্যাকটেরিয়া পড়েলেই চলবে। আমি বলবো, 'নো'। ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সব পড়ুন। বিস্তারিত পড়ুন। কোনটা দেখতে কীরকম, চরিত্র কী, কী রোগ করে সব পড়ুন। ডেভিডসনের ইনফেকশাস আর ল্যাঞ্জের মাইক্রো করিলেট করে পড়ুন। মাইক্রো হচ্ছে মার্ক্স উঠানোর যায়গা। সুতরাং রিস্ক নেয়াটা উচিত হবে না।
গ. মাইক্রো পড়ে ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই বারবার পড়তে হবে।
ঘ. মাইক্রো একসাথে বেশি পড়ে না ফেলার পরামর্শ থাকলো। প্রথমে একবার ভালো করে দাগিয়ে পুরো ল্যাঞ্জ+ডেভিডসনটা পড়ুন। তারপর শেষ তিন মাস প্রতিদিন (আই রিপিট - প্রতিদিন) এক/দেড় ঘন্টা করে মাইক্রো পড়ুন এবং রিভিশন দিন। কম কম করে পড়ুন। কাজে আসবে। একসাথে বেশি পড়লে হতাশায় পড়ে যাবেন। আমিও পড়েছিলাম। দেখবেন সব ইনফরমেশন গুলিয়ে গেছে। সুতরাং ধীরে ধীরে আগান।
ঙ. প্যারাসিটোলোজি - সব লাগবেনা। খালেক স্যারের বই থেকে পড়ে ফেললেই যথেষ্ট।
চ. এত কিছু করার পরেও পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে দেখবেন সব গুলিয়ে গেছে। ভয় পাবেন না। প্রশ্ন দেখলে সবকিছু মনে পড়বে।
৪. ইম্যুনোলোজি
ক. ল্যাঞ্জ মাইক্রোর ইম্যুনোলোজি অংশ বুঝে বুঝে ঝাড়া করে ফেলতে হবে।
খ. সাথে ডেভিডসনের ইম্যুনোলোজি অংশ।
গ. ব্যাস, ৮ মার্ক্স কনফার্ম।
ঘ. এরপরেও কারো আগ্রহ থাকলে 'রবিন্স প্যাথোলোজি'র ইম্যুনোলোজি পড়ে ফেলার পরামর্শ রইলো।
৫. অংকোলোজি
একবিংশ শতকের কোনো পরীক্ষায় অংকোলোজি থেকে প্রশ্ন আসবেনা - এটা ভাবা অন্যায়। জানুয়ারি ২০১৭-তে পেপার ওয়ানে ১০% মার্ক্স এসেছে শুধু অংকোলোজি থেকে।
ক. ডেভিডসনের ৮/১০ পাতা অবশ্যই পড়ে ফেলতে হবে।
খ. রবিনস প্যাথোর কয়েকটা বক্স (প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম+টিউমার মার্কার+এক্সপোজার এন্ড ক্যান্সার+কার্সিনোজেন) পড়ে ফেলতে হবে।
গ. বেসিক অংকোলোজি লাগবে না। তবে আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলা যেতে পারে রবিন্স থেকে। একবার বুঝে ফেললে খুবই মজার।
৬. জেনেটিক্স
ক. ডেভিডসনের জেনেটিক্স মাস্ট, সাথে রবিন্সের কয়েক পাতা।
খ. ডোমিনেন্ট, রিসিসিভ ডিজিজের নাম (সহজ সূত্র আছে) মনে রাখতে হবে।
গ. ইনহেরিটেন্স প্যাটার্ন খুব ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।
ঘ. এটুকুই যথেষ্ট। তবে এর বাইরেও প্রশ্ন আসে। জানুয়ারি ২০১৭ তে এর বাইরে কয়েকটা প্রশ্ন এসেছিলো (যেমন - ক্রোমাটিডের স্ট্রাকচার, ট্রান্সলোকেশন)। এগুলো বোঝার জন্য লিপিংকট বায়োকেমিস্ট্রির জেনেটিক্স চ্যাপ্টারটা পড়ে ফেলা যেতে পারে। বেশি জটিল। না বুঝলে দরকার নাই। তবে বুঝে ফেললে মজা। খুবই মজা। দাগাবেন আর মার্ক্স উঠাবেন।
৭. বায়োস্ট্যাটিসটিক্স
প্যাপার টু-এর গ্যাম চ্যাঞ্জার। ইন ফ্যাক্ট এটা পুরো পার্ট ওয়ানের গ্যাম চ্যাঞ্জার।
ক. দিলীপ সরকার দাদার একটা নোটের সাথে আমি কিছু যোগ করে একটা শিট বানিয়েছিলাম ২৫ পাতার। ঐটা পড়লে আশা রাখি ৮০% মার্ক্স কনফার্ম। যোগাযোগ করতে পারেন razy17@gmail.com
৮. বায়োকেমিস্ট্রি
ক. মেটাবোলিজম অংশটা এবিসি বায়োকেম বই থেকে ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।
৯. ফার্মাকোলোজি
ক. ডেভিডসনে যা আছে তা এনাফ।
খ. তারপরে আগ্রহ থাকলে লিপিংকট ফার্মা (ভিশনও চলে) থেকে এই চ্যাপ্টারগুলো পড়ে ফেলা যেতে পারে - অটোনোমিক ফার্মা, সিভিএস, এন্টি সাইকোটিক, রেনাল ফার্মা।
১০. নিউরোএনাটমি
খুবই জরুরী। খুবই জরুরী।
ক. স্নেলের কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। এগুলো হলো - ক্রেনিয়াল নার্ভস, সেরেবেলাম, ব্যাজাল গ্যাংগ্লিয়া (শুধু পার্ট ও ফাংশন), লিম্বিক সিস্টেম (শুধু পার্ট ও ফাংশন), ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম, ব্লাড সাপ্লাই, স্পাইনাল কর্ড, অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম কর্টেক্সের এরিয়া।
খ. নিউরোএনাটমির কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকলে আপনি একই পড়া দিয়ে নিউরোমেডিসিন এবং নিউরো ফিজিওলোজির মার্ক্স উঠাতে পারবেন।
১১. এমসিকিউ বই
ছোট্ট একটা বই কিনতেই হবে - 'রড্ডি ফিজিওলোজি'।
এই বই থেকে তিনটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। 'সিভিএস, রেসপি, এন্ডোক্রাইন'। ব্যাস।
জিজ্ঞাসা -
১. ম্যাট্রিক্স/ইমপালস কোনো গাইড কিনবো?
উত্তর - এফসিপিএসের জন্য এইসব না কেনাই ভালো। তবে প্রশ্নের প্যাটার্ন বুঝার জন্য কারো কাছ থেকে ১ সপ্তার জন্য ধার আনা যেতে পারে।
২. পার্টনার কতোটা জরুরী
উত্তর - খুব জরুরী। প্রয়োজনে কাউকে অপহরণ করে নিয়ে এসে পার্টনার বানান। আমার পার্টানার ছিলোনা। তাই ডাবল পরিশ্রম করতে হয়েছে।
৩. কয়দিনের প্রস্তুতী দরকার
উত্তর - প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা পড়লে ৬ মাস যথেষ্ট।
পুনশ্চ ১ - এটা পিউর এফসিপিএস প্রিপারেশন। এমডির জন্য এটা ফলো করলে বিপদে পড়বেন।
ঙ. প্যারাসিটোলোজি - সব লাগবেনা। খালেক স্যারের বই থেকে পড়ে ফেললেই যথেষ্ট।
চ. এত কিছু করার পরেও পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে দেখবেন সব গুলিয়ে গেছে। ভয় পাবেন না। প্রশ্ন দেখলে সবকিছু মনে পড়বে।
৪. ইম্যুনোলোজি
ক. ল্যাঞ্জ মাইক্রোর ইম্যুনোলোজি অংশ বুঝে বুঝে ঝাড়া করে ফেলতে হবে।
খ. সাথে ডেভিডসনের ইম্যুনোলোজি অংশ।
গ. ব্যাস, ৮ মার্ক্স কনফার্ম।
ঘ. এরপরেও কারো আগ্রহ থাকলে 'রবিন্স প্যাথোলোজি'র ইম্যুনোলোজি পড়ে ফেলার পরামর্শ রইলো।
৫. অংকোলোজি
একবিংশ শতকের কোনো পরীক্ষায় অংকোলোজি থেকে প্রশ্ন আসবেনা - এটা ভাবা অন্যায়। জানুয়ারি ২০১৭-তে পেপার ওয়ানে ১০% মার্ক্স এসেছে শুধু অংকোলোজি থেকে।
ক. ডেভিডসনের ৮/১০ পাতা অবশ্যই পড়ে ফেলতে হবে।
খ. রবিনস প্যাথোর কয়েকটা বক্স (প্যারানিওপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম+টিউমার মার্কার+এক্সপোজার এন্ড ক্যান্সার+কার্সিনোজেন) পড়ে ফেলতে হবে।
গ. বেসিক অংকোলোজি লাগবে না। তবে আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলা যেতে পারে রবিন্স থেকে। একবার বুঝে ফেললে খুবই মজার।
৬. জেনেটিক্স
ক. ডেভিডসনের জেনেটিক্স মাস্ট, সাথে রবিন্সের কয়েক পাতা।
খ. ডোমিনেন্ট, রিসিসিভ ডিজিজের নাম (সহজ সূত্র আছে) মনে রাখতে হবে।
গ. ইনহেরিটেন্স প্যাটার্ন খুব ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।
ঘ. এটুকুই যথেষ্ট। তবে এর বাইরেও প্রশ্ন আসে। জানুয়ারি ২০১৭ তে এর বাইরে কয়েকটা প্রশ্ন এসেছিলো (যেমন - ক্রোমাটিডের স্ট্রাকচার, ট্রান্সলোকেশন)। এগুলো বোঝার জন্য লিপিংকট বায়োকেমিস্ট্রির জেনেটিক্স চ্যাপ্টারটা পড়ে ফেলা যেতে পারে। বেশি জটিল। না বুঝলে দরকার নাই। তবে বুঝে ফেললে মজা। খুবই মজা। দাগাবেন আর মার্ক্স উঠাবেন।
৭. বায়োস্ট্যাটিসটিক্স
প্যাপার টু-এর গ্যাম চ্যাঞ্জার। ইন ফ্যাক্ট এটা পুরো পার্ট ওয়ানের গ্যাম চ্যাঞ্জার।
ক. দিলীপ সরকার দাদার একটা নোটের সাথে আমি কিছু যোগ করে একটা শিট বানিয়েছিলাম ২৫ পাতার। ঐটা পড়লে আশা রাখি ৮০% মার্ক্স কনফার্ম। যোগাযোগ করতে পারেন razy17@gmail.com
৮. বায়োকেমিস্ট্রি
ক. মেটাবোলিজম অংশটা এবিসি বায়োকেম বই থেকে ভালো করে বুঝে পড়তে হবে।
৯. ফার্মাকোলোজি
ক. ডেভিডসনে যা আছে তা এনাফ।
খ. তারপরে আগ্রহ থাকলে লিপিংকট ফার্মা (ভিশনও চলে) থেকে এই চ্যাপ্টারগুলো পড়ে ফেলা যেতে পারে - অটোনোমিক ফার্মা, সিভিএস, এন্টি সাইকোটিক, রেনাল ফার্মা।
১০. নিউরোএনাটমি
খুবই জরুরী। খুবই জরুরী।
ক. স্নেলের কয়েকটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। এগুলো হলো - ক্রেনিয়াল নার্ভস, সেরেবেলাম, ব্যাজাল গ্যাংগ্লিয়া (শুধু পার্ট ও ফাংশন), লিম্বিক সিস্টেম (শুধু পার্ট ও ফাংশন), ভেন্ট্রিকুলার সিস্টেম, ব্লাড সাপ্লাই, স্পাইনাল কর্ড, অটোনোমিক নার্ভাস সিস্টেম কর্টেক্সের এরিয়া।
খ. নিউরোএনাটমির কনসেপ্ট ক্লিয়ার থাকলে আপনি একই পড়া দিয়ে নিউরোমেডিসিন এবং নিউরো ফিজিওলোজির মার্ক্স উঠাতে পারবেন।
১১. এমসিকিউ বই
ছোট্ট একটা বই কিনতেই হবে - 'রড্ডি ফিজিওলোজি'।
এই বই থেকে তিনটা চ্যাপ্টার পড়তে হবে। 'সিভিএস, রেসপি, এন্ডোক্রাইন'। ব্যাস।
জিজ্ঞাসা -
১. ম্যাট্রিক্স/ইমপালস কোনো গাইড কিনবো?
উত্তর - এফসিপিএসের জন্য এইসব না কেনাই ভালো। তবে প্রশ্নের প্যাটার্ন বুঝার জন্য কারো কাছ থেকে ১ সপ্তার জন্য ধার আনা যেতে পারে।
২. পার্টনার কতোটা জরুরী
উত্তর - খুব জরুরী। প্রয়োজনে কাউকে অপহরণ করে নিয়ে এসে পার্টনার বানান। আমার পার্টানার ছিলোনা। তাই ডাবল পরিশ্রম করতে হয়েছে।
৩. কয়দিনের প্রস্তুতী দরকার
উত্তর - প্রতিদিন ৮/১০ ঘন্টা পড়লে ৬ মাস যথেষ্ট।
পুনশ্চ ১ - এটা পিউর এফসিপিএস প্রিপারেশন। এমডির জন্য এটা ফলো করলে বিপদে পড়বেন।
Vaia anatomy ki porte hobe? Anatomir jonno alada kono boi lagbe part 1 medicine er jonno?
উত্তরমুছুন