১৭ বছর বয়সে ১৮+ লেখালেখি করে আমি তখন রীতিমতো বিখ্যাত ব্লগার। মানুষ ইনবক্সে নক দিয়ে বলে, 'ভাইয়া, আপনার লেখা ভালো লাগে'। আমি মেসেজ পড়ি, আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসে।
অনেকে ফোনও দেয়। দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আমার সাথে কঠিন আলাপ আলোচনা করে, আমার মূল্যবান মতামত নেয়।
... এভাবেই যাচ্ছিলো দিন।
... হঠাৎ একদিন একটা মেসেজ আসলো। পাঠিয়েছেন এক সুন্দরী। মেসেজে তিনি লিখেছেন - 'ভাইয়া, আপনার সাথে দেখা করবো। আমি সিলেট এসেছি।'
মেসেজ পড়ে ঝাকুনী খেলাম। আমার সাথে দেখা করবে! আমার সাথে!! ওএমজি!!!
পালটা মেসেজে বললাম 'অবশ্যই, চলে আসুন।'
তিনি প্রশ্ন করলেন, 'কোথায় আসবো?'
আমি বললাম, 'জিন্দাবাজার আসেন। উন্দালে বসে দুমুঠো খাওয়াদাওয়া করবোনে।'
তিনি বললেন 'আচ্ছা। ৫ টার দিকে আসবো।'
ঐদিন দুপুরে ঘুম এলোনা। ৪টার সময়ই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। ঠিক সাড়ে চারটায় তিনি ফোন দিলেন। 'ভাইয়া, আমি তো উন্দাল রেস্টুরেন্ট চিনিনা। আমি 'রোজ ভিউ' চিনি। ওখানে চলে এসেছি। আপনিও চলে আসুন।'
শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। রোজ ভিউ!
রোজ ভিউ হচ্ছে সিলেটের সবচেয়ে দামী রেস্টুরেন্ট। এখানে রিশাদ ভাই শখ করে একটা পাবদা মাছ খেয়েছিলেন, বিল এসেছিলো ২৩০০ টাকা!
আমি একজন দরীদ্র মেধাবী। পকেটে আছে সর্বসাকূল্যে ৫/৬শ টাকা। এই সল্প সময়ে কারো কাছ থেকে টেকাটুকা আনবো সে উপায়ও নেই। এই মেয়েকে আমি রোজ ভিউতে খাওয়াবো কীভাবে? হাউ?
আল্লাহর নাম নিয়ে রোজ ভিউর পঞ্চম তলায় চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি মেয়ে বসে আছে এবং আগেই খাবার অর্ডার করে ফেলেছে। মেয়ে প্রচুর কথাটথা বললো। আমি ইয়া নফসি পড়তে পড়তে হ্যাঁ হু বলে গেলাম। আর ভাবতে লাগলাম কীভাবে ইজ্জত বাঁচানো যায়!
কায়দা করে জানতে পারলাম মেয়ে আমার সমবয়সী। এটা জানার পর আমি মনে হয় আমার জীবনের সেরা চালটি চাললাম। আমার বয়স ফট করে ১ বছর কমিয়ে দিলাম। হাসি হাসি মুখ করে বললাম, 'আপনি তো আমার বোনের মতো, আমাকে তুমি করে বলতে পারেন। তাছাড়া আমার বড় বোন টোনও নেই।'
মেয়ে আমার কথা বিশ্বাস করলো। না করার কারণও নেই। আমার চেহারায় একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে - মুরব্বীরা বলেন।
ওয়েটার বিল দিলো। তারপর আমি মান ইজ্জত নিয়ে আমার জীবনের দ্বিতীয় বড় জুয়াটা খেললাম। এমন একটা ভাব দেখালাম যে মেয়েকে আমি বিল দিতে দিবোই না।... 'প্লিজ আমাকে বিল দিতে দিন। হতে পারেন আপনি আমার বড়, হতে পারি আমি ছোট ভাই, কিন্তু সিলেটে আপনি আমার গেস্ট। আজকে আমিই বিল দেবো। প্লিজ বাধা দিবেন না।' (মনে মনে চাচ্ছিলাম, আল্লাহ... বিলটা মেয়েই দিক।)
আল্লাহ আমার কথা শুনলেন। আমার চাপাচাপিতে মেয়ের মন গললোনা। বিলটা শেষ পর্যন্ত সে-ই দিলো। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
এই ঘটনার পর থেকে আমি আমার মেয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করিনা। কারণ এরা উন্দাল চিনেনা, যার কারণে সমবয়সী সুন্দরী মেয়েদেরকেও আমার বোন বানিয়ে দিতে হয়।
অনেকে ফোনও দেয়। দেশ, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে আমার সাথে কঠিন আলাপ আলোচনা করে, আমার মূল্যবান মতামত নেয়।
... এভাবেই যাচ্ছিলো দিন।
... হঠাৎ একদিন একটা মেসেজ আসলো। পাঠিয়েছেন এক সুন্দরী। মেসেজে তিনি লিখেছেন - 'ভাইয়া, আপনার সাথে দেখা করবো। আমি সিলেট এসেছি।'
মেসেজ পড়ে ঝাকুনী খেলাম। আমার সাথে দেখা করবে! আমার সাথে!! ওএমজি!!!
পালটা মেসেজে বললাম 'অবশ্যই, চলে আসুন।'
তিনি প্রশ্ন করলেন, 'কোথায় আসবো?'
আমি বললাম, 'জিন্দাবাজার আসেন। উন্দালে বসে দুমুঠো খাওয়াদাওয়া করবোনে।'
তিনি বললেন 'আচ্ছা। ৫ টার দিকে আসবো।'
ঐদিন দুপুরে ঘুম এলোনা। ৪টার সময়ই বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। ঠিক সাড়ে চারটায় তিনি ফোন দিলেন। 'ভাইয়া, আমি তো উন্দাল রেস্টুরেন্ট চিনিনা। আমি 'রোজ ভিউ' চিনি। ওখানে চলে এসেছি। আপনিও চলে আসুন।'
শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। রোজ ভিউ!
রোজ ভিউ হচ্ছে সিলেটের সবচেয়ে দামী রেস্টুরেন্ট। এখানে রিশাদ ভাই শখ করে একটা পাবদা মাছ খেয়েছিলেন, বিল এসেছিলো ২৩০০ টাকা!
আমি একজন দরীদ্র মেধাবী। পকেটে আছে সর্বসাকূল্যে ৫/৬শ টাকা। এই সল্প সময়ে কারো কাছ থেকে টেকাটুকা আনবো সে উপায়ও নেই। এই মেয়েকে আমি রোজ ভিউতে খাওয়াবো কীভাবে? হাউ?
আল্লাহর নাম নিয়ে রোজ ভিউর পঞ্চম তলায় চলে গেলাম।
গিয়ে দেখি মেয়ে বসে আছে এবং আগেই খাবার অর্ডার করে ফেলেছে। মেয়ে প্রচুর কথাটথা বললো। আমি ইয়া নফসি পড়তে পড়তে হ্যাঁ হু বলে গেলাম। আর ভাবতে লাগলাম কীভাবে ইজ্জত বাঁচানো যায়!
কায়দা করে জানতে পারলাম মেয়ে আমার সমবয়সী। এটা জানার পর আমি মনে হয় আমার জীবনের সেরা চালটি চাললাম। আমার বয়স ফট করে ১ বছর কমিয়ে দিলাম। হাসি হাসি মুখ করে বললাম, 'আপনি তো আমার বোনের মতো, আমাকে তুমি করে বলতে পারেন। তাছাড়া আমার বড় বোন টোনও নেই।'
মেয়ে আমার কথা বিশ্বাস করলো। না করার কারণও নেই। আমার চেহারায় একটা বাচ্চা বাচ্চা ভাব আছে - মুরব্বীরা বলেন।
ওয়েটার বিল দিলো। তারপর আমি মান ইজ্জত নিয়ে আমার জীবনের দ্বিতীয় বড় জুয়াটা খেললাম। এমন একটা ভাব দেখালাম যে মেয়েকে আমি বিল দিতে দিবোই না।... 'প্লিজ আমাকে বিল দিতে দিন। হতে পারেন আপনি আমার বড়, হতে পারি আমি ছোট ভাই, কিন্তু সিলেটে আপনি আমার গেস্ট। আজকে আমিই বিল দেবো। প্লিজ বাধা দিবেন না।' (মনে মনে চাচ্ছিলাম, আল্লাহ... বিলটা মেয়েই দিক।)
আল্লাহ আমার কথা শুনলেন। আমার চাপাচাপিতে মেয়ের মন গললোনা। বিলটা শেষ পর্যন্ত সে-ই দিলো। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
এই ঘটনার পর থেকে আমি আমার মেয়ে বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করিনা। কারণ এরা উন্দাল চিনেনা, যার কারণে সমবয়সী সুন্দরী মেয়েদেরকেও আমার বোন বানিয়ে দিতে হয়।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।