প্রেম করে - এমন বন্ধুর কাছে সিঙ্গেল বন্ধুদের চিরায়ত জিজ্ঞাসা- 'ফোনে কী এত কথা বলিস? এত কথা পাস কই?'
প্রফ-পরবর্তি এই ছুটিতে বসে অনেক পুরানো এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করার চেষ্টা করলাম।
প্রসঙ্গ - ভাত খাওয়া
ভাত খাওয়া একটি জরুরী বিষয়। ভাত খাওয়া বিষয়ে আধা ঘন্টা কথা না বললে সে প্রেম টিকেনা বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করে থাকেন।
ভাত খাওয়া বিষয়ক আলাপ শুরু হয় সাধারণত রাত ১২টায়। কথোকথনের ব্যাপ্তি প্রেমের বয়সের উপর নির্ভর করে। প্রেম যতো নতুন প্রেমে ভাত খাওয়া ততো বেশি। গড়ে ধরলাম সময় আধা ঘন্টা।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - এই ভাত খাইছো?
ছেলে - হু খাইলাম মাত্র। তুমি?
মেয়ে - নিজে তো খেয়ে ফেলছো। আমার খবর নিয়ে কী হবে?
ছেলে - সরি। ভুল হয়ে গেছে। সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আবার খাবো।
মেয়ে - আর লাগবেনা। আমি তোমার কে? আমার সাথে আর খেতে হবেনা।
ছেলে - এইভাবে বলোনা।
মেয়ে - কোনভাবে বলবো? খেয়ে খেয়ে দিন দিন সাইজ গোল হয়ে যাচ্ছে সে খবর রাখো?
ছেলে - গোলগাল হওয়া তো ভালো। আদর করার যায়গা বাড়বে...
মেয়ে - অসভ্য কোথাকার।
... এভাবে চলে আধা ঘন্টা।
প্রসঙ্গ - মাথা ব্যাথা
চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথা করে প্রেমিকাদের। প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রতিদিন এই ব্যাথা নিয়ে সাধারণত আধাঘন্টা আলাপ করতে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা-
ছেলে - এই কথা বলতেছো না কেন? শরীর খারাপ?
মেয়ে - হ্যাঁ, মাথাটা না খুব ব্যাথা করতেছে।
ছেলে - বলো কী? আগে বলবা না?
মেয়ে - এই জানো? আমার পাশে ৩০টা প্যারাসিটামল আছে। খেয়ে ফেলি?
ছেলে - পাগলামী করবা না।
মেয়ে - না খাচ্ছি। আর সহ্য হয়না। মরে যাবো এই ব্যাথায়।
ছেলে - আমি মাথা টিপে দিচ্ছি। কমে যাবে।
মেয়ে- না প্যারাসিটামলই খাবো। ৩০ টা।
ছেলে - আমার কসম, প্রেমের কসম। তুমি ঐ প্যারাসিটামলে হাত দিবা না।
মেয়ে - হাত দিলে কী করবা?
ছেলে - তোমার হাত ধরে ফেলবো। আর ছাড়বোনা।
মেয়ে - হিহিহি
... এভাবে চলে ১২টা ৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - সুইটি
সূত্রানূযায়ী প্রতিটা ছেলেরই একটি সুন্দরী ক্লাসমেট থাকে। সাধারণত তার নাম হয় সুইটি টাইপ কিছু। যে প্রেমে সুইটি নেই, সেই প্রেমে সুইটনেস নেই বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই সুইটি নিয়ে প্রতিদিন এ ঘন্টা ঝগড়া করা প্রেমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - ফেইসবুকে তোমার ছবিতে সুইটি লাইক দিছে ক্যান?
ছেলে - আমার ছবিতে লাইক দিছে, আমার কী দোষ?
মেয়ে - আমি বলছি তুমি ঐ মেয়েকে ব্লক করবা। আমার কথা শুনছো তুমি?
ছেলে - আমার ক্লাসমেট, ব্লক করবো কেমনে?
মেয়ে - ওকে ফাইন, তুমি সুইটি নিয়েই থাকো। লাইক দেও। আরো অনেক কিছু দাও। আমাকে তোমার কী দরকার? রাখলাম ফোন। আর জীবনে আমারে ফোন দিবানা।
এভাবে চলে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তারপর ১৫ মিনিট 'মধ্যান্নভোজের বিরতী'। এই ১৫ মিনিটে বয়ফ্রেন্ডরা গার্লফ্রেন্ডের ফোনে ফোন দিয়ে যায়। দুজনে এর মধ্যে যার যার ফেইসবুকের নোটিফিকেশন চেক করে ফেলেন। পানি খান। ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসেন।
গার্লফ্রেন্ড ফোন উঠান ১টা ৪৫ মিনিটে। সুইটি বিষয়ক ঝগড়ার বাকি অংশ চলে রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - খেলাধুলা
সারাবছর কোনো না কোনো খেলা চলেই। বিশ্বকাল, ফুটবল লীগ, এটাসেটা নানান কিছু। প্রেমিক প্রেমিকারা সাধারণত প্রতিদিন খেলাধুলা নিয়ে আধাঘন্টা কথা বলে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা -
ছেলে - কালকের খেলাটা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - সেকেন্ড হাফে মেসির খেলা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - দুইটা গোলই খুব সুন্দর ছিলো না?
মেয়ে - হু।
ছেলে - তিনটা গোল হতে পারতো।
মেয়ে - হু।
ছেলে - কিন্তু রেফারি বলদটা অফসাইড দিয়ে দিলো।
মেয়ে - একদম ঠিক বলছো। ওটা মোটেও অফসাইড ছিলোনা। আমি ক্রিকইনফোতে দেখেছি। এই যায়গায় মেসি না হয়ে বিরাট কোহলী হলে দেখতা ঠিকই রেফারি গোল দিয়ে দিতো। ফিফা তো চলেই ইন্ডিয়ার কথায়। আচ্ছা বাবু, এখানে থার্ড আম্পায়ার কিছু বললোনা কেন?
এভাবে চলে রাত ৩টা পর্যন্ত।
রাত চারটা পর্যন্ত চলে কথোপকথনের বাকি অংশ।
এই অংশে নানান কিছু থাকে। যেমন - কেন মেয়েটি 'আই হেট পলিটিক্স', মেয়েটির ফ্রেন্ডের নতুন বয়ফ্রেন্ড কতোটা খ্যাত, ভার্সিটি ক্যান্টিনের গতকালের সিংগাড়ায় কেন গতকাল লবন বেশি ছিলো, ছেলেটি কতোদিন পর সিগারেট একদম ছেড়ে দেবে, মেয়েটির গালের তিলটি কেন এতো পারফেক্ট, ছেলেটিকে কীরকম টিশার্টে ভালো মানায়... ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রফ-পরবর্তি এই ছুটিতে বসে অনেক পুরানো এই প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করার চেষ্টা করলাম।
প্রসঙ্গ - ভাত খাওয়া
ভাত খাওয়া একটি জরুরী বিষয়। ভাত খাওয়া বিষয়ে আধা ঘন্টা কথা না বললে সে প্রেম টিকেনা বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করে থাকেন।
ভাত খাওয়া বিষয়ক আলাপ শুরু হয় সাধারণত রাত ১২টায়। কথোকথনের ব্যাপ্তি প্রেমের বয়সের উপর নির্ভর করে। প্রেম যতো নতুন প্রেমে ভাত খাওয়া ততো বেশি। গড়ে ধরলাম সময় আধা ঘন্টা।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - এই ভাত খাইছো?
ছেলে - হু খাইলাম মাত্র। তুমি?
মেয়ে - নিজে তো খেয়ে ফেলছো। আমার খবর নিয়ে কী হবে?
ছেলে - সরি। ভুল হয়ে গেছে। সমস্যা নেই। প্রয়োজনে আবার খাবো।
মেয়ে - আর লাগবেনা। আমি তোমার কে? আমার সাথে আর খেতে হবেনা।
ছেলে - এইভাবে বলোনা।
মেয়ে - কোনভাবে বলবো? খেয়ে খেয়ে দিন দিন সাইজ গোল হয়ে যাচ্ছে সে খবর রাখো?
ছেলে - গোলগাল হওয়া তো ভালো। আদর করার যায়গা বাড়বে...
মেয়ে - অসভ্য কোথাকার।
... এভাবে চলে আধা ঘন্টা।
প্রসঙ্গ - মাথা ব্যাথা
চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা গেছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যাথা করে প্রেমিকাদের। প্রেমিক-প্রেমিকারা প্রতিদিন এই ব্যাথা নিয়ে সাধারণত আধাঘন্টা আলাপ করতে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা-
ছেলে - এই কথা বলতেছো না কেন? শরীর খারাপ?
মেয়ে - হ্যাঁ, মাথাটা না খুব ব্যাথা করতেছে।
ছেলে - বলো কী? আগে বলবা না?
মেয়ে - এই জানো? আমার পাশে ৩০টা প্যারাসিটামল আছে। খেয়ে ফেলি?
ছেলে - পাগলামী করবা না।
মেয়ে - না খাচ্ছি। আর সহ্য হয়না। মরে যাবো এই ব্যাথায়।
ছেলে - আমি মাথা টিপে দিচ্ছি। কমে যাবে।
মেয়ে- না প্যারাসিটামলই খাবো। ৩০ টা।
ছেলে - আমার কসম, প্রেমের কসম। তুমি ঐ প্যারাসিটামলে হাত দিবা না।
মেয়ে - হাত দিলে কী করবা?
ছেলে - তোমার হাত ধরে ফেলবো। আর ছাড়বোনা।
মেয়ে - হিহিহি
... এভাবে চলে ১২টা ৩০ থেকে ১টা পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - সুইটি
সূত্রানূযায়ী প্রতিটা ছেলেরই একটি সুন্দরী ক্লাসমেট থাকে। সাধারণত তার নাম হয় সুইটি টাইপ কিছু। যে প্রেমে সুইটি নেই, সেই প্রেমে সুইটনেস নেই বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এই সুইটি নিয়ে প্রতিদিন এ ঘন্টা ঝগড়া করা প্রেমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কথোপকথনের নমুনা -
মেয়ে - ফেইসবুকে তোমার ছবিতে সুইটি লাইক দিছে ক্যান?
ছেলে - আমার ছবিতে লাইক দিছে, আমার কী দোষ?
মেয়ে - আমি বলছি তুমি ঐ মেয়েকে ব্লক করবা। আমার কথা শুনছো তুমি?
ছেলে - আমার ক্লাসমেট, ব্লক করবো কেমনে?
মেয়ে - ওকে ফাইন, তুমি সুইটি নিয়েই থাকো। লাইক দেও। আরো অনেক কিছু দাও। আমাকে তোমার কী দরকার? রাখলাম ফোন। আর জীবনে আমারে ফোন দিবানা।
এভাবে চলে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
তারপর ১৫ মিনিট 'মধ্যান্নভোজের বিরতী'। এই ১৫ মিনিটে বয়ফ্রেন্ডরা গার্লফ্রেন্ডের ফোনে ফোন দিয়ে যায়। দুজনে এর মধ্যে যার যার ফেইসবুকের নোটিফিকেশন চেক করে ফেলেন। পানি খান। ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসেন।
গার্লফ্রেন্ড ফোন উঠান ১টা ৪৫ মিনিটে। সুইটি বিষয়ক ঝগড়ার বাকি অংশ চলে রাত ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
প্রসঙ্গ - খেলাধুলা
সারাবছর কোনো না কোনো খেলা চলেই। বিশ্বকাল, ফুটবল লীগ, এটাসেটা নানান কিছু। প্রেমিক প্রেমিকারা সাধারণত প্রতিদিন খেলাধুলা নিয়ে আধাঘন্টা কথা বলে থাকেন।
কথোপকথনের নমুনা -
ছেলে - কালকের খেলাটা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - সেকেন্ড হাফে মেসির খেলা দেখছো?
মেয়ে - হু।
ছেলে - দুইটা গোলই খুব সুন্দর ছিলো না?
মেয়ে - হু।
ছেলে - তিনটা গোল হতে পারতো।
মেয়ে - হু।
ছেলে - কিন্তু রেফারি বলদটা অফসাইড দিয়ে দিলো।
মেয়ে - একদম ঠিক বলছো। ওটা মোটেও অফসাইড ছিলোনা। আমি ক্রিকইনফোতে দেখেছি। এই যায়গায় মেসি না হয়ে বিরাট কোহলী হলে দেখতা ঠিকই রেফারি গোল দিয়ে দিতো। ফিফা তো চলেই ইন্ডিয়ার কথায়। আচ্ছা বাবু, এখানে থার্ড আম্পায়ার কিছু বললোনা কেন?
এভাবে চলে রাত ৩টা পর্যন্ত।
রাত চারটা পর্যন্ত চলে কথোপকথনের বাকি অংশ।
এই অংশে নানান কিছু থাকে। যেমন - কেন মেয়েটি 'আই হেট পলিটিক্স', মেয়েটির ফ্রেন্ডের নতুন বয়ফ্রেন্ড কতোটা খ্যাত, ভার্সিটি ক্যান্টিনের গতকালের সিংগাড়ায় কেন গতকাল লবন বেশি ছিলো, ছেলেটি কতোদিন পর সিগারেট একদম ছেড়ে দেবে, মেয়েটির গালের তিলটি কেন এতো পারফেক্ট, ছেলেটিকে কীরকম টিশার্টে ভালো মানায়... ইত্যাদি ইত্যাদি।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।