১।
১৯২০ সালের এক ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত।
অটো লয়েল নামের জনৈক ভদ্রলোক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মাঝরাতে এক স্বপ্ন দেখে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তিনি হার্ট নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি দেখেছেন, হার্টের 'ধুকপুক' করাটা আসলে কিছু রসের মধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
ঐ দিন রাতেই অটো লয়েল মশাই কয়েকটি ব্যাং ধরে গবেষণা শুরু করলেন। গবেষণা চলতেই থাকলো। আবিষ্কৃত হলো 'এসিটাইলকোলিন' নামক এক প্রকার বস্তুর অস্তিত্ব। দেখা গেলো তার স্বপ্নই সত্য।
এই স্বপ্নের উপর ভর করেই চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ উচ্চ রক্তচাপ সহ অনেক রোগের কার্জকর ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছে।
২।
জেমস ওয়াটসন নামক জনৈক ভদ্রলোক মাঝরাতে ঘুমাতে গেলেন। সময়টা ১৯৫৩ সাল।
গভীর রাতে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখলেন ওয়াটসন সাহেব। দেখলেন, দুটো সাপ জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে। সাপ দেখে ভয়ে জেগে উঠলেন তিনি। উঠেই তার যে কথাটা মনে হলো সেটা হচ্ছে, 'মানুষের ডিএনএ'র গঠনও হচ্ছে এই সাপ দুইটার মতো।'
শুরু করলেন গবেষণা। সত্যি সত্যি দেখা গেলো ডিএনএ'র গঠন সাপের মতো।
৩।
একবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়।
অগাস্ট কেকুলি নামক এক ভদ্রলোক দুপুর বেলা ক্লান্ত হয়ে বিছানায় একটু গা এলিয়ে দিয়েছেন। একটু ঘুম ঘুম ভাব আসার পর হঠাৎ তার চোখের সামনে একটা ছবি ভেসে উঠলো। ধড়ফড় করে জেগে উঠলেন কেকুলি সাহেব। ঘুমের মধ্যে দেখা ছবি নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। চিন্তা করে করে বের করলেন এই ছবিই আসলে বেনজিনের গঠন।
গবেষণা করে স্বপ্নকে সত্য প্রমান করে ছাড়লেন ভদ্রলোক।
৪।
২০১৪ সাল।
আবদুল কাইয়ুম নামের এক লোক স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শেষে ঘুমাতে গেলেন। কাইয়ুম সাহেবের বাড়ি বাংলাদেশের এক গ্রামে। ঘুমের মধ্যে তিনি আজব এক স্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন, অদ্ভুত এক গাছের সন্ধান নিয়ে এক পরী এসেছে তার কাছে। এই গাছের জড়, লতা, পাতা যে-ই খাবে তার সব রোগ ভালো হয়ে যাবে।
ঘুম থেকে উঠেই কাইয়ুম সাহেব বাড়ির সামনে একটা সাইনোর্ড লাগিয়ে দিলেন, 'কাইয়ুম বাবার আস্তানা। হাদিয়া মাত্র ৪৯ টাকা।'
পরের দিনই দীর্ঘ লাইন লেগে গেলো কাইয়ুম বাবার আস্তানায়। মানুষ আসতে লাগলো শত শত... হাজার হাজার...
উপসংহারঃ আমরা শালার ভালো একটা স্বপ্নও দেখিনা।
১৯২০ সালের এক ঘুটঘুটে অন্ধকার রাত।
অটো লয়েল নামের জনৈক ভদ্রলোক গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। মাঝরাতে এক স্বপ্ন দেখে তার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। তিনি হার্ট নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি দেখেছেন, হার্টের 'ধুকপুক' করাটা আসলে কিছু রসের মধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
ঐ দিন রাতেই অটো লয়েল মশাই কয়েকটি ব্যাং ধরে গবেষণা শুরু করলেন। গবেষণা চলতেই থাকলো। আবিষ্কৃত হলো 'এসিটাইলকোলিন' নামক এক প্রকার বস্তুর অস্তিত্ব। দেখা গেলো তার স্বপ্নই সত্য।
এই স্বপ্নের উপর ভর করেই চিকিৎসা বিজ্ঞান আজ উচ্চ রক্তচাপ সহ অনেক রোগের কার্জকর ওষুধ আবিষ্কার করে ফেলেছে।
২।
জেমস ওয়াটসন নামক জনৈক ভদ্রলোক মাঝরাতে ঘুমাতে গেলেন। সময়টা ১৯৫৩ সাল।
গভীর রাতে অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখলেন ওয়াটসন সাহেব। দেখলেন, দুটো সাপ জড়াজড়ি করে শুয়ে আছে। সাপ দেখে ভয়ে জেগে উঠলেন তিনি। উঠেই তার যে কথাটা মনে হলো সেটা হচ্ছে, 'মানুষের ডিএনএ'র গঠনও হচ্ছে এই সাপ দুইটার মতো।'
শুরু করলেন গবেষণা। সত্যি সত্যি দেখা গেলো ডিএনএ'র গঠন সাপের মতো।
৩।
একবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়।
অগাস্ট কেকুলি নামক এক ভদ্রলোক দুপুর বেলা ক্লান্ত হয়ে বিছানায় একটু গা এলিয়ে দিয়েছেন। একটু ঘুম ঘুম ভাব আসার পর হঠাৎ তার চোখের সামনে একটা ছবি ভেসে উঠলো। ধড়ফড় করে জেগে উঠলেন কেকুলি সাহেব। ঘুমের মধ্যে দেখা ছবি নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। চিন্তা করে করে বের করলেন এই ছবিই আসলে বেনজিনের গঠন।
গবেষণা করে স্বপ্নকে সত্য প্রমান করে ছাড়লেন ভদ্রলোক।
৪।
২০১৪ সাল।
আবদুল কাইয়ুম নামের এক লোক স্ত্রীর সাথে ঝগড়া শেষে ঘুমাতে গেলেন। কাইয়ুম সাহেবের বাড়ি বাংলাদেশের এক গ্রামে। ঘুমের মধ্যে তিনি আজব এক স্বপ্ন দেখলেন। দেখলেন, অদ্ভুত এক গাছের সন্ধান নিয়ে এক পরী এসেছে তার কাছে। এই গাছের জড়, লতা, পাতা যে-ই খাবে তার সব রোগ ভালো হয়ে যাবে।
ঘুম থেকে উঠেই কাইয়ুম সাহেব বাড়ির সামনে একটা সাইনোর্ড লাগিয়ে দিলেন, 'কাইয়ুম বাবার আস্তানা। হাদিয়া মাত্র ৪৯ টাকা।'
পরের দিনই দীর্ঘ লাইন লেগে গেলো কাইয়ুম বাবার আস্তানায়। মানুষ আসতে লাগলো শত শত... হাজার হাজার...
উপসংহারঃ আমরা শালার ভালো একটা স্বপ্নও দেখিনা।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।