(ডিসক্লাইমারঃ আমার খুব আশা ছিলো, লেখাটা এমনভাবে লিখবো যাতে চিকিৎসা বিদ্যার সাথে জড়িত না এমন কেউও ইসিজি বুঝে যান। কিন্তু পর্ব দুই লিখতে গিয়ে মনে হচ্ছে আমার আশা মনে হয় পূর্ণ হবেনা। এট লিস্ট এনাটমি হার্ট আর ফিজিওলজি কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম আইটেম যারা দেননি তারা জিনিসটা বুঝবেনা। আমি দুঃখিত এবং লজ্জ্বিত। তবে যারা এতসব না বুঝে সোজা ইসিজি দেখে হার্টের দশা জানতে ইচ্ছুক তারা আমার সাথে 'ইন্টারপ্রিটেশন' পর্বে যোগ দিতে পারেন। আর খুব বেশি আগ্রহ হলে নেট ঘেটে হার্ট পড়া শুরু করে দিতে পারেন।)
ত্যানা না প্যাঁচিয়ে এবার সোজা হার্টে চলে আসি।
আগের পর্বে আমরা কারেন্ট উৎপন্ন হওয়া দেখেছি। এবার আরো স্পেসিফিকভাবে হার্টের কারেন্ট উৎপন্ন হওয়া দেখবো।
হার্টের নিজস্ব একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। সেটার নাম হলো SA নোড। বড় করে বললে সাইনো এট্রিয়াল নোড। এই এসএ নোডটাই সব নাটের গুরু। এটা বসে থাকে রাইট এট্রিয়ামে, সুপেরিওর ভ্যানাক্যাভার কাছাকাছি এলাকায়।
এই নোডে আগের(প্রথম পর্বে বিস্তারিত) প্রক্রিয়ার কারেন্ট তৈরী হয়, সেই কারেন্ট কয়েকটা 'তার'(ইন্টারনোডাল পাথওয়ে) দিয়ে পরের স্টেশনে যায়। এই পরের স্ট্যাশনটার নাম হচ্ছে 'এভি নোড'। বড় করে বললে, এট্রিও-ভ্যান্ট্রিকুলার নোড।
সেখান থেকে কারেন্ট যায় পরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সেটার নাম হচ্ছে এভি বান্ডল। তারপর এভি বান্ডল থেকে কারেন্ট লেফট ও রাইট বান্ডল ব্রাঞ্চ দিয়ে হার্টের বাকি অংশে চলে যায়। এই যাওয়ার পথে কারেন্ট পুরো হার্টের মাসলকে ডিপোলারাইজড করে দেয়। এবং হার্ট কন্ট্রাক্ট করে।
স্পষ্ট করে বললে কারেন্ট SA থেকে AV নোডে আসার সময় দুই এট্রিয়ামকেই ডিপোলারাইজ করে দেয়। একইভাবে পারকঞ্জি ফাইভার দিয়ে যাওয়ার সব দুইটা ভেন্ট্রিকলকে ডিপোলারাইজড করে দেয়।
পুরো পাথওয়েটা নিচের ছবি থেকে দেখে নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবেঃ
একটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার। একটা সেল ডিপোলারাইজড হয়ে বসে থাকেনা অনন্তকাল। একটু পরেই সে আগের যায়গায় ফিরে আসে। এটাকে বলে রিপোলারাইজেশন।
আমাদের হার্টের মাসলও একটু পরে রিপোলারাইজড হয়ে যায় অর্থাৎ রেস্টিং স্টেজে চলে আসে।
আমাদের হার্ট কীভাবে কন্ট্রাক্ট করে, কীভাবে রিলাক্স হয় - মোটামুটি এই হচ্ছে তার ফিজিওলজি। আরো অনেক ম্যাকানিজম আছে। ওগুলো বললে আমার ধারণা বিষয়টা কঠিন হয়ে যাবে বেশি।
আমরা ইসিজি ম্যাশিনে এখন দেখি, এই কারেন্টটা ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা, ঠিকমতো একযায়গা থেকে আরেক যায়গায় যাচ্ছে কিনা, আশেপাশের সেলকে কারেন্ট দিতে পারছে কিনা, কারেন্ট বেশি হয়ে যাচ্ছে কিনা, কম হয়ে যাচ্ছে কিনা, কারেন্ট উলটাপালটা ভাবে উৎপন্ন হচ্ছে কিনা... ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রশ্ন -
- তাহলে ডিপোলারাইজেশন মানেই কি কন্ট্রাকশন?
- না। ডিপোলারাইজেশন দিয়ে কন্ট্রাকশনের প্রক্রিয়াটা শুরু হয়। ডিপোলারাইজেশনের পরে কিছু ক্যামিকেল চ্যাঞ্জ ঘটে, তারপর মাসল কন্ট্রাক্ট করে। তবে ডিপোলারাইজেশনটা এত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এখানে সমস্যা হলে কন্ট্রাকশনেও সমস্যা হবে।
ত্যানা না প্যাঁচিয়ে এবার সোজা হার্টে চলে আসি।
আগের পর্বে আমরা কারেন্ট উৎপন্ন হওয়া দেখেছি। এবার আরো স্পেসিফিকভাবে হার্টের কারেন্ট উৎপন্ন হওয়া দেখবো।
হার্টের নিজস্ব একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। সেটার নাম হলো SA নোড। বড় করে বললে সাইনো এট্রিয়াল নোড। এই এসএ নোডটাই সব নাটের গুরু। এটা বসে থাকে রাইট এট্রিয়ামে, সুপেরিওর ভ্যানাক্যাভার কাছাকাছি এলাকায়।
এই নোডে আগের(প্রথম পর্বে বিস্তারিত) প্রক্রিয়ার কারেন্ট তৈরী হয়, সেই কারেন্ট কয়েকটা 'তার'(ইন্টারনোডাল পাথওয়ে) দিয়ে পরের স্টেশনে যায়। এই পরের স্ট্যাশনটার নাম হচ্ছে 'এভি নোড'। বড় করে বললে, এট্রিও-ভ্যান্ট্রিকুলার নোড।
সেখান থেকে কারেন্ট যায় পরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সেটার নাম হচ্ছে এভি বান্ডল। তারপর এভি বান্ডল থেকে কারেন্ট লেফট ও রাইট বান্ডল ব্রাঞ্চ দিয়ে হার্টের বাকি অংশে চলে যায়। এই যাওয়ার পথে কারেন্ট পুরো হার্টের মাসলকে ডিপোলারাইজড করে দেয়। এবং হার্ট কন্ট্রাক্ট করে।
স্পষ্ট করে বললে কারেন্ট SA থেকে AV নোডে আসার সময় দুই এট্রিয়ামকেই ডিপোলারাইজ করে দেয়। একইভাবে পারকঞ্জি ফাইভার দিয়ে যাওয়ার সব দুইটা ভেন্ট্রিকলকে ডিপোলারাইজড করে দেয়।
পুরো পাথওয়েটা নিচের ছবি থেকে দেখে নিলে পরিষ্কার হয়ে যাবেঃ
একটা ব্যাপার পরিষ্কার করা দরকার। একটা সেল ডিপোলারাইজড হয়ে বসে থাকেনা অনন্তকাল। একটু পরেই সে আগের যায়গায় ফিরে আসে। এটাকে বলে রিপোলারাইজেশন।
আমাদের হার্টের মাসলও একটু পরে রিপোলারাইজড হয়ে যায় অর্থাৎ রেস্টিং স্টেজে চলে আসে।
আমাদের হার্ট কীভাবে কন্ট্রাক্ট করে, কীভাবে রিলাক্স হয় - মোটামুটি এই হচ্ছে তার ফিজিওলজি। আরো অনেক ম্যাকানিজম আছে। ওগুলো বললে আমার ধারণা বিষয়টা কঠিন হয়ে যাবে বেশি।
আমরা ইসিজি ম্যাশিনে এখন দেখি, এই কারেন্টটা ঠিকমতো তৈরি হচ্ছে কিনা, ঠিকমতো একযায়গা থেকে আরেক যায়গায় যাচ্ছে কিনা, আশেপাশের সেলকে কারেন্ট দিতে পারছে কিনা, কারেন্ট বেশি হয়ে যাচ্ছে কিনা, কম হয়ে যাচ্ছে কিনা, কারেন্ট উলটাপালটা ভাবে উৎপন্ন হচ্ছে কিনা... ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রশ্ন -
- তাহলে ডিপোলারাইজেশন মানেই কি কন্ট্রাকশন?
- না। ডিপোলারাইজেশন দিয়ে কন্ট্রাকশনের প্রক্রিয়াটা শুরু হয়। ডিপোলারাইজেশনের পরে কিছু ক্যামিকেল চ্যাঞ্জ ঘটে, তারপর মাসল কন্ট্রাক্ট করে। তবে ডিপোলারাইজেশনটা এত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এখানে সমস্যা হলে কন্ট্রাকশনেও সমস্যা হবে।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।