আগের পর্বগুলোতে আমরা দেখেছি হার্টে কী চমৎকারভাবে কারেন্ট তৈরী হচ্ছে, সেই কারেন্ট বিভিন্ন খাম্বা বেয়ে পুরো হার্টের মাসলে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই কারেন্ট কী হার্ট পর্যন্তই সীমাবদ্ধ? না। আমাদের দেহ প্রচন্ডরকম তড়িত পরিবাহী একটা জিনিস। হার্টের চিপায় একটুখানি কারেন্ট তৈরী হলেও সেটা টুপ করে বডি সারফেসে চলে আসে। (আল্লাহর রহমত। না হলে বুক কেটে হার্ট বের তারপর ইসিজি করতে হতো। :P )
যাই হোক, কারেন্ট এই যে কারেন্ট বডি সারফেসে চলে আসলো, আমাদের কাজ হচ্ছে এই কারেন্টটা ক্যাক করে ধরে তারপর বিশ্লেষণ করা। এই কাজটাই করে ইসিজি ম্যাশিন।
ম্যাশিনটা বানানোই হয়েছে এই কাজের জন্য। এই ম্যাশিনটা অনেকটা অক্টোপাশের মতো। অক্টোপাশের যেমন অনেকগুলো ঠ্যাং আছে, তেমনি এই ম্যাশিনেরও অনেক ঠ্যাং আছে। ঠ্যাংগুলো লাগানো থাকে মানুষের দেহে। ঠ্যাং দেহ থেকে কারেন্ট নেয়, নিয়ে সেটাকে পাঠায় অক্টোপাশের মাথায়। মাথা এই কারেন্টটাকে বিশ্লেষণ করে আমাদেরকে একটা রিপোর্ট এঁকে বের করে দেয়। এই রিপোর্টটাই আমাদেরকে বলে দেয় ভেতরের কারেন্টের কী অবস্থা, হার্টের কী অবস্থা, হৃদয়ের কী অবস্থা।
মেশিনটার একটা ছবি দেখা যাক।
ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসিজি ম্যাশিনটা হার্টের অবস্থার ছবি এঁকে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো এই ছবিটা ম্যাশিন আসলে কীসের উপর ভিত্তি করে আঁকছে? কীভাবে আঁকছে?
নিচের ছবিটি একটু বুঝার চেষ্টা করি।
দেখা যাচ্ছে হার্টের মাসল ফাইভারের ভেতরের চার্জ পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসিজি ম্যাশিন কী চমৎকারভাবে আমাদেরকে ওয়েভ এঁকে দিচ্ছে! মাসল ফাইভার পুরোটা ডিপোলারাইজড হওয়ার সাথে সাথে কীভাবে ওয়েভটা বাড়ছে!
এখানে রিপোলারাইজেশনটাও দেখা যাচ্ছে সুন্দরভাবে(C এবং D তে)। গাইটন একটা মাল বটে!
যাই হোক, কারেন্ট এই যে কারেন্ট বডি সারফেসে চলে আসলো, আমাদের কাজ হচ্ছে এই কারেন্টটা ক্যাক করে ধরে তারপর বিশ্লেষণ করা। এই কাজটাই করে ইসিজি ম্যাশিন।
ম্যাশিনটা বানানোই হয়েছে এই কাজের জন্য। এই ম্যাশিনটা অনেকটা অক্টোপাশের মতো। অক্টোপাশের যেমন অনেকগুলো ঠ্যাং আছে, তেমনি এই ম্যাশিনেরও অনেক ঠ্যাং আছে। ঠ্যাংগুলো লাগানো থাকে মানুষের দেহে। ঠ্যাং দেহ থেকে কারেন্ট নেয়, নিয়ে সেটাকে পাঠায় অক্টোপাশের মাথায়। মাথা এই কারেন্টটাকে বিশ্লেষণ করে আমাদেরকে একটা রিপোর্ট এঁকে বের করে দেয়। এই রিপোর্টটাই আমাদেরকে বলে দেয় ভেতরের কারেন্টের কী অবস্থা, হার্টের কী অবস্থা, হৃদয়ের কী অবস্থা।
মেশিনটার একটা ছবি দেখা যাক।
ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ইসিজি ম্যাশিনটা হার্টের অবস্থার ছবি এঁকে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো এই ছবিটা ম্যাশিন আসলে কীসের উপর ভিত্তি করে আঁকছে? কীভাবে আঁকছে?
নিচের ছবিটি একটু বুঝার চেষ্টা করি।
দেখা যাচ্ছে হার্টের মাসল ফাইভারের ভেতরের চার্জ পরিবর্তনের সাথে সাথে ইসিজি ম্যাশিন কী চমৎকারভাবে আমাদেরকে ওয়েভ এঁকে দিচ্ছে! মাসল ফাইভার পুরোটা ডিপোলারাইজড হওয়ার সাথে সাথে কীভাবে ওয়েভটা বাড়ছে!
এখানে রিপোলারাইজেশনটাও দেখা যাচ্ছে সুন্দরভাবে(C এবং D তে)। গাইটন একটা মাল বটে!
সারকথা হচ্ছে, ইসিজি ম্যাশিন মূলত এভাবেই আমাদেরকে ওয়েভ এঁকে দেখায়। ভেতরের কারেন্টে গন্ডগোল হলে এই ওয়েভেও ঝামেলা লেগে যায়।
ইসিজির প্রতিটা লিড অর্থাৎ অক্টোপাশের প্রতিটা ঠ্যাং এভাবেই হার্টকে বিভিন্ন দিক থেকে দেখে এবং ছবি আঁকে। ৪/৫ সেকেন্ডের একটা অ্যানিমেশন দেখলে ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার হবে বলে আশা করি।
পরিষ্কার না হলেও সমস্যা নেই। পরের পর্বে এই জিনিসগুলোই আবার আলোচনা করবো।
এই পর্বও শেষ। পরের পর্বে ইসিজি পেপার নিয়ে আলোচনা করবো।
আগের পর্বঃ
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব শূন্য- আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব এক - লাইট... ক্যামেরা... অ্যাকশন...
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব দুই - খাম্বা সিন্ডিকেট
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।