আগের পর্বে আমরা ইসিজির প্রতিটা ওয়েভ নিয়ে আলোচনা করেছি। এবার প্রতিটা কমপ্লেক্স, সেগমেন্ট ও ইন্টারভাল নিয়ে আলোচনা করবো। সাথে ওয়েভগুলোও ঝালাই করে নেবো।
আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা নরমাল ইসিজি দেখে নেয়া যাক।
দেখা যাচ্ছে ওয়েভ আছে দুইটা
P wave (মানে হচ্ছে অ্যাট্রিয়ামের ডিপোলারাইজেশন)
T wave (ভেন্ট্রিকলের রিপোলারাইজেশন)
কমপ্লেক্স আছে একটা
QRS কমপ্লেক্স (পুরো ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন)
(এই কমপ্লেক্স মূলত তিনটা ওয়েভ দিয়ে গঠিত। Q wave, R wave ও S wave. একটা জিনিস মনে রাখা দরকার - Q ও S একটা নরমাল ইসিজিতে নাও থাকতে পারে।)
ইন্টারভাল আছে তিনটা
PR ইন্টারভাল (অ্যাট্রিয়ামের ডিপোলারাইজেশন শেষ এবং ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শুরুর মধ্যবর্তী সময়। সহজ করে বললে অ্যাট্রিয়ামের রিলাক্স হওয়া এবং ভেন্ট্রিকলের কন্ট্রাক্ট হওয়ার মাঝখানের সময়।)
QT ইন্টারভাল (ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শুরু থেকে রিপোলারাইজেশন শেষের মাঝখানের সময়)
RR ইন্টারভাল (দুইটা কমপ্লিট ওয়েভ পাশাপাশি দেখলে এই ইন্টারভাল বুঝা যাবে। এর মানে হচ্ছে ভেন্ট্রিকুলের লাগালাগ দুইটা কন্ট্রাকশনের মাঝখানের সময়।)
সেগমেন্ট আছে একটা -
ST সেগমেন্ট। ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শেষ ও রিপোলারাইজেশনের মাঝখানের 'থমকে যাওয়া' সময়টা।
কিছু ব্যাপার এখন মনে রাখা দরকার।
* PR ইন্টারভাল আসলে PQ ইন্টারভাল। কেন PQ কে PR নামকরণ করা হলো আজও বুঝিনি। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন টাইপ অবস্থা।
ওয়েভ, কমপ্লেক্স আর ইন্টারভালের আলোচনা শেষ।
এখন এগুলোর কিছু অ্যাবনরামিলিটি নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রতিটা ওয়েভ কমপ্লেক্স আর ইন্টারভালের এককটা সীমারেখা আছে। ঠিক করে দেয়া আছে, এগুলো কতোটা লম্বা হতে পারবে, চওড়া হতে পারবে, চ্যপ্টা হতে পারবে। এর কম বেশি হলে বুঝতে হবে ঝামেলা আছে।
একেকটা করে আলোচনা করি।
P ওয়েভ -
* লম্বা হতে পারে( যাকে বলে পি পালমোনালি)। মানে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে বেশি। এর অর্থ হচ্ছে বেশি বেশি কারেন্ট তৈরী হচ্ছে অ্যাট্রিয়ামে।
* চওড়া হতে পারে ( যাকে বলে পি মাইট্রালি)। এর মানে হচ্ছে কারেন্ট বেশি যায়গা মানে নরমাল অ্যাট্রিয়ামের বাইরেও কিছু যায়গা 'ভ্রমন' করছে।
* আস্ত P ওয়েভটাই নাই হয়ে যেতে পারে। এর মানে হচ্ছে SA নোড ঠিকমতো কাজ করছেনা।
* উলটা হতে পারে P ওয়েভ। এর মানে কারেন্ট SA নোড নয়, অন্য যায়গা থেকে উৎপন্ন হচ্ছে। এবং উলটা ডিরেকশনে অ্যাট্রিয়াম ডিপোলারাইজড হচ্ছে।
PR ইন্টারভাল -
* বেশি হতে পারে। মানে হলো অ্যাট্রিয়াম থেকে ভেন্ট্রিকলে ঠিকঠাকমতো কারেন্ট যেতে পারছেনা। অর্থাৎ কনডাকটিক সিস্টেমে কোথাও নিশ্চয়ই ব্লক আছে।
* শর্ট হতে পারে। এর অর্থ হলো কারেন্ট দ্রুত হলে যাচ্ছে ভেন্ট্রিকলে।
QRS কমপ্লেক্স -
* বেটে হতে পারে। এর মানে হতে পারে কারেন্ট তৈরী হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বডি সারফেসে ঠিকমতো পৌছাতে পারছেনা। না পৌছানোর কারণ আবার হতে পারে - ১। যার ইসিজি করা হচ্ছে তিনি বেশ মোটাসোটা ব্যাক্তি। ২। হার্টের চারিদিকে পানি জমেছে (পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন)। যার ফলে কারেন্ট বডি সারফেসে আসার আগেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। ৩। যে ইসিজি করেছে সে ঠিকমতো লিড বসাতে পারেনি বুকে।
* লম্বা হতে পারে। মানে ভেন্ট্রিকলের মাসল হয়তো বেড়ে গেছে। (ভেন্ট্রিকুলার হাইপারট্রপি)
* অগোছালো হতে পারে (M বা W এর মতো। এর মানে হচ্ছে বান্ডল ব্রাঞ্চ কোথাও হয়তো ব্লক আছে। যার ফলে কারেন্ট লাফিয়ে লাফিয়ে পার হচ্ছে।
QT ইন্টারভাল
* বেশি হতে পারে। অর্থাৎ ভেন্ট্রিকলের প্রতিটা কন্ট্রাকশনের মাঝে সময় বেশি লাগছে।
* কম হতে পারে। মানে হলো ভেন্ট্রিকলের প্রতিটা কন্ট্রাকশনের মাঝে সময় কম লাগছে।
ST সেগমেন্ট
* ইলিভেশনঃ হার্ট 'থমকে থাকা'র সময় পাচ্ছে না কিংবা থাকতে পারছেনা তার আগেই ডিপোলারাইজড হতে চাচ্ছে।
* ডিপ্রেশনঃ হার্ট রিপোলারাইজড হচ্ছেনা। মেমব্রেন শক্ত হয়ে গেছে।
এই হচ্ছে মোটামুটি অবস্থা।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে - এই যে ওয়েভ, ইন্টারভাল, কমপ্লেক্স ইত্যাদির সীমা ঠিক করে দেয়া হলো, এটা কীসের ভিত্তিতে এবং কীভাবে?
উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদেরকে একটা ইসিজি পেপার দেখতে হবে।
ইসিজি পেপারকে অনেকগুলো লার্জ স্কয়ারে ভাগ করা হয়। প্রতিটা লার্জ স্কয়ারের ভেতরে থাকে ৫টা করে স্মল স্কয়ার।
একটা ইসিজি পেপার পাশাপাশি ভাবে সময় কাউন্ট করে
আর উপর নিচ দিকে কাউন্ট করে ভোল্টেজ।
পাশাপাশিভাবে একটা স্মল স্কয়ার সমান হলো 0.04 সেকেন্ডস।
আবার উপর নিচে একটা স্মল স্কয়ার হলো 0.1 মিলি ভোল্ট। আলোচনার সুবির্ধাতে উপর নিচের ঘরকে মিলিমিটারেও প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ একেকটা স্কয়ার সমান ১ মিলিমিটার।
এই সময় এবং ভোল্টেজ দিয়েই বিভিন্ন ওয়েভের সীমারেখা টানা হয়।
উদাহারন হিশেবে বলা যায় P ওয়েভের কথা।
P নরমালি চওড়া হবে তিনটা স্মল স্কয়ার পর্যন্ত। অর্থাৎ সময়ে হিশেব করলে 3 x 0.04=0.12 সেকেন্ডস।
P লম্বা হতে পারবে উপর নিচে সর্বোচ্চ আড়াই ঘর পর্যন্ত। অর্থাৎ P এর উচ্চতা হলো সর্বোচ্চ 2.5 মিলিমিটার অথবা 0.25 মিলিভোল্ট।
আশা করি ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছে সবার কাছে।
আজকের পর্ব শেষ। পরের পর্বে দেখা হবে।
প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রশ্নঃ কালকে টিউটোরিয়াল দিলেন না। ব্যাপার কী?
খুব দৌড়ের উপর আছি। বাসায় আসতে আসতে রাত ১০টা বেজে যায়। এসে আর বল পাইনা শরীরে।
প্রশ্নঃ দেরী সহ্য হচ্ছেনা। আপনার টিউটোরিয়ালের আগেই আমি ইসিজি শিখতে চাই। কোন বই পড়বো।
উত্তরঃ হার্টের এনাটমি ফিজিওলজি পড়ে সোজা গাইটন খুলে বসে পড়ুন।
প্রশ্নঃ আপনার টিউটোরিয়ালগুলোর নাম এত অদ্ভুত কেন?
উত্তরঃ ইসিজির কাজ হৃদয় নিয়ে তো তাই হৃদয়ওয়ালা গানের নামে পর্বগুলো লিখতে ভালো লাগছে। :)
সবাইকে নতুন বাংলা বছরের আগ্রীম শুভেচ্ছা।
আগের পর্বঃ
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব শূন্য- আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব এক - লাইট... ক্যামেরা... অ্যাকশন...
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব দুই - খাম্বা সিন্ডিকেট
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব তিন - কী করিলে বলো পাইবো তোমারে
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব চার - যায় ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে...
আলোচনায় যাওয়ার আগে একটা নরমাল ইসিজি দেখে নেয়া যাক।
দেখা যাচ্ছে ওয়েভ আছে দুইটা
P wave (মানে হচ্ছে অ্যাট্রিয়ামের ডিপোলারাইজেশন)
T wave (ভেন্ট্রিকলের রিপোলারাইজেশন)
কমপ্লেক্স আছে একটা
QRS কমপ্লেক্স (পুরো ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন)
(এই কমপ্লেক্স মূলত তিনটা ওয়েভ দিয়ে গঠিত। Q wave, R wave ও S wave. একটা জিনিস মনে রাখা দরকার - Q ও S একটা নরমাল ইসিজিতে নাও থাকতে পারে।)
ইন্টারভাল আছে তিনটা
PR ইন্টারভাল (অ্যাট্রিয়ামের ডিপোলারাইজেশন শেষ এবং ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শুরুর মধ্যবর্তী সময়। সহজ করে বললে অ্যাট্রিয়ামের রিলাক্স হওয়া এবং ভেন্ট্রিকলের কন্ট্রাক্ট হওয়ার মাঝখানের সময়।)
QT ইন্টারভাল (ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শুরু থেকে রিপোলারাইজেশন শেষের মাঝখানের সময়)
RR ইন্টারভাল (দুইটা কমপ্লিট ওয়েভ পাশাপাশি দেখলে এই ইন্টারভাল বুঝা যাবে। এর মানে হচ্ছে ভেন্ট্রিকুলের লাগালাগ দুইটা কন্ট্রাকশনের মাঝখানের সময়।)
সেগমেন্ট আছে একটা -
ST সেগমেন্ট। ভেন্ট্রিকলের ডিপোলারাইজেশন শেষ ও রিপোলারাইজেশনের মাঝখানের 'থমকে যাওয়া' সময়টা।
কিছু ব্যাপার এখন মনে রাখা দরকার।
* PR ইন্টারভাল আসলে PQ ইন্টারভাল। কেন PQ কে PR নামকরণ করা হলো আজও বুঝিনি। কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন টাইপ অবস্থা।
ওয়েভ, কমপ্লেক্স আর ইন্টারভালের আলোচনা শেষ।
এখন এগুলোর কিছু অ্যাবনরামিলিটি নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রতিটা ওয়েভ কমপ্লেক্স আর ইন্টারভালের এককটা সীমারেখা আছে। ঠিক করে দেয়া আছে, এগুলো কতোটা লম্বা হতে পারবে, চওড়া হতে পারবে, চ্যপ্টা হতে পারবে। এর কম বেশি হলে বুঝতে হবে ঝামেলা আছে।
একেকটা করে আলোচনা করি।
P ওয়েভ -
* লম্বা হতে পারে( যাকে বলে পি পালমোনালি)। মানে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে বেশি। এর অর্থ হচ্ছে বেশি বেশি কারেন্ট তৈরী হচ্ছে অ্যাট্রিয়ামে।
* চওড়া হতে পারে ( যাকে বলে পি মাইট্রালি)। এর মানে হচ্ছে কারেন্ট বেশি যায়গা মানে নরমাল অ্যাট্রিয়ামের বাইরেও কিছু যায়গা 'ভ্রমন' করছে।
* আস্ত P ওয়েভটাই নাই হয়ে যেতে পারে। এর মানে হচ্ছে SA নোড ঠিকমতো কাজ করছেনা।
* উলটা হতে পারে P ওয়েভ। এর মানে কারেন্ট SA নোড নয়, অন্য যায়গা থেকে উৎপন্ন হচ্ছে। এবং উলটা ডিরেকশনে অ্যাট্রিয়াম ডিপোলারাইজড হচ্ছে।
PR ইন্টারভাল -
* বেশি হতে পারে। মানে হলো অ্যাট্রিয়াম থেকে ভেন্ট্রিকলে ঠিকঠাকমতো কারেন্ট যেতে পারছেনা। অর্থাৎ কনডাকটিক সিস্টেমে কোথাও নিশ্চয়ই ব্লক আছে।
* শর্ট হতে পারে। এর অর্থ হলো কারেন্ট দ্রুত হলে যাচ্ছে ভেন্ট্রিকলে।
QRS কমপ্লেক্স -
* বেটে হতে পারে। এর মানে হতে পারে কারেন্ট তৈরী হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বডি সারফেসে ঠিকমতো পৌছাতে পারছেনা। না পৌছানোর কারণ আবার হতে পারে - ১। যার ইসিজি করা হচ্ছে তিনি বেশ মোটাসোটা ব্যাক্তি। ২। হার্টের চারিদিকে পানি জমেছে (পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন)। যার ফলে কারেন্ট বডি সারফেসে আসার আগেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। ৩। যে ইসিজি করেছে সে ঠিকমতো লিড বসাতে পারেনি বুকে।
* লম্বা হতে পারে। মানে ভেন্ট্রিকলের মাসল হয়তো বেড়ে গেছে। (ভেন্ট্রিকুলার হাইপারট্রপি)
* অগোছালো হতে পারে (M বা W এর মতো। এর মানে হচ্ছে বান্ডল ব্রাঞ্চ কোথাও হয়তো ব্লক আছে। যার ফলে কারেন্ট লাফিয়ে লাফিয়ে পার হচ্ছে।
QT ইন্টারভাল
* বেশি হতে পারে। অর্থাৎ ভেন্ট্রিকলের প্রতিটা কন্ট্রাকশনের মাঝে সময় বেশি লাগছে।
* কম হতে পারে। মানে হলো ভেন্ট্রিকলের প্রতিটা কন্ট্রাকশনের মাঝে সময় কম লাগছে।
ST সেগমেন্ট
* ইলিভেশনঃ হার্ট 'থমকে থাকা'র সময় পাচ্ছে না কিংবা থাকতে পারছেনা তার আগেই ডিপোলারাইজড হতে চাচ্ছে।
* ডিপ্রেশনঃ হার্ট রিপোলারাইজড হচ্ছেনা। মেমব্রেন শক্ত হয়ে গেছে।
এই হচ্ছে মোটামুটি অবস্থা।
এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে - এই যে ওয়েভ, ইন্টারভাল, কমপ্লেক্স ইত্যাদির সীমা ঠিক করে দেয়া হলো, এটা কীসের ভিত্তিতে এবং কীভাবে?
উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদেরকে একটা ইসিজি পেপার দেখতে হবে।
ইসিজি পেপারকে অনেকগুলো লার্জ স্কয়ারে ভাগ করা হয়। প্রতিটা লার্জ স্কয়ারের ভেতরে থাকে ৫টা করে স্মল স্কয়ার।
একটা ইসিজি পেপার পাশাপাশি ভাবে সময় কাউন্ট করে
আর উপর নিচ দিকে কাউন্ট করে ভোল্টেজ।
পাশাপাশিভাবে একটা স্মল স্কয়ার সমান হলো 0.04 সেকেন্ডস।
আবার উপর নিচে একটা স্মল স্কয়ার হলো 0.1 মিলি ভোল্ট। আলোচনার সুবির্ধাতে উপর নিচের ঘরকে মিলিমিটারেও প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ একেকটা স্কয়ার সমান ১ মিলিমিটার।
এই সময় এবং ভোল্টেজ দিয়েই বিভিন্ন ওয়েভের সীমারেখা টানা হয়।
উদাহারন হিশেবে বলা যায় P ওয়েভের কথা।
P নরমালি চওড়া হবে তিনটা স্মল স্কয়ার পর্যন্ত। অর্থাৎ সময়ে হিশেব করলে 3 x 0.04=0.12 সেকেন্ডস।
P লম্বা হতে পারবে উপর নিচে সর্বোচ্চ আড়াই ঘর পর্যন্ত। অর্থাৎ P এর উচ্চতা হলো সর্বোচ্চ 2.5 মিলিমিটার অথবা 0.25 মিলিভোল্ট।
আশা করি ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছে সবার কাছে।
আজকের পর্ব শেষ। পরের পর্বে দেখা হবে।
প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রশ্নঃ কালকে টিউটোরিয়াল দিলেন না। ব্যাপার কী?
খুব দৌড়ের উপর আছি। বাসায় আসতে আসতে রাত ১০টা বেজে যায়। এসে আর বল পাইনা শরীরে।
প্রশ্নঃ দেরী সহ্য হচ্ছেনা। আপনার টিউটোরিয়ালের আগেই আমি ইসিজি শিখতে চাই। কোন বই পড়বো।
উত্তরঃ হার্টের এনাটমি ফিজিওলজি পড়ে সোজা গাইটন খুলে বসে পড়ুন।
প্রশ্নঃ আপনার টিউটোরিয়ালগুলোর নাম এত অদ্ভুত কেন?
উত্তরঃ ইসিজির কাজ হৃদয় নিয়ে তো তাই হৃদয়ওয়ালা গানের নামে পর্বগুলো লিখতে ভালো লাগছে। :)
সবাইকে নতুন বাংলা বছরের আগ্রীম শুভেচ্ছা।
আগের পর্বঃ
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব শূন্য- আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব এক - লাইট... ক্যামেরা... অ্যাকশন...
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব দুই - খাম্বা সিন্ডিকেট
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব তিন - কী করিলে বলো পাইবো তোমারে
# ইসিজির অ আ ক খঃ পর্ব চার - যায় ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে...
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।