আব্দুল করীম ২০২০ সালের পহেলা জানুয়ারি ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পরিবারেই তিনি নিজের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।
২০২৬ সালে ষষ্ট জন্মদিনে আব্দুল করিমের পিতা আব্দুল করিমকে স্কুলে ভর্তী করিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। জন্মদিনের সকালে তাই পিতা আব্দুল করিমকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে জানতে পারেন যে বিরোধীদলের টানা হরতাল চলছে। হরতাল দেখে আব্দুল করিমকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন পিতা। টানা ৭০ দিন চলেছিলো সে হরতাল।
৭০ দিন পরে আব্দুল করিমের পিতা পুনরায় আব্দুল করিমকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সেদিন বের হয়ে দেখেন বিরোধীদলের নতুন কর্মসূচী - অবরোধ। সে অবরোধ চলেছিলো আরো ৯০ দিন। এভাবে আন্দোলন, পুনঃ আন্দোলনের পরে শেষ পর্যন্ত ১০ বছর বয়সে আব্দুল করিম প্রাইমারি স্কুলে ভর্তী হতে সক্ষম হন।
ভর্তী হবার পর আব্দুল করিম পুনরায় আন্দোলনের ক্ষপ্পরে পড়েন। এ কারণে ৫ বছরের স্কুল শিক্ষা তিনি শেষ করেন ১০ বছরে। এরপর তিনি ২০৪০ সালের পিএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের যোগ্যতা অর্জন করেন।
পিএসসি পরীক্ষায় তিনি আবার আন্দোলনের মুখোমুখি হন। যেদিন থাকে পরীক্ষা সেদিনই থাকে বিরোধীদলের কর্মসূচী - আন্দোলন অথবা হরতাল। যার ফলে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতো প্রতিবারই। পেছাতে পেছাতে অবশেষে আব্দুল করিম ২০৪৫ সালে পিএসসি শেষ করেন এবং কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।
২৫ বছর বয়সে পিএসসি শেষ করে ২৬ বছর বয়সে আব্দুল করিম মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তী হন। আন্দোলন পেরিয়ে ২০৫০ সালে তিনি জেএসসি পরীক্ষায় বসেন। জেএসসি শেষ করতে লাগে ২ বছর। অবশেষে ২০৫২ সালে আব্দুল করিম জেএসসি পাশ করেন। তখন
তার বয়স দাড়ায় ২৮। ক্লাস নাইনে উঠলে আবার শুরু হয় হরতাল। নাইন টেন পাশ করতে তার প্রয়োজন হয় ৮ বছর। তার এসএসসি শুরু হয় ২০৬০ সালে। কিন্তু ততদিনে বিরোধীদলের আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে যায়। হরতাল চলে টানা বছরের পর বছর। যার ফলে এস এস সি শুরু হলেও শেষ হবার কোনো লক্ষন দেখা গেলোনা।
কেটে গেলো টানা পাচ বছর। আসে ২০৬৫ সাল। আব্দুল করিমের বয়স তখন ৪৫। এস এস সি তখনও শেষ হয়নি। বাধ্য হয়ে সরকার তখন শিক্ষানীতি পরিবর্তন করলো। জেএসসিকে উচ্চশিক্ষার সর্বশেষ সীমানা বলো ঘোষনা দিলো। সেই থেকে দেশে আর জে এস সির পরে কেউ পড়াশোনা করেনা।
পরিশেষ
৪৬ বছর বয়সে আব্দুল করিম সরকারী চাকরীতে যোগ দেন এবং মৃত্যুর সময় অবসর নন।
২০২৬ সালে ষষ্ট জন্মদিনে আব্দুল করিমের পিতা আব্দুল করিমকে স্কুলে ভর্তী করিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেন। জন্মদিনের সকালে তাই পিতা আব্দুল করিমকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে জানতে পারেন যে বিরোধীদলের টানা হরতাল চলছে। হরতাল দেখে আব্দুল করিমকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসেন পিতা। টানা ৭০ দিন চলেছিলো সে হরতাল।
৭০ দিন পরে আব্দুল করিমের পিতা পুনরায় আব্দুল করিমকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সেদিন বের হয়ে দেখেন বিরোধীদলের নতুন কর্মসূচী - অবরোধ। সে অবরোধ চলেছিলো আরো ৯০ দিন। এভাবে আন্দোলন, পুনঃ আন্দোলনের পরে শেষ পর্যন্ত ১০ বছর বয়সে আব্দুল করিম প্রাইমারি স্কুলে ভর্তী হতে সক্ষম হন।
ভর্তী হবার পর আব্দুল করিম পুনরায় আন্দোলনের ক্ষপ্পরে পড়েন। এ কারণে ৫ বছরের স্কুল শিক্ষা তিনি শেষ করেন ১০ বছরে। এরপর তিনি ২০৪০ সালের পিএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের যোগ্যতা অর্জন করেন।
পিএসসি পরীক্ষায় তিনি আবার আন্দোলনের মুখোমুখি হন। যেদিন থাকে পরীক্ষা সেদিনই থাকে বিরোধীদলের কর্মসূচী - আন্দোলন অথবা হরতাল। যার ফলে পরীক্ষা পিছিয়ে যেতো প্রতিবারই। পেছাতে পেছাতে অবশেষে আব্দুল করিম ২০৪৫ সালে পিএসসি শেষ করেন এবং কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন।
২৫ বছর বয়সে পিএসসি শেষ করে ২৬ বছর বয়সে আব্দুল করিম মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তী হন। আন্দোলন পেরিয়ে ২০৫০ সালে তিনি জেএসসি পরীক্ষায় বসেন। জেএসসি শেষ করতে লাগে ২ বছর। অবশেষে ২০৫২ সালে আব্দুল করিম জেএসসি পাশ করেন। তখন
তার বয়স দাড়ায় ২৮। ক্লাস নাইনে উঠলে আবার শুরু হয় হরতাল। নাইন টেন পাশ করতে তার প্রয়োজন হয় ৮ বছর। তার এসএসসি শুরু হয় ২০৬০ সালে। কিন্তু ততদিনে বিরোধীদলের আন্দোলন আরো বেগবান হয়ে যায়। হরতাল চলে টানা বছরের পর বছর। যার ফলে এস এস সি শুরু হলেও শেষ হবার কোনো লক্ষন দেখা গেলোনা।
কেটে গেলো টানা পাচ বছর। আসে ২০৬৫ সাল। আব্দুল করিমের বয়স তখন ৪৫। এস এস সি তখনও শেষ হয়নি। বাধ্য হয়ে সরকার তখন শিক্ষানীতি পরিবর্তন করলো। জেএসসিকে উচ্চশিক্ষার সর্বশেষ সীমানা বলো ঘোষনা দিলো। সেই থেকে দেশে আর জে এস সির পরে কেউ পড়াশোনা করেনা।
পরিশেষ
৪৬ বছর বয়সে আব্দুল করিম সরকারী চাকরীতে যোগ দেন এবং মৃত্যুর সময় অবসর নন।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।