পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশ স্বাধীন হয় খুব শান্তিপূর্ণ উপায়ে। নেতারা গোলটেবিল আলোচনায় বসেন, সীমানা ভাগাভাগি করেন তারপর আলাদা হয়ে যায় দুটি মানচিত্র, জন্ম হয় নতুন দেশের।
আমাদের দেশটি মোটেও এভাবে জন্ম নেয়নি। এদেশটির জন্য ত্রিশ লক্ষ স্বজন প্রাণ দিয়েছেন, দুই লক্ষ মা বোন নির্জাতিত হয়েছেন, এক কোটি স্বজন ভিটেমাটি ছেড়েছেন।
এভাবেই জন্ম নিয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
তাই আমাদের দেশের হিশেবটা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আলাদা। একই কারণে পাকিস্তানের সাথেও আমাদের হিশাব নিকাশ আলাদা।
... বিষয়টা খুব সহজ। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশ পেয়েছি সেই পাকিস্তানের জন্য আমাদের তীব্র ঘৃণা থাকার কথা ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। আমাদের দেশেরই কিছু ছেলেমেয়ে 'খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না' বলে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান দেয়, গালে মুখে পাকিস্তানের পতাকা আঁকে, পাকিস্তানের পতাকা উড়ায়।
ব্যাপারটা ভেবে একসময় খুব অবাক হতাম। এখন হইনা।
আমাদের ইতিহাসের সব অধ্যায়ে কিছু বেইমান ছিলো। পলাশির যুদ্ধে ছিলো মীরজাফররা। সত্তুরের নির্বাচনেও এই বেইমানরা আমাদের বিরোধীতা করেছে। একাত্তরে এরা ছিলো রাজাকার রুপে।
এখনও এদের থাকার কথা। এবং আছেও। বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে এরা সংখ্যায়ও বেড়েছে অনেক। এদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু নিরপেক্ষ সুশীল বুদ্ধিজীবি এবং আত্মসম্মানবোধহীন কিছু নির্বোধ।
সৌভাগ্যের বিষয় এরা সংখ্যায় বাড়লেও এখনো সংখ্যালঘু। এমনিতে এদের দেখা যায়না, চুপচাপ থাকে। কিন্তু খেলা আসলেই ক্রিকেটের কাধে চড়ে এরা এদের জান্তব রূপটা প্রকাশ করে দেয়।
কয়েকবছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়লে আমার এখনো মরে যেতে ইচ্ছে করে।
গ্যালারীতে পাকিস্তানপ্রেমি এক বাংলাদেশী ছেলের সামনে মাইক ধরেছিলো বিবিসি। ছেলেটি হড়হড় করে বলছিলো 'পাকিস্তান আমাদের ভাই। একাত্তরের ঐসব ঘটনা আমরা ভুলে গেছি। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।'
পুরো বিশ্ব দেখেছিলো সেই দৃশ্য।
পাকিস্তানপ্রেমী এই অংশটা কোনোভাবেই পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এরা যখন পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে মাঠে যায় তখন পুরো বিশ্ব এদেরকে বাংলাদেশী হিশেবেই দেখে।
পুরো বিশ্ব দেখে আমরা কী আত্মসম্মানবোধহীন একটি জাতি!
আজ ফিলিস্তিনের ছেলেমেয়ে আমদের সামনে 'ইসরাইল ইসরাইল' বলে স্লোগান দিলে কিংবা ইসরাইলের পতাকা উড়ালে ঘৃণায় মুখ বিকৃত করবো আমরা। আমাদের পাকিস্তানী সাপোর্টারদের দেখে বিশ্বের মানুষও হয়তো এভাবেই ঘৃণায় থুথু ফেলে।
এই অশ্লীল চর্চা বন্ধ করা দরকার এখনই।
কারো মাথায় ঢুকে সেখান থেকে পাকিস্তানপ্রেম মুছে দেয়া হয়তো সম্ভব না। কিন্তু গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে ঢুকা বন্ধ করে দেয়া খুবই সম্ভব। বোতল, অস্ত্র বন্ধ করা গেলে পতাকা কেন নয়?
এখনই আইন করে খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকা বহন নিষিদ্ধ করা হোক। খেলার নাম করে ত্রিশলক্ষ শহীদকে, দুই লক্ষ মা বোনকে এবং পুরো দেশকে অপমান করার অধিকার কারো নেই।
আমাদের দেশটি মোটেও এভাবে জন্ম নেয়নি। এদেশটির জন্য ত্রিশ লক্ষ স্বজন প্রাণ দিয়েছেন, দুই লক্ষ মা বোন নির্জাতিত হয়েছেন, এক কোটি স্বজন ভিটেমাটি ছেড়েছেন।
এভাবেই জন্ম নিয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।
তাই আমাদের দেশের হিশেবটা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে আলাদা। একই কারণে পাকিস্তানের সাথেও আমাদের হিশাব নিকাশ আলাদা।
... বিষয়টা খুব সহজ। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা এই দেশ পেয়েছি সেই পাকিস্তানের জন্য আমাদের তীব্র ঘৃণা থাকার কথা ছিলো। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। আমাদের দেশেরই কিছু ছেলেমেয়ে 'খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবেন না' বলে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান দেয়, গালে মুখে পাকিস্তানের পতাকা আঁকে, পাকিস্তানের পতাকা উড়ায়।
ব্যাপারটা ভেবে একসময় খুব অবাক হতাম। এখন হইনা।
আমাদের ইতিহাসের সব অধ্যায়ে কিছু বেইমান ছিলো। পলাশির যুদ্ধে ছিলো মীরজাফররা। সত্তুরের নির্বাচনেও এই বেইমানরা আমাদের বিরোধীতা করেছে। একাত্তরে এরা ছিলো রাজাকার রুপে।
এখনও এদের থাকার কথা। এবং আছেও। বাচ্চাকাচ্চা দিয়ে এরা সংখ্যায়ও বেড়েছে অনেক। এদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু নিরপেক্ষ সুশীল বুদ্ধিজীবি এবং আত্মসম্মানবোধহীন কিছু নির্বোধ।
সৌভাগ্যের বিষয় এরা সংখ্যায় বাড়লেও এখনো সংখ্যালঘু। এমনিতে এদের দেখা যায়না, চুপচাপ থাকে। কিন্তু খেলা আসলেই ক্রিকেটের কাধে চড়ে এরা এদের জান্তব রূপটা প্রকাশ করে দেয়।
কয়েকবছর আগের একটা ঘটনা মনে পড়লে আমার এখনো মরে যেতে ইচ্ছে করে।
গ্যালারীতে পাকিস্তানপ্রেমি এক বাংলাদেশী ছেলের সামনে মাইক ধরেছিলো বিবিসি। ছেলেটি হড়হড় করে বলছিলো 'পাকিস্তান আমাদের ভাই। একাত্তরের ঐসব ঘটনা আমরা ভুলে গেছি। পাকিস্তান জিন্দাবাদ।'
পুরো বিশ্ব দেখেছিলো সেই দৃশ্য।
পাকিস্তানপ্রেমী এই অংশটা কোনোভাবেই পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এরা যখন পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে মাঠে যায় তখন পুরো বিশ্ব এদেরকে বাংলাদেশী হিশেবেই দেখে।
পুরো বিশ্ব দেখে আমরা কী আত্মসম্মানবোধহীন একটি জাতি!
আজ ফিলিস্তিনের ছেলেমেয়ে আমদের সামনে 'ইসরাইল ইসরাইল' বলে স্লোগান দিলে কিংবা ইসরাইলের পতাকা উড়ালে ঘৃণায় মুখ বিকৃত করবো আমরা। আমাদের পাকিস্তানী সাপোর্টারদের দেখে বিশ্বের মানুষও হয়তো এভাবেই ঘৃণায় থুথু ফেলে।
এই অশ্লীল চর্চা বন্ধ করা দরকার এখনই।
কারো মাথায় ঢুকে সেখান থেকে পাকিস্তানপ্রেম মুছে দেয়া হয়তো সম্ভব না। কিন্তু গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে ঢুকা বন্ধ করে দেয়া খুবই সম্ভব। বোতল, অস্ত্র বন্ধ করা গেলে পতাকা কেন নয়?
এখনই আইন করে খেলার মাঠে পাকিস্তানের পতাকা বহন নিষিদ্ধ করা হোক। খেলার নাম করে ত্রিশলক্ষ শহীদকে, দুই লক্ষ মা বোনকে এবং পুরো দেশকে অপমান করার অধিকার কারো নেই।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।