ডিসকোভারি চ্যানেলের জনপ্রিয়
শো ম্যান
ভার্সেস ওয়াইল্ড। এই শো'তে দেখা যায় বেয়ার
গ্রিল নামক একজন দুঃসাহসী ব্যাক্তি
কীভাবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে
টিকে থাকেন এবং সেসব পরিবেশ
থেকে বেঁচে ফিরে আসেন।
কী হতো, যদি বেয়ার গ্রিল পাকিস্তান যেতেন? ভেবেছেন আলিম আল রাজি।
অনুষ্ঠানের শুরু-
আমি বেয়ার গ্রিল। আমি আপনাদের দেখাবো কীভাবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেঁচে ফিরে আসতে হয়।
আজ আমি এসেছি
পাকিস্তানে। এটি পৃথিবী সবচেয়ে
বিপজ্জনক দেশগুলোর একটি। এখানে রয়েছে
পদে পদে বিপদ। এই বিপদ থেকে রক্ষা
পেতে চাই কৌশল আর ধৈর্য্য। আমি আজ আপনাদের
দেখাবো এখানে কীভাবে টিকে থাকতে
হয়। তাহলে চলুন আমার সাথে...কী হতো, যদি বেয়ার গ্রিল পাকিস্তান যেতেন? ভেবেছেন আলিম আল রাজি।
অনুষ্ঠানের শুরু-
আমি বেয়ার গ্রিল। আমি আপনাদের দেখাবো কীভাবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেঁচে ফিরে আসতে হয়।
খাবার তৈরী -
প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে হলে আপনার চাই খাদ্য। তাছাড়া পাকিস্তানের মতো জঘন্য পরিবেশে আপনি খাদ্য ছাড়া এক মুহূর্তও বেঁচে থাকতে পারবেন না। সুখের ব্যাপার হচ্ছে এই দেশে ভালো করে খুজলে প্রচুর খাদ্য পাওয়া যায়। পাকিস্তানের জাতীয় পশু হচ্ছে মারখোর নামের এক ধরনের ছাগল। আমার আশেপাশে অনেক ছাগল ডাকাডাকি করছে। ঐ যে, ম্যা শব্দ করে কী সুন্দর একটি ছাগল ছুটে আসছে আমার দিকে। আমি ছাগলটিকে ধরে পুড়িয়ে খেয়ে ফেলবো এখন।
অতঃপর...
বেয়ার গ্রিল ছাগল খেলেন ঠিকই। কিন্তু তার ছাগল খাওয়ার খবর পৌছে গেলো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। ছাগলাধিকার লংঘনের দায়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব গৃহীত হলো। পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ইমরান খান ছাগল হত্যার কঠিন প্রতিবাদ জানালেন। তিনি জানালেন, ছাগলকে আমরা পাকিস্তানীরা ভাইয়ের দৃষ্টিতে দেখি। ছাগল হত্যার প্রতিশোধ আমরা নেবোই।
পাকিস্তানের আদালত ছাগল হত্যার দায়ে বেয়ার গ্রিলের বিপক্ষে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করলো।
নদী পার হওয়া-
আপনারা জানেন, আমি কঠিন বিপদে পড়েছি। আমাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ আমাকে দেখলেই এখান থেকে ধরে নিয়ে যাবে। ছাগল মেরে এত বিপদে পড়বো বুঝিনি। তাই আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে। সামনে যে ক্ষরস্রোতা নদীটি দেখছেন এটা পার হওয়ার জন্য আমি এখন একটি ভেলা বানাবো। ভেলা বানিয়ে নদীতে নেমে পড়বো।
অতঃপর...
ভেলা বানিয়ে নদীতে নামা মাত্রই বেয়ার গ্রিলের উপর আক্রমন করলো পাকিস্তানের কুখ্যাত জংগী সংঘটন 'উই আর ছাগল'। ছাগল হত্যার দায়ে তারা আগে থেকেই খুজছিলো বেয়ার গ্রিলকে। বেয়ার যখন মাঝনদীতে তখন তার উপর মুহূর্মুহু গুলি চালালো জংগীরা। গুলির কবলে পড়ে ভেঙ্গে গেলো বেয়ারের সাধের ভেলা। ভেলা থেকে বেয়ার পড়ে গেলেন মাঝনদীতে। ঠান্ডা পানিতে সাতর কেটে কোনো রকমে অন্যপাড়ে পৌছালেন বেয়ার। ভাগ্যক্রমে কোনো গুলি লাগলোনা তার গায়ে।
আগুন জ্বালানো-
ভিষণ বিপদে পড়েছি। আমার উপর এবার আক্রমন করেছে জঙ্গীরা। পাকিস্তানে এসে এ কী বিপদে পড়লাম! ভাগ্য ভালো আমার গায়ে গুলি লাগেনি। কিন্তু ঠান্ডা পানিতে পড়ায় প্রচুর ঠান্ডা লেগে গেছে আমার। এরকম ঠান্ডায় থাকলে আপনার হাইপোথার্মিয়া হবে। তাই এখন আগুন জ্ব্বালাতে হবে। ঐ যে দেখুন, লাল রঙের পাথর দেখা যাচ্ছে। এই পাথর দিয়ে আমি এখন আগুন জ্বালাবো।
অতঃপর...
বেয়ার যেটাকে পাথর ভেবেছিলেন ওটা ছিলো একটা ককটেল। লাল টেপ দিয়ে মুড়ানো থাকার কারণে ওটাকে দেখাচ্ছিলো লাল রঙের পাথরের মতো। বেয়ার যেই ওটাতে হাত দিলেন ওমনি বোমমমমম...।
ককটেলটি কম শক্তিশালী হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হলোনা বেয়ারের। তবে কাপড় চোপড় পুড়ে গেলো। চুলও পুড়ে গেলো অনেকটুকু।
আস্তানা বানানো -
বড় আজব দেশ পাকিস্তান। আপনারা দেখেছেন লাল রঙের পাথরটি থেকে কীভাবে অটোমেটিক আগুন জ্বলে গেলো। আমাকে কষ্ট করে আর ঘষাঘষি করতে হয়নি। যদিও কিছুটা পুড়ে গেছি। সমস্যা না। সারভাইবালে এরকম হতেই পারে।
লাল রঙের পাথরগুলো ভালো জিনিস। আমি এরকম কিছু পাথর আমার পকেটে রেখে দিলাম।
এখন আমি আস্তানা বানাবো। পাকিস্তানে কখন কী হয় বলা যায়না। তাই রাত হবার আগেই একটা আস্তানা বানাতে হবে। ঐ যে, ওখানে বাশ দেখা যাচ্ছে। ওগুলো একটা ঘর বানিয়ে ফেলবো এখনই।
অতঃপর...
অনেক কষ্ট করে আস্তানা বানালেন বেয়ার। মধ্যরাতে বেয়ার যখন গভীর ঘুমে, তখন আবার আক্রমন করলো জংগী সংঘটন 'উই আর ছাগল'। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচতে পারলেন না দুঃসাহসী বেয়ার গ্রিল। জঙ্গীরা বেয়ারকে ধরে নিয়ে গেলো তাদের আস্তানায়। আস্তানায় নিয়ে ভিডিও গোপন বার্তা প্রকাশ করলো 'উই আর ছাগল'। বার্তায় তারা জানালো, ছাগলের হত্যাকারী বেয়ারকে তারা আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বেয়ারকে তারা উপযুক্ত শাস্থি দিবে।
জঙ্গীদের আস্তানায়-
আমি এখন আছি জংগীদের আস্তানায়। এরকম পরিস্থিতে এর আগে পড়িনি কখনো। কী করতে হবে বুঝতে পারছিনা।
কীভাবে উদ্ধার পেতে হয়, কী করতে হয় কিছুই মাথায় ধরছেনা। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
ভেলা বানিয়ে নদীতে নামা মাত্রই বেয়ার গ্রিলের উপর আক্রমন করলো পাকিস্তানের কুখ্যাত জংগী সংঘটন 'উই আর ছাগল'। ছাগল হত্যার দায়ে তারা আগে থেকেই খুজছিলো বেয়ার গ্রিলকে। বেয়ার যখন মাঝনদীতে তখন তার উপর মুহূর্মুহু গুলি চালালো জংগীরা। গুলির কবলে পড়ে ভেঙ্গে গেলো বেয়ারের সাধের ভেলা। ভেলা থেকে বেয়ার পড়ে গেলেন মাঝনদীতে। ঠান্ডা পানিতে সাতর কেটে কোনো রকমে অন্যপাড়ে পৌছালেন বেয়ার। ভাগ্যক্রমে কোনো গুলি লাগলোনা তার গায়ে।
আগুন জ্বালানো-
ভিষণ বিপদে পড়েছি। আমার উপর এবার আক্রমন করেছে জঙ্গীরা। পাকিস্তানে এসে এ কী বিপদে পড়লাম! ভাগ্য ভালো আমার গায়ে গুলি লাগেনি। কিন্তু ঠান্ডা পানিতে পড়ায় প্রচুর ঠান্ডা লেগে গেছে আমার। এরকম ঠান্ডায় থাকলে আপনার হাইপোথার্মিয়া হবে। তাই এখন আগুন জ্ব্বালাতে হবে। ঐ যে দেখুন, লাল রঙের পাথর দেখা যাচ্ছে। এই পাথর দিয়ে আমি এখন আগুন জ্বালাবো।
অতঃপর...
বেয়ার যেটাকে পাথর ভেবেছিলেন ওটা ছিলো একটা ককটেল। লাল টেপ দিয়ে মুড়ানো থাকার কারণে ওটাকে দেখাচ্ছিলো লাল রঙের পাথরের মতো। বেয়ার যেই ওটাতে হাত দিলেন ওমনি বোমমমমম...।
ককটেলটি কম শক্তিশালী হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হলোনা বেয়ারের। তবে কাপড় চোপড় পুড়ে গেলো। চুলও পুড়ে গেলো অনেকটুকু।
আস্তানা বানানো -
বড় আজব দেশ পাকিস্তান। আপনারা দেখেছেন লাল রঙের পাথরটি থেকে কীভাবে অটোমেটিক আগুন জ্বলে গেলো। আমাকে কষ্ট করে আর ঘষাঘষি করতে হয়নি। যদিও কিছুটা পুড়ে গেছি। সমস্যা না। সারভাইবালে এরকম হতেই পারে।
লাল রঙের পাথরগুলো ভালো জিনিস। আমি এরকম কিছু পাথর আমার পকেটে রেখে দিলাম।
এখন আমি আস্তানা বানাবো। পাকিস্তানে কখন কী হয় বলা যায়না। তাই রাত হবার আগেই একটা আস্তানা বানাতে হবে। ঐ যে, ওখানে বাশ দেখা যাচ্ছে। ওগুলো একটা ঘর বানিয়ে ফেলবো এখনই।
অতঃপর...
অনেক কষ্ট করে আস্তানা বানালেন বেয়ার। মধ্যরাতে বেয়ার যখন গভীর ঘুমে, তখন আবার আক্রমন করলো জংগী সংঘটন 'উই আর ছাগল'। অনেক চেষ্টা করেও বাঁচতে পারলেন না দুঃসাহসী বেয়ার গ্রিল। জঙ্গীরা বেয়ারকে ধরে নিয়ে গেলো তাদের আস্তানায়। আস্তানায় নিয়ে ভিডিও গোপন বার্তা প্রকাশ করলো 'উই আর ছাগল'। বার্তায় তারা জানালো, ছাগলের হত্যাকারী বেয়ারকে তারা আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বেয়ারকে তারা উপযুক্ত শাস্থি দিবে।
জঙ্গীদের আস্তানায়-
আমি এখন আছি জংগীদের আস্তানায়। এরকম পরিস্থিতে এর আগে পড়িনি কখনো। কী করতে হবে বুঝতে পারছিনা।
কীভাবে উদ্ধার পেতে হয়, কী করতে হয় কিছুই মাথায় ধরছেনা। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
অতঃপর-
হঠাৎ জংগীদের আস্তানায় হামলা করলো আমেরিকার সৈন্যরা। হামলায় সব জংগী নিহত হলো। তবে মার্কিন সৈন্যরা একটা জংগীকে জীবিত ধরতে সক্ষম হলো। জংগীটির পকেটে অনেকগুলো লাল রঙের ককটেল পেলো মার্কিন সেনারা। জংগীটি অবশ্য দাবী করলো তার নাম বেয়ার গ্রিল। আর তার পকেটের ওগুলো হচ্ছে পাথর, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাথর।
মার্কিন সৈন্যরা অবশ্য তার কথায় পাত্তা দিলোনা। জংগীরা তো কতো কথাই বলে! তারা তাকে ধরে নিয়ে গেলো।
সর্বশেষ-
আমি বেয়ার গ্রিল। মার্কিন সেনারা অবশেষে বুঝেছে যে আমি জংগী নই। পাকিস্তানী ছাগলও নই। আপনাদের দোয়ায় তারা আমাকে মুক্তি দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। নাহলে যে কী হতো!
ডিস্কোভারিতে শো করা আমি বাদ দিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীতে পাকিস্তানের মতো এত জঘন্য দেশ আছে জানলে এই লাইনে আসতামই না আগে।
যাই হোক, শেষ পর্যন্ত বেঁচে আছি এতেই আমি খুশি। আগামী বছর একটা দোকান খুলবো। নাম দেবো - 'বেয়ার ভেরাইটিজ স্টোর'। দোয়া করবেন। আর আপনারা ভুলেও কেউ পাকিস্তান যাবেন না কখনো। দোহাই লাগে।
(স্থান সংকটের কারণে পুরোটা রস আলোতে ছাপা হয়নি)
হঠাৎ জংগীদের আস্তানায় হামলা করলো আমেরিকার সৈন্যরা। হামলায় সব জংগী নিহত হলো। তবে মার্কিন সৈন্যরা একটা জংগীকে জীবিত ধরতে সক্ষম হলো। জংগীটির পকেটে অনেকগুলো লাল রঙের ককটেল পেলো মার্কিন সেনারা। জংগীটি অবশ্য দাবী করলো তার নাম বেয়ার গ্রিল। আর তার পকেটের ওগুলো হচ্ছে পাথর, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পাথর।
মার্কিন সৈন্যরা অবশ্য তার কথায় পাত্তা দিলোনা। জংগীরা তো কতো কথাই বলে! তারা তাকে ধরে নিয়ে গেলো।
সর্বশেষ-
আমি বেয়ার গ্রিল। মার্কিন সেনারা অবশেষে বুঝেছে যে আমি জংগী নই। পাকিস্তানী ছাগলও নই। আপনাদের দোয়ায় তারা আমাকে মুক্তি দিয়েছে শেষ পর্যন্ত। নাহলে যে কী হতো!
ডিস্কোভারিতে শো করা আমি বাদ দিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীতে পাকিস্তানের মতো এত জঘন্য দেশ আছে জানলে এই লাইনে আসতামই না আগে।
যাই হোক, শেষ পর্যন্ত বেঁচে আছি এতেই আমি খুশি। আগামী বছর একটা দোকান খুলবো। নাম দেবো - 'বেয়ার ভেরাইটিজ স্টোর'। দোয়া করবেন। আর আপনারা ভুলেও কেউ পাকিস্তান যাবেন না কখনো। দোহাই লাগে।
(স্থান সংকটের কারণে পুরোটা রস আলোতে ছাপা হয়নি)
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।