পিসি খুলে হুটহাট গান প্ল্যা করে দিলেই হয়না। গান এত মামুলি ব্যাপার না।
এটা শোনার জন্য প্রস্তুতি লাগে, ঠিকঠাকমতো পরিবেশ তৈরি করা লাগে।
যেমন, রবীন্দ্রনাথের গান। ক্লাস কিংবা অফিস শেষ করে এসে ক্লান্তি নিয়ে যেনতেনভাবে স্পিকারে রবীন্দ্রনাথ ছেড়ে দিলেন তো গুরুদেবের অপমান করলেন। গুরুদেবের গান শুনতে হয় সকালবেলা। ১১টার সময় যে নাগরীক সকাল হয় সেটা না, এই সকাল হচ্ছে সকাল ৭ টা ৯ মিনিট।
ছুটির দিন ৬ টা ৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এককাপ কফি বানিয়ে নিন। তারপর জানালাটা খুলে দিন ঘরের। হালকা বিটে বাজিয়ে দিন 'আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে, এ কী লাবন্যে পূর্ণ, বধু কোন আলো...' গানগুলো।
তারপর পত্রিকাটা হাতে নিয়ে চলে যান ব্যালকনিতে। সাবধান! রবীন্দ্রসংগীত শোনার সময় পত্রিকার কোনো খুন কিংবা ধর্ষণের খবর পড়া যাবে না। তবে অন্য খবর পড়তে বাধা নেই।
বৃষ্টি দিনেও রবীন্দ্রনাথের গান শুনা আবশ্যক। তবে বৃষ্টির সন্ধ্যা হলো একদম পারফেক্ট সময়। এবারও জানালা বন্ধ রাখা যাবেনা। বৃষ্টির ফোঁটা ঘরে আসছে? আসতে দিন। পূণ্য হবে।
মেঘদল শোনারও নিয়মকানুন আছে।
দিনের বেলা মেঘদল না শোনাই ভালো। শুনতেই যদি হয় তাহলে বড়জোর চারচার চৌকো জানালা, আবার শহর, ক্রুশেড, চতুর্দিক এই চারটা শুনতে পারেন। আর বাকিগুলো শুনতে হবে রাত ১২ টা তিন মিনিটের পর থেকে। আপনার যদি ইনসমনিয়া থাকে তাহলে আপনি হলেন মেঘদলের একদম উপযুক্ত শ্রোতা। মেঘদল শোনার আগে ঘরের সব বাতি বন্ধ করে দিন। পারলে চোখও বন্ধ করে ফেলুন। মেঘদল শুনতে শুনতে চ্যাট করা যাবেনা, ফেইসবুকে লাইক কমেন্ট দেয়া যাবেনা, কারো সাথে ফোনে কথা বলা যাবেনা, এমনকি হাটাহাটিও করা যাবেনা। সবচেয়ে ভালো হয় মেঘদল শোনার সময় বালিশে হেলান দিয়ে জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে।
শ্রীকান্ত শুনতে হয় সন্ধ্যার সময়। সন্ধ্যার সময় শুরু করে সাড়ে আটটার আগে শ্রীকান্ত শেষ করে ফেললে ভালো। শ্রীকান্তের সময়ও জানালা খোলে দিন। জানালা দিয়ে বাতাস আসুক, আর আপনি শুনতে থাকুন, 'যেওনা দখিন দ্বারে', 'মেঘ হলে মন...'
রাত নয়টার পরে প্ল্যা লিস্টে রাখুন ভূমি কিংবা চঁন্দ্রবিন্দুর গান। তাদের গান শোনার সময় ঘরের বাতি অফ রাখা খুব একটা বাধ্যতামূলক না। বেশি জরুরী হলে চ্যাটও করতে পারেন এসময়। তবে বেশি গরমের দিন তাদের গান না শোনাই উত্তম। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে শুনুন, 'জানলা খোলা সন্ধ্যাবেলা এলোমেলো শীত...' কিংবা 'মন, হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম...'
বাকি থাকলো বিকাল আর দুপুর। এগুলো নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো।
আপাতত বিদায়।
সঠিন নিয়মে গান শুনুন। সুস্থ থাকুন।
যেমন, রবীন্দ্রনাথের গান। ক্লাস কিংবা অফিস শেষ করে এসে ক্লান্তি নিয়ে যেনতেনভাবে স্পিকারে রবীন্দ্রনাথ ছেড়ে দিলেন তো গুরুদেবের অপমান করলেন। গুরুদেবের গান শুনতে হয় সকালবেলা। ১১টার সময় যে নাগরীক সকাল হয় সেটা না, এই সকাল হচ্ছে সকাল ৭ টা ৯ মিনিট।
ছুটির দিন ৬ টা ৪৫ মিনিটে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এককাপ কফি বানিয়ে নিন। তারপর জানালাটা খুলে দিন ঘরের। হালকা বিটে বাজিয়ে দিন 'আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে, এ কী লাবন্যে পূর্ণ, বধু কোন আলো...' গানগুলো।
তারপর পত্রিকাটা হাতে নিয়ে চলে যান ব্যালকনিতে। সাবধান! রবীন্দ্রসংগীত শোনার সময় পত্রিকার কোনো খুন কিংবা ধর্ষণের খবর পড়া যাবে না। তবে অন্য খবর পড়তে বাধা নেই।
বৃষ্টি দিনেও রবীন্দ্রনাথের গান শুনা আবশ্যক। তবে বৃষ্টির সন্ধ্যা হলো একদম পারফেক্ট সময়। এবারও জানালা বন্ধ রাখা যাবেনা। বৃষ্টির ফোঁটা ঘরে আসছে? আসতে দিন। পূণ্য হবে।
মেঘদল শোনারও নিয়মকানুন আছে।
দিনের বেলা মেঘদল না শোনাই ভালো। শুনতেই যদি হয় তাহলে বড়জোর চারচার চৌকো জানালা, আবার শহর, ক্রুশেড, চতুর্দিক এই চারটা শুনতে পারেন। আর বাকিগুলো শুনতে হবে রাত ১২ টা তিন মিনিটের পর থেকে। আপনার যদি ইনসমনিয়া থাকে তাহলে আপনি হলেন মেঘদলের একদম উপযুক্ত শ্রোতা। মেঘদল শোনার আগে ঘরের সব বাতি বন্ধ করে দিন। পারলে চোখও বন্ধ করে ফেলুন। মেঘদল শুনতে শুনতে চ্যাট করা যাবেনা, ফেইসবুকে লাইক কমেন্ট দেয়া যাবেনা, কারো সাথে ফোনে কথা বলা যাবেনা, এমনকি হাটাহাটিও করা যাবেনা। সবচেয়ে ভালো হয় মেঘদল শোনার সময় বালিশে হেলান দিয়ে জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে।
শ্রীকান্ত শুনতে হয় সন্ধ্যার সময়। সন্ধ্যার সময় শুরু করে সাড়ে আটটার আগে শ্রীকান্ত শেষ করে ফেললে ভালো। শ্রীকান্তের সময়ও জানালা খোলে দিন। জানালা দিয়ে বাতাস আসুক, আর আপনি শুনতে থাকুন, 'যেওনা দখিন দ্বারে', 'মেঘ হলে মন...'
রাত নয়টার পরে প্ল্যা লিস্টে রাখুন ভূমি কিংবা চঁন্দ্রবিন্দুর গান। তাদের গান শোনার সময় ঘরের বাতি অফ রাখা খুব একটা বাধ্যতামূলক না। বেশি জরুরী হলে চ্যাটও করতে পারেন এসময়। তবে বেশি গরমের দিন তাদের গান না শোনাই উত্তম। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে শুনুন, 'জানলা খোলা সন্ধ্যাবেলা এলোমেলো শীত...' কিংবা 'মন, হাওয়ায় পেয়েছি তোর নাম...'
বাকি থাকলো বিকাল আর দুপুর। এগুলো নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো।
আপাতত বিদায়।
সঠিন নিয়মে গান শুনুন। সুস্থ থাকুন।
চেক
উত্তরমুছুন