সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে রিয়ালিটি শো হবে। বহুজাতিক কোনো প্রতিষ্ঠান স্পনসর করবে সেই শো। সারা দেশ থেকে অংশ নেবে অসংখ্য প্রতিযোগী। প্রতিযোগীদের স্ট্যাটাস, লাইক, কমেন্ট ইত্যাদি দেখে মন্তব্য করবেন বিচারকের আসনে বসা বাংলাদেশের ফেসবুক স্টাররা। কেমন হবে সে মন্তব্যগুলো? ভেবেছেন আলিম আল রাজি এঁকেছেন জুনায়েদ
বিষয়: ফেসবুক স্ট্যাটাস
বিচারকের মন্তব্য: হ্যাঁ, ঠিক আছে। তোমার স্ট্যাটাসের শুরুটা ঠিক ছিল, তবে তৃতীয় লাইনে এসে একটু ছন্দপতন হয়েছে। আর মাঝখানে কিছু জায়গায় তুমি একটু সরে গেছ মূল বক্তব্য থেকে।
আরেকটা ব্যাপার, স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় ডান হাতটা কি-বোর্ডের আরেকটু কাছে রাখতে হয়। বাঁ হাত দিয়ে থুতনিটা মাঝে মাঝে চুলকাতে হয়। আর পা দুটো একটু দোলাতে হয়। ঠিক আছে? ব্যাপার না, প্রতিদিন রেওয়াজ করলে ঠিক হয়ে যাবে এসব ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি।
বিষয়: কমেন্ট
বিচারকের মন্তব্য: তোমার প্রোফাইলে সাধারণত মৌলিক এবং ক্ল্যাসিক ধাঁচের কমেন্ট মানায়। ‘মাইরালা আমারে মাইরালা’ ঠিক মানায় না। তবে যা কমেন্ট করেছ, ঠিক আছে। বেশ সুন্দর হয়েছে। আর ক্ল্যাসিক ধাঁচের কমেন্টের ব্যাপারটা মাথায় রেখো। আমাদের ফেসবুকের জগতে তোমার মতো ক্ল্যাসিক প্রতিভা অনেক দরকার আজকাল। কমেন্টের তালিম নাও, চর্চাটা চালিয়ে যাও, নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গলা গড়গড়া করো, অনেক অনেক লাইক পাবে। শুভকামনা।
বিষয়: প্রোফাইল পিকচার
বিচারকের মন্তব্য:
সুইটি, তুই প্রোফাইলে দিয়েছিস বিলাই
ইচ্ছে করে তোকে আদর করে কিলাই
তুই ছবিতে পাবি অনেক অনেক লাইক
এই কথা বলছি হাতে নিয়ে মাইক।
বিষয়: লাইক
বিচারকের মন্তব্য: আজকে তোমার পারফরম্যান্স খুব দুর্বল মনে হলো। আমি তোমার কাছ থেকে অনেক ভালো লাইক আশা করেছিলাম। দেখো, লাইক দেওয়াটা কিন্তু একধরনের আর্ট। এটা যেনতেনভাবে দিলেই হবে না। অনেক যত্নের সঙ্গে দিতে হবে। লাইক দেওয়ার পর নিশ্চিত হতে হবে যে ঠিকমতো দেওয়া হয়েছে কি না। তার পরই কাজ শেষ না। তোমাকে কমেন্টেও লাইকের ব্যাপারটা প্রকাশ করতে হবে। এ জন্য তোমাকে লিখতে হবে, ‘ভাইয়া, সুপ্পার লাইক।’ মনে রাখবে ‘সুপার’ না, ‘সুপ্পার’। একদম গলার মাঝখান থেকে আসবে। ব্যাপারটাকে আরও সুন্দর করতে আরও যোগ করতে পারো, ‘ভাইয়া, শেয়ার দিলাম।’ বুঝতে পেরেছ তো?
বিষয়: চ্যাটিং
বিচারকের মন্তব্য: দুর্দান্ত। আমি তোমাকে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানাচ্ছি। তুমি এত চমৎকারভাবে চ্যাটিং করলে! আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম কেবল। এভাবে চ্যাট করলে যেকোনো মেয়ে পটে যেতে বাধ্য। আমি খেয়াল করছিলাম, তুমি যখন ‘হাই’ বলছিলে তখন চোখে-মুখে একটা দীপ্তি খেলা করছিল! আবার যখন কবিতা কপি পেস্ট করছিলে স্মার্টলি, তখন মনেই হয়নি এটা আরেকজনের লেখা। প্রতিবার Omg, Lolz ইত্যাদি বলার সময় তুমি যেভাবে মুভ করছিলে সেটা অসাধারণ। আর ইমোটিকন দেওয়ার সময় তোমার মুখও ইমোটিকনের মতো হয়ে যাচ্ছিল। যিনি তোমাকে চ্যাটিং শিখিয়েছেন, তাঁকেও আমার স্যালুট।
রস আলো - ২৪/০৩/২০১২
বিষয়: ফেসবুক স্ট্যাটাস
বিচারকের মন্তব্য: হ্যাঁ, ঠিক আছে। তোমার স্ট্যাটাসের শুরুটা ঠিক ছিল, তবে তৃতীয় লাইনে এসে একটু ছন্দপতন হয়েছে। আর মাঝখানে কিছু জায়গায় তুমি একটু সরে গেছ মূল বক্তব্য থেকে।
আরেকটা ব্যাপার, স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় ডান হাতটা কি-বোর্ডের আরেকটু কাছে রাখতে হয়। বাঁ হাত দিয়ে থুতনিটা মাঝে মাঝে চুলকাতে হয়। আর পা দুটো একটু দোলাতে হয়। ঠিক আছে? ব্যাপার না, প্রতিদিন রেওয়াজ করলে ঠিক হয়ে যাবে এসব ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি।
বিষয়: কমেন্ট
বিচারকের মন্তব্য: তোমার প্রোফাইলে সাধারণত মৌলিক এবং ক্ল্যাসিক ধাঁচের কমেন্ট মানায়। ‘মাইরালা আমারে মাইরালা’ ঠিক মানায় না। তবে যা কমেন্ট করেছ, ঠিক আছে। বেশ সুন্দর হয়েছে। আর ক্ল্যাসিক ধাঁচের কমেন্টের ব্যাপারটা মাথায় রেখো। আমাদের ফেসবুকের জগতে তোমার মতো ক্ল্যাসিক প্রতিভা অনেক দরকার আজকাল। কমেন্টের তালিম নাও, চর্চাটা চালিয়ে যাও, নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গলা গড়গড়া করো, অনেক অনেক লাইক পাবে। শুভকামনা।
বিষয়: প্রোফাইল পিকচার
বিচারকের মন্তব্য:
সুইটি, তুই প্রোফাইলে দিয়েছিস বিলাই
ইচ্ছে করে তোকে আদর করে কিলাই
তুই ছবিতে পাবি অনেক অনেক লাইক
এই কথা বলছি হাতে নিয়ে মাইক।
বিষয়: লাইক
বিচারকের মন্তব্য: আজকে তোমার পারফরম্যান্স খুব দুর্বল মনে হলো। আমি তোমার কাছ থেকে অনেক ভালো লাইক আশা করেছিলাম। দেখো, লাইক দেওয়াটা কিন্তু একধরনের আর্ট। এটা যেনতেনভাবে দিলেই হবে না। অনেক যত্নের সঙ্গে দিতে হবে। লাইক দেওয়ার পর নিশ্চিত হতে হবে যে ঠিকমতো দেওয়া হয়েছে কি না। তার পরই কাজ শেষ না। তোমাকে কমেন্টেও লাইকের ব্যাপারটা প্রকাশ করতে হবে। এ জন্য তোমাকে লিখতে হবে, ‘ভাইয়া, সুপ্পার লাইক।’ মনে রাখবে ‘সুপার’ না, ‘সুপ্পার’। একদম গলার মাঝখান থেকে আসবে। ব্যাপারটাকে আরও সুন্দর করতে আরও যোগ করতে পারো, ‘ভাইয়া, শেয়ার দিলাম।’ বুঝতে পেরেছ তো?
বিষয়: চ্যাটিং
বিচারকের মন্তব্য: দুর্দান্ত। আমি তোমাকে দাঁড়িয়ে স্যালুট জানাচ্ছি। তুমি এত চমৎকারভাবে চ্যাটিং করলে! আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম কেবল। এভাবে চ্যাট করলে যেকোনো মেয়ে পটে যেতে বাধ্য। আমি খেয়াল করছিলাম, তুমি যখন ‘হাই’ বলছিলে তখন চোখে-মুখে একটা দীপ্তি খেলা করছিল! আবার যখন কবিতা কপি পেস্ট করছিলে স্মার্টলি, তখন মনেই হয়নি এটা আরেকজনের লেখা। প্রতিবার Omg, Lolz ইত্যাদি বলার সময় তুমি যেভাবে মুভ করছিলে সেটা অসাধারণ। আর ইমোটিকন দেওয়ার সময় তোমার মুখও ইমোটিকনের মতো হয়ে যাচ্ছিল। যিনি তোমাকে চ্যাটিং শিখিয়েছেন, তাঁকেও আমার স্যালুট।
রস আলো - ২৪/০৩/২০১২
valo laglo..
উত্তরমুছুন