'ভাইয়া, রস+আলো-তে লিখেন না কেন?'
প্রশ্নটা প্রায়ই শুনি। এই প্রশ্নের জন্য কিছু উত্তর রেডি করা আছে। সেগুলো নিম্নরুপ -
উত্তর নং ১ - না রে ভাই সময় টময় পাই না।
উত্তর নং ২ - ভাই, পিসিতে নেট ফেট নাই।
উত্তর নং ৩ - পইড়া দুনিয়া উল্টাইয়া ফেলতেছি।
উত্তর নং ৪ - উফফফ... এতো বিজি থাকি!
উত্তর নং ৫ - আলসেমি লাগে ভাই।
এগুলো সব ফালতু উত্তর। একটাও সত্য না।
তাহলে সত্য উত্তরটা কি? জ্বি হা... আজকে আমি সত্য প্রকাশ করবো। নবীজি বলেছেন সত্য যতো কঠিনই হোক প্রকাশ করো।
আমার প্রথম প্রেমিকা আমাকে হুট করে ছ্যাকা দিয়ে আরেকজনের সাথে চলে গেল।
সে এক করুণ ইতিহাস। আমার তখন দিন কাটে না, রাত কাটে না অবস্থা। দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে হয়ে গেলাম পুরা দেবদাস।
ছ্যাকা খেলে মানুষ বিড়ি, সিগারেট, বাংলা, হুইস্কি ইত্যাদি দিয়ে নেশা করে। ওসব আমার দ্বারা হবে না, তাই চুইংগাম খেয়ে নেশা করা শুরু করলাম।
সারাদিন চুইংগাম চাবাই আর কঠিন সব কবিতা লেখি। বলে রাখি, আমি যে কবিতা একেবারে খারাপ লিখিনা তখনই সেটা টের পেলাম।
যাই হোক, এভাবেই কাটছিলো দিন। একদিন হঠাৎ মাথায় আসলো এইসব কবিটা টবিতা দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমার কবিতা ছাপবে - সাহিত্য সম্পাদকদের এতো সময় কোথায়?
সিদ্ধান্ত নিলাম সাহিত্য পাতায় না, আমি ফান ম্যাগাজিনে লিখবো। রস আলো-তে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। যে মেয়ে আমাকে ছ্যাকা দিয়েছে সে রস আলো-র কঠিন ভক্ত। মেয়ের সাথে আমার পরিচয়ও হয়েছিলো রস আলো-র ফেসবুক পেইজ থেকে। আমি জানতাম মেয়ের বাসায় প্রথম আলো রাখা হয়, এবং সে নিয়মিত রস আলো পড়ে।
আমার তখন বয়স কম। আবেগের ঘাটতি নেই। ভেতরে ক্রোদেরও অভাব নেই। আল্লাহর নাম নিয়ে রস আলোতে লেখা পাঠানো শুরু করলাম। মনে তখন চিন্তা - মেয়ে তুমি যাবা কই? আমি তোমার বেডরুমে ঠিকই ঢুকে যাবো। রস+আলো'র উপর ভর করে তোমার বিছানায় ঘুর ঘুর করবো। বালিশের নিচে ঢুকে বসে থাকবো।
পাগলামীর চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে আমি রস আলো-তে খুব ইঙ্গিতপূর্ণ একটা লেখা লিখলাম। লেখাটা ছিলো মূলত পুরোটাই মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লেখা। আরো স্পষ্ঠ করে বললে মেয়ে কীভাবে পল্টি মেরেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা ছিলো সে লেখাটায়। লেখাটা পড়তে পারবেন - এখানে।
এই লেখাটার পরে যা ঘটলো সেটা রীতিমতো অভাবনীয়। মেয়ে অনেকদিন পর আমাকে একটা মেসেজ পাঠালো। মেসেজের ভাষায় এটা স্পষ্ট যে - এইসব লেখার যন্ত্রনায় মেয়ে অস্থির। জ্বলে পুড়ে ছারখার।
আমি সেদিন মেসেজটা পড়ে খুব হাসলাম। সবচেয়ে বড় কথা আমার মাথা থেকে এসব ভুতও আস্তে আস্তে নেমে নেমে যেতে শুরু করলো।
তারপর অনেক চন্দ্রভূক অমবস্যা কেটে গেছে... সেই বোষ্ঠুমীর কথা এখন আর মনে পড়ে না। রস আলো-তে লেখার সেই টানটাও অনুভব করিনা আর।
প্রশ্নটা প্রায়ই শুনি। এই প্রশ্নের জন্য কিছু উত্তর রেডি করা আছে। সেগুলো নিম্নরুপ -
উত্তর নং ১ - না রে ভাই সময় টময় পাই না।
উত্তর নং ২ - ভাই, পিসিতে নেট ফেট নাই।
উত্তর নং ৩ - পইড়া দুনিয়া উল্টাইয়া ফেলতেছি।
উত্তর নং ৪ - উফফফ... এতো বিজি থাকি!
উত্তর নং ৫ - আলসেমি লাগে ভাই।
এগুলো সব ফালতু উত্তর। একটাও সত্য না।
তাহলে সত্য উত্তরটা কি? জ্বি হা... আজকে আমি সত্য প্রকাশ করবো। নবীজি বলেছেন সত্য যতো কঠিনই হোক প্রকাশ করো।
আমার প্রথম প্রেমিকা আমাকে হুট করে ছ্যাকা দিয়ে আরেকজনের সাথে চলে গেল।
সে এক করুণ ইতিহাস। আমার তখন দিন কাটে না, রাত কাটে না অবস্থা। দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে হয়ে গেলাম পুরা দেবদাস।
ছ্যাকা খেলে মানুষ বিড়ি, সিগারেট, বাংলা, হুইস্কি ইত্যাদি দিয়ে নেশা করে। ওসব আমার দ্বারা হবে না, তাই চুইংগাম খেয়ে নেশা করা শুরু করলাম।
সারাদিন চুইংগাম চাবাই আর কঠিন সব কবিতা লেখি। বলে রাখি, আমি যে কবিতা একেবারে খারাপ লিখিনা তখনই সেটা টের পেলাম।
যাই হোক, এভাবেই কাটছিলো দিন। একদিন হঠাৎ মাথায় আসলো এইসব কবিটা টবিতা দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আমার কবিতা ছাপবে - সাহিত্য সম্পাদকদের এতো সময় কোথায়?
সিদ্ধান্ত নিলাম সাহিত্য পাতায় না, আমি ফান ম্যাগাজিনে লিখবো। রস আলো-তে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। যে মেয়ে আমাকে ছ্যাকা দিয়েছে সে রস আলো-র কঠিন ভক্ত। মেয়ের সাথে আমার পরিচয়ও হয়েছিলো রস আলো-র ফেসবুক পেইজ থেকে। আমি জানতাম মেয়ের বাসায় প্রথম আলো রাখা হয়, এবং সে নিয়মিত রস আলো পড়ে।
আমার তখন বয়স কম। আবেগের ঘাটতি নেই। ভেতরে ক্রোদেরও অভাব নেই। আল্লাহর নাম নিয়ে রস আলোতে লেখা পাঠানো শুরু করলাম। মনে তখন চিন্তা - মেয়ে তুমি যাবা কই? আমি তোমার বেডরুমে ঠিকই ঢুকে যাবো। রস+আলো'র উপর ভর করে তোমার বিছানায় ঘুর ঘুর করবো। বালিশের নিচে ঢুকে বসে থাকবো।
পাগলামীর চুড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে আমি রস আলো-তে খুব ইঙ্গিতপূর্ণ একটা লেখা লিখলাম। লেখাটা ছিলো মূলত পুরোটাই মেয়েকে উদ্দেশ্য করে লেখা। আরো স্পষ্ঠ করে বললে মেয়ে কীভাবে পল্টি মেরেছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা ছিলো সে লেখাটায়। লেখাটা পড়তে পারবেন - এখানে।
এই লেখাটার পরে যা ঘটলো সেটা রীতিমতো অভাবনীয়। মেয়ে অনেকদিন পর আমাকে একটা মেসেজ পাঠালো। মেসেজের ভাষায় এটা স্পষ্ট যে - এইসব লেখার যন্ত্রনায় মেয়ে অস্থির। জ্বলে পুড়ে ছারখার।
আমি সেদিন মেসেজটা পড়ে খুব হাসলাম। সবচেয়ে বড় কথা আমার মাথা থেকে এসব ভুতও আস্তে আস্তে নেমে নেমে যেতে শুরু করলো।
তারপর অনেক চন্দ্রভূক অমবস্যা কেটে গেছে... সেই বোষ্ঠুমীর কথা এখন আর মনে পড়ে না। রস আলো-তে লেখার সেই টানটাও অনুভব করিনা আর।
:D. . ekti shantipurno eve-teasing
উত্তরমুছুনশান্তিপূর্ণ ইভ টিজিং - হা হা! কথাটা পছন্দ হইছে। কিন্তু 'নামহীন' কেনো আপনি?
মুছুননতুন কেউ কি আর প্রেমের অনুভূতি দেয় নি ?
উত্তরমুছুন:) (রিপ্লাইতে জাস্ট স্মাইল)
মুছুনbοokmarked!!, I love yοuг web site!
উত্তরমুছুনFeel free to visit my websitе - china international travel service cits
থ্যাংক্স :)
মুছুন