কতোক্ষণ হবে সব মিলিয়ে? আধ ঘন্টা? কিংবা তাঁর চেয়ে একটু বেশি? কী জানি! ঘড়ি দেখিনি একদমই। দেখলেও সময়ের দিকে খেয়াল ছিলো না। তবে এটুকু নিশ্চিত - সময়টা বেশি ছিলো না খুব। অথচ ছোট্ট এই সময়টা কতো কিছুর সাক্ষী হয়ে গেলো এক নিমিষে! কিছু ভয়, কিছু দ্বিধা, কিছু জড়তা, কিছু কল্পনা, একটু চোখাচোখি, একটু মুখোমুখি, একটু খুনসুটি, আর অনেকটুকু ভালো লাগা...।
খুব আনাড়ি দুই মানব মানবী। খুব আনাড়ি তাঁদের হাটার ভঙ্গি। পাশাপাশি একসাথে হাঁটার চেষ্টা তাদের। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ছন্দপতন... একজনের পিছিয়ে পড়া। তারপর... অন্যজনের অপেক্ষা।
সবাই খুব সরু চোখ নিয়ে তাকিয়েছিলো মানব-মানবীর দিকে। অন্যদিন হলে হয়তো দুরত্ব একটু বাড়তো তাঁদের। কিন্তু সেই সন্ধ্যায় আর বাড়েনি। কী জানি! কিছু সময় মনে হয় দূরত্ব বাড়তেই দেয়না একটুও। অদ্ভুত ক্ষমতায় কাছে টেনে রাখে সব।
মানব-মানবীর বিদায়ের মুহূর্তটা কেউ দেখেনি। সবার খুব অগোচরে কেটে গেছে ছোট্ট সেই মুহূর্তটা। দু-একটা শব্দ ছাড়া আর কোনো কথা বলেনি তাঁরা। কেবল কয়েকটা সেকেন্ডের জন্য চোখাচোখি হয়েছিলো তাঁদের। অন্ধকারে তাঁরা কেউই হয়তো ভালোভাবে দেখেনি কারো চোখ। তবুও চোখের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোরই।
কেউ দেখেনি... চলে আসার সময় কেউ একজন খুব বিষণ্ণ চোখে তাকিয়েছিলো মানবীটির দিকে। মানবী আস্তে আস্তে আড়াল হয়ে যাচ্ছিলো। তাঁর বিষণ্ণ চুল হাওয়ায় উড়ছিলো খুব ধীরে ধীরে।
অনেক সন্ধ্যা নেমেছে ছোট্ট এই শহরটাতে... আরো অনেক সন্ধ্যা নামবে। আরো অনেক বিষণ্ণ গোধূলী শহরের এই পথটাতে অন্ধকারে ঢেকে যাবে। কিন্তু এরকম সন্ধ্যা কি আরেকটা হবে? উহু। আর হবে না। অসহ্য সুন্দরের পুনরাবৃত্তি হয়না কখনো। দরকারও নেই। এরকম মাত্র একটি অপার্থিব সন্ধ্যার স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দেয়া যাবে সহস্র বছর আয়ূর একটি যুগল জীবন।
* ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
খুব আনাড়ি দুই মানব মানবী। খুব আনাড়ি তাঁদের হাটার ভঙ্গি। পাশাপাশি একসাথে হাঁটার চেষ্টা তাদের। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ছন্দপতন... একজনের পিছিয়ে পড়া। তারপর... অন্যজনের অপেক্ষা।
সবাই খুব সরু চোখ নিয়ে তাকিয়েছিলো মানব-মানবীর দিকে। অন্যদিন হলে হয়তো দুরত্ব একটু বাড়তো তাঁদের। কিন্তু সেই সন্ধ্যায় আর বাড়েনি। কী জানি! কিছু সময় মনে হয় দূরত্ব বাড়তেই দেয়না একটুও। অদ্ভুত ক্ষমতায় কাছে টেনে রাখে সব।
মানব-মানবীর বিদায়ের মুহূর্তটা কেউ দেখেনি। সবার খুব অগোচরে কেটে গেছে ছোট্ট সেই মুহূর্তটা। দু-একটা শব্দ ছাড়া আর কোনো কথা বলেনি তাঁরা। কেবল কয়েকটা সেকেন্ডের জন্য চোখাচোখি হয়েছিলো তাঁদের। অন্ধকারে তাঁরা কেউই হয়তো ভালোভাবে দেখেনি কারো চোখ। তবুও চোখের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারোরই।
কেউ দেখেনি... চলে আসার সময় কেউ একজন খুব বিষণ্ণ চোখে তাকিয়েছিলো মানবীটির দিকে। মানবী আস্তে আস্তে আড়াল হয়ে যাচ্ছিলো। তাঁর বিষণ্ণ চুল হাওয়ায় উড়ছিলো খুব ধীরে ধীরে।
অনেক সন্ধ্যা নেমেছে ছোট্ট এই শহরটাতে... আরো অনেক সন্ধ্যা নামবে। আরো অনেক বিষণ্ণ গোধূলী শহরের এই পথটাতে অন্ধকারে ঢেকে যাবে। কিন্তু এরকম সন্ধ্যা কি আরেকটা হবে? উহু। আর হবে না। অসহ্য সুন্দরের পুনরাবৃত্তি হয়না কখনো। দরকারও নেই। এরকম মাত্র একটি অপার্থিব সন্ধ্যার স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দেয়া যাবে সহস্র বছর আয়ূর একটি যুগল জীবন।
* ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।