আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করার জন্য দরকার নতুন কিছু প্রযুক্তি। সেগুলো আবিষ্কার করার জন্য বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিয়ে নিচের লেখাটি লিখেছেন আলিম আল রাজি
গোসল যন্ত্র
শীতকালে সকালে উঠে গোসল করা যে কী পরিমাণ কষ্ট সেটা সবাই জানেন। ঠাণ্ডার ভয়ে লোকজন গোসল করাই বাদ দিয়ে দেয় তখন। শরীরে দেখা দেয় রোগ জীবাণু। মানুষ হয়ে পড়ে অসুস্থ। গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও তেমন কোন লাভ হয় না। কিছুক্ষণ পর ঠিকই ঠাণ্ডা লেগে যায়। এ অবস্থা নিরসনের জন্য চাই একটি গোসল যন্ত্র।
যেটার মধ্যে ঢুকে সুইচে টিপ দিলে অটোমেটিক্যালি গোসল করা হয়ে যাবে। গায়ে পানি টানি কিছুই লাগবে না।
মোজা যন্ত্র
কোমর বাঁকা করে, মাথা নুইয়ে, ঠ্যাং উঁচা করে, হাত দিয়ে কসরত করে, পায়ে মোজা পরা যে কত কষ্টের কাজ সেটা ভুক্তভোগি মাত্রই জানেন। যারা আবার একটু মোটা তাদের জন্য কাজটা আরও কষ্টের।
সকালে উঠে মানুষ অফিসে যাবে, স্কুলে যাবে। সে জন্য প্রতিদিন দরকার মোজা পরা। কিন্তু এ কাজটা করতেই ঘাম ছুটে গেলে তো সমস্যা। তাই সময়ের প্রয়োজনেই এখন দরকার একটা মোজা যন্ত্র। যেটার মধ্যে ঠ্যাং ঢুকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোজা পরিয়ে দেবে
রিমোট ফাইন্ডার
টিভির রিমোট যে কত চিপায় লুকাতে পারে! এই দেখা যায় রিমোট সামনে, কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় সেটা বালিশের চিপায় কিংবা লেপের ভেতরে ঢুকে বসে আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর ব্যাপার। তাই আধুনিক বিজ্ঞানকে রিমোটের সঙ্গে লেপের ভেতরে ঢুকতে হবে। রিমোটে চালু করতে হবে মিসকল সিস্টেম। যখনই রিমোট হারিয়ে যাবে তখনই যাতে মিসকল দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় এমন ব্যাবস্থা করতে হবে।
মাছের কাঁটা যন্ত্র
মাছের কাঁটা যার গলায় লেগেছে সেই জানে এটা কত কষ্টের ব্যাপার। সারা দিন সময়ে-অসময়ে এটা গলায় খোঁচাতে থাকে। ঠিক মতো কথা বলা যায় না, ঢোক গেলা যায় না। খুবই বিব্রতকর অবস্থা। আধুনিক বিজ্ঞান চলে গেছে মহাকাশে। আধুনিক বিজ্ঞান চলে গেছে পাতালে। কিন্তু মাছের কাঁটার কী হবে? মাছের কাঁটার ভেতরেও বিজ্ঞানকে ঢুকতে হবে। তাই দরকার একটা মাছের কাঁটা যন্ত্র। যেটার সামনে মাছ রাখলে চুম্বকের মতো সব কাঁটা টেনে নিবে।
ঘর গোছানো যন্ত্র
তরুণ সমাজের কাজই হচ্ছে ঘর এলোমেলো করে রাখা। পড়ার টেবিলে বালিশ তুলে দিয়ে আর বিছানায় বই ফেলে রেখে তারা খুব আনন্দ পায়। কিন্তু সমস্যা হল এ জন্য তাদের মা-বাবার কাছ থেকে নিয়মিত ঝাড়ি শুনতে হয়। ঝাড়ি খেয়ে তাদের মন খারাপ হয়। মন খারাপ হওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই অতি দ্রুত। দরকার একটা ঘর গোছক যন্ত্র। যেটা সুইচ টেপা মাত্র ঘর গুছিয়ে দেবে।
বিচ্ছু, (যুগান্তর), ১১/০৩/২০১২
গোসল যন্ত্র
শীতকালে সকালে উঠে গোসল করা যে কী পরিমাণ কষ্ট সেটা সবাই জানেন। ঠাণ্ডার ভয়ে লোকজন গোসল করাই বাদ দিয়ে দেয় তখন। শরীরে দেখা দেয় রোগ জীবাণু। মানুষ হয়ে পড়ে অসুস্থ। গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও তেমন কোন লাভ হয় না। কিছুক্ষণ পর ঠিকই ঠাণ্ডা লেগে যায়। এ অবস্থা নিরসনের জন্য চাই একটি গোসল যন্ত্র।
যেটার মধ্যে ঢুকে সুইচে টিপ দিলে অটোমেটিক্যালি গোসল করা হয়ে যাবে। গায়ে পানি টানি কিছুই লাগবে না।
মোজা যন্ত্র
কোমর বাঁকা করে, মাথা নুইয়ে, ঠ্যাং উঁচা করে, হাত দিয়ে কসরত করে, পায়ে মোজা পরা যে কত কষ্টের কাজ সেটা ভুক্তভোগি মাত্রই জানেন। যারা আবার একটু মোটা তাদের জন্য কাজটা আরও কষ্টের।
সকালে উঠে মানুষ অফিসে যাবে, স্কুলে যাবে। সে জন্য প্রতিদিন দরকার মোজা পরা। কিন্তু এ কাজটা করতেই ঘাম ছুটে গেলে তো সমস্যা। তাই সময়ের প্রয়োজনেই এখন দরকার একটা মোজা যন্ত্র। যেটার মধ্যে ঠ্যাং ঢুকালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোজা পরিয়ে দেবে
রিমোট ফাইন্ডার
টিভির রিমোট যে কত চিপায় লুকাতে পারে! এই দেখা যায় রিমোট সামনে, কিছুক্ষণ পরে দেখা যায় সেটা বালিশের চিপায় কিংবা লেপের ভেতরে ঢুকে বসে আছে। অত্যন্ত বিরক্তিকর ব্যাপার। তাই আধুনিক বিজ্ঞানকে রিমোটের সঙ্গে লেপের ভেতরে ঢুকতে হবে। রিমোটে চালু করতে হবে মিসকল সিস্টেম। যখনই রিমোট হারিয়ে যাবে তখনই যাতে মিসকল দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় এমন ব্যাবস্থা করতে হবে।
মাছের কাঁটা যন্ত্র
মাছের কাঁটা যার গলায় লেগেছে সেই জানে এটা কত কষ্টের ব্যাপার। সারা দিন সময়ে-অসময়ে এটা গলায় খোঁচাতে থাকে। ঠিক মতো কথা বলা যায় না, ঢোক গেলা যায় না। খুবই বিব্রতকর অবস্থা। আধুনিক বিজ্ঞান চলে গেছে মহাকাশে। আধুনিক বিজ্ঞান চলে গেছে পাতালে। কিন্তু মাছের কাঁটার কী হবে? মাছের কাঁটার ভেতরেও বিজ্ঞানকে ঢুকতে হবে। তাই দরকার একটা মাছের কাঁটা যন্ত্র। যেটার সামনে মাছ রাখলে চুম্বকের মতো সব কাঁটা টেনে নিবে।
ঘর গোছানো যন্ত্র
তরুণ সমাজের কাজই হচ্ছে ঘর এলোমেলো করে রাখা। পড়ার টেবিলে বালিশ তুলে দিয়ে আর বিছানায় বই ফেলে রেখে তারা খুব আনন্দ পায়। কিন্তু সমস্যা হল এ জন্য তাদের মা-বাবার কাছ থেকে নিয়মিত ঝাড়ি শুনতে হয়। ঝাড়ি খেয়ে তাদের মন খারাপ হয়। মন খারাপ হওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই অতি দ্রুত। দরকার একটা ঘর গোছক যন্ত্র। যেটা সুইচ টেপা মাত্র ঘর গুছিয়ে দেবে।
বিচ্ছু, (যুগান্তর), ১১/০৩/২০১২