একটা ব্যাপারে নিজের "দক্ষতা" দেখে নিজেই অবাক হই মাঝে মাঝে। আমি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে মিথ্যা বলতে পারি।
একটা উদাহারণ দেই। পড়েছি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। আর্মি প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অত্যান্ত কড়াকড়ি। সেখানে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলেজ থেকে ছুটি নেয়াটা মোটামোটি এভারেস্ট জয়ের মতোই কঠিন একটা কাজ। আমি সেই এভারেস্ট কয়েকবার জয় করেছিলাম। খুব সুন্দর করে আনকমন কিছু মিথ্যা বলে ছুটি আদায় করেছিলাম। একটা মিথ্যা হলো "স্যার, গলায় কাটা আটকে গেছে"। আবেদনপত্রে খুব সুন্দর বাংলায় লিখতাম "অদ্য সকালে কলেজে আসার জন্য যখন ব্রেকফাস্ট করছিলাম তখন আমার গলায় একটা কাটা লেগে যায়। এটা নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি। বিপুল পরিমান ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও আমি এখন পাঠে মনোনিবেশ করতে পারছি না। অতোএব মহোদয় সমীপে প্রার্থনা এই যে আমাকে ছুটি দিয়ে বাধিত করুন।"
এই অ্যাপ্লিকেশন দেখে স্যার প্রথমে একটু মুচকী হাসতেন। তারপর আমাকে হা করিয়ে কাটা খোজাখুজি করতেন। আমি বলতাম "স্যার কাটা অনেক গভীরে লেগেছে। দেখা যায় না।"
যাই হোক, স্যার শেষ পর্যন্ত মানবিক কারনে আমাকে ছুটি দিতে বাধ্য হতেন।
স্বীকার করছি, স্বীকার করবো... খুব সুন্দর করে সত্যের কাছাকাছি করে মিথ্যা বলার ক্ষমতাটা এখনও আছে।
কিন্তু যখন থেকে লেখালেখি শুরু করলাম তখনই আবিষ্কার করলাম আমি প্রচুর মিথ্যা বললেও মিথ্যা লিখতে পারি না। নিজে যা দেখি, যা বিশ্বাস করি সেটাই সরাসরি লেখায় চলে আসে। আর আমার হজমশক্তি কিছুটা কম। কিছু দেখলে হজম করতে পারি না।
আমার ব্লগের(মানে এই ব্লগস্পটের) পোস্ট সংখ্যা প্রায় ২৩০ টা। প্রায় সবকটা পোস্টই এসব বদ হজমের কারনে লেখা। কাউকে ত্যাল দিয়ে কিংবা কেবল সমালোচনার জন্যই সমালোচনা করে কখনো কিছু লিখিনি।
দেখেছি... যতোটুকু পারা যায় নিজের মতো বিশ্লেষন করেছি। তার মানে এই না যে সব সময় বিশ্লেষন ঠিক ছিলো। তবে নিজে যা অনুভব করেছি তাই লিখেছি। বুকে হাত দিয়ে এ কথাটি বলতে পারবো সব সময়।
আজকে একজনের, একটা দলের কোন কাজ হয়তো ভালো লেগেছে, আমি প্রশংসা করেছি। কালকে আবার তাদের কোন কাজ ভালো না লাগলে তীক্ষ্ণ ভাষায় সমালোচনা করতে আমার একটুও বাধবে না।
এতোদিন আমার ধারনা ছিলো আমার এইসব খুচাখুচি আর স্যাটায়ার লেখার চেষ্টায় কারো তেমন কিছুই আসে যায় না।
ভুল আস্তে আস্তে ভাংতে শুরু করলো। (এই অংশটা লেখার সময় শার্টের কলার উচিয়ে নিলাম একটু।)
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস, কমেন্ট নিয়ে অনেক হিডেন ফেসবুক গ্রুপে ধুন্দুমার আলোচনা হয়। আলিম আল রাজি কেনো এই স্ট্যাটাস দিলো? তার মোটিভ কী? কী তার গোপন উদ্দেশ্য!
ফান করে দেয়া একটা স্ট্যাটাস নিয়েও গরম হয়ে উঠে দেশের অন্যতম বড় বাংলা ব্লগের হিডেন গ্রুপ। (আবার কলার উচিয়ে নিলাম। মুই কী হনুরে!)
সেখানে গালাগালিও চলে সমান তালে। (হেলাল হাফিজের একটা কবিতা মনে পড়লো- "আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানী গাইল দিতে জানি")
ব্যাপার হলো গিয়ে... আলিম আল রাজি কারো একান্ত অনুগত বাধ্যগত শিষ্য না। খেতাবখেকো, হাততালী খেকো জীবও না।
পুরষ্কার দেয়া হয়েছে? কারো সাথে ভালো সম্পর্ক আছে? ভুলে যান ওসব।
ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, আমার কীবোর্ড আর আমার দশ আঙ্গুলের মাঝে কোন নো মডারেশন ব্লগের আনুগত্যের দেয়াল নেই কিংবা মডারেটেড ব্লগের রেসিডেন্টগীরির দায়ীত্বও নেই। মডারেশনের সমালোচনা করে তিনবার জেনারেল হয়েছি। আরো হবো। হু ক্যায়ারস!
আমি ক্ষুদ্র এক ব্লগার। বিশ্বাস করি একজন ব্লগার কারো অন্ধ ভক্ত হতে পারে না। ভক্ত হওয়ার জন্য পীরের মুরিদরা আছেন, নেতার চামচারা আছেন। ব্লগারদের কাউকে পুছার টাইম থাকা উচিত না। সংশ্লিষ্ট ব্লগকে তো নয়ই। (কেউ ব্লগের ভক্ত হয়ে গেলে তাকে ব্লগার না বলে মুরিদ বলাই মনে হয় উত্তম। আশে পাশে কতো মুরিদ! হক মওলা!)
আমি কোন বিশেষ ছদ্মনামের আড়ালে অনর্যালে বিচরণ করি না। ব্লগিং করি নিজ নামে। ফেসবুকের একাউন্টও নিজের নামে। কোন পর্দার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি কখনোই।
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের পুরোটা জুড়ে থাকি "আমি"। প্রেম, রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়েই কথা বলি। নিজের স্টাইলেই বলি। কার ভালো লাগলো, না লাগলো সেটা আমার বিবেচ্য নয়।
আপনার যদি ভালো না লাগে আমাকে রিমুভ করেন। দূরে গিয়ে মুরিদঘেরা অথবা গুরুঘেরা হয়ে বসে থাকেন। আমার আশেপাশে থাকলে আপনাকে খুচাখুচি সহ্য করতেই হবে।
ও হ্যা! যাবার সময় স্ক্রিনশট নিয়ে যাবেন কিন্তু। হিডেন গ্রুপে আলোচনা করতে হবে না?
Bদায়।
একটা উদাহারণ দেই। পড়েছি জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। আর্মি প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অত্যান্ত কড়াকড়ি। সেখানে ক্লাস চলাকালীন সময়ে কলেজ থেকে ছুটি নেয়াটা মোটামোটি এভারেস্ট জয়ের মতোই কঠিন একটা কাজ। আমি সেই এভারেস্ট কয়েকবার জয় করেছিলাম। খুব সুন্দর করে আনকমন কিছু মিথ্যা বলে ছুটি আদায় করেছিলাম। একটা মিথ্যা হলো "স্যার, গলায় কাটা আটকে গেছে"। আবেদনপত্রে খুব সুন্দর বাংলায় লিখতাম "অদ্য সকালে কলেজে আসার জন্য যখন ব্রেকফাস্ট করছিলাম তখন আমার গলায় একটা কাটা লেগে যায়। এটা নিয়ে খুব ঝামেলায় আছি। বিপুল পরিমান ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও আমি এখন পাঠে মনোনিবেশ করতে পারছি না। অতোএব মহোদয় সমীপে প্রার্থনা এই যে আমাকে ছুটি দিয়ে বাধিত করুন।"
এই অ্যাপ্লিকেশন দেখে স্যার প্রথমে একটু মুচকী হাসতেন। তারপর আমাকে হা করিয়ে কাটা খোজাখুজি করতেন। আমি বলতাম "স্যার কাটা অনেক গভীরে লেগেছে। দেখা যায় না।"
যাই হোক, স্যার শেষ পর্যন্ত মানবিক কারনে আমাকে ছুটি দিতে বাধ্য হতেন।
স্বীকার করছি, স্বীকার করবো... খুব সুন্দর করে সত্যের কাছাকাছি করে মিথ্যা বলার ক্ষমতাটা এখনও আছে।
কিন্তু যখন থেকে লেখালেখি শুরু করলাম তখনই আবিষ্কার করলাম আমি প্রচুর মিথ্যা বললেও মিথ্যা লিখতে পারি না। নিজে যা দেখি, যা বিশ্বাস করি সেটাই সরাসরি লেখায় চলে আসে। আর আমার হজমশক্তি কিছুটা কম। কিছু দেখলে হজম করতে পারি না।
আমার ব্লগের(মানে এই ব্লগস্পটের) পোস্ট সংখ্যা প্রায় ২৩০ টা। প্রায় সবকটা পোস্টই এসব বদ হজমের কারনে লেখা। কাউকে ত্যাল দিয়ে কিংবা কেবল সমালোচনার জন্যই সমালোচনা করে কখনো কিছু লিখিনি।
দেখেছি... যতোটুকু পারা যায় নিজের মতো বিশ্লেষন করেছি। তার মানে এই না যে সব সময় বিশ্লেষন ঠিক ছিলো। তবে নিজে যা অনুভব করেছি তাই লিখেছি। বুকে হাত দিয়ে এ কথাটি বলতে পারবো সব সময়।
আজকে একজনের, একটা দলের কোন কাজ হয়তো ভালো লেগেছে, আমি প্রশংসা করেছি। কালকে আবার তাদের কোন কাজ ভালো না লাগলে তীক্ষ্ণ ভাষায় সমালোচনা করতে আমার একটুও বাধবে না।
এতোদিন আমার ধারনা ছিলো আমার এইসব খুচাখুচি আর স্যাটায়ার লেখার চেষ্টায় কারো তেমন কিছুই আসে যায় না।
ভুল আস্তে আস্তে ভাংতে শুরু করলো। (এই অংশটা লেখার সময় শার্টের কলার উচিয়ে নিলাম একটু।)
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস, কমেন্ট নিয়ে অনেক হিডেন ফেসবুক গ্রুপে ধুন্দুমার আলোচনা হয়। আলিম আল রাজি কেনো এই স্ট্যাটাস দিলো? তার মোটিভ কী? কী তার গোপন উদ্দেশ্য!
ফান করে দেয়া একটা স্ট্যাটাস নিয়েও গরম হয়ে উঠে দেশের অন্যতম বড় বাংলা ব্লগের হিডেন গ্রুপ। (আবার কলার উচিয়ে নিলাম। মুই কী হনুরে!)
সেখানে গালাগালিও চলে সমান তালে। (হেলাল হাফিজের একটা কবিতা মনে পড়লো- "আমিও গ্রামের পোলা চুতমারানী গাইল দিতে জানি")
ব্যাপার হলো গিয়ে... আলিম আল রাজি কারো একান্ত অনুগত বাধ্যগত শিষ্য না। খেতাবখেকো, হাততালী খেকো জীবও না।
পুরষ্কার দেয়া হয়েছে? কারো সাথে ভালো সম্পর্ক আছে? ভুলে যান ওসব।
ফর ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন, আমার কীবোর্ড আর আমার দশ আঙ্গুলের মাঝে কোন নো মডারেশন ব্লগের আনুগত্যের দেয়াল নেই কিংবা মডারেটেড ব্লগের রেসিডেন্টগীরির দায়ীত্বও নেই। মডারেশনের সমালোচনা করে তিনবার জেনারেল হয়েছি। আরো হবো। হু ক্যায়ারস!
আমি ক্ষুদ্র এক ব্লগার। বিশ্বাস করি একজন ব্লগার কারো অন্ধ ভক্ত হতে পারে না। ভক্ত হওয়ার জন্য পীরের মুরিদরা আছেন, নেতার চামচারা আছেন। ব্লগারদের কাউকে পুছার টাইম থাকা উচিত না। সংশ্লিষ্ট ব্লগকে তো নয়ই। (কেউ ব্লগের ভক্ত হয়ে গেলে তাকে ব্লগার না বলে মুরিদ বলাই মনে হয় উত্তম। আশে পাশে কতো মুরিদ! হক মওলা!)
আমি কোন বিশেষ ছদ্মনামের আড়ালে অনর্যালে বিচরণ করি না। ব্লগিং করি নিজ নামে। ফেসবুকের একাউন্টও নিজের নামে। কোন পর্দার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি কখনোই।
আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসের পুরোটা জুড়ে থাকি "আমি"। প্রেম, রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সব কিছু নিয়েই কথা বলি। নিজের স্টাইলেই বলি। কার ভালো লাগলো, না লাগলো সেটা আমার বিবেচ্য নয়।
আপনার যদি ভালো না লাগে আমাকে রিমুভ করেন। দূরে গিয়ে মুরিদঘেরা অথবা গুরুঘেরা হয়ে বসে থাকেন। আমার আশেপাশে থাকলে আপনাকে খুচাখুচি সহ্য করতেই হবে।
ও হ্যা! যাবার সময় স্ক্রিনশট নিয়ে যাবেন কিন্তু। হিডেন গ্রুপে আলোচনা করতে হবে না?
Bদায়।