সবকিছুর দাম বেড়েছে। কমেছে কেবল মানুষের দাম। সিলেটের জনসভায় বলেছেন
বিরোধীদলীয় নেতা। অতিশয় সত্য কথা। মানুষের দাম কমে গেছে, এটা খুবই দুঃখজনক
একটি ব্যাপার। রস+আলো এটা নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত। তাই রস+আলোর পক্ষ থেকে
মানুষের দাম বাড়ানোর কিছু পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আলিম আল রাজি
সাইনবোর্ড পদ্ধতি
কমে যাওয়া দাম বাড়াতে সাইনবোর্ড পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতি অনুসারে সবাই নিজের দাম লেখা একটা সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে চক্কর দেবে। যেখানে যাবে, সেখানেই থাকবে এই সাইনবোর্ড।
একটি সাইনবোর্ডের নমুনা: আক্কাস আলী
দাম: দুই কেজি পেঁয়াজের সমান মূল্য
একদাম (বাকি চাহিয়া লজ্জা দেবেন না)
ধন্যবাদ, আবার আসবেন।
বি. দ্র. দেয়ালে পানের পিক ফেলিবেন না।
শেয়ারবাজার পদ্ধতি
শেয়ার বাজারে দরপতন ঘটলে প্রায়ই দেখা যায়, ভাঙচুর, মারামারি ইত্যাদি করা হয়। মানুষেরও যেহেতু দরপতন ঘটেছে, তাই দর উত্থানের জন্যও অনুরূপ কিছু করা যেতে পারে। মানুষের দাম বাড়াতে হবে, দাম কমবে কেন, অমুক মিয়া জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে মিছিল মিটিং করতে হবে। তখন কর্তৃপক্ষ চাপে পড়বে। এসইসি, ডিএসই আলোচনা সভা হবে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বৈঠক হবে। অতঃপর মানুষের দরে আসবে চাঙা ভাব।
এ ছাড়া মানুষের দামের সর্বশেষ অবস্থা ও ওঠানামা টিভির নিচে স্ক্রলের
মাধ্যমে দেখানো যেতে পারে।
নমুনা:
আক্কাস আলী। সকাল ১০টায় এত, দুপুর দুইটায় এত।
মুলামুলি পদ্ধতি
বাজারে প্রায়ই দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে দাম নিয়ে মুলামুলি হয়। এই মুলামুলির মাধ্যমেও মানুষের দাম বাড়ানো যেতে পারে। নমুনা:
জনাব আক্কাস আলী, শুনলাম আপনার দাম নাকি ৮৫০ টাকা।
দূর মিয়া! আপনি কি আমাকে মুরগি মনে করেন নাকি? আমার দাম আছে, বুঝলেন?
আমার দাম পুরা ৯০০ টাকা।
ভাই, কমানো যায় না?
না ভাই, কেনাই পড়ছে ৮৫০ টাকা। কিছু লাভ করতে হবে না?
ওকে, আরও ১০ টাকা দিমু। হবে?
আন্তর্জাতিক বাজার পদ্ধতি
আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন সময় তেল, গ্যাস ইত্যাদির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে মানুষের দামও বাড়ানো যাবে। যেমন বলা যেতে পারে,
—বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সম্প্রতি সোমালিয়ার উত্তর প্রদেশে মানুষের দাম জনপ্রতি এক পয়সা করে বেড়েছে, তাই আমরাও বাড়িয়ে দিলাম।
—দেখুন, আমাদের কিন্তু বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাই তাল মেলাতে গিয়ে মানুষের দাম হালনাগাদ করেছি। ক্লিয়ার?
ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট পদ্ধতি
অতীতে আমরা দেখেছি লঞ্চ ডুবে মানুষ মারা গেলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট দেওয়া হয়। অতিসুন্দর একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমেও কিন্তু মানুষের দাম বাড়ানো যাবে। যেমন, সবাই সঙ্গে একটা করে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট নিয়ে ঘুরঘুর করবে। কেউ দাম জিজ্ঞেস করলে গোট-এর দামসহ মূল্য বলবে।
নমুনা:
—ভাই, আপনার দাম কত?
—ভাই, আমি খুচরা কাজে বিশ্বাসী না। আমি পাইকারি কাজে বিশ্বাসী। আমার সঙ্গের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটসহ আমার দাম তিন হাজার টাকা। আমার দাম এক হাজার, ছাগলের দাম দুই হাজার। বোঝা গেল?
মজুদ পদ্ধতি
বিভিন্ন সময় দেখা যায়, মজুদদারেরা জিনিসপত্র মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। সেই সুযোগে হুট করে বাড়িয়ে দেয় ওই জিনিসের দাম। এই পদ্ধতিতে মানুষের দামও বাড়ানো যেতে পারে।
এক জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষ মজুদ করে বাজারে মানুষের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে হবে। তখন সুযোগ বুঝে এক চান্সে দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।
রস আলো ৩০-০১-২০১২
সাইনবোর্ড পদ্ধতি
কমে যাওয়া দাম বাড়াতে সাইনবোর্ড পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ পদ্ধতি অনুসারে সবাই নিজের দাম লেখা একটা সাইনবোর্ড গলায় ঝুলিয়ে চক্কর দেবে। যেখানে যাবে, সেখানেই থাকবে এই সাইনবোর্ড।
একটি সাইনবোর্ডের নমুনা: আক্কাস আলী
দাম: দুই কেজি পেঁয়াজের সমান মূল্য
একদাম (বাকি চাহিয়া লজ্জা দেবেন না)
ধন্যবাদ, আবার আসবেন।
বি. দ্র. দেয়ালে পানের পিক ফেলিবেন না।
শেয়ারবাজার পদ্ধতি
শেয়ার বাজারে দরপতন ঘটলে প্রায়ই দেখা যায়, ভাঙচুর, মারামারি ইত্যাদি করা হয়। মানুষেরও যেহেতু দরপতন ঘটেছে, তাই দর উত্থানের জন্যও অনুরূপ কিছু করা যেতে পারে। মানুষের দাম বাড়াতে হবে, দাম কমবে কেন, অমুক মিয়া জবাব চাই ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে মিছিল মিটিং করতে হবে। তখন কর্তৃপক্ষ চাপে পড়বে। এসইসি, ডিএসই আলোচনা সভা হবে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বৈঠক হবে। অতঃপর মানুষের দরে আসবে চাঙা ভাব।
এ ছাড়া মানুষের দামের সর্বশেষ অবস্থা ও ওঠানামা টিভির নিচে স্ক্রলের
মাধ্যমে দেখানো যেতে পারে।
নমুনা:
আক্কাস আলী। সকাল ১০টায় এত, দুপুর দুইটায় এত।
মুলামুলি পদ্ধতি
বাজারে প্রায়ই দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে দাম নিয়ে মুলামুলি হয়। এই মুলামুলির মাধ্যমেও মানুষের দাম বাড়ানো যেতে পারে। নমুনা:
জনাব আক্কাস আলী, শুনলাম আপনার দাম নাকি ৮৫০ টাকা।
দূর মিয়া! আপনি কি আমাকে মুরগি মনে করেন নাকি? আমার দাম আছে, বুঝলেন?
আমার দাম পুরা ৯০০ টাকা।
ভাই, কমানো যায় না?
না ভাই, কেনাই পড়ছে ৮৫০ টাকা। কিছু লাভ করতে হবে না?
ওকে, আরও ১০ টাকা দিমু। হবে?
আন্তর্জাতিক বাজার পদ্ধতি
আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দিয়ে বিভিন্ন সময় তেল, গ্যাস ইত্যাদির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে মানুষের দামও বাড়ানো যাবে। যেমন বলা যেতে পারে,
—বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সম্প্রতি সোমালিয়ার উত্তর প্রদেশে মানুষের দাম জনপ্রতি এক পয়সা করে বেড়েছে, তাই আমরাও বাড়িয়ে দিলাম।
—দেখুন, আমাদের কিন্তু বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাই তাল মেলাতে গিয়ে মানুষের দাম হালনাগাদ করেছি। ক্লিয়ার?
ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট পদ্ধতি
অতীতে আমরা দেখেছি লঞ্চ ডুবে মানুষ মারা গেলে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট দেওয়া হয়। অতিসুন্দর একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমেও কিন্তু মানুষের দাম বাড়ানো যাবে। যেমন, সবাই সঙ্গে একটা করে ব্ল্যাক বেঙ্গল গোট নিয়ে ঘুরঘুর করবে। কেউ দাম জিজ্ঞেস করলে গোট-এর দামসহ মূল্য বলবে।
নমুনা:
—ভাই, আপনার দাম কত?
—ভাই, আমি খুচরা কাজে বিশ্বাসী না। আমি পাইকারি কাজে বিশ্বাসী। আমার সঙ্গের ব্ল্যাক বেঙ্গল গোটসহ আমার দাম তিন হাজার টাকা। আমার দাম এক হাজার, ছাগলের দাম দুই হাজার। বোঝা গেল?
মজুদ পদ্ধতি
বিভিন্ন সময় দেখা যায়, মজুদদারেরা জিনিসপত্র মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। সেই সুযোগে হুট করে বাড়িয়ে দেয় ওই জিনিসের দাম। এই পদ্ধতিতে মানুষের দামও বাড়ানো যেতে পারে।
এক জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষ মজুদ করে বাজারে মানুষের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে হবে। তখন সুযোগ বুঝে এক চান্সে দাম বাড়িয়ে দিতে হবে।
রস আলো ৩০-০১-২০১২