ল-র-ব-য-হ সিরিজের শেষ লেখাটা লিখেছিলাম গত বছর অক্টোবরে। প্রায় ৩ মাস পরে লিখতে বসলাম। দেখা যাক আমার "পাগলা কি বোর্ড কই থেইকা কই লইয়্যা যায়।"
তিনমাস ছিলাম কই? ছিলাম দৌড়ের উপরে।
ক্লাস... ওয়ার্ড... পরীক্ষা... আইটেম... ব্লা ব্লা ব্লা।
পরীক্ষা আমারে ছাড়লে আমি পরীক্ষারে ছাড়ি না... আবার আমি পরীক্ষারে ছাড়লে পরীক্ষা আমারে ছাড়ে না। ব্যাকরণিয় ভাষায় এই দশাকে বলা যায় "ত্রাহী মধুসূধন অবস্থা"।
৫ টা পরীক্ষা দিলে ফেইল করি তিনটায়। ঐ তিনটার সাপ্লি দিলে আবার ফেইল করি দুইটায়। ঐ দুইটা দিলে আবার আরেকটায়... এভাবেই চলছে। চ্যাটে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে "রাজি কী অবস্থা?" আমি উত্তর দেই "চলছে গাড়ি সিসিমপুরে।"
লাস্ট ৩/৪ মাস নেটের বাইরেই ছিলাম বলা যায়। পরশু আবার নেট নিলাম। দুই দিনে পোস্ট দিলাম ১২ টা। জয় হো!।
২।
আজকে রিক্সা নিয়ে দুটো ঘটনা ঘটেছে।
কলেজ থেকে আসছিলাম আমি আর তানিয়া। তানিয়া আমার অতি কাছের বন্ধু। মেয়েটা অতি ভালো। তার কাছ থেকে সিঙ্গাড়া সমুচা ফ্রুটিকা টাইগার ইত্যাদি অতি সহজে আদায় করা যায়। সে ইদানিং তার বিবাহ নিয়ে কিছুটা টেনশনে আছে। প্রায়ই আমাকে বলে "আচ্ছা দোস্ত... বিয়ের দিন তারিখ গননা করে দিতে পারে এমন কোন সফটওয়্যার আছে? থাকলে খুজে টুজে দে।"
বিয়ের দিন তারীখ দিয়ে সে কী করবে কে জানে!
যাই হোক, তার জন্য রিক্সা খুজে দিতে হবে। খালি রিক্সা দেখি, আমি ডাক দেই "মামা শিবগঞ্জ যাইবায় নি?(মামা শিবগঞ্জ যাবেন?)" রিক্সাওয়ালারা আমার দিকে এমনভাবে তাকায় মনে হয় শিবগঞ্জ সুইজারল্যান্ডের কাছাকাছি কোথাও অবস্থিত। আমি ৬ টা রিক্সাকে বললাম। একটাও রাজি হলো না। এবার তানিয়া একটা রিক্সাকে বললো। রিক্সাওয়ালা দ্বিতীয় কোন বাক্য ব্যয় না করেই রাজি হয়ে গেলো। তানিয়ে রিক্সায় উঠে চলে গেলো।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
এবার আমি উঠলাম আরেক রিক্সায়। ড্রাইভারের বয়স কম। মুখে হাসি লেগেই আছে। রিক্সা চালাচ্ছে তুফানের গতিতে। চালানোর স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে নতুন এসেছেন এই লাইনে। জিজ্ঞেস করলাম, "মামা নতুন নি?"
সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে উত্তর দিলো, "আজকে জীবনর ফাস্ট। আফনে আমার ফাস্ট প্যাসেঞ্জার" (আজই জীবনের প্রথম। আপনি আমার প্রথম যাত্রী।"
আমি কিছুটা টাশকি খেলাম। কারো রিক্সার প্রথম যাত্রীই আমি। ব্যাপারটা কিছুটা অদ্ভুত।
রিক্সাওয়ালার নাম শফিকুল ইসলাম। পরে জিজ্ঞেস করে জেনেছি।
আজ এ পর্যন্তই থাক। Bদায়।
যে গান শুনছিঃ আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে
প্রকৃতিকে রবীন্দ্রনাথের মতো আর কেউ অনুভব করতে পারে নি। এ গান শুনলেই সেটা বুঝা যায়।
তিনমাস ছিলাম কই? ছিলাম দৌড়ের উপরে।
ক্লাস... ওয়ার্ড... পরীক্ষা... আইটেম... ব্লা ব্লা ব্লা।
পরীক্ষা আমারে ছাড়লে আমি পরীক্ষারে ছাড়ি না... আবার আমি পরীক্ষারে ছাড়লে পরীক্ষা আমারে ছাড়ে না। ব্যাকরণিয় ভাষায় এই দশাকে বলা যায় "ত্রাহী মধুসূধন অবস্থা"।
৫ টা পরীক্ষা দিলে ফেইল করি তিনটায়। ঐ তিনটার সাপ্লি দিলে আবার ফেইল করি দুইটায়। ঐ দুইটা দিলে আবার আরেকটায়... এভাবেই চলছে। চ্যাটে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে "রাজি কী অবস্থা?" আমি উত্তর দেই "চলছে গাড়ি সিসিমপুরে।"
লাস্ট ৩/৪ মাস নেটের বাইরেই ছিলাম বলা যায়। পরশু আবার নেট নিলাম। দুই দিনে পোস্ট দিলাম ১২ টা। জয় হো!।
২।
আজকে রিক্সা নিয়ে দুটো ঘটনা ঘটেছে।
কলেজ থেকে আসছিলাম আমি আর তানিয়া। তানিয়া আমার অতি কাছের বন্ধু। মেয়েটা অতি ভালো। তার কাছ থেকে সিঙ্গাড়া সমুচা ফ্রুটিকা টাইগার ইত্যাদি অতি সহজে আদায় করা যায়। সে ইদানিং তার বিবাহ নিয়ে কিছুটা টেনশনে আছে। প্রায়ই আমাকে বলে "আচ্ছা দোস্ত... বিয়ের দিন তারিখ গননা করে দিতে পারে এমন কোন সফটওয়্যার আছে? থাকলে খুজে টুজে দে।"
বিয়ের দিন তারীখ দিয়ে সে কী করবে কে জানে!
যাই হোক, তার জন্য রিক্সা খুজে দিতে হবে। খালি রিক্সা দেখি, আমি ডাক দেই "মামা শিবগঞ্জ যাইবায় নি?(মামা শিবগঞ্জ যাবেন?)" রিক্সাওয়ালারা আমার দিকে এমনভাবে তাকায় মনে হয় শিবগঞ্জ সুইজারল্যান্ডের কাছাকাছি কোথাও অবস্থিত। আমি ৬ টা রিক্সাকে বললাম। একটাও রাজি হলো না। এবার তানিয়া একটা রিক্সাকে বললো। রিক্সাওয়ালা দ্বিতীয় কোন বাক্য ব্যয় না করেই রাজি হয়ে গেলো। তানিয়ে রিক্সায় উঠে চলে গেলো।
আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
এবার আমি উঠলাম আরেক রিক্সায়। ড্রাইভারের বয়স কম। মুখে হাসি লেগেই আছে। রিক্সা চালাচ্ছে তুফানের গতিতে। চালানোর স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে নতুন এসেছেন এই লাইনে। জিজ্ঞেস করলাম, "মামা নতুন নি?"
সে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে উত্তর দিলো, "আজকে জীবনর ফাস্ট। আফনে আমার ফাস্ট প্যাসেঞ্জার" (আজই জীবনের প্রথম। আপনি আমার প্রথম যাত্রী।"
আমি কিছুটা টাশকি খেলাম। কারো রিক্সার প্রথম যাত্রীই আমি। ব্যাপারটা কিছুটা অদ্ভুত।
রিক্সাওয়ালার নাম শফিকুল ইসলাম। পরে জিজ্ঞেস করে জেনেছি।
আজ এ পর্যন্তই থাক। Bদায়।
যে গান শুনছিঃ আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে
প্রকৃতিকে রবীন্দ্রনাথের মতো আর কেউ অনুভব করতে পারে নি। এ গান শুনলেই সেটা বুঝা যায়।
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর ॥
মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে,
বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে ॥
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে ॥
ধরণী'পরে ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা
ফুলপল্লব-গীতবন্ধ-সুন্দর-বরনে ॥
বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা,
করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে ॥
স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ,
কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে ॥
জগতে তব কী মহোৎসব, বন্দন করে বিশ্ব
শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে ॥
১১/০২/২০১২