ডিসক্লাইমারঃ লিখেছিলাম রস+আলো-র জন্য। লাদেনের মৃত্যুর পর। এটা রস আলো-র কাভার স্টোরি হিসেবে আসার কথা ছিলো। কিন্তু ছাপার যন্ত্রের ত্রুটির কারণে রস+আলো-র ঐ সংখ্যাটি আর প্রকাশ হয়নি। এটাও তাই পড়ে ছিলো ড্রাফটে। ভাবলাম প্রকাশ করে দেই।
বারাক ওবামার মন ভালো নেই। মন ভালো থাকবেই বা কেনো? ভেবেছিলেন লাদেনের মৃত্যুর পরে একটু শান্তিতে দিন গোজার করতে পারবেন। তা না! এখন দেখাযাচ্ছে মৃত লাদেন জীবিত লাদেনের মতোই জালিয়ে মারছে।
এই লাদেনকে তিনি কিভাবে ধরেছেন কিভাবে মেরেছেন এসব নিয়ে মহা গিট্টু লেগে গেছে।
লাদেন মরার পরেই তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন,- “লাদেনকে ধরেছি এবং মেরে ফেলেছি”।
কিন্তু কি আজব! লাদেনের মৃত্যুতে সবাই কই একটু তার পিঠ চাপড়াবে। সেটা না! মিডিয়া চিল্লাচিল্লী শুরু করলো মানবাধিকার নিয়ে। - কেনো একজন নিরস্ত্র মানুষকে ধরেই মেরে ফেলা হলো? কেনো তাকে মানুষ হিসেবে একটু বাচার সুযোগ দেয়া হলো না? মানুষ হিসেবে তার কি একটু সম্মান প্রাপ্য ছিলো না?
চিপায় পড়ে তৎক্ষনাত নিজের বিবৃতি পালটে ফেললেন ওবামা। বললেন, “আসলে লাদেনকে ধরতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে মার্কিন সেনাদের। স্বশস্ত্র লাদেনকে ধরতে গেলে সে উলটা মার্কিন সেনাদের উপর হামলা চালায়। গুলাগুলি করতে করতে লাদেনের মাথায় গুলি লাগে এবং লাদেন মারা যায়”
এ কথা বলার উপর আবার ঝামেলা লেগে গেলো। সবাই বলা প্রশ্ন করা শুরু করলো ওবামা কেনো আবার ইউটার্ন নিলেন? কেনো তার আগের বিবৃতির সাথে বর্তমান বিবৃতির কোন মিল নেই? তবে কি ওবামা মিথ্যা বলছেন?
প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে থাকলেন ওবামা। দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেলো তার। কি দিয়ে এখন বিশ্ববাসীকে বুঝ দিবেন? কি বলে থামাবেন মিডিয়ার মুখ? চিন্তায় চিন্তায় ওবামার কপালের চামড়া কুচকে গেলো। কপাল হয়ে গেলো অনেকটা তার পূর্বসূরী বুশের মতো।
ওবামার এই দশা দেখে এগিয়ে আসলেন হিলারী ক্লিনটন। তিনি গোপনে দেশে দেশে ঘোষনা দিলেন কোন ডাক্তার কবিরাজ রাজনীতিবিদ যদি ওবামাকে বিশ্বমিডিয়ার মুখ বন্ধ করার উপায় বাতলে দিতে পারে তবে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে।
খবর শুনে হোয়াইট হাউজে বিভিন্ন দেশ থেকে জড়ো হলেন অসংখ্য ডাক্তার কবিরাজ কূটনীতিক সাহিত্যিক রাজনীতিক।
তারা একে একে পরামর্শ দিতে থাকলেন ওবামাকে।
কেউ বললেন এক নাগাড়ে কাচামরিচ খেতে থাকলে ওবামার বুদ্ধি হবে।
কেউ বললেন তিন রাত উপোষ থেকে সকালে উঠে আকাশের দিকে চেয়ে প্রার্থনা করতে হবে।
কেউ বললেন ওবামা টানা দিন শুটকির ঝোল খেলে বিশ্বমিডিয়া ঠান্ডা হয়ে যাবে।
কেউ বললেন ফেসবুকে দোয়া চেয়ে ইভেন্ট খুলতে হবে।
কেউ বললেন কাচা তেলাপোকা সস দিয়ে খেলে বুদ্ধি হবে।
কিন্তু কিছুতেই মন ভরছিলো না ওবামার। তিনি তার কুচকানো কপালা আরো কুচকাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই কলিং বেজে উঠলো।
ওবামা বললেন -“ভেতরে আসুন”।
ওবামা দেখলেন এক দরবেশ ঢুকেছেন তার কক্ষে। ওবামা জিজ্ঞেস করলেন, “কে আপনি? কি চাই এখানে?”
দরবেশ গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, “মহামন্য ওবামা। আমি এসেছি সুদুর বাংলাদেশ থেকে। শুনলাম আপনি নাকি অনেক পেরেশানিতে আছেন! কি এক বিবৃতিতে দিয়ে চিপায় পড়ে গেছেন। আমি এসেছি আপনাকে উদ্ধার করতে”
ওবামার চোখ ঝিলিক দিয়ে উঠলো।
- পারবেন আপনি? সত্যি পারবেন?
- হ্যা পারবো। আপনি কেবলা আপনার বিবৃতিটা পালটে দিন আরেকবার। তারপর আমি যা বলবো সেটাই বলবেন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে”
অস্থির হয়ে উঠলেন ওবামা।
- বলুন বাবা বলুন। কি সেই কথা”
দরবেশ গম্ভীর কন্ঠে বলতে লাগলেন- “মধ্যরাতে মার্কিন সেনারা লাদেনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তার আস্তানায় যায়। পথিমধ্যে তার সঙ্গী সাথীরা আচমকা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। জবাবে মার্কন সেনারাও গুলি ছুড়ে। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে লাদেন। হঠাৎ দুই পক্ষের গুলির মাঝখানে পড়ে সে ঘটনা স্থলেই মৃত্যুবরণ করে”
ওবামা চোখ সরু করলেন একটু -"এটা বলার পরে যদি আবার জনগন হাউকাউ শুরু করে?"
দরবেশ আশ্বস্থ করার ভঙ্গীতে বললেন, "টেনশন করবেন না ওবামা। আমি বাংলাদেশে নিজের চোখে দেখেছি এই বিবৃতি নিয়ে লোকজন যতোই হাউকাউ করুক শেষ পর্যন্ত তেমন সুবিধা করতে পারে না কেউ। আপনি নিশ্চিন্তে বিবৃতি দেন"
দরবেশের কথা শুনে আনন্দে শিশুদের মতো লাফ দিয়ে উঠলেন ওবামা। এতো কঠিন সমস্যার এতো সহজ সমাধান!
তিনি বাংলাদেশী দরবেশ বাবাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে টিভি ভবনের দিকে দৌড় দিলেন। এখনই নতুন বিবৃতি দিতে হবে তাকে।
বারাক ওবামার মন ভালো নেই। মন ভালো থাকবেই বা কেনো? ভেবেছিলেন লাদেনের মৃত্যুর পরে একটু শান্তিতে দিন গোজার করতে পারবেন। তা না! এখন দেখাযাচ্ছে মৃত লাদেন জীবিত লাদেনের মতোই জালিয়ে মারছে।
এই লাদেনকে তিনি কিভাবে ধরেছেন কিভাবে মেরেছেন এসব নিয়ে মহা গিট্টু লেগে গেছে।
লাদেন মরার পরেই তিনি বিবৃতি দিয়েছিলেন,- “লাদেনকে ধরেছি এবং মেরে ফেলেছি”।
কিন্তু কি আজব! লাদেনের মৃত্যুতে সবাই কই একটু তার পিঠ চাপড়াবে। সেটা না! মিডিয়া চিল্লাচিল্লী শুরু করলো মানবাধিকার নিয়ে। - কেনো একজন নিরস্ত্র মানুষকে ধরেই মেরে ফেলা হলো? কেনো তাকে মানুষ হিসেবে একটু বাচার সুযোগ দেয়া হলো না? মানুষ হিসেবে তার কি একটু সম্মান প্রাপ্য ছিলো না?
চিপায় পড়ে তৎক্ষনাত নিজের বিবৃতি পালটে ফেললেন ওবামা। বললেন, “আসলে লাদেনকে ধরতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে মার্কিন সেনাদের। স্বশস্ত্র লাদেনকে ধরতে গেলে সে উলটা মার্কিন সেনাদের উপর হামলা চালায়। গুলাগুলি করতে করতে লাদেনের মাথায় গুলি লাগে এবং লাদেন মারা যায়”
এ কথা বলার উপর আবার ঝামেলা লেগে গেলো। সবাই বলা প্রশ্ন করা শুরু করলো ওবামা কেনো আবার ইউটার্ন নিলেন? কেনো তার আগের বিবৃতির সাথে বর্তমান বিবৃতির কোন মিল নেই? তবে কি ওবামা মিথ্যা বলছেন?
প্রশ্নবানে জর্জরিত হতে থাকলেন ওবামা। দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হয়ে গেলো তার। কি দিয়ে এখন বিশ্ববাসীকে বুঝ দিবেন? কি বলে থামাবেন মিডিয়ার মুখ? চিন্তায় চিন্তায় ওবামার কপালের চামড়া কুচকে গেলো। কপাল হয়ে গেলো অনেকটা তার পূর্বসূরী বুশের মতো।
ওবামার এই দশা দেখে এগিয়ে আসলেন হিলারী ক্লিনটন। তিনি গোপনে দেশে দেশে ঘোষনা দিলেন কোন ডাক্তার কবিরাজ রাজনীতিবিদ যদি ওবামাকে বিশ্বমিডিয়ার মুখ বন্ধ করার উপায় বাতলে দিতে পারে তবে তাকে পুরষ্কৃত করা হবে।
খবর শুনে হোয়াইট হাউজে বিভিন্ন দেশ থেকে জড়ো হলেন অসংখ্য ডাক্তার কবিরাজ কূটনীতিক সাহিত্যিক রাজনীতিক।
তারা একে একে পরামর্শ দিতে থাকলেন ওবামাকে।
কেউ বললেন এক নাগাড়ে কাচামরিচ খেতে থাকলে ওবামার বুদ্ধি হবে।
কেউ বললেন তিন রাত উপোষ থেকে সকালে উঠে আকাশের দিকে চেয়ে প্রার্থনা করতে হবে।
কেউ বললেন ওবামা টানা দিন শুটকির ঝোল খেলে বিশ্বমিডিয়া ঠান্ডা হয়ে যাবে।
কেউ বললেন ফেসবুকে দোয়া চেয়ে ইভেন্ট খুলতে হবে।
কেউ বললেন কাচা তেলাপোকা সস দিয়ে খেলে বুদ্ধি হবে।
কিন্তু কিছুতেই মন ভরছিলো না ওবামার। তিনি তার কুচকানো কপালা আরো কুচকাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই কলিং বেজে উঠলো।
ওবামা বললেন -“ভেতরে আসুন”।
ওবামা দেখলেন এক দরবেশ ঢুকেছেন তার কক্ষে। ওবামা জিজ্ঞেস করলেন, “কে আপনি? কি চাই এখানে?”
দরবেশ গম্ভীর গলায় বলে উঠলেন, “মহামন্য ওবামা। আমি এসেছি সুদুর বাংলাদেশ থেকে। শুনলাম আপনি নাকি অনেক পেরেশানিতে আছেন! কি এক বিবৃতিতে দিয়ে চিপায় পড়ে গেছেন। আমি এসেছি আপনাকে উদ্ধার করতে”
ওবামার চোখ ঝিলিক দিয়ে উঠলো।
- পারবেন আপনি? সত্যি পারবেন?
- হ্যা পারবো। আপনি কেবলা আপনার বিবৃতিটা পালটে দিন আরেকবার। তারপর আমি যা বলবো সেটাই বলবেন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে”
অস্থির হয়ে উঠলেন ওবামা।
- বলুন বাবা বলুন। কি সেই কথা”
দরবেশ গম্ভীর কন্ঠে বলতে লাগলেন- “মধ্যরাতে মার্কিন সেনারা লাদেনকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তার আস্তানায় যায়। পথিমধ্যে তার সঙ্গী সাথীরা আচমকা সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। জবাবে মার্কন সেনারাও গুলি ছুড়ে। সুযোগ বুঝে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে লাদেন। হঠাৎ দুই পক্ষের গুলির মাঝখানে পড়ে সে ঘটনা স্থলেই মৃত্যুবরণ করে”
ওবামা চোখ সরু করলেন একটু -"এটা বলার পরে যদি আবার জনগন হাউকাউ শুরু করে?"
দরবেশ আশ্বস্থ করার ভঙ্গীতে বললেন, "টেনশন করবেন না ওবামা। আমি বাংলাদেশে নিজের চোখে দেখেছি এই বিবৃতি নিয়ে লোকজন যতোই হাউকাউ করুক শেষ পর্যন্ত তেমন সুবিধা করতে পারে না কেউ। আপনি নিশ্চিন্তে বিবৃতি দেন"
দরবেশের কথা শুনে আনন্দে শিশুদের মতো লাফ দিয়ে উঠলেন ওবামা। এতো কঠিন সমস্যার এতো সহজ সমাধান!
তিনি বাংলাদেশী দরবেশ বাবাকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে টিভি ভবনের দিকে দৌড় দিলেন। এখনই নতুন বিবৃতি দিতে হবে তাকে।