বিদ্রঃ মোহিতুল আলম পাভেল-এর লেখা এই গল্পটা আগে না পড়লে কিছুই বুঝবেন না।
কাছে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম সব। মারুফ ব্যাটা পাভেল ভাইকে বেশ বিপদেই ফেলে দিয়েছে। হতাশ নয়নে পাভেল ভাই এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। রাশিনের মুখ ভঙ্গিও তেমন সুবিধার না। যেকোন মুহূর্তে ঝাপিয়ে পড়বে বলেই মনে হচ্ছে পাভেল ভাইয়ের উপর। ওরকম সুন্দরী মেয়েকে এরকম রাগান্বিত চেহারায় মানাচ্ছেইনা একদম। সে চোখ মুখ লাল করে পাভেল ভাইকে জিজ্ঞেস করলো,
- আমি ডাইনি মেয়ে?
পাভেল ভাই ডানে তাকিয়ে বললেন "কই? ডাইনে তো কিছু দেখি না"
দেখলাম রাশিনের চোখ কটমট ভাব বেড়ে গেলো অনেক।
রাশিন আমাকে না চিনলেও আমি রাশিনকে চিনি। ফেসবুকে চ্যাট করার সময় পাভেল ভাই বেশিরভাগ সময়ই আমার সাথে এই মেয়ের গল্প করেন। হি রিয়েলি লাভস হার। কিন্তু মেয়ে অতি বিপজ্জনক। পাভেল ভাইকে ধরে মাইর শুরু করে দিতে পারে। অস্বাভাবিক কিছু না।
আমার কিছু করা দরকার। দৌড় দিয়ে চলে গেলাম তাদের কাছে।
প্রায় চিৎকার করে বললাম,
- হাই রাশিন! কি খবর?
রাশিন অবাক হলো। অপরিচিত একজন মানুষ তাকে এভাবে ডাকছে!
আমি কথা চালিয়ে যেতে লাগলাম। পাভেল ভাইকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতেই হবে। রাজকন্যাকে পেয়েও তিনি হারিয়ে ফেলছেন প্রায়। আমি তা হতে দেবো না। আমারই তো ভাই ব্রাদার।
- রাশিন বেইবি! এইখানে কি করো? আমি এদিকে তোমাকে খোজে খোজে মরছি। ইশশশশশ... দেখো, ঘেমে একাকার হয়ে গেছি একেবার।
রাশিন ভড়কে গেছে পুরো।
এটাই আমি চাচ্ছিলাম। তাকে ভড়কে দিতে হবে। সে আমতা আমতা করে বললো, "ইয়ে... আ আ আ আপনি কে?"
- ও মাই গড। বলছো কি এসব! আমাকে চেনো না? ও আমাকে চিনবা কেনো এখন? সাথে কে? পাভেল না? ওর সাথে কি?
- "কে কে কে কেনো?" রাশিন তোতলাচ্ছে পুরা।
- তুমিই না ঐদিন বললা পাভেল ছেলেটা অতি বদ। সে বদের এক নম্বর হাড্ডি। দজ্জাল টাইপ ছেলে।
- আপনি কে? আমি আপনাকে এসব কবে বললাম?
- বা রে! এখন ভুলে গেছো? বাহ।
পাভেল ভাই শুনছিলেন আমার আর রাশিনের কথোপকথন। আমি তাকে একটা চোখ টিপি দিলাম। সাথে সাথে তারও বুদ্ধি খুলে গেলো।
তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মারুফকে বললেন, "আপনি কে? আমি আপনাকে কবে বললাম যে রাশিন দজ্জাল মেয়ে?"
সাথে সাথে মারুফ উত্তর দিলো আমার মতো "বা রে! এখন ভুলে গেছো? বাহ!"
পাভেল ভাই এবার রাশিনকে বললেন, "দেখো রাশিন! আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য একটা মহ্ল পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে। চিনি না জানি না এমন দুইজন এসে কি ঝামেলাটাই না পাকালো"
রাশিন মিনমিনিয়ে বললো "হ্যা পাভেল, তাই তো দেখছি।" আমাকে দেখিয়ে তারপর বললো, "আমি এই ছেলেকে চিনি না"
পাভেল ভাই মারুফকে দেখিয়ে বললো "আমিও এইটাকে চিনি না। হু ইজ হি?"
আমি হাবাগোবা ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মারুফ এমনিতেই হাবাগোবা। তার আর ভাব নিতে হলো না।
হঠাৎ পেছন থেকে গাড়ির হর্ণ শোনা গেলো। আমরা চারজন পেছন ফিরে তাকালাম।
খাইছে! এতো দেখি রাশিনের বাবা!
বাবাকে দেখে থম থম খেয়ে গেলো রাশিন। হাতে থাকা টিস্যু দিয়ে একবার নাকের ঘাম মুছলো।
বাবা গম্ভীর গলায় বললেন, "মা রাশিন! তুমি এখানে কি করো? সাথে এই ছেলে তিনটা কে?"
রাশিন রোবটের মতো বললো, "বাবা, একটারেও আমি চিনিনা। একটারেও না।"
- বলো কি মা! তোমাকে টিজ করছে?
রাশিন বললো, -"হ্যা বাবা। ইভ টিজিং। ইভ টিজিং। আমাকে টিজ করছে।"
রাশিনের বাবা হুংকার ছেড়ে বললেন, "তবে রে! বান্দরের দল। দেখাচ্ছি মজা।" এই বলে তিনি পকেট থেকে মোবাইল বের করে কানে নিয়ে বললেন, "হ্যালো! পুলিশ স্ট্যাশন?"
শুনে আমি, মারুফ, পাভেল ভাই তিনজনই দৌড় লাগালাম। পেছন থেকে শব্দ শোনা গেলো "ধর ধর"
কাছে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম সব। মারুফ ব্যাটা পাভেল ভাইকে বেশ বিপদেই ফেলে দিয়েছে। হতাশ নয়নে পাভেল ভাই এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। রাশিনের মুখ ভঙ্গিও তেমন সুবিধার না। যেকোন মুহূর্তে ঝাপিয়ে পড়বে বলেই মনে হচ্ছে পাভেল ভাইয়ের উপর। ওরকম সুন্দরী মেয়েকে এরকম রাগান্বিত চেহারায় মানাচ্ছেইনা একদম। সে চোখ মুখ লাল করে পাভেল ভাইকে জিজ্ঞেস করলো,
- আমি ডাইনি মেয়ে?
পাভেল ভাই ডানে তাকিয়ে বললেন "কই? ডাইনে তো কিছু দেখি না"
দেখলাম রাশিনের চোখ কটমট ভাব বেড়ে গেলো অনেক।
রাশিন আমাকে না চিনলেও আমি রাশিনকে চিনি। ফেসবুকে চ্যাট করার সময় পাভেল ভাই বেশিরভাগ সময়ই আমার সাথে এই মেয়ের গল্প করেন। হি রিয়েলি লাভস হার। কিন্তু মেয়ে অতি বিপজ্জনক। পাভেল ভাইকে ধরে মাইর শুরু করে দিতে পারে। অস্বাভাবিক কিছু না।
আমার কিছু করা দরকার। দৌড় দিয়ে চলে গেলাম তাদের কাছে।
প্রায় চিৎকার করে বললাম,
- হাই রাশিন! কি খবর?
রাশিন অবাক হলো। অপরিচিত একজন মানুষ তাকে এভাবে ডাকছে!
আমি কথা চালিয়ে যেতে লাগলাম। পাভেল ভাইকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতেই হবে। রাজকন্যাকে পেয়েও তিনি হারিয়ে ফেলছেন প্রায়। আমি তা হতে দেবো না। আমারই তো ভাই ব্রাদার।
- রাশিন বেইবি! এইখানে কি করো? আমি এদিকে তোমাকে খোজে খোজে মরছি। ইশশশশশ... দেখো, ঘেমে একাকার হয়ে গেছি একেবার।
রাশিন ভড়কে গেছে পুরো।
এটাই আমি চাচ্ছিলাম। তাকে ভড়কে দিতে হবে। সে আমতা আমতা করে বললো, "ইয়ে... আ আ আ আপনি কে?"
- ও মাই গড। বলছো কি এসব! আমাকে চেনো না? ও আমাকে চিনবা কেনো এখন? সাথে কে? পাভেল না? ওর সাথে কি?
- "কে কে কে কেনো?" রাশিন তোতলাচ্ছে পুরা।
- তুমিই না ঐদিন বললা পাভেল ছেলেটা অতি বদ। সে বদের এক নম্বর হাড্ডি। দজ্জাল টাইপ ছেলে।
- আপনি কে? আমি আপনাকে এসব কবে বললাম?
- বা রে! এখন ভুলে গেছো? বাহ।
পাভেল ভাই শুনছিলেন আমার আর রাশিনের কথোপকথন। আমি তাকে একটা চোখ টিপি দিলাম। সাথে সাথে তারও বুদ্ধি খুলে গেলো।
তিনি পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মারুফকে বললেন, "আপনি কে? আমি আপনাকে কবে বললাম যে রাশিন দজ্জাল মেয়ে?"
সাথে সাথে মারুফ উত্তর দিলো আমার মতো "বা রে! এখন ভুলে গেছো? বাহ!"
পাভেল ভাই এবার রাশিনকে বললেন, "দেখো রাশিন! আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য একটা মহ্ল পরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে। চিনি না জানি না এমন দুইজন এসে কি ঝামেলাটাই না পাকালো"
রাশিন মিনমিনিয়ে বললো "হ্যা পাভেল, তাই তো দেখছি।" আমাকে দেখিয়ে তারপর বললো, "আমি এই ছেলেকে চিনি না"
পাভেল ভাই মারুফকে দেখিয়ে বললো "আমিও এইটাকে চিনি না। হু ইজ হি?"
আমি হাবাগোবা ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। মারুফ এমনিতেই হাবাগোবা। তার আর ভাব নিতে হলো না।
হঠাৎ পেছন থেকে গাড়ির হর্ণ শোনা গেলো। আমরা চারজন পেছন ফিরে তাকালাম।
খাইছে! এতো দেখি রাশিনের বাবা!
বাবাকে দেখে থম থম খেয়ে গেলো রাশিন। হাতে থাকা টিস্যু দিয়ে একবার নাকের ঘাম মুছলো।
বাবা গম্ভীর গলায় বললেন, "মা রাশিন! তুমি এখানে কি করো? সাথে এই ছেলে তিনটা কে?"
রাশিন রোবটের মতো বললো, "বাবা, একটারেও আমি চিনিনা। একটারেও না।"
- বলো কি মা! তোমাকে টিজ করছে?
রাশিন বললো, -"হ্যা বাবা। ইভ টিজিং। ইভ টিজিং। আমাকে টিজ করছে।"
রাশিনের বাবা হুংকার ছেড়ে বললেন, "তবে রে! বান্দরের দল। দেখাচ্ছি মজা।" এই বলে তিনি পকেট থেকে মোবাইল বের করে কানে নিয়ে বললেন, "হ্যালো! পুলিশ স্ট্যাশন?"
শুনে আমি, মারুফ, পাভেল ভাই তিনজনই দৌড় লাগালাম। পেছন থেকে শব্দ শোনা গেলো "ধর ধর"