১.
প্রায় বছর খানেক হলো সামহোয়্যারইনব্লগে জামাত শিবিরের বিপক্ষে কিছু করিনি। আগেও যে করতাম খুব তেমন না। কয়েকটা জামাত বিরোধী স্যাটায়ার আর কয়েকটা কমেন্ট করেছিলাম যতোদূর মনে পড়ে।
এখন তো ব্লগে পোস্টই দেই না আগের মতো। কমেন্ট করি মাসে ২/৩ টা। ক্যাচাল তো অনেক দূরের ব্যাপার।
কিন্তু আজকে ব্লগে গিয়ে দেখি জামাত-এর বরাহ শাবকরা আমার বিপক্ষে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রায় ১ বছর আগে দেয়া কিঞ্চিত ডলা এরা এখনো ভুলতে পারেনি। মজাই পেলাম। স্যাটায়ারের জোর প্রচন্ড। বোঝা গেলো।
ইসলামের ধ্বজাধারীরা গালির বন্যা ছুটিয়ে দিচ্ছে। নতুন একটা বিশেষন দিয়েছে এরা আমার নামে। সেটা হলো "প্রথম আলো'র দালাল"।
কি নির্মল বিনোদন!
২.
আজকাল নেট ব্যবহার এতো কমে গেছে! নিজের কাছেই অবাক লাগে। আগে এমনও হয়েছে আমি কলেজ থেকে এসে পিসির সামনে বসেছি রাত ২ টার সময় উঠেছি। মাঝখানে হয়তো ১০/১২ মিনিটের জন্য উঠতাম।
ঐ নেট আসক্তির দিনগুলো মনে পড়লে হাসি পায় এখন। হা হা হা।
সত্যি কথা বলতে কি অনেক কিছু মনে পড়লেই হাসি পায়। নিজের বোকামী দেখে মাঝে মাঝে যেমন হাসি পায় ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম।
৩.
ভার্চুয়াল লাইফের সাথে দুরত্ব বাড়লেও কিছু ভার্চুয়াল মানুষের সাথে দুরত্ব বাড়েনি একটুও। এরা কতো আপন হয়ে গেছে।
যেমন আদনান মুকিত দীপ্র। রস আলো-র লেখক। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রম্য লেখক। ফেসবুকেই তার সাথে পরিচয়। ব্রেইন স্ট্রোক করে তার বাবা এখন আই সি ইউ-তে আছেন। অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো পুরো বিপদের মধ্যে।
আলোকবর্ষ দূরে ছদ্মনামের এক আপু আছেন। আসল নাম সালসাবিল। তার বাবাও স্ট্রোক করে স্কয়ারে আই সি ইউ-তে আছেন।
ভার্চুয়ালি পরিচিত এই দুজন মানুষের এই সংকট কালীন অবস্থা আমি অনুভব করছি প্রচন্ড ভাবে।
বুঝলাম পরিচয় ভার্চুয়াল হতে পারে কিন্তু আবেগগুলো তো ভার্চুয়াল না।
৪.
অ্যানাটমি ভাইবা চলে এসেছে। আগামী পরশু সেই মহাযজ্ঞ। কি হবে কে জানে! ভয়ে আছি।
আমাদের এক স্যারের ভাষায়, মানুষ তিন যায়গায় একা একা যায়। বাসর ঘর, কবর আর প্রফের টেবিল। বায়ো কেমিস্ট্রি আর ফিজিওলজি মোটামোটি ভালোয় ভালোয় পার করে আসলেও অ্যানাটমিতে এসে স্যারের ঐ কথাটা মনে পড়ছে।
৫.
মায়ের শরীর খারাপ। আগামী সপ্তাহে অপারেশন লাগবে। আমি সাধারণত কিছু নিয়ে খুব বেশি টেনশন করি না। কিন্তু এবার বেশ টেনশন লাগছে। ভালোয় ভালোয় অপারেশনটা হয়ে গেলেই হলো। বুকের উপর থেকে একটা পাথর নেমে যাবে।
যে গান শুনছিঃ সঞ্জীব চৌধুরী - লুতফর হাসান
(অদ্ভুর সুন্দর লিরিক, অদ্ভুত সুন্দর গান; লিখেছেন প্রিয় ইশতিয়াক আহমেদ। লেখার শিরোনামটা তার এই গান থেকেই নিলাম।)
১২ সেপ্টেম্বর ২০১১
প্রায় বছর খানেক হলো সামহোয়্যারইনব্লগে জামাত শিবিরের বিপক্ষে কিছু করিনি। আগেও যে করতাম খুব তেমন না। কয়েকটা জামাত বিরোধী স্যাটায়ার আর কয়েকটা কমেন্ট করেছিলাম যতোদূর মনে পড়ে।
এখন তো ব্লগে পোস্টই দেই না আগের মতো। কমেন্ট করি মাসে ২/৩ টা। ক্যাচাল তো অনেক দূরের ব্যাপার।
কিন্তু আজকে ব্লগে গিয়ে দেখি জামাত-এর বরাহ শাবকরা আমার বিপক্ষে উঠে পড়ে লেগেছে। প্রায় ১ বছর আগে দেয়া কিঞ্চিত ডলা এরা এখনো ভুলতে পারেনি। মজাই পেলাম। স্যাটায়ারের জোর প্রচন্ড। বোঝা গেলো।
ইসলামের ধ্বজাধারীরা গালির বন্যা ছুটিয়ে দিচ্ছে। নতুন একটা বিশেষন দিয়েছে এরা আমার নামে। সেটা হলো "প্রথম আলো'র দালাল"।
কি নির্মল বিনোদন!
২.
আজকাল নেট ব্যবহার এতো কমে গেছে! নিজের কাছেই অবাক লাগে। আগে এমনও হয়েছে আমি কলেজ থেকে এসে পিসির সামনে বসেছি রাত ২ টার সময় উঠেছি। মাঝখানে হয়তো ১০/১২ মিনিটের জন্য উঠতাম।
ঐ নেট আসক্তির দিনগুলো মনে পড়লে হাসি পায় এখন। হা হা হা।
সত্যি কথা বলতে কি অনেক কিছু মনে পড়লেই হাসি পায়। নিজের বোকামী দেখে মাঝে মাঝে যেমন হাসি পায় ব্যাপারটা অনেকটা সেরকম।
৩.
ভার্চুয়াল লাইফের সাথে দুরত্ব বাড়লেও কিছু ভার্চুয়াল মানুষের সাথে দুরত্ব বাড়েনি একটুও। এরা কতো আপন হয়ে গেছে।
যেমন আদনান মুকিত দীপ্র। রস আলো-র লেখক। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রম্য লেখক। ফেসবুকেই তার সাথে পরিচয়। ব্রেইন স্ট্রোক করে তার বাবা এখন আই সি ইউ-তে আছেন। অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে। কিন্তু তিনি এখনো পুরো বিপদের মধ্যে।
আলোকবর্ষ দূরে ছদ্মনামের এক আপু আছেন। আসল নাম সালসাবিল। তার বাবাও স্ট্রোক করে স্কয়ারে আই সি ইউ-তে আছেন।
ভার্চুয়ালি পরিচিত এই দুজন মানুষের এই সংকট কালীন অবস্থা আমি অনুভব করছি প্রচন্ড ভাবে।
বুঝলাম পরিচয় ভার্চুয়াল হতে পারে কিন্তু আবেগগুলো তো ভার্চুয়াল না।
৪.
অ্যানাটমি ভাইবা চলে এসেছে। আগামী পরশু সেই মহাযজ্ঞ। কি হবে কে জানে! ভয়ে আছি।
আমাদের এক স্যারের ভাষায়, মানুষ তিন যায়গায় একা একা যায়। বাসর ঘর, কবর আর প্রফের টেবিল। বায়ো কেমিস্ট্রি আর ফিজিওলজি মোটামোটি ভালোয় ভালোয় পার করে আসলেও অ্যানাটমিতে এসে স্যারের ঐ কথাটা মনে পড়ছে।
৫.
মায়ের শরীর খারাপ। আগামী সপ্তাহে অপারেশন লাগবে। আমি সাধারণত কিছু নিয়ে খুব বেশি টেনশন করি না। কিন্তু এবার বেশ টেনশন লাগছে। ভালোয় ভালোয় অপারেশনটা হয়ে গেলেই হলো। বুকের উপর থেকে একটা পাথর নেমে যাবে।
যে গান শুনছিঃ সঞ্জীব চৌধুরী - লুতফর হাসান
(অদ্ভুর সুন্দর লিরিক, অদ্ভুত সুন্দর গান; লিখেছেন প্রিয় ইশতিয়াক আহমেদ। লেখার শিরোনামটা তার এই গান থেকেই নিলাম।)
আগুনের রঙ তুমি চেনাবে কি বা পাশে আগুন রেখে
আগুনেই বেড়ে উঠেছি শরীরে সে রঙ মেখে
তুমি কখনো করোনি লক্ষ
আগুনেই হয় সন্ধি আমার আগুনের সাথে সক্ষ্য
আগুনের সাথে মিলেমিশে চলি আগুনের সাথে থামি
আগুনের সাথে ভেজার বাসনা জ্বলেতে দুজন নামি
আগুনের জল সে কি টলমল ঢেউ এর চন্দ্রপক্ষ
তুমি কখনো করোনি লক্ষ
আগুনেই হয় সন্ধি আমার আগুনের সাথে সক্ষ্য
......
আগুনেই বেড়ে উঠেছি শরীরে সে রঙ মেখে
তুমি কখনো করোনি লক্ষ
আগুনেই হয় সন্ধি আমার আগুনের সাথে সক্ষ্য
আগুনের সাথে মিলেমিশে চলি আগুনের সাথে থামি
আগুনের সাথে ভেজার বাসনা জ্বলেতে দুজন নামি
আগুনের জল সে কি টলমল ঢেউ এর চন্দ্রপক্ষ
তুমি কখনো করোনি লক্ষ
আগুনেই হয় সন্ধি আমার আগুনের সাথে সক্ষ্য
......
১২ সেপ্টেম্বর ২০১১
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।