তাকে দেখেছি কত্তোবার
আপন পরিক্রমায় একান্ত আপন মনে
ডাক দিয়ে গেছে মরমিয়া গানে
মানুষের পানে
রাত্রির নিয়মে
আমি প্রত্যক্ষ করেছি তাকে
সেই কবে আমার পিতার সময় থেকে
কি এক আশ্চর্য একাগ্রতায়
সে বলে গেছে
তোমরা ওঠো, সেহরীর সময় হয়েছে এখন
আজান পড়েছে তারপর তিস্তার নির্জন চরে
বিস্তির্ন বাতাসে
তার কন্ঠের পরিচিত হাক এখনো কানের কাছে
কথা বলে
তিরিশটি দিন সে জেগে থাকে
যেনো এক দৃড়তার অবিচ্ছিন্ন মায়া
তীক্ষ্ণ এক ছবির শরীর
আমার পিতার সময় ছিলো সেই বলিষ্ঠ কৃষক
কমরুদ্দি নাম যার
কোনদিন বলেনি সে, তারও আছে
অনেক খাবার লোক
তারও চাই অনেক খাবার
অভাবের পুরোনো কম্বল এক
অবরুদ্ধ রয়েছে জীবন
সেও বসে থাকে অপেক্ষার দীর্ঘ পথে
কবে পাবে ফসলের দাম
এক খন্ড ভুমি তার সন্তানের মতো
পরনে একদা দেখেছি তার খোপ কাটা
লুঙ্গির কাপড়
রঙ্গিন ফতুয়া গায়ে আর কাধে লাল রঙ
গামছার সনাতন শরীর
কবেকার রৌদ্রস্নাত, ক্রমাগত পুড়ে পুড়ে
হয়েছে ধুষর
এবং বসে আছে অপেক্ষার দীর্ঘ পথে
কবে পাবে ফসলের দাম
কখনো পাতেনি হাত কারো কাছে
নেয়নি দয়ার দান কোন
কখনো বলেনি কারো কাছে নিজের সেহরী তার
জোগাড় করেছে কিভাবে
এতোদিন পরে রোজার মাসের শেষে
তার মুখ শুধু হাসে
আমার ঋনের ফিকে পটভুমি জুড়ে
একান্ত স্বচ্ছ এবং ছবির সমান
তাকে যদি এখন পেতাম আমি কাছে
ঈদের দিনের এই একান্ত মুহূর্তে
বিনিত শ্রদ্ধা তাকে জানাতাম
বলতাম প্রকাশ্য উচ্চারনে
হে বন্ধু, চিরায়ত বাংলার কমরুদ্দি
এ ঈদ তোমার
তোমার বিশ্বাসের সেতু বেয়ে
আমরা করেছি অতিক্রম
আমার চিরদিনের বাংলার কমরুদ্দি
আমার নতুন বাংলায়
তোমার মধ্যেই আমি দেখেছি সেই
রোজাদার সাহসী সংগ্রামী মানুষ
সকল ঈদের কবিতা তাই মিশে আছে
তোমার একান্ত সেই কন্ঠ জুড়ে
সেহরীর সময় হয়েছে এখন তোমরা ওঠো
আজান পড়েছে তারপর তিস্তার নির্জন তীরে
বিস্তির্ণ বাতাসে।
** কবিতাটি ছাপা হয়েছে যুগান্তর ঈদ সংখ্যা ২০১১-তে।
আপন পরিক্রমায় একান্ত আপন মনে
ডাক দিয়ে গেছে মরমিয়া গানে
মানুষের পানে
রাত্রির নিয়মে
আমি প্রত্যক্ষ করেছি তাকে
সেই কবে আমার পিতার সময় থেকে
কি এক আশ্চর্য একাগ্রতায়
সে বলে গেছে
তোমরা ওঠো, সেহরীর সময় হয়েছে এখন
আজান পড়েছে তারপর তিস্তার নির্জন চরে
বিস্তির্ন বাতাসে
তার কন্ঠের পরিচিত হাক এখনো কানের কাছে
কথা বলে
তিরিশটি দিন সে জেগে থাকে
যেনো এক দৃড়তার অবিচ্ছিন্ন মায়া
তীক্ষ্ণ এক ছবির শরীর
আমার পিতার সময় ছিলো সেই বলিষ্ঠ কৃষক
কমরুদ্দি নাম যার
কোনদিন বলেনি সে, তারও আছে
অনেক খাবার লোক
তারও চাই অনেক খাবার
অভাবের পুরোনো কম্বল এক
অবরুদ্ধ রয়েছে জীবন
সেও বসে থাকে অপেক্ষার দীর্ঘ পথে
কবে পাবে ফসলের দাম
এক খন্ড ভুমি তার সন্তানের মতো
পরনে একদা দেখেছি তার খোপ কাটা
লুঙ্গির কাপড়
রঙ্গিন ফতুয়া গায়ে আর কাধে লাল রঙ
গামছার সনাতন শরীর
কবেকার রৌদ্রস্নাত, ক্রমাগত পুড়ে পুড়ে
হয়েছে ধুষর
এবং বসে আছে অপেক্ষার দীর্ঘ পথে
কবে পাবে ফসলের দাম
কখনো পাতেনি হাত কারো কাছে
নেয়নি দয়ার দান কোন
কখনো বলেনি কারো কাছে নিজের সেহরী তার
জোগাড় করেছে কিভাবে
এতোদিন পরে রোজার মাসের শেষে
তার মুখ শুধু হাসে
আমার ঋনের ফিকে পটভুমি জুড়ে
একান্ত স্বচ্ছ এবং ছবির সমান
তাকে যদি এখন পেতাম আমি কাছে
ঈদের দিনের এই একান্ত মুহূর্তে
বিনিত শ্রদ্ধা তাকে জানাতাম
বলতাম প্রকাশ্য উচ্চারনে
হে বন্ধু, চিরায়ত বাংলার কমরুদ্দি
এ ঈদ তোমার
তোমার বিশ্বাসের সেতু বেয়ে
আমরা করেছি অতিক্রম
আমার চিরদিনের বাংলার কমরুদ্দি
আমার নতুন বাংলায়
তোমার মধ্যেই আমি দেখেছি সেই
রোজাদার সাহসী সংগ্রামী মানুষ
সকল ঈদের কবিতা তাই মিশে আছে
তোমার একান্ত সেই কন্ঠ জুড়ে
সেহরীর সময় হয়েছে এখন তোমরা ওঠো
আজান পড়েছে তারপর তিস্তার নির্জন তীরে
বিস্তির্ণ বাতাসে।
** কবিতাটি ছাপা হয়েছে যুগান্তর ঈদ সংখ্যা ২০১১-তে।