১।
কোন মানুষই সমালোচনার উর্ধ্বে নয়। মানুষের ভুল হতেই পারে। সেই ভুলের জন্য সমালোচনাও হতে পারে।
কিন্তু আমি যদি সারাদিন খালি সমালোচনা করার জন্যই হা করে বসে থাকি তাহলে বুঝতে কোথাও না কোথাও ঘাপলা আছে।
জাফর ইকবাল স্যারের সমালোচনার জন্যও এক শ্রেনীর পাবলিক সারাদিন ওৎ পেতে বসে থাকে।
এদের এই অবস্থা দেখতে খারাপ লাগে না। বরং বলতে গেলে ব্যাপারটা এনজয় করি। এই শ্রেনীর পাবলিক যতোবার জাফর ইকবাল স্যারের নাম শুনে ততোবারই নিজেদের গালে একটা থাবড়া খাওয়ার অনুভূতি পায়।
যে বিশেষ শ্রেনীর পাবলিক সারাদিন স্যারের খুৎ ধরার চেষ্টা করে তাদের পরিচয় সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। এরা ৯৯ ভাগই জামাত শিবিরের চ্যালা।
স্যারের সমালোচনা যে কেউই করতে পারে। কিন্তু জামাতি-রা করে অন্য কারনে। কারনগুলোর কথা সবাই জানে। তারপরেও কয়েকটা কারন উল্লেখ করি।
- স্যার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান।
- স্যার এ দেশের একটা প্রজন্মের মাঝে কঠিন জামাত বিদ্ধেষ ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
- একটা প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকের আবেগের জন্ম দিয়েছেন স্যার।
- স্যার এদেশের তরুনদের একটা বিশাল অংশের কাছে আইডল।
জামাতের প্রতি স্যারের প্রচন্ড ঘৃনা তরুনদের মনেও জামাতের প্রতি ঘৃনা উষ্কে দেয়।
- ………………………………………………………………….
- …………………………………………………………………
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কেনো জামাতিরা জাফর ইকবাল স্যারকে পছন্দ করে না। অবশ্য যারা দিন রাত পাকিস্তানের কথা ভেবে সুখস্বপ্ন দেখে, নিজামী, গোলাম আযম-এর কথা চিন্তা করে রাতের ঘুম হারাম করে তারা স্যারকে পছন্দ করলে স্যারেরই অসম্মান।
ঠিক যে কারনে এই পাকি জারজরা স্যারের কথা শুনলে চোখ বড় বড় করে আবোল তাবোল বকে আমরা ঠিক সেই কারনে স্যারকে পছন্দ করি।
২।
খারাপ লাগে যখন আমাদের জাতীয়তাবাদী বড় ভাইয়েরা জামাতিদের সাথে সুর মেলান। অবশ্য এরশাদ-কে পকেটে পুরে গন্ততন্ত্রের কথা বলা আম্বাদের যেমন ভন্ড মনে হয় তেমন নিজামীকে পকেটে পুরে স্মৃতিসৌধে যাওয়া জাতীয়তাবাদীদেরও কুৎসিত মনে হয়। এই জাতীয়তাবাদী ভাইয়েরাই তো নিজামীর গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা টাঙ্গিয়ে দিয়েছিলো। নাকি?
৩।
জাফর ইকবাল স্যার জামাতি টিভিকে গদাম দেয়ায় ইদানিং আবার জামাতিগুলোর মাথার মাথা একটু বেশী কিলবিল শুরু করেছে। দু-এক জন আবার জ্ঞানী জ্ঞানী ভাব নিয়ে হাস্যকর সব যুক্তি দেখাচ্ছে। "স্যার কেনো জামাতি ভিসির অধীনে কাজ করলেন?" এদের যুক্তি দেখে হাসবো নাকি কাদবো বুঝতে পারছি না।
আরে ব্যাটা নিজামী শীল্পমন্ত্রী ছিলো বলে এদেশের শীল্প মন্ত্রনালয়ের সব কিছু প্রত্যাখ্যান করবো। দেশটা আমার। পাকি জারজের তো আর না।
আর স্যার ঐ জামাতি ভিসির সাথে কোন অনুষ্ঠানেই যাননি কোন কালে।
৩।
শিরোনামের কথাটাই আবার বলে লেখাটা শেষ করি। তোমরা তো সেই পাকি জারজই। নাকি? সো তোমাদের কাছ থেকে জাফর ইকবাল স্যারের সার্টিফিকেট পাওয়া লাগবে না।
রিলেটেড পোস্টঃ জাফর ইকবাল স্যারের "নাচ" ও আমাদের খোজে পাওয়া নতুন ইস্যু।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।