বেশ আরামের ঘুম ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ভেঙ্গে গেলো ঘুম। দেখি পাশে বালিশের বদলে কোমড, আমার মা আমার মাথা ধরে ঝাকাচ্ছেন। মাথার এক পাশে প্রচন্ড ব্যাথা, সেখানে রক্ত লেগে আছে। পাশে বালতি ভাঙ্গা, বাথরুমের দরজা ভাঙ্গা।
বেশ অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। আমিও হয়েছিলাম।
যাই হোক, ঘটনায় যাই। আমাকে ধরাধরি করে বাথরুমের বাইরে আনা হলো। একটু জ্ঞান হতে শুরু করলো। তখন মনে পড়লো সব ঘটনা।
আমি ফিজিওলজি পড়ছিলাম বসে বসে। গাইটন সাহেবের মহান বানীগুলো মুখস্ত করার চেষ্টায় ছিলাম। এক পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই বাথরুমে ঢুকেছিলাম। দরজা লাগানোর পর হঠাৎ টেকিকার্ডিয়া (হার্টরেট বেড়ে যাওয়া) ফিল করলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।
আমার মায়ের জবানীতে সব কাহীনি শোনার পরে মনে হচ্ছে, আমি সম্ভবত বাথরুমেই উলটে পড়ে গিয়েছিলাম। “পড়বি তো পড় বালতির ঘাড়ে” টাইপ অবস্থা। তানিন-এর টেকসই বালতি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গেলো। আমার মাথা লাগলো বাথরুমের দেয়ালে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে বাথরুমের ভিতর এত্তো এত্তো কান্ড ঘটিয়ে ফেলছি অথচ আমি কিছুই টের পাচ্ছিলাম না।
যাই হোক বাথরুমের ভিতরে হুলুস্থুলের শব্দ মা শুনে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। আমাকে নাকি বহুত ডাকাডাকিও করেছেন। সাথে আমার বোনও ছিলো। মা-বোন একসাথে মিলে বাথরুমের দরজায় বাড়ি দিতে লাগলেন। আমাকে ডাকাডাকি করতে লাগলেন। কিন্তু আমি তো তখন “বেহুশ”। বাবা তখন বাসায় নেই। মা আর বোন দুজন মিলে দরজা ভাঙ্গলেন। তারপর আবিষ্কার করলেন আমি বাথরুমে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছি। আমার মুখে পানি টানি দিয়ে নাকি “ঘুম” ভাঙ্গিয়েছিলেন। (বাংলা সিনেমার এই কাহীনি দেখি আসলেই কাজ করে)
আমাকে নেয়া হলো পাশের হাসপাতালে।
ডাক্তারদের আমি বিচিত্র কারনে বেশ ভয় পাই। ডাক্তারদের সামনে বসে আইটেম আর কার্ড দিতে দিতে ডাক্তারদের উপর একরকম ভয় জন্মে গেছে। মনে হয় এই বুঝি প্রশ্ন করে ফেলবেন হোয়াট ইজ cyclopentanoperhydrophenanthrene?
যাই হোক, আমাকে ডাক্তার দেখলেন। মাথায় কিছু ইনিজুরি ছিলো, হালকা ট্রিটমেন্ট দিলেন। বললেন আমার কপাল ভালো। বাথরুমে পড়ে ব্রেইন হিমোরেজ হয়ে অসংখ্য মানুষ মারা যায়। কিছু টেস্ট করতে বললেন। সব বুড়োদের টেস্ট। ই সি জি, লিপিড প্রোফাইল এইসব। আজকে ই সি জি করালাম। রিপোর্ট এসেছে নরমাল। লিপিড প্রোফাইল কালকে সকালে খালি পেটে করতে হবে।
ঘাড় আর মাথা ব্যাথার ব্যাপারটা বাদ দিলে এখন পুরোপুরি সুস্থ আছি। কিন্তু একটু আগে দেখি পুরো দুনিয়া কাপাকাপি করছে। ভাবলাম আবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি না তো! তারপর দেখলাম না, সমস্যাটা আমার না। সমস্যাটা ভূমি সাহেবের। তিনি কাপাকাপি করছেন। মানে ভুমিকম্প হচ্ছে।
বেশ অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। আমিও হয়েছিলাম।
যাই হোক, ঘটনায় যাই। আমাকে ধরাধরি করে বাথরুমের বাইরে আনা হলো। একটু জ্ঞান হতে শুরু করলো। তখন মনে পড়লো সব ঘটনা।
আমি ফিজিওলজি পড়ছিলাম বসে বসে। গাইটন সাহেবের মহান বানীগুলো মুখস্ত করার চেষ্টায় ছিলাম। এক পর্যায়ে স্বাভাবিকভাবেই বাথরুমে ঢুকেছিলাম। দরজা লাগানোর পর হঠাৎ টেকিকার্ডিয়া (হার্টরেট বেড়ে যাওয়া) ফিল করলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।
আমার মায়ের জবানীতে সব কাহীনি শোনার পরে মনে হচ্ছে, আমি সম্ভবত বাথরুমেই উলটে পড়ে গিয়েছিলাম। “পড়বি তো পড় বালতির ঘাড়ে” টাইপ অবস্থা। তানিন-এর টেকসই বালতি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গেলো। আমার মাথা লাগলো বাথরুমের দেয়ালে। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে বাথরুমের ভিতর এত্তো এত্তো কান্ড ঘটিয়ে ফেলছি অথচ আমি কিছুই টের পাচ্ছিলাম না।
যাই হোক বাথরুমের ভিতরে হুলুস্থুলের শব্দ মা শুনে ফেলেছেন ইতোমধ্যে। আমাকে নাকি বহুত ডাকাডাকিও করেছেন। সাথে আমার বোনও ছিলো। মা-বোন একসাথে মিলে বাথরুমের দরজায় বাড়ি দিতে লাগলেন। আমাকে ডাকাডাকি করতে লাগলেন। কিন্তু আমি তো তখন “বেহুশ”। বাবা তখন বাসায় নেই। মা আর বোন দুজন মিলে দরজা ভাঙ্গলেন। তারপর আবিষ্কার করলেন আমি বাথরুমে চিৎপটাং হয়ে শুয়ে আছি। আমার মুখে পানি টানি দিয়ে নাকি “ঘুম” ভাঙ্গিয়েছিলেন। (বাংলা সিনেমার এই কাহীনি দেখি আসলেই কাজ করে)
আমাকে নেয়া হলো পাশের হাসপাতালে।
ডাক্তারদের আমি বিচিত্র কারনে বেশ ভয় পাই। ডাক্তারদের সামনে বসে আইটেম আর কার্ড দিতে দিতে ডাক্তারদের উপর একরকম ভয় জন্মে গেছে। মনে হয় এই বুঝি প্রশ্ন করে ফেলবেন হোয়াট ইজ cyclopentanoperhydrophenanthrene?
যাই হোক, আমাকে ডাক্তার দেখলেন। মাথায় কিছু ইনিজুরি ছিলো, হালকা ট্রিটমেন্ট দিলেন। বললেন আমার কপাল ভালো। বাথরুমে পড়ে ব্রেইন হিমোরেজ হয়ে অসংখ্য মানুষ মারা যায়। কিছু টেস্ট করতে বললেন। সব বুড়োদের টেস্ট। ই সি জি, লিপিড প্রোফাইল এইসব। আজকে ই সি জি করালাম। রিপোর্ট এসেছে নরমাল। লিপিড প্রোফাইল কালকে সকালে খালি পেটে করতে হবে।
ঘাড় আর মাথা ব্যাথার ব্যাপারটা বাদ দিলে এখন পুরোপুরি সুস্থ আছি। কিন্তু একটু আগে দেখি পুরো দুনিয়া কাপাকাপি করছে। ভাবলাম আবার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি না তো! তারপর দেখলাম না, সমস্যাটা আমার না। সমস্যাটা ভূমি সাহেবের। তিনি কাপাকাপি করছেন। মানে ভুমিকম্প হচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
পিসি ইউজাররা উপরের(ফেইসবুক কমেন্ট) অথবা নিচের যেকোনো বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আর মোবাইল ব্যবহারকারীরা যে বক্সটি দেখা যাচ্ছে সেটিতে কমেন্ট করুন।