১।
গবষকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই হুমু-কে বাংলাদেশ নামক দেশ থেকে ধরে আনা হয়েছে। ধরে আনার বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে হুমুকে নিয়ে গবেষনাও কম হয়নি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে গবেষনার তেমন কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। কারণ হলো কোনভাবেই হুমুকে কথা বলানো যাচ্ছে না।
হুমুকে নিয়ে গবেষনার যে প্রজেক্ট সেটার নাম দেয়া হয়েছে “প্রজেক্ট হুমুলাইসিস”। এর দায়ীত্বে আছেন সুন্দরী টিক্রি। খুব কম বয়সে যিনি অনেক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছেন। ইতিপং গ্রহের প্রায় সব তরুণ টিক্রির জন্য পাগল। সবাই টিক্রীর পেছনে ঘুর ঘুর করে। কিন্তু টিক্রী কাউকেই পাত্তা দেন না। তিনি কিছুদিন আগে ঘোষনাই দিয়ে দিয়েছেন যে জীবনেও বিয়ে করবেন না।
যাই হোক, টিক্রী বেশ টেনশনে আছেন। হুমু কিছুতেই কথা বলছে না। এক দম হালুম হয়ে বসে আছে। টিক্রী কথা বলানোর চেষ্টা কম করান নি।
হুমুকে কাতুকাতু যন্ত্রের ভিতর ঢুকিয়েছেন,
টক শোর আদলে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে বসিয়েছেন,
রাজনৈতিক জনসভার মঞ্চ বানিয়ে সেখানে দাড় করিয়েছেন।
আরো কতো কি!
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি।
তবে টিক্রী হুমুকে দিয়ে কথা বলাতে পারবেন না?
গবেষক হিসেবে তার সব জশ সুনাম ধূলায় মিশে যাবে?
নাহ! এ হতে পারে না। কিছুতেই হতে পারে না। কক্ষনো না।
তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন আবার যাবেন হুমুর কাছে। আবার তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করবেন।
২।
টিক্রী আর হুমু মুখোমুখি বসে আছেন। টিক্রী আবার হুমুকে প্রশ্নবানে জর্জরীত করতে লাগলেন।
আপনার নাম কি হুমু?
আপনার বাড়ি কি বাংলাদেশ?
আপনার হবি কি?
আপনার আপনি কি কথা জানেন না?
আপনি কি বোবা?
..................।
প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেন টিক্রী। আপন মনে বলে উঠলেন
- “ধুর্বাল! এই উল্লুকটা কথা বলে না কেনো?”
তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। হুমু আস্তে করে কথা বলে উঠলো।
- এই জানটুশ!
উত্তেজনায় টিক্রীর চোখের সাইজ ডাবল হয়ে গেলো। তিনি যেনো নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারলেন না।
টিক্রী আবার চরম উত্তেজিত হয়ে বললেন-
-“হুমু সাহেব! কি বলেছেন আবার বলুন প্লিজ। আমি আবার শুনতে চাই। প্লিজ বলুন। প্লিজ।”
হুমু আবার কথা বললেন-
-“আমার জানটুশ টিক্রী। আই লাবিউ”
এটা শুনে লজ্জায় টিক্রীর কান পর্যন্ত লাল হয়ে গেলো। ও মাই গড। তাকে তো অনেক ছেলেই প্রপোজ করেছে। কিন্তু এত্তো সুইট করে কেউ তো এর আগে বলে নি। তিনিও হুমুর হাত ধরে বলে উঠলেন।
-“আমার জানটুশ হুমু! আমি লাবিউ টু। তুমি এতো দিন কথা বলোনি কেনো প্রিয়তম। কেনো কেনো। জবাব দাও ডারলিং”
-হুমু বললেন,
- “আমি তো এতোদিন তোমার রুপসূধা দেখছিলাম প্রান ভরে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তোমাকে ভেবে কবিতাও লিখেছি -
“ও মাই জান টিক্রী/
তোমার কাছে আমার মন করেছি বিক্রী”
টিক্রী লজ্জায় এবার লাল থেকে বেগুনী হয়ে গেলেন।
“ও মাই সুইট দুষ্টু জানটুশ হুমু। তুমি এতো ভালো কেনো গো!”
টিক্রী উঠে ঘরের দরজা লাগিয়ে আসলেন।
৩।
এর পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। টিক্রী আর হুমুর বিয়ে হয়ে গেলো। হুমু টিক্রীকে সাথে নিয়ে ইতিপং গ্রহে একটি রাজনৈতিক দল খুললেন। টিক্রী গবেষক থেকে হয়ে গেলেন রাজনীতিবীদ। আস্তে আস্তে ইতিপং গ্রহের বারোটা বাজতে শুরু করলো।
হুমু এরশাদ।
যাকে নিয়ে ইতিপং গ্রহের গবেষকদের আগ্রহের কোন সীমা নেই।
হুমু কিভাবে বুড়ো বয়সেও এতো এনার্জেটিক?
কিভাবে এতো সুদর্শন?
কিভাবে এতো বর্ণচোরা?
কিভাবে তার ভিতরে এতো প্রেম?
যাকে নিয়ে ইতিপং গ্রহের গবেষকদের আগ্রহের কোন সীমা নেই।
হুমু কিভাবে বুড়ো বয়সেও এতো এনার্জেটিক?
কিভাবে এতো সুদর্শন?
কিভাবে এতো বর্ণচোরা?
কিভাবে তার ভিতরে এতো প্রেম?
গবষকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই হুমু-কে বাংলাদেশ নামক দেশ থেকে ধরে আনা হয়েছে। ধরে আনার বেশ কয়েকদিন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে হুমুকে নিয়ে গবেষনাও কম হয়নি। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে গবেষনার তেমন কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। কারণ হলো কোনভাবেই হুমুকে কথা বলানো যাচ্ছে না।
হুমুকে নিয়ে গবেষনার যে প্রজেক্ট সেটার নাম দেয়া হয়েছে “প্রজেক্ট হুমুলাইসিস”। এর দায়ীত্বে আছেন সুন্দরী টিক্রি। খুব কম বয়সে যিনি অনেক বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়েছেন। ইতিপং গ্রহের প্রায় সব তরুণ টিক্রির জন্য পাগল। সবাই টিক্রীর পেছনে ঘুর ঘুর করে। কিন্তু টিক্রী কাউকেই পাত্তা দেন না। তিনি কিছুদিন আগে ঘোষনাই দিয়ে দিয়েছেন যে জীবনেও বিয়ে করবেন না।
যাই হোক, টিক্রী বেশ টেনশনে আছেন। হুমু কিছুতেই কথা বলছে না। এক দম হালুম হয়ে বসে আছে। টিক্রী কথা বলানোর চেষ্টা কম করান নি।
হুমুকে কাতুকাতু যন্ত্রের ভিতর ঢুকিয়েছেন,
টক শোর আদলে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে বসিয়েছেন,
রাজনৈতিক জনসভার মঞ্চ বানিয়ে সেখানে দাড় করিয়েছেন।
আরো কতো কি!
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি।
তবে টিক্রী হুমুকে দিয়ে কথা বলাতে পারবেন না?
গবেষক হিসেবে তার সব জশ সুনাম ধূলায় মিশে যাবে?
নাহ! এ হতে পারে না। কিছুতেই হতে পারে না। কক্ষনো না।
তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলেন আবার যাবেন হুমুর কাছে। আবার তাকে কথা বলানোর চেষ্টা করবেন।
২।
টিক্রী আর হুমু মুখোমুখি বসে আছেন। টিক্রী আবার হুমুকে প্রশ্নবানে জর্জরীত করতে লাগলেন।
আপনার নাম কি হুমু?
আপনার বাড়ি কি বাংলাদেশ?
আপনার হবি কি?
আপনার আপনি কি কথা জানেন না?
আপনি কি বোবা?
..................।
প্রশ্ন করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলেন টিক্রী। আপন মনে বলে উঠলেন
- “ধুর্বাল! এই উল্লুকটা কথা বলে না কেনো?”
তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। হুমু আস্তে করে কথা বলে উঠলো।
- এই জানটুশ!
উত্তেজনায় টিক্রীর চোখের সাইজ ডাবল হয়ে গেলো। তিনি যেনো নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারলেন না।
টিক্রী আবার চরম উত্তেজিত হয়ে বললেন-
-“হুমু সাহেব! কি বলেছেন আবার বলুন প্লিজ। আমি আবার শুনতে চাই। প্লিজ বলুন। প্লিজ।”
হুমু আবার কথা বললেন-
-“আমার জানটুশ টিক্রী। আই লাবিউ”
এটা শুনে লজ্জায় টিক্রীর কান পর্যন্ত লাল হয়ে গেলো। ও মাই গড। তাকে তো অনেক ছেলেই প্রপোজ করেছে। কিন্তু এত্তো সুইট করে কেউ তো এর আগে বলে নি। তিনিও হুমুর হাত ধরে বলে উঠলেন।
-“আমার জানটুশ হুমু! আমি লাবিউ টু। তুমি এতো দিন কথা বলোনি কেনো প্রিয়তম। কেনো কেনো। জবাব দাও ডারলিং”
-হুমু বললেন,
- “আমি তো এতোদিন তোমার রুপসূধা দেখছিলাম প্রান ভরে। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তোমাকে ভেবে কবিতাও লিখেছি -
“ও মাই জান টিক্রী/
তোমার কাছে আমার মন করেছি বিক্রী”
টিক্রী লজ্জায় এবার লাল থেকে বেগুনী হয়ে গেলেন।
“ও মাই সুইট দুষ্টু জানটুশ হুমু। তুমি এতো ভালো কেনো গো!”
টিক্রী উঠে ঘরের দরজা লাগিয়ে আসলেন।
৩।
এর পরের ঘটনা খুবই সংক্ষিপ্ত। টিক্রী আর হুমুর বিয়ে হয়ে গেলো। হুমু টিক্রীকে সাথে নিয়ে ইতিপং গ্রহে একটি রাজনৈতিক দল খুললেন। টিক্রী গবেষক থেকে হয়ে গেলেন রাজনীতিবীদ। আস্তে আস্তে ইতিপং গ্রহের বারোটা বাজতে শুরু করলো।
কমেন্ট
উত্তরমুছুনমন্তব্য করতে গেলে নতুন উইন্ডো ওপেন হয়। :|
উত্তরমুছুনekhon comment korte kono problem hocche na.
উত্তরমুছুন@tania যাক! শুনে ভালো লাগলো। :)
উত্তরমুছুন